Tag: Durga Puja

Durga Puja

  • Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর অপেক্ষার পর মহালয়া শুরু হলেই চারদিকে পুজো পুজো (Durga Puja 2025) গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আনন্দে মেতে ওঠে মন। আর দশমী আসা মানেই মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশমী মানেই বিজয়া। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠানোর শুরু হয় তোড়জোড়। আর এই সূত্র ধরেই সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন বাড়ির বধূরা। বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।

    সিঁদুর খেলার প্রচলন কবে? (Durga Puja 2025)

    সিঁদুর খেলার (Sindoor Khela) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর (Durga Puja 2025) খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে সিঁদুর খেলা

    পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। পুরাণ মতে সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন সকলে

    বারোয়ারি মণ্ডপ (Durga Puja 2025) হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা, প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয়, তাঁদেরকেও দেখা যায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মণ্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া (Sindoor Khela) না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

  • Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে (Vijaya Dashami) বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Dusshera)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন (Akal Bodhan) করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ (Lord Ram Kills Ravana) করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা (Durga Puja 2025)। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার (Dusshera) দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা (Dusshera)। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার (Dusshera) মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)। দশমী মানেই দুর্গাপুজোর শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রাত পর্যন্ত মণ্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি-সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌। অপেক্ষা আসছে বছরের। বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে, যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে বিজয়া দশমী (Durga Puja 2025) বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি উল্লেখযোগ্য। রানি রাসমণির জামাতা মথুরবাবু এক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025) বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবী মা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন, এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    মহিষাসুর বধ, দেবকূল মাতে উৎসবে (Bijoya Dashmi)

    দশমী (Durga Puja 2025) ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভাপুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনি আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতাকূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি (Vijaya Dashami)

    অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী-নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ। ৫১টি অংশে সতীর মৃতদেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য শিব বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবতকন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2025) দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই এই দিনটি পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এই তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয়প্রাপ্ত করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি (Vijaya Dashami) দেখা যায়।

  • Durga Puja 2025: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    Durga Puja 2025: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমীর (Maha Navami) সন্ধ্যা মানেই মন খারাপের দিন। না-চাইতেও চলেই আসে নবমী নিশি! আর রাত পোহালেই বেজে উঠবে মায়ের বিদায়ের বিষাদ-সুর। আবার সেই বছরভর অপেক্ষার পালা। কারণ এর পরেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়। নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে (Durga Puja 2025) দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    মহানবমীতে মহাপুজো সমাপনের দিন

    অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর (Maha Navami) দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের (Durga Puja 2025) উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা শত্রু বলি

    নবমীতে (Maha Navami) আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর (Durga Puja 2025) পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।

  • Durga Puja 2025: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই-ই! তবে খেয়াল রাখুন শরীরটারও

    Durga Puja 2025: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই-ই! তবে খেয়াল রাখুন শরীরটারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটপুজো ছাড়া যে কোনও পুজো (Durga Puja 2025) অসম্পূর্ণ। আর নবমী (Maha Navami) মানেই বাঙালি ঘরে মটন মাস্ট। কচি পাঁঠার ঝোল বা কষা খাসির মাংস-দুটোই সমান জনপ্রিয়। তবে যে যে বাড়িতে পুজো হয় বা যাঁরা নবরাত্রি পালন করেন তাঁরা নবমীর (Navami) মটনটা অন্যদিন চেখে নেন। তবে একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নবমীর দুপুরে (Navami Lunch Menu) জমিয়ে ভুরিভোজ করার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে একটু সচেতন হলেই হল।

    কারা সতর্ক হবেন

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন, যা হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক, হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মটনের অতিরিক্ত চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।

    খেতে হলে অল্প খান

    বছরের বিশেষ দিনে (Durga Puja 2025) অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর (Maha Navami) দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি।

  • Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2025)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2025) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2025) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

  • Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাষ্টমীর (Durga Puja 2025) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো (Sandhi Puja)। অষ্টমী থেকে নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কোনও এক উদ্যোক্তা ‘জয় মা’ ধ্বনি তোলেন। বাড়ি থেকে পাড়ার পুজো সবেতেই কমবেশি এই রীতি দেখা যায়।

