Tag: Donald

  • Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুলাই নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর দলের নাম আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেল তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই নয়া দলের কথা। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতদ্বৈততা চরমে ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইলন মাস্কের। তার পরেই আত্মপ্রকাশ করে মাস্কের নয়া দল। ট্রাম্পের বিলটিকে মাস্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

    মাস্কের দলের তিন স্তম্ভ (Elon Musk)

    যদিও মাস্কের দলটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি, তাদের কোনও সংবিধানও নেই। তবে মাস্কের দলটি মূলত তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি হল, আগ্রাসী আর্থিক রক্ষণশীলতা – ঋণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর ওপর জোর, প্রযুক্তিগত গতি বৃদ্ধি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং বিশেষ করে জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান এবং মধ্যম ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব – রাজনৈতিক চরমপন্থীদের দ্বারা বিমুখ হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের দাবি। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাস্কের নয়া দলের প্রতি জনগণের কিছুটা আগ্রহ রয়েছে। ৪০ শতাংশ ভোটার এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে মাস্কের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাঁর অনুকূলতা সূচক বর্তমানে -১৮।

    আগেও ছাপ ফেলতে পারেনি তৃতীয় কোনও দল

    তবে ১৭৭৬ সাল থেকে আমেরিকায় তৃতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাস মাস্কের আকাঙ্ক্ষার এক হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বরাবরই চ্যালেঞ্জারদের দমন করেছে (Elon Musk)। থিওডোর রুজভেল্টের প্রগ্রেসিভ বুল মুস পার্টি ১৯১২ সালে ২৭ শতাংশ ভোট জয়ী হলেও, অল্পদিনেই ভেঙে পড়ে। রস পেরোর রিফর্ম পার্টি ওই বছরই ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। পেরো নেতৃত্ব ছাড়ার পরেই দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে নয়া পার্টি। লিবার্টেরিয়ান ও গ্রিন পার্টির মতো ধারাবাহিক চেষ্টাগুলোও দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কংগ্রেসের ১ শতাংশ আসনও পায়নি।

    কাঠামোগত বাধাও রয়েছে। নয়া দলকে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আইনের অধীনে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই ১১ লাখ স্বাক্ষর বা ৭৫ হাজার নিবন্ধিত সদস্য লাগবে। “স্পয়লার এফেক্ট”ও একটি বড় বাধা। কারণ তৃতীয় দলগুলো প্রায়ই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট কেটে নেয়। তাই তাদের প্রতিপক্ষই জয়ী হয়। তাই মাস্কের দল আমেরিকায় পানি পাবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের রাজনৈতিক (Donald Trump) বিশেষজ্ঞরা। ভ্যালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্নার্ড টামাস বলেন, “এটা ব্যবসা চালানোর মতো নয়। এর জন্য একটি তৃণমূলস্তরের আন্দোলনের প্রয়োজন। শুধু টাকাটাই যথেষ্ট নয় (Elon Musk)।”

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিন ধরে চলা বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নামানো হচ্ছে আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার আন্দোলন দমন করতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসামকে গ্রেফতারির প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

    মেরিনবাহিনী (Donald Trump)

    মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপাতত মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। হিংসার আশ্রয় নিলে ফল ভালো হবে না বলে বিক্ষোভকারীদের আগেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানান ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের ডেমোক্র্যাট গভর্নর নিউসাম। এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন নিউসাম। যদিও গভর্নরের এই কথায় কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারেন, সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিউসাম।

    লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

    গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানান, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প তাঁর নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন (Donald Trump)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

    শনিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান হুঁশিয়ারি (Los Angeles) দিয়েছিলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ – যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।” সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভালো। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয়, এটা ভালোই হবে।”

    নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প

    ২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল (Donald Trump)। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

    অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

    অভিবাসন দমন এজেন্সি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Los Angeles)। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা (Donald Trump)।

    ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায়ই নিরস্ত্র জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস (Los Angeles)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোতায়েন করা হয় বাহিনী (Donald Trump)।

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার। এই হামলার পর অন্তত ২৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযান ট্রাম্পের (Donald Trump)। হুঁশিয়ারির সুরে ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।” ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ট্রাম্প। তাঁরই নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা (Donald Trump)

    ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার ওপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভালো হবে না।” সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট একটি দেশ ইয়েমেন। দেশটির একদিকে রয়েছে লোহিত সাগর এবং অন্যদিকে রয়েছে এডেন উপসাগর। আর এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু মালবোঝাই জাহাজ নিত্য যাতায়াত করে (Donald Trump)। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই জঙ্গিদেরই শায়েস্তা করতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ ট্রাম্পের।

    হুথিদের হামলা

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস ও প্যালেস্তাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে হুথিরাও। এই হামলাকে (Donald Trump) তারা যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।” জানা গিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড়ে গিয়েছিল হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে। হুথিদের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এক মার্কিন কর্তা বলেন, “এই অভিযান সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে (Donald Trump)।”

LinkedIn
Share