Tag: durga

durga

  • Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। এমন সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। যেসব কমিটি পুজো করছে, নমাজ আদায়ের সময় তাদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    চলছে প্রতিমা ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ভাঙচুর। কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে।

    জিজিয়া কর

    বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে ৯ অক্টোবর থেকে পুজো কমিটিগুলির প্রত্যেক সদস্যকে ৫ লাখ টাকা করে জিজিয়া কর (অ-মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য যে কর আদায় করে) দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জিজিয়া করের ভয়ে অনেক উদ্যোক্তাই পুজো বন্ধ করে দিয়েছেন (Bangladesh)। শুক্রবার ভোরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    দুর্গাপুজোর আগে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসায়, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা  (Bangladeshi Hindus) যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় যদি কোনও (অনভিপ্রেত) ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা ভালো কথা নয়। দুর্গাপুজো সবসময়েই শুভ বার্তা বয়ে আনে এবং এই উৎসব উপলক্ষে আমি সকলকে আমার শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’ রণধীর আরও বলেন, রণধীর বলেন, ‘‘ভারত সরকার আশা করছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমনকী, এই বিষয়টি সর্বোচ্চ স্তরেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।’’

    ইউনূস প্রশাসনের আশ্বাসই সার

    বাংলাদেশের আইজিপি মহম্মদ ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা। তাঁদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে (Bangladesh)। প্রয়োজনে সে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। তার পরেও অবশ্য দিব্যি চলছে পুজো উদ্যোক্তাদের হুমকি দেওয়ার কাজ, চলছে প্রতিমা (Durga Puja) ভাঙচুরের কাজ। আদায় করা হচ্ছে জিজিয়া করও (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chaitra Navratri: শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতর তাৎপর্য

    Chaitra Navratri: শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতর তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরে চারবার নবরাত্রি আসে। এর মধ্যে দু’টি গুপ্ত। সে দু’টি পুজোর অধিকার কেবল সাধু-সন্ন্যাসীদের। বাকি দু’টি নবরাত্রি প্রকট। পুজো করতে পারেন গৃহীরাও। এই দুই নবরাত্রি হল শারদীয়া নবরাত্রি ও চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri)। শারদীয়া নবরাত্রিতে হয় দুর্গাপুজো। এর আর এক নাম অকাল বোধন। আর চৈত্র নবরাত্রিতে হয় বাসন্তী পুজো। বাসন্তীপুজোর নিয়মকানুন সব দুর্গাপুজোর মতো হলেও, এই পুজোয় দেবীর বোধন হয় না। শারদীয়া নবরাত্রির গুরুত্ব চৈত্র নবরাত্রির চেয়ে বেশি। ওই সময় দেবীর পুজো করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। রাবণ বধের উদ্দেশ্যে বিষ্ণুর এই অবতার দেবীর ঘুম ভাঙিয়ে ঘটা করে পুজো করেছিলেন মহাশক্তির। আর বসন্তকালে রাম বধের উদ্দেশ্যে দুর্গাপুজো করেছিলেন রাবণ।

    নবরাত্রি উৎসবে কাদের পুজো হয় জানেন? (Chaitra Navratri)

    এসব পুরাণগাথা বাদ দিয়ে ফিরে আসা যাক কাজের কথায়। নবরাত্রি ন’টি দিনের দুর্গাপুজো। পুজো শুরু (Chaitra Navratri) হয় প্রতিপদে, চলে নবমী পর্যন্ত। এই ন’দিনে দেবীর ন’টি ভিন্ন ভিন্ন রূপের পুজো হয়। মহাদেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী। চৈত্রের এই নবরাত্রির নবম দিনে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ভগবান রাম। সেই থেকে এই দিনটি রামনবমী হিসেবে খ্যাত। চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমী তিথিটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার।

    এবার কী কী যোগ রয়েছে জানেন?