    কেন হয় সন্ধিপুজো? (Durga Puja 2025)

    ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ সহযোগে সম্পন্ন হয় সন্ধি পুজো। প্রথা অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় (Sandhi Puja) দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, যখন মহিষাসুরের (Durga Puja 2025) সঙ্গে দেবী যুদ্ধ করছিলেন, সেই সময় চণ্ড ও মুণ্ড দেবীকে আক্রমণ করেছিল। চণ্ড ও মুণ্ড ছিল মহিষাসুরের দুই সেনাপতি। তাদের দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর নাম হয় চামুণ্ডা। ভক্তদের বিশ্বাস, চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, সেই ক্ষণেই সন্ধি পুজোর আয়োজন করা হয়।

    দেবী কালিকার জন্ম আখ্যান

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক (Durga Puja 2025) মতে, এই সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল মাতা অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে। পরাক্রমশালী অসুর রক্তবীজের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে নতুন অসুরের জন্ম হত। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন বলে পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ-মমতার অবসান ঘটে বলে মনে করা হয়। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন দেবীর দৃষ্টির সামনে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সন্ধিপুজোয় (Sandhi Puja) কী ফল মেলে জানেন?

    প্রথা অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় পুজোর শেষ ধাপ (Durga Puja 2025) অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন হয়। সাধারণত ছাগলের পাশাপাশি কোনও কোনও জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদিও দেবীকে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে, সংযমী হয়ে ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিপুজো করলে যমের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় দেবীর কৃপায় যমের স্পর্শও রোখা যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারা বছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।

  • Durga Puja 2025: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    Durga Puja 2025: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) অষ্টমী মানেই সকালে স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে অঞ্জলি দেওয়া। তবে এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল কুমারী পুজো (Kumari Puja)। কোনও কুমারীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় এদিন। হিন্দুধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, জীব সেবাই শিব সেবা। অর্থাৎ জীবের মধ্যে দিয়েই শিব বা দেবতাকে খোঁজা। শাস্ত্রজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই দুর্গাপুজোয় হয় কুমারী পুজো।

    কেন করা হয় কুমারী পুজো?

    শাস্ত্রানুযায়ী, কুমারী পুজোর (Durga Puja 2025) উৎপত্তি হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্যে দিয়ে। গল্পে বলা আছে, কোলাসুর নামে এক অসুর স্বর্গ ও মর্ত্যের অধিকার নেওয়ার ফলে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী পুর্নজন্ম নিয়ে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এর ফলে মর্ত্যে কুমারী পুজোর (Kumari Puja) প্রচলন শুরু হয়। বর্ণনা অনুযায়ী, কুমারী পুজোতে কোনও জাতি, ধর্মভেদ নেই। তবে সাধারণত ব্রাক্ষণ কন্যাকেই পুজো করা হয়। এছাড়াও সেকালের ঋষি-মুনিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন তাঁরা। কারণ, তাঁরা মনে করতেন, মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ, তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। আবার শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদেরই কুমারী রূপে পুজো (Kumari Puja) করা হয়। নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে কুমারীদের সাজিয়ে তোলা হয়। বয়সভেদে কুমারীর নাম রয়েছে ভিন্ন।

    কুমারীদের কী নামে ডাকা হয়?

    এক বছরের কুমারীর নাম সন্ধ্যা। দু’বছরের কুমারী সরস্বতী নামে খ্যাতা। তিন বছরের কন্যাকে বলা হয় ত্রিধামূর্তি। চার বছরের কন্যা দেবী কালিকা নামে পরিচিতা। পাঁচ বছরের কন্যা সুভগা নামে খ্যাতা। ছয় বছরের কুমারীকে বলা হয় উমা। কুমারীর বয়স সাত হলে তিনি মালিনী। বয়স আট হলে তিনি কুঞ্জিকা নামে পরিচিতা হবেন। নয় বছরের কুমারীকে বলা হয় কালসন্দর্ভা। কুমারীর বয়স দশ হলে তিনি হবেন অপরাজিতা। কুমারীর (Kumari Puja) বয়স এগারো হলে তিনি পরিচিত হবেন রুদ্রাণী রূপে। বারো বছরের কুমারী ভৈরবী হিসেবে পরিচিত। কুমারীর বয়স তেরো হলে তিনি হবেন মহালক্ষ্মী। চোদ্দ বছরের কুমারীকে বলা হয় পঠিনায়িকা। কুমারীর বয়স পনেরো হলে তিনি হবেন ক্ষেত্রজ্ঞা। আর ষোল কুমারী যদি ষোলো বছর বয়স্কা হন, তাহলে তিনি অম্বিকা নামে পরিচিত হবেন।

    বেলুড় মঠে কবে শুরু হয় কুমারী পুজো?

    ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পুজো (Kumari Puja) শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই প্রতি বছর বেলুড়ে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে। তবে, কুমারী পুজো সর্বত্র হয় না। যাঁদের পারিবারিক রীতি রয়েছে, তাঁদের বাড়িতে হয়। আর ইদানিং হচ্ছে সর্বজনীন পুজোগুলিতেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কুমারী পুজো হয় অষ্টমীতে। সপ্তমীতে যেহেতু দেবী আসেন গৃহস্থের বাড়িতে, তাই এদিন কুমারী পুজো হয় না। কুমারী পুজো হয় অষ্টমীর দিন। সন্ধিপুজোর আগে। তবে কোনও কোনও পরিবার কুমারী পুজো হয় নবমীতেও (Durga Puja 2025)। বৃহদ্ধর্মপুরাণ মতে, স্বয়ং মহামায়া কুমারী রূপে দেবতাদের সামনে আবির্ভূতা হয়ে বেলগাছে দেবীর বোধন করতে নির্দেশ দেন। সেই থেকে কুমারী পুজো হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর অঙ্গ।

  • Durga Puja 2025: জীবনে আসে সাফল্য! দুর্গাপুজোয় মহাষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ কেন জানেন?

    Durga Puja 2025: জীবনে আসে সাফল্য! দুর্গাপুজোয় মহাষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করাই অঞ্জলিদান। পুজোর (Durga Puja 2025) চারদিন পুষ্পাঞ্জলি দিলেও মহাষ্টমী মানেই সকালবেলা স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরে মণ্ডপে গিয়ে দু’হাত ভরে ফুল নিয়ে মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আনন্দই আলাদা। যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, তাঁরা প্রতিদিন পুজো পর্যন্ত উপবাস করে অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নেন। পুজোর প্রধান অঙ্গই হল অঞ্জলি (Mahashtami Pushpanjali)। তাই, অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে।

    কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? (Durga Puja 2025)

    পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা নবমী তিথিতে দেবতাদের তেজ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। সপ্তমী তিথিতে সেই পুঞ্জিভূত তেজ রাশি অবয়ব ধারণ করে। তাই সপ্তমী থেকে দেবীর মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমী তিথিতে দেবতারা দুর্গাকে নানান অস্ত্র, রত্নহার, পদ্মের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। যেহেতু মহাষ্টমীতে দেবী দুর্গাকে দেবতারা সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তাই ওই দিন আমরাও মা দুর্গাকে সাজিয়ে দেবার চেষ্টা করি। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস দিয়ে সেদিন পুজো করা হয়। আমরা নিজেরাও সেরা বস্ত্রটি পরে মায়ের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিই। তাই মহাষ্টমীর অঞ্জলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    এবার কখন অঞ্জলি?

    এবছর মহাষ্টমী (Durga Puja 2025) তিথি পড়েছে মঙ্গলবার। সেদিন ১৩ আশ্বিন ইংরেজি ৩০ সেপ্টেম্বর। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অষ্টমী থাকবে। উদয়া তিথি মেনে ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী পালিত হবে। এই সময়কালের মধ্যেই দুর্গার মহাস্নান, ষোড়শোপচার পুজো সম্পন্ন করা হবে। সকাল ৭টার মধ্যে মহাষ্টমী বিহিত পুজো। ৮টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Mahashtami Pushpanjali)।

    অঞ্জলির ফল

    কথিত আছে, মহাষ্টমীতে দেবীর পুজো (Durga Puja 2025) করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও আর্থিক দিক থেকে অবনতি ঘটে না। সব সময় সাফল্য আসে। জীবনে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Mahashtami Pushpanjali) দেওয়ার জন্য ভিড়ের ছবি চোখে পