Tag: doctor

doctor

  • West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগী ও পরিজনের লম্বা লাইন! কেউ ভোর রাত, কেউ বা আগের দিন থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করেন। চিকিৎসকের কাছে সমস্যার কথা সম্পূর্ণ জানানোর পর্যাপ্ত সময়টুকুও পান না রোগী। তারপরেও বন্ধ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া! সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

    কী বলছে সমীক্ষা (West Bengal Health)? 

    সম্প্রতি, এক আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল (West Bengal Health) নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। আর তা থেকে জানা যায়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর জন্য চিকিৎসক গড়ে মাত্র ১৩ সেকেন্ড বরাদ্দ করতে পারেন। অর্থাৎ, রোগীর সমস্যা শোনা, রোগ নির্ণয়, তাঁকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া, সবটাই করতে হয় মাত্র ১৩ সেকেন্ডে! সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষত মেডিসিন, কার্ডিওলজি, স্ত্রীরোগ বিভাগে রোগীর চাপ বেশি থাকে। রোগী ও চিকিৎসকের কথা বলার প্রয়োজন বেশি হয়। তাই এই সব বিভাগে চাপ আরও বাড়ে!

    কী বলছে চিকিৎসক মহল (West Bengal Health)?

    রোগীদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না বলেই জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) কর্মরত অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সমস্ত সমস্যা শোনা, তার রোগ নির্ণয় ও তাকে পরামর্শ দেওয়া, এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত করা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী একাধিক বিষয় জানতে চান। রোগীর কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেগুলো অত্যন্ত দ্রুত করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। কারণ, কয়েক হাজার রোগী অপেক্ষা করেন। তাই একজন রোগীকে অতিরিক্ত সময় দিলে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া যাবে না। 
    স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মায়েদের স্তন্যপান করানোর বিষয়ে কাউন্সেলিং করানো জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই কেন মা সদ্যোজাতকে প্রথম ছ’মাস শুধুই মাতৃদুগ্ধ পান করাবে, সে বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের সময় পাওয়া যায় না। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি এখন রাজ্যের বছরভর সমস্যা। তবে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই সমস্যা প্রতি বছর প্রবল বাড়ে। চাপ বাড়ে হাসপাতালের। কয়েক হাজার রোগী আউটডোরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগীর কথা ঠিকমতো শোনার সুযোগ পর্যন্ত থাকে না। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কের উন্নতির প্রয়োজন অনুভব করা হচ্ছে। সে নিয়ে নানান কর্মশালাও হচ্ছে। আর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যোগাযোগে। অর্থাৎ, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে কথোপকথন হতে হবে। কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা যাতে রোগীর তৈরি না হয়, সে জন্য রোগীকে সব কিছু বোঝাতে হবে। চিকিৎসক সহজভাবে রোগীর সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক ভালো হয়। কিন্তু রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) রোগী-চিকিৎসকের কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট তো দূর অস্ত, ন্যূনতম প্রয়োজন ঠিকমতো শোনার সুযোগ হয় না। আর প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ঘাটতি তার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। 
    সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জেলা স্তর থেকে মেডিক্যাল কলেজ, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক অত্যন্ত কম। আর তাই পরিষেবার মান কমছে।

    নিয়োগ (West Bengal Health) বন্ধ কেন? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকার সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) চিকিৎসক নিয়োগ করেনি। চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে রাজ্যের ৩০টি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক হাজার নতুন এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হবে, নতুন চিকিৎসক তৈরি হবে! প্রশ্ন উঠছে, সেই চিকিৎসক তাহলে সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত হচ্ছে না কেন?
    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতর এ বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চ স্তরের পরামর্শ মতো কাজ করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে এলাকারই একটি পাঁচদিনের অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক। শিশুটিকে মৃত ভেবে বাড়িতে নিয়ে চলে গেলে সে নাকি পুনরায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে এবং হাত-পা নাড়া শুরু করে। এরপরই বাড়ির লোক তৎক্ষণাৎ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেখানে পৌঁছলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন শিশুটিকে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে গভীর রাতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। গভীর রাতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ভালুকা এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় ভালুকা ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা এলাকার গোবরা গ্রামের বাসিন্দা তপন মহালদারের পাঁচদিনের শিশু রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক তাকে স্থানীয় ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Hospital) নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আই ফারানা ইয়াসমিন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং তৎক্ষণাৎ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাড়ির লোক শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এলে শিশুটি চোখ মেলে তাকায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। পুনরায় ওই শিশুকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁচলে রেফার করেন। সেখানে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আর কিছুক্ষণ আগে আনলেই শিশুটিকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনা জানার পরে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে শিশুটি মারা গেল। এর দায় কে নেবে। গ্রামবাসীরা ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন। বিক্ষোভকারী এক গ্রামবাসী নীরদ চৌধুরী বলেন, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে আজকে এই শিশুর মৃত্যু হল। আমরা চাই ওই চিকিৎসকের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।

