Tag: Duare Sarkar

Duare Sarkar

  • Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের উপর তৃণমূল নেতার ব্যাপক দাদাগিরির ঘটনায় বন্ধ হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই সঙ্গে চলল সরকারি কর্মচারীদের ঘিরে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার হুমকির কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হতেই হুগলিতে (Hooghly) ফের রাজনৈতিক তর্জা শুরু। বিরোধী দল বিজেপি, তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপর দিকে দলের নেতার এই আচরণে ফের অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।

    কোথায় ঘটনা ঘটল?

    ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার সিমলা ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারাণী হাইস্কুলে। দুয়ারে সরকারের কাজ হওয়ার কথা ছিল এই স্কুলে। পরিষেবা পেতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরপর তৃণমূল নেতা নিজের দাবি নিয়ে ধর্না দেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা পড়ে। শাসক দলের মিটিং কেন এই স্কুলে করতে দেওয়া হল না, এই নিয়ে দুয়ারে সরকারের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে হুমকি দেন এই তৃণমূল নেতা। আর এই তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের জন্য দুয়ারে সরকারের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছিলেন, তাঁরা অবশেষে বাড়ি ফিরে যান।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বরে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ এই দাদাগিরি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, সরকারি কাজ বন্ধ করে দলীয় মিটিংয়ের জন্য স্কুলের হল খুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এক সরকারি কর্মচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কথা বলার সময় আমার গলার আওয়াজটা একটি বেশি হয়েছিল। এটা আমার বদ অভ্যাস। কথা বলার সময় আমার হাতটা একটু নাড়ানাড়ি হয়। যদি আমি কাউকে খারাপ কথা বলে থাকি, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নেবো”।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী প্রসেনজিত বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিংয়ের জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। আমরা জানাই অফিস চলার সময় দলীয় মিটিং করা যাবে না। এরপর এই তৃণমূল নেতা গালিগালাজ শুরু করেন। শেষে আমরা পাণ্ডুয়ার বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানাই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    হুগলির জেলা বিজেপি সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে, সরকারি কর্মীদের এখানে কাজ করার কোনও নিরাপত্তা নেই। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরও বলেন, এখনও কেন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি,  শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের। ফলে শিবিরে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল এদিন ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প (Duare Sarkar) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন। একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপর সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি ?

    যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে (Duare Sarkar) রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত  বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচি। শনিবার ঘটা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহার কৃষ্ণপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসে। সেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা টেবিল পেতে বসে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। আবেদন পত্র জমা  নিচ্ছেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আচমকাই তাল কাটল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ আসার পর। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বিদ্যুত্ দপ্তরও ছিল। সেখানে টেবিল পেতে বিদ্যুত্ দপ্তরের কর্মীরা বসেছিলেন। সেই ক্যাম্প শুরু হওয়া মাত্র তৃণমূলের ওই নেতারা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ওপর সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র সহ টেবিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের চূড়ান্ত ধমক দেন তাঁরা। যতক্ষন না পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে ততক্ষণ দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা রীতিমতো হুমকি দেন। পরে, কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    কেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতা? Duare Sarkar

    বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকায় ২টি পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। ২০২২ সালে পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বঞ্চিত পরিবারের লোকজনেদের নিয়ে গিয়ে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু, পাঁচ মাস হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ হয়নি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প়ঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বার বার দরবার করেছেন। বিদ্যুত্ দপ্তরে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় সদস্যের কাছে বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়া পরিবারের লোকজন ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন নতুন করে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) শুরু হতেই তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি দলবল নিয়ে এসে তান্ডব চালান।

    কী বললেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য? Duare Sarkar

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পর তিনদিনের মধ্যে কাজ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ভালো পরিষেবা পাওয়ার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পরও আমার বুথের দুটি পরিবার এখনও বিদ্যুত্ সংযোগ পেলেন না। এতে আমাকে এলাকার কথা শুনতে হচ্ছে। তাই ঘটা করে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবির না করার কথা বলেছি।

    বিদ্যুত্ দপ্তরে আবেদনকারী কী বললেন? Duare Sarkar

    বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলেন অজিত বাগদি নামে এক বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলাম। পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, মেলেনি বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পুনরায় আবেদন করার কথা বলা হয়। কবে, বিদ্যুত্ সংযোগ পাব তা জানি না।

    কী বললেন বিদ্যুত্ দপ্তরের আধিকারিক? Duare Sarkar

    এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সোহেল হাসান বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে। আসলে বিদ্যুৎ দফতরের নতুন সংযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট টাকা জমা না দিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে। এতে দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Duare Sarkar

    কাঁকসা ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) লোক দেখানো প্রকল্প। সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ দেখাচ্ছে, এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar Camp)। তার আগেই এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক প্রেস বিবৃতিতে এই প্রকল্পের বিভিন্ন খামতি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুয়ারে সরকার নামকরণ হল প্রহসন মাত্র। সরকার দুয়ারে আসছে না, মানুষকে ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রোলভন দেখিয়ে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।” তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি থেকেই এই সুবিধা প্রদান করা যেত। তাহলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হত না। শুভেন্দু রাজ্য সরকারের দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি দুর্নীতির আখড়া বলেই সেখান থেকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    দুয়ারে সরকার শিবিরে যেসব প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়, সেই প্রকল্পগুলির নাম আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করে তার খুঁত তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ২৫ বছর বয়সী মহিলারা। তারপর বহু মহিলার বয়স ২৫ পেরিয়েছে। কিন্তু, এখনও নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারিই রয়ে গিয়েছে কেন?” এর উত্তর নিজেই দিয়ে বলেন, “কোষাগারের অর্থে টান পড়েছে, তাই এই অবস্থা।”

