Tag: Dol Purnima 2025

  • Holi: ১৪ নাকি ১৫ মার্চ, কবে রঙের উৎসব? কখন লাগছে তিথি? কী বলছে পঞ্জিকা?

    Holi: ১৪ নাকি ১৫ মার্চ, কবে রঙের উৎসব? কখন লাগছে তিথি? কী বলছে পঞ্জিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্মে দোল পূর্ণিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বাংলায় পালিত হয় দোল ও দেশের অন্যান্য অংশে পালিত হয় হোলি (Holi)। এদিন রঙ আবিরের (Dol Purnima) পিচকারি নিয়ে মজায় মেতে ওঠেন হিন্দুরা। সঙ্গে থাকে মিষ্টি। পাশাপাশি অন্যান্য খাবার-পানীয়ের সঙ্গে হালকা গান এবং খুশিতে নাচও চলে। হোলি বা দোল সাধারণত দুটি ফেজে হয়। হোলিকা দহন যা বাংলায় ন্যাড়া পোড়া নামে পরিচিত, আর রঙ্গোলি হোলি বা রঙের খেলা। প্রথমটিকে বলে ছোটি হোলি, দ্বিতীয়টিকে ধুলন্ডি বা ফাগুয়া। চলতি বছরে ১৩ মার্চ হবে হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া (Holi)। ভক্তদের বিশ্বাস হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার মাধ্যমে মনের পাপ, লোভ, হিংসার শেষ হয়। রঙের উৎসব পালিত হবে ১৪ মার্চ। পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ সকাল ১০.৩৫ মিনিট থেকে। আর তা শেষ হবে ১৪ মার্চ ১২.২৩ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে পূর্ণিমা পালিত হবে ১৪ মার্চ শুক্রবার। ১৪ মার্চ দোল এবং হোলি, দুই-ই এক দিনে পালিত হবে। এছাড়া চৈত্র কৃষ্ণ প্রতিপদে উদয়া তিথি পড়ছে বলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫ মার্চও হোলি পালিত হবে।

    কী বলছে পঞ্জিকা

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–

    পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার।

    বাংলা– ২৯ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার।

    সময়– সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট।

    পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৪ মার্চ, শুক্রবার।

    বাংলা– ৩০ ফাল্গুন, শুক্রবার।

    সময়– সকাল ১২টা ২৫ মিনিট।

     

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–

    পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হবে

    ইংরেজি– ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার।

    বাংলা– ২৮ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার।

    সময়– সকাল ১০টা ২২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড।

    পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৪ মার্চ, শুক্রবার।

    বাংলা– ২৯ ফাল্গুন, শুক্রবার।

    সময়– সকাল ১১টা ৩৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড।

    মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবেরও জন্মতিথি দোলপূর্ণিমা (Holi)

    দোলযাত্রা প্রধানত বৈষ্ণব ধর্মীয় মানুষদের উৎসব হলেও সকলেই মেতে ওঠেন এই উৎসবে (Holi)। দোলযাত্রা (Dol Purnima) পালিত হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা এবং অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই কারণে দোলপূর্ণিমার তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা বিভিন্ন জায়গায়। এর পাশাপাশি আবির খেলায় মেতে ওঠেন বৈষ্ণব সমাজের লোকজন। দোল উৎসব ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হলেও এই উৎসব ন্যাড়া পোড়া থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দোলপূর্ণিমার পুণ্য তিথি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবেরও জন্মতিথি।

LinkedIn
Share