Tag: Dr Ambedkar

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তা নিয়ে দেশজুড়ে কম বিতর্ক হয়নি। মোদি সরকারকে তীব্র নিশানা করেন ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’র কারবারিরা। তবে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) বিআই গাভাই। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটি সংবিধানের ভাবনা ছিল বাবাসাহেব বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।”

    বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল (Article 370)

    নাগপুরে কনস্টিটিউশনার প্রেম্বল পার্কের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বুঝিয়ে দেন, ৩৭০ ধারা বাবাসাহেবের মতাদর্শের পরিপন্থী। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাভাই মনে করিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে উঠেছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা। সেখানে পাঁচ বিচারপতিই কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। মামলা হয়। এ নিয়ে যথন শুনানি চলছিল, তখন আমার বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল।” তিনি বলেন, “দেশকে যদি সংঘবদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে আমাদের একটা মাত্র সংবিধান চাই।” দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গোটা দেশের জন্য একটাই সংবিধান প্রয়োজন। দেশ পরিচালিত হবে একটি মাত্র সংবিধানের ভিত্তিতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই, তবে আমাদের একটাই সংবিধান প্রয়োজন (Article 370)।”

    সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধান

    তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধানের ভাবনা ছিল বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর ধারা তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।” তিনি (CJI) বলেন, “সংসদ নয়, আমার কাছে সংবিধানই সর্বোচ্চ।” গাভাই বলেন, “সংসদ সংবিধানের মূল কাঠামো সংশোধন করতে পারে, কিন্তু তাকে বদলাতে পারে না।” তিনি বলেন, “বাবাসাহেব আম্বেডকর একাধিকবার সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই জন্য যে, ভারতীয় সংবিধানে অতিরিক্তভাবে ফেডারেলিজম রাখা হয়েছে, যা যুদ্ধ বা সংকটের সময় দেশের ঐক্যের পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু (CJI) আম্বেডকর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ কেন্দ্রভিত্তিক নয়, আবার পুরোপুরি ফেডারেলও নয়। এটি তার অ্যাডাপটাবিলিটির দিক থেকে একক এবং অনন্য (Article 370)।”

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

LinkedIn
Share