Tag: Dubrajpur

Dubrajpur

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। লোকসভা ভোটের আগে কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Birbhum)

    এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত কেষ্ট গড় বীরভূম (Birbhum)। কাজল শেখ দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুব্রত অনুগামীদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী দলীয় কার্যালয় থেকে অনুব্রতের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশে কেষ্টকে ফের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাজল শেখকে জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে এদিন দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দলে কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলাম। এলাকায় উন্নয়ন করবে বিজেপি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আর এখন তো শাসক দলে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। টাকা ছাড়া নেতারা কোনও কাজ করে না। দলীয় কর্মীরা সমস্যায় পড়লে পাশে থাকে না। এমনকী মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করে না। তৃণমূল থেকে এই কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর বিধায়ক হিসেবে এলাকায় যে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাদের দলের ওপর আস্থা রেখেছে। আগামীদিনে আরও বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছে।  

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বরপক্ষের বাড়ির লোকজন। কিন্ত, কনেপক্ষ পাঁচ জন বেশি নিয়ে গিয়েছিল। এটাই অপরাধ। আর তাই প্যান্ডেলে বসে ভুরিভোজ খাওয়ার বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। বরপক্ষের হামলায় কনেপক্ষের বাড়ির বেশ কয়েকজন জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের শিমুলডিহি গ্রামে। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিন বর সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের মুসলিম মতে বিয়ে হয়। রবিবার বউভাত খেতে শিমুলডিহি থেকে ৩০ জন কনেযাত্রী যান গুনসিমা গ্রামে। কিন্তু, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে ৫ জন বেশি অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বচসা শুরু হয়ে যায়। অতিরিক্ত ৫ জনের খাওয়ার খরচ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরও বরপক্ষ তা মানতে চাননি। বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এরপরই বরপক্ষের বাড়ির লোকজন কনেপক্ষের বাড়ির লোকজনদের বেধড়ক পেটায়। নিজের বাড়ির লোকজনদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন নতুন কনেও। সব মিলিয়ে বউভাত অনুষ্ঠান বানচাল হয়ে যায়। যে সব অতিথিরা ভোজ খেতে এসেছিলেন, তাঁরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছুটে পালান। অনুষ্ঠান বাড়িতে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। গোটা বউভাত বাড়ি কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয়। কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বউভাত অনুষ্ঠান।

    কী বললেন কনেপক্ষের পরিবারের লোকজন?

    কনেপক্ষের পরিবারের সদস্য শেখ জলিল বলেন, ৫০ জন বরযাত্রী আসবে বলে ওরা ৮৫ জন এসেছিলেন। আমরা প্রত্যেককে সম্মান করেছি। আমরা ৫০ জন কনেযাত্রী যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ওরা তা মানতে রাজি হয়নি। ওরা ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। আমরা ৩০ জন নিয়ে যাব বলেছিলাম। অতিরিক্ত ৫ জনের যা খাওয়া খরচ হবে, তা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ৩০ জন কনেযাত্রী দেখেই আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের বিদ্যালয়ের রান্না ঘরের ছাদে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার। খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। এদিনই দুবরাজপুরে আসার কথা ফিরহাদ হাকিমের। ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে উদ্ধার হল বোমা (Birbhum)?

    সোমবার দুবরাজপুরের (Birbhum) লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমপুর গ্রামে প্রাইমারি স্কুল থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বোমা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, মাত্র আর ৫ দিন বাকি! ফলে এই বোমা কি নির্বাচনে ভোট লুট করার জন্য মজুত রাখা হয়েছিল? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। খবর পেয়েই ছুটে এসেছে এলাকার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই স্কুলেই মিড ডে মিলের খাবার রান্না হত। এই স্কুলের ছাদ থেকেই প্লাস্টিকে মোড়ানো তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তবে কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    আর কোথায় উদ্ধার বোমা?