    এছাড়াও তিনি প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেন, “মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ডও আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষান ক্রেডিট কার্ডের নামকরণ। ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের জন্য কোনও কৃষক বা মৎসজীবী আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকই অনুমোদনের জন্য সঠিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, রাজ্য সরকার নিজের কতৃত্ব বজায় রাখার জন্য ক্ষমতার বহির্ভুতভাবে হস্তক্ষেপ করছে। ফলে, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঋণের জন্য নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ও ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের সংখ্যায় বিপুল ফারাক ধরা পড়েছে। আসলে রাজ্য সরকার প্রেরিত ঋণের আবেদনের আলাদা করে কোনও গুরুত্ব নেই।” 

    তিনি আরও দাবি করেন, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড প্রদানের রাজ্য সরকারের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার মমতা প্রশাসনের সুপরিকল্পিত চাল। এছাড়া, এগ্রি ইনফ্রা ফান্ড স্কিম, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ক্রেডিট লিঙ্কেজ, বিদ্যুতের নয়া সংযোজক ও বিল পরিশোধের আবেদনেও বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে নন্দিগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেউলিয়া, ইতিমধ্যে সবাই জানেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনে হয়েছিল দুয়ারে সরকারের নামে সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজ্য সরকার এই সমস্ত কর্মসূচিগুলো করছে। পরে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভোটও দিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজনা যখন বাজতে চলেছে আবার পশ্চিমবঙ্গে একটি ধাপ্পাবাজি হতে চলেছে। চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, যে যে স্কিমগুলি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা দুটো বাদ দিয়ে সবকটি স্কিম কেন্দ্রীয় সরকারের। নাম বদল করে দেখানো হবে। যাতে আবার ‘তোলামূলের’ চোররা পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স রিনিউ করতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) সংক্রান্ত যা যা খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে চলেছে নবান্ন। এই মর্মে জেলাস্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের তরফে।  

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাকে মাথায় রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর তাই, এবারের দুয়ার সরকার শিবিরকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক শিবির। সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে দুয়ারে সরকার সংক্রান্ত একটি আন্তঃবিভাগীয় নির্দেশিকা। প্রশাসনের কোন পর্যায়ে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে— দুয়ারে সরকার শিবির সংক্রান্ত বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশত হওয়া যাবতীয় খবর ‘ট্র্যাক’ করতে হবে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে। 

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিডিয়া কভারেজের ওপর নজরদারি করতে হবে। কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, তা খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য জেলা স্তরে জেলাশাসক এবং রাজ্যস্তরে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কাছে যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া রয়েছে যে, জেলাস্তরে কার হাতে থাকবে গোটা নিয়ন্ত্রণ। ঠিক একইভাবে, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও একজন শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন, যিনি জেলাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    প্রশাসনিক এই নির্দেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে স্বভাবতই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র জল্পনা। বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যবাসীর চোখে সরকারের ভাবমূর্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা শাসক শিবির থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা সকলেই টের পেয়েছেন। এখন শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই, সংবাদমাধ্যমের ওপর নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্য হল- যাতে কোথাও কোনও নেতিবাচক খবর ছাপা বা প্রকাশ পাচ্ছে, তা নজরে রাখা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল পরিচালিত ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সেই রাজ্যেরই ক্ষমতাসীন সরকার (TMC Government)। আবাক মনে হলেও, এটা বাস্তব। এমনই নিদর্শন দেখা গিয়েছে নবান্ন (Nabanna) থেকে প্রকাশিত ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) বিজ্ঞপ্তিতে। 

    শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Polls)। তাকে মাথায় রেখেই ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। নতুন উদ্যমে পুনরায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্যে দুয়ারে সরকার। বলা বাহুল্য, এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর সেই নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। তাতে, কী কী করতে হবে, কী কী করণীয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই নির্দেশিকার একটি অংশ নিয়েই যাবতীয় জল্পনা শুরু হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হল— রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা যে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট-রাজ ও কাটমানি তোলায় যে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। সেই নিয়ে একটি সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    নির্দেশিকার একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে যদি কোনও (শাসক দলের) টাউট পরিষেবার নাম করে টাকা দাবি (তোলা) করে, তাহলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সর্বস্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত করবেন যাতে শিবিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকে। পাশাপাশি, নির্দেশিকায় এ-ও বলা হয়েছে, যে কোনওমতে গুচ্ছাকারে জমা করা আবেদনপত্র (Bulk Application) গ্রহণ করা হবে না।

    বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি যে দলের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে, তা বুঝে গিয়েছেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নির্দেশিকা থেকেই তা পরিষ্কার। সাম্প্রতিককালে, এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জেলে বন্দি। নিত্যদিন এক-একটি নতুন দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হচ্ছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে, নিজেদের মুখ রক্ষা করার একটি শেষ মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share