Tag: Donetsk

Donetsk

  • Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান যে মস্কো তার যুদ্ধ কেবল তখনই শেষ করবে, যদি ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দেয়। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাস্কায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় পুতিন এই দাবি জানান। তিনি প্রস্তাব দেন, দোনেৎস্ক (Donetsk Region Meeting) হস্তান্তরের মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রকে স্থির রাখতে পারবে, বিশেষ করে দক্ষিণের খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রুশ সেনারা ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ অংশ দখল করে ফেলেছে।

    ট্রাম্পের বার্তা জেলেনস্কি ও ইউরোপকে (Putin)

    এর ঠিক একদিন পরেই ট্রাম্প এই বার্তাটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন যৌথ ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি সীমিত যুদ্ধবিরতির বদলে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির পক্ষে সওয়াল করেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সেরা উপায় হল সরাসরি একটি শান্তিচুক্তি করা, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিরতি নয়, কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টেকসই হয় না।” তিনি আরও জানান, যদি অগ্রগতি হয়, তবে পুতিনের সঙ্গে আর একটি বৈঠক নির্ধারণ করা হবে।

    প্রশ্ন হল, কেন দোনেৎস্ক এই সংঘাতের কেন্দ্রে

    ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্র দোনেৎস্ক। বর্তমানে রাশিয়া প্রায় এর ৭০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন তাদের পূর্ব প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরবেষ্টনী ধরে রেখেছে। দোনেৎস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার জন্য হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য, রাশিয়া-ইউক্রেন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। এটি ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে তাদের দ্রুততম ভূখণ্ডগত দখলকে সুসংহত করবে। উল্টোদিকে, দোনেৎস্ক হারালে কিয়েভের জন্য পুরো পূর্ব ফ্রন্টের স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

    মিডিয়া প্রতিবেদন

    মিডিয়া প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তিনি দোনেৎস্ক ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। তবে ১৮ অগাস্ট ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিস্তৃত আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তিনি পুতিনকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। তবে, ক্রেমলিন স্পষ্টভাবে এমন কোনও ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেছে এবং জানিয়ে দিয়েছে যে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে (Donetsk Region Meeting) এ ধরনের কোনও আলোচনাই হয়নি (Putin)।

    ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিত

    ট্রাম্পের আগের ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিতগুলি ইউরোপীয় রাজধানীগুলোকে অস্থির করে তুলেছিল। অনেক নেতাকে আশ্বস্ত করেছিল যখন ট্রাম্প পুতিনকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে, মস্কো যদি যুদ্ধ থামাতে অস্বীকার করে, তবে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে আলাস্কার আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। বরং এই বৈঠক পুতিনকে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। বৈঠকটি লাল গালিচা অভ্যর্থনা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে হালকা কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল। এরপর দুই নেতার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। পুতিন দোনেৎস্কের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করছে এই জন্য যে, তিনি কূটনৈতিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান, যা রুশ সেনারা সামরিকভাবে অর্জনে সংগ্রাম করছে। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন দোনেৎস্কে ৩১ মাইল দীর্ঘ একটি দুর্গ শহর ও প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলেছে। রুশ সেনারা বারবার সেই প্রতিরক্ষা লাইনের কাছে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। “ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি (Donetsk Region Meeting) অব ওয়ারে”র মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে (Putin)।

    রাশিয়া

    এই দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ে রাশিয়া গত ১৭ মাসে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও জনবল নিয়োজিত করেছে। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রাশিয়া ধীরে ধীরে শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে দোনেৎস্ক দখল করে, তবে তারা পরবর্তী ধাপে খারকিভ ও দ্নিপ্রোপেত্রোভস্ককে হুমকির মুখে ফেলতে পারবে। এতে ইউক্রেনকে তড়িঘড়ি করে নতুন কিন্তু দুর্বল প্রতিরক্ষা লাইন গড়তে হবে। দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে, যা পশ্চিমী নেতাদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়, যদিও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ। পুতিনকে দেওয়া লাল গালিচা অভ্যর্থনার সঙ্গে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রবল বৈপরীত্য তৈরি করেছিল। আর আলোচনায় ইউক্রেনের অনুপস্থিতি তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। বৈঠক থেকে অন্তত একটি যুদ্ধবিরতির রূপরেখা আশা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবর্তে এটি দেখিয়ে (Donetsk Region Meeting) দিল বাস্তবতা ও আড়ম্বরের মধ্যে কতটা ফাঁক রয়েছে। তার পরেই ট্রাম্প শান্তির দায়ভার সরাসরি জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় দেশগুলির ওপর চাপিয়ে দেন (Putin)।

  • Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছেন। গত মাসেই রাশিয়ান সেনা অধিকৃত এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেন সেনার তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে দোনেটস্ক (Donetsk) , লুহানস্ক (Luhansk) , খেরসন (Kherson)  এবং জাপেরিঝিয়া (Zaporizhzhia) এই অঞ্চলের কোনোটিকেই রুশ সেনারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত আট মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধে একাধিক বড় ধরনের পরাজয়ের পর ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারির মাধ্যমে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে রুশ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি যেসব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সমর্থনে অর্থনীতি, শিল্প ও উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাশিয়ার জন্য, আমাদের জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জটিল ও বৃহৎ আকারের সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।যুদ্ধের সমর্থনে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে তিনি রাশিয়ার সব প্রদেশের নেতাদের অতিরিক্ত কর্তৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই সামরিক আইনেই দখলীকৃত চারটি অঞ্চলে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত করা রয়েছে। এলাকায় ভ্রমণ, জনসমাবেশ এই গুলির উপরে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    এদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর খেরসনে আবারো আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। খেরসন পুনর্দখলে ইউক্রেনের এটিই শেষ চেষ্টা বলে মনে করছেন রুশ কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কায় খেরসনের কিছু এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার  বেসামরিক লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই সামরিক আইন জারী করার পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি উল্লেখ করে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেনে ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল। দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে থাকা ছাত্র-ছাত্রী-সহ ভারতীয় নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    তবে শুধু রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে রুশ সামরিক আইন জারির প্রেক্ষিতেই, ভারতীয় দূতাবাস থেকে এই ধরনের পরামর্শ জারি করা হল, তেমনটা নয়। গত আট মাস ধরে যুদ্ধের পর, বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে বড় ধরনের পাল্টা-আক্রমণের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ইউক্রেনীয় শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ-সহ প্রধান প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে লোকালয়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন। ইউক্রেন সরকারের অভিযোগ, দেশের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, ইউক্রেনের বহু অংশেই অন্ধকার নেমে এসেছে। সামনেই শীত আসছে। তার আগে যতটা সম্ভব এলাকা দখলের চেষ্টায় রাশিয়া মরণ কামড় দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share