Tag: DPL

DPL

  • Durgapur: ডিপিএল ময়দানে সভা বাতিলে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির, তীব্র উত্তেজনা

    Durgapur: ডিপিএল ময়দানে সভা বাতিলে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগম নির্বাচনকে দ্রুত করানোর দাবি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে আগামী ৩ আগস্ট দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন ময়দানে। যে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ ওই ময়দান ডিপিএল কর্তৃপক্ষের অধীনে, ফলে ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে বহু আগে থেকে আবেদন করেও, শেষ মুহূর্তে সভা করার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আর সভার অনুমতি না মেলায় এর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে নেমেছেন বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    দুর্গাপুর (Durgapur) পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ওই ময়দানে সভা করার অনুমতি দিলেও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি পুলিশের অনুমতি মিলছে না। তাঁর আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সভা ওই ময়দানে অনুষ্ঠিত হলে জনপ্লাবনে পরিণত হবে। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলের প্রতি মানুষের এই সমর্থনকে মেনে নিতে পারছে না শাসক দল তৃণমূল। তাই অজ্ঞাত কারণে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ সভা করতে অনুমতি দিচ্ছেন না। বুধবার সকালে ময়দান পরিদর্শনের পাশাপাশি ডিপিএলের প্রশাসক ভবনে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। কেন তাঁদের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, সেই বিষয়ে কথা বলতে যান বিজেপি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি এই দিন। ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক আরও দাবি করে বলেন, ডিপিএল অনুমতি দিক বা না দিক নির্দিষ্ট দিনেই নির্দিষ্ট সময় মেনে ওই ময়দানেই সভা হবে।

    ডিপিএল (Durgapur) এর বক্তব্য

    ডিপিএল কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন যে আমরা মূলত মেলা, পূজার জন্যই অনুমতি দিয়ে থাকি ওই ময়দানের জন্য। কোনও রকম রাজনৈতিক সভাসমিতির জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আগেও রাজনৈতিক সভা হয়েছে, এখন তাহলে কীসের সমস্যা! উত্তরে আধিকারিক বলেন, আমি আমার সময়ে যা নিয়ম দেখেছি তার সাপেক্ষেই ডিপিএল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বেশী কিছু বলতে পারব না।    

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ডিপিএলের আবাসন টাকার বিনিময়ে বেআইনীভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। লক্ষণ লামা, বিশ্বজিৎ ওরফে বিশু ও বাবু, এই অভিযুক্তরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে স্বীকার করেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার। উচ্ছেদ অভিযান চলবে জানালো ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। এইদিকে টাকা দিয়েও ডিপিএল আবাসন থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে বিপাকে দুর্গাপুরের বেশ কিছু পরিবার। শাসক দলকে তুলোধোনা বিরোধীদের।

    অভিযোগ কি?

    উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেশ কিছু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের (ডিপিএল) টাউনশিপে এসেছিলেন। মূল অভিযোগ হল স্থানীয় তিন প্রভাবশালী তৃণমূলনেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু অসহায় মানুষকে নিয়ম ভেঙ্গে সরকারি আবাসনে ঢুকিয়ে দেয়। আর এরপর ঐ মানুষগুলি ডিপিএলের নোটিশ পেয়ে বুঝতে পারেন সবটাই জালিয়াতি হয়েছে। ভুক্তভুগী বাসন্তী মল্লিক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খেয়ে জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছি তৃণমূলের নেতা বিশুকে। আরেক ভুক্তভুগি পুণম বলেন, টাকা নিয়ে তৃণমূল দলের নেতারা ডিপিএল সমবায় সমিতির তালা ভেঙ্গে  সি-টাইপ ও ই-টাইপ আবাসনে থাকতে দিয়েছিল আমাদের। আমরা বর্তমানে তিনমাস ধরে এখানে বসবাস করছি। এখন ইতিমধ্যে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ আবাসন গুলি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরকে, তিন দিনের মধ্যে আবাসন ফাঁকা না করলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন জানি না কি করব আমরা এখন।  

    দুর্নীতির দায়ভার কার?

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই দায়ভার লক্ষণ লামা, জনৈক বিশু ও বাবুর। এরা তিনজনেই তৃণমূল করেন বলে পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তৃণমূল করার পরিচয় দিয়ে আবাসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। কিন্তু নেতাদের কাছে এখন ডিপিএলের (Durgapur) উচ্ছেদ নোটিস দেখাতে গেলে পরিবারের মানুষের কাছে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষণ লামাকে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ মজুমদার। কাউন্সিলার আরও বলেন তৃণমূলের মিছিল মিটিং-এ থাকেন লক্ষণ লামা। আর তাই দলের সক্রিয় কর্মীদেরকে বাঁচাতে আবাসন বিক্রির অবৈধ লেনদেনে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলার।

    ডিপিএল এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    উচ্ছেদের নোটিশের বিষয়ে ডিপিএলের পক্ষে জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, কে কাকে টাকা দিয়ে ডিপিএলের আবাসনে ঢুকেছে এটা ডিপিএলের দেখার বিষয় নয়। অবৈধ দখল কেউ করে থাকলে উচ্ছেদ করা হবেই। আবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলার নেতারা পুলিশকে নিয়ে কোয়াটার ভাড়া দিচ্ছে, পুলিশ টাকা নিচ্ছে, অবৈধ ভাবে জমি দখল করছে। ডিপিএল, ডিভিসি, এমএমসি, ডিএসপি সর্বত্র প্রকল্পে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে তৃণমূলের নেতারা। যারা টাকা দিয়েছেন তাঁদের বলবো তৃণমূলের যে নেতাদের টাকা দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করুন আমরা সঙ্গে থাকব। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) পুরভোটের আগে সরকারি সংস্থার আবাসন কেনা বেচার অবৈধ লেনদেনের ঘটনার অভিযোগে অস্বস্থি ও বিড়ম্বনা দুই বেড়েছে শাসক শিবিরের। এখন যারা টাকা দিয়েছেন তাঁরা যাবেন কোথায় সেটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share