    কী বললেন অভিযুক্ত চিকিৎসক?

    এদিকে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হয়, তার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ময়না তদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    Barrackpore: ময়না তদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে (Barrackpore) চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যু রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা পড়ল। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন, না তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ধন্দে রয়েছেন। কারণ, একজন আত্মহত্যা করলে তাঁর শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে না। ফলে, পুলিশ আধিকারিকরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

    কী বললেন প্রজ্ঞাদীপার মা?

    ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা ঝর্না হালদার। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সুবিচারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ আধিকারিকদের তিনি জানান।

    খোঁজ নেই চার বাংলাদেশির

    ১৯ জুন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির সিলিং অনেক উঁচুতে। সেখানে কী করে ওই মহিলা চিকিৎসক কাপড় ঝোলালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর দিনই সন্ধ্যায় চার বাংলাদেশি বন্ধুর সঙ্গে কৌশিক বারাকপুরের (Barrackpore) একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁদের একটি গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে, ২০ জুন মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাংলাদেশি চার বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি চারজনের খোঁজ মেলেনি। তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কৌশিক শুধু পুলিশকে বলেছেন, ওই চার বাংলাদেশি আমার পরিচিত বন্ধু। আমি তাদের বারাকপুরের (Barrackpore) বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। শনিবারই বিকেলের পর ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যে ঘরের মধ্যে থেকে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের ভিতর থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। কলকাতায় কৌশিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে একত্রবাসে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানরা কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। উলটে পুলিশই তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তিনি বারবার করেন। একশো দিনের কাজ কিংবা আবাস যোজনা, নানা বিষয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প আটকে থাকছে। কিন্তু এবার তাঁর একটি সিদ্ধান্তের জেরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) আরও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।

    কী সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরি করা হবে। তাঁরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) দেবেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করে একে সিভিক চিকিৎসক বলেছেন। আর বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এই সিভিক চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের জেরেই আটকে যেতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ন্যাশনাল হেলথ মিশনে রাজ্য কেন্দ্রের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এবার সেই টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    কেন কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে? 

    প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্র কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির (West Bengal Health) পরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজ্যের কাছে আসে। কিন্তু ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা চালু হলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোই বদলে যাবে। তখন কেন্দ্রও বিবেচনা করে টাকা পাঠাবে। কারণ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলে, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে মান থাকে, ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা দিলে, সেই মান অন্যরকম হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করত, তারও পরিবর্তন হবে। তার জেরে বরাদ্দ অর্থেরও হেরফের হবে।

    কী ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা? 

    স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলে রাজ্যের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনিক মহল। নবান্নের অন্দরে খবর, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বরাদ্দের টাকা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই (West Bengal Health) খরচ করে না রাজ্য সরকার। এই টাকায় একাধিক অন্য বিভাগের খরচ চলে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া ও নানা পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ চলে কেন্দ্রের পাঠানো এই টাকা থেকে। তাই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ কমলে মুশকিলে পড়বে একাধিক বিভাগ। তাছাড়া, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষ। কারণ, একদিকে ‘সিভিক’ চিকিৎসকের পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, অন্যদিকে ঠিকমতো অর্থ না থাকলে নানা পরিকাঠামোগত ত্রুটিও দেখা দেবে। যা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলবে। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share