Tag: Doklam Border

Doklam Border

  • Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ডোকলাম (Doklam)! নেপথ্যে সেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ডোকলামের কাছে ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ড্রাগনের দেশ। জানা গিয়েছে, শি জিনপিংয়ের দেশ ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপও তৈরি করছে। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত (India)-চিন (China) সীমান্তে।

    ডোকলাম…

    যদিও ডোকলাম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অংশ নয়, তবুও ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে এই এলাকার সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই এলাকায় ড্রাগনের দেশ পরিকাঠামো গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ ভারত। এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, চিন প্রথমে ওই এলাকায় গ্রাম গড়ল। ওই জায়গায় বসতি গড়ে তুলতে লোকজন আনল। অথচ এক সময় এই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। এখন ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা এটাও দেখেছি, ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তোলার কাজও চলছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ওই এলাকার দূরত্ব সামান্যই। যদিও তিনি বলেননি ঠিক কতদূরে ওই এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তুলছে চিন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, এটা আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার হতে পারে কিংবা তারও কিছু কম।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    ডোকলামে (Doklam) যে চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা স্বীকারও করেছেন এক চিনা আধিকারিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই যে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা অংশ গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের ‘ভূখণ্ডে’। তিনি এও জানান, শি জিনপিংয়ে বিকাশ নীতি রূপায়ণ করতেই এসব করা হচ্ছে। চাইনিজ স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর লি জিয়াওজুনও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, একই সময়ে আমি মেনে নিচ্ছি, এই সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে মিলিটারি পারপাসে।

    ডোকলামে (Doklam) চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি, তার প্রমাণ চিনের ক্রমাগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। লি বলেন, গত দশ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির অংশ। তবে আমি এও স্বীকার করি, এর উদ্দেশ্য দুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India-China Border) উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে গ্রাম নির্মাণ করেছে চিন। স্যাটেলাইট চিত্রে (Satellite images) এই ছবি ধরা পড়েছে। ২০১৭ সালে ওই এলাকাতেই বিবাদে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। এখন সেখানেই আস্ত একটা গ্রাম গড়ে উঠেছে৷ বেজিংয়ের তরফে গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে পাংডা (Pangda)। এটি ভুটান সীমান্তের (Bhutanese territory) কাছাকাছি। 

    সূত্রের খবর, এই গ্রাম ভুটানের আমো চু নদীর (Amo Chu river) তীরেই অবস্থিত৷ এমনকি ওই গ্রামের কিছু অংশ ভুটানের বলেই জানা যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই জায়গায় চিনা ফৌজ (PLA) গ্রাম নির্মাণ করে সহজে ডোকলাম এলাকায় আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে৷ একবার ওই এলাকা দখল করে ফেলতে পারলে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) অনেক কাছে চলে আসবে চিন। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, শিলিগুড়ি করিডর দখল করে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দখলের পরিকল্পনা রয়েছে চিনা ফৌজের। 

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    ২০১৭ সালের ২৭ জুন একটি বিতর্কিত অঞ্চলে চিন রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবাদ জানায় ভুটান৷ জানা যায়, চীন জুফেরি পাহাড়ের কাছে ভুটানের সেনা ক্যাম্পের সামনে ডোকলামে রাস্তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছিল। টানা ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থান ছিল ভারত ও চিনের৷ সেসময় চিনা ফৌজ জোমপেলরি গিরিশিরা পর্যন্ত এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনার (Indian Army) বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

    আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    প্রাক্তন এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, পাংডা গ্রাম ও তার উত্তর ও দক্ষিণের গ্রামগুলি থেকেই বোঝা যাচ্ছে চিনারা ডোকলাম মালভূমির (Doklam Valley) জোমপেলরি গিরিশিরার উপরে বৈধ অধিকার কায়েম করতে চাইছে। এবিষয়ে এখনও অবধি ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশমন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা মেলেনি। যদিও সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় সেনা চিনা ফৌজের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে৷ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা সর্বদা প্রস্তুত। 

LinkedIn
Share