    এছাড়াও দুবরাজপুরের (Birbhum) যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের শেখ আলমের বাড়ি থেকে ১৪ থেকে ১৫ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়ও তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে বোদাই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বস্তা ভর্তি ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে আমডাঙা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উদ্ধার হওয়া বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকাগুলিতে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    স্থানীয় গ্রমাবসী (Birbhum) মীর নাজিরুদ্দিন বলেন, এই স্কুলেই বুথ রয়েছে! সমানে পঞ্চায়েত ভোট। এখানে বোমা উদ্ধারে আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভোটদানের দিন কী ঘটবে, তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা ব্লক কনভেনর (Birbhum) রফিকুল খান বলেন, উদ্ধার হওয়া বোমার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন আছে। তারাই তদন্ত করবে। তিনি আরও বলেন, সত্যি কি বোমা? নাকি সুতলি দিয়ে বাঁধা রয়েছে কোনও বস্তু! তবে এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum Blast:  বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    Birbhum Blast: বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দুবরাজপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে  ভেঙে পরে কংক্রিটের সিঁড়িঘর। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেশীর এক শিশুও বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) শব্দে অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন পলাতক।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তোলপাড় রাজ্য। মজুত বারুদ নিয়ে ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। নবান্ন থেকে ৬ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে মজুত থাকা বোমায় বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, শেখ শফিক ওরফে মোরি শেখ নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে, সমস্ত বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। ভেঙে পড়ে কংক্রিটের সিঁড়ির ঘর। অন্যান্য ঘরের ইট ভেঙে পড়ে, বড় ফাটল দেখা দেয়।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য,” বিস্ফোরণের বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিভিন্ন জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে খবরে দেখছি। আমাদের গ্রামে এভাবে বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) হবে তা ভাবতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, শফিকের বাড়ি একাংশ বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়াজে পাশের বাড়ির এক শিশু জ্ঞান হারায়। তাকে স্থানীয় সেকেন্দ্রাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাড়ির লোকজন”। খবর পেয়েই গ্রামে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা দেখতে বোলপুরে সিআইডি, বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। শেখ বিল মহম্মদ ও তাঞ্জিলা বিবি নামে দুই প্রতিবেশী বলেন, “আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।  আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি চারিদিক ধোঁয়াতে ভরে গিয়েছে। ভয়ে এখনও আমাদের হাত-কাঁপছে। বিস্ফোরণ হল বলেই জানতে পারলাম বোমা ছিল।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “রাজ্য জুড়েই দেখছেন বারুদের স্তুপে বসে আছি আমরা। তৃণমূল রাজ্যটাকেই বারুদের স্তুপ বানিয়ে ফেলেছে। ওদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে বোমা। পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” যদিও, সমস্ত বিষয় না জেনে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে এসে মা মনসার এরকম রূপ দেখবেন তা আশা করেননি এলাকাবাসী। অন্যদিনের মতো রবিবার ভোরবেলায় মন্দিরে এসে প্রণাম করে যান অনেকে। কিন্তু, স্থানীয় এক বাসিন্দা হাতজোড় করে মায়ের মুখের দিকে তাকাতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, মা মনসার চোখ এভাবে বন্ধ থাকার দৃশ্য তিনি কখনও দেখেননি। এদিন এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর (Dubrajpur) পুরসভার ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে। খবর চাউড় হতেই আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো মানুষ মন্দিরে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাজারে আসা ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। অনেকে মায়ের চোখ বন্ধ থাকার ছবি মোবাইলবন্দি করেন।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    মনসা হিন্দুধর্মের লৌকিক সর্পদেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মা মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুবরাজপুরে (Dubrajpur) এই মন্দিরেও জাঁকজমকভাবে পুজো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর দে, মা মনসা খুব জাগ্রত। তবে, লৌকিক না অলৌকিক বলতে পারব না। মায়ের এই রূপ আগে কখনও দেখিনি। তাই, বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগের। স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা বাগদি বলেন, মন্দিরে এসে মাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় দেখলাম। বহু লোক মন্দিরে ভিড় করেন। কেউ মায়ের এই রূপ দেখেননি। পরে, মন্দিরের সেবাইত এসে মুখে জল দিতেই মায়ের আগের মতো চোখ খুলে যায়। তবে, যুক্তিবাদীদের অনেকেই বলেন, বিষয়টি অলৌকিক হতেই পারে। তবে, কেউ মা মনসার চোখে রং লাগিয়ে দিয়েছিল। জল দেওয়ার পর ফের চোখ খুলে যায়।

    কী বললেন মন্দিরের সেবাইত?

    মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই বলেন, মায়ের চোখ বন্ধ রয়েছে শুনেই আমি মন্দিরে ছুটে আসি। আমি নিজে সেই দৃশ্য দেখি। এরপর মায়ের মুখ জল দিতেই চোখ খুলে যায়। রাতে কী হয়েছে আমি তা জানি না। এরকম কোনওদিন দেখেনি। কেন এরকম হল তা বলতে পারব না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগোয়া গ্রাম। ফুল মহম্মদ নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মীসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান তা প্রতিহত করেন। ইতিমধ্যেই থানায় দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর শনিবার গ্রাম পুরুষশূন্য। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এমনিতেই বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আসমানা খাতুনের ভাসুর হচ্ছেন এলাক খান। তিনি দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস নেই। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূল সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরইমধ্যেই বিজেপি (BJP) কর্মী ফুল মহম্মদের বাড়়িতে পটকা ফাটাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এলাক খানের অনুগামী মহিবুল দলবল নিয়ে এসে বাড়িতে বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলে ফুল মহম্মদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান ছুটে আসেন। তাঁরা তৃণমূলী হামলা প্রতিহত করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বারিক খানের নেতৃত্বে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা এলাক খানের গাড়ি ভাঙচুর করে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বারিক খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন মজবুত হচ্ছে। তৃণমূল বুঝতে পারছে বিজেপি-র সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার মতো ক্ষমতা নেই। তাই, নানা অছিলায় সন্ত্রাস করে ওরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ফুল মহম্মদের বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। আর তার জেরেই  ওরা হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,  আসলে  বিজেপি-র (BJP) কোনও সংগঠন নেই। এখন বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে ওরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কাঁচা বাদাম কাকুর কথা মনে আছে। ভুবন বাদ্যকর। বীরভূমের দুবরাজপুরের কুড়ালজুড়ি গ্রামে তাঁর বাড়ি। কাঁচা বাদাম গান (Kancha Badam Song) গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি তিনি জগত্ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর গান কচিকাঁচা থেকে সেলেব্রিটি সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও তাঁর গান সমানতালে সমাদৃত হয়েছে। সাউথ থেকে টলিউড কিংবা বলিউডের স্টারদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে অনেকেই তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এক চিলতে ঘরে থাকা বাদাম ফেরি করা ভুবনবাবু গ্রামের বাড়িতে হাঁকিয়েছেন আস্ত একটি অট্টালিকা। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সেখানে সুখে দিন কাটানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু, কথায় বলে সবার নাকি সুখ সই না। বাদামকাকুর সুখও বেশিদিন সইনি। গ্রামের অট্টালিকা ছেড়ে তিনি দুবরাজপুরে ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন।

    নিজের বাড়ি ছেড়ে বাদাম কাকু ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন কেন? Kancha Badam Song

    এমনিতে তাঁর অজান্তেই বাদাম গানের (Kancha Badam Song) কপিরাইট অন্যজনের রয়েছে। তাই, কাঁচা বাদাম নিয়ে গান (Kancha Badam Song) গাইলে কপিরাইটের বেড়াজালে তিনি আটকে পড়ছেন। আর এই আইনি জটিলতায় তিনি বাদাম নিয়ে কোনও গানও লিখতে পারছেন না। ফলে, তাঁর সৃষ্টি কাঁচা বাদাম গানের (Kancha Badam Song) রয়্যালটি তিনি পাচ্ছেন না। এক সময় গ্রামের এক চিলতে ঘর তাঁর ঠিকানা ছিল। তাঁর দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না। সেখান থেকে তাঁর অট্টালিকা তৈরি করা,  গ্রামের সকলের নজর কেড়েছিল। তাই, গ্রামের ছোট-বড় কোনও অনুষ্ঠান হলেই সেলেব্রিটি বাদাম কাকুর কাছে মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হত। সেই টাকা দিতে না পারলে জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামের একাংশের জুলুমবাজিতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শান্তিতে থাকার জন্যই নিজের অট্টালিকায় তালা ঝুলিয়ে দুবরাজপুর গার্লস স্কুলের কাছে একটি দোতলা বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রোজগার নেই বললেই চলে। স্ত্রীর সঙ্গে রান্না করতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। ভুবনবাবু বলেন, আগের মতো আর ফেরি করতে পারি না। ছেলে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর রোজগারের টাকায় সংসার চলছে আমাদের। নিজের বাড়িতে সুখে থাকব ভেবেছিলাম। সেটাও কপালে সইল না। আর ঘর ভাড়াও অনেক টাকা। তাই, কতদিন ভাড়া বাড়িতে থাকতে পারব না নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তাঁর কোনও এক নতুন গান নেটিজেনদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে। সেই  অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাদাম কাকু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share