    আজ, মঙ্গলবারই শুরু হয়েছে চলতি বছরের নবরাত্রি উৎসব (Chaitra Navratri)। হিন্দুদের বিশ্বাস, আজকের এই দিনেই শুরু হয়েছিল সৃষ্টি। পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল বলেন, “এবার চৈত্র নবরাত্রিতে তিরিশ বছর পর তৈরি হতে চলেছে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ, অমৃতসিদ্ধি যোগ ও বৈধৃতি যোগ।” দেশজুড়ে এদিন থেকেই শুরু হয়েছে নবরাত্রি উৎসব। হিন্দু-বিশ্বাস অনুযায়ী, চৈত্র শুক্লপক্ষের এই ন’টি রাত মনকে শুদ্ধ করার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মন শুদ্ধ না হলে জ্ঞানলাভ হয় না। আর জ্ঞানলাভ না হলে ইষ্টদেব অধরা থাকেন।

    গীতায় স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “ন হি জ্ঞানেন সদৃশ পবিত্রমিহ বিদ্যতে।” জ্ঞানের সদৃশ পবিত্র বস্তু আর ইহ জগতে নেই। নবরাত্রিতে পুজিতা হন দেবী মহাসরস্বতীও। জ্ঞানের এই দেবীর পুজোর জন্য বিশেষ তিনটি তিথিও রয়েছে। এই তিন তিথি হল অষ্টমী, নবমী ও দশমী।

    নবরাত্রিতে মহাসরস্বতীর পাশাপাশি পুজো হয় মহালক্ষ্মীরও। পুজো হয় চামুণ্ডারও। যিনি আদতে মহাকালীরই একটি রূপ। আসলে আদ্যাশক্তি মহামায়ার অনন্ত রূপের মধ্যে নবরাত্রি উৎসবে পুজো হয় মূলত তিন রূপের। দেবীর এই তিন রূপ হল মহালক্ষ্মী, মহাসরস্বতী এবং মহাকালী। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, চৈত্র নবরাত্রিতে (Chaitra Navratri) নিয়মনিষ্ঠা মেনে যাঁরা দেবীর ন’টি রূপের পুজো করেন, তাঁরা যা চান, দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন।

    শারদীয়া নবরাত্রিই হোক কিংবা চৈত্র নবরাত্রি এই দুই পর্বেই আদ্যাশক্তির বিভিন্ন রূপের পুজো হয়। প্রতিপদে মহাশক্তি পুজিত হন শৈলপুত্রী রূপে। দেবী ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের মূর্ত প্রতীক। দ্বিতীয়ায় দেবী পুজো পান ব্রহ্মচারিণী রূপে। পরমানন্দময় দেবী ভক্তদের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন। তিনি মোক্ষদাত্রীও। তৃতীয়ায় আদ্যাশক্তিকে পুজো করা হয় চন্দ্রঘণ্টা রূপে। অপার সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী ভক্তদের শান্তি-সমৃদ্ধি দেন। দেবী মহাশক্তির অধিকারী। তিনি বীরত্বের প্রতীক (Chaitra Navratri)। চতুর্থীতে পুজো হয় দেবী কুষ্মাণ্ডার। তিনি নিখিল এই বিশ্বের স্রষ্টা। পৃথ্বীকে শস্যশ্যামলা করে তুলেছিলেন তিনিই। নবরাত্রির পঞ্চম দিনে পুজো হয় স্কন্দমাতার। ভগবান কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তিনি কার্তিকের মা। বীরবিক্রমের কারণে এই কার্তিককেই দেব সেনাপতি পদে বরণ করে নিয়েছিলেন দেবতারা।

    ষষ্ঠীতে পুজো হয় দেবী কাত্যায়নীর। দেবী অসীম সাহসের অধিকারী। সপ্তমীতে পুজো হয় কালরাত্রির। তিনি নির্ভীক। দেবী কালরাত্রি দেবী দুর্গার সব চেয়ে উগ্র রূপ। অষ্টমীতে পুজো হয় মহাগৌরীর। এদিনই হয় অন্নপূর্ণা পুজোও। নবমীতে পুজো হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রীর। এদিনই পুজো হয় ভগবান রামেরও। দশমীতে হয় নবরাত্রি ব্রতের পারণ।

    এদিকে, নবরাত্রি উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। জম্মুতে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে ভক্তের ঢল। দিল্লিতে ঝান্ডাবালান মন্দিরে হয়েছে বিশেষ আরতি। রাজস্থানের জয়পুরের বৈষ্ণোমাতার মন্দিরেও নবরাত্রি উপলক্ষে হয়েছে বিশেষ পুজো। বারাণসীর অন্নপূর্ণা মন্দিরেও ব্যাপক ভিড়। অযোধ্যার বড়ি দেবকালী মাতার মন্দিরেও হয়েছে বিশেষ পুজো। প্রয়াগরাজের এলোপি মন্দিরেও হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমস্থলে পুণ্য কামনায় ডুব দিয়েছেন বহু ভক্ত (Chaitra Navratri)।

LinkedIn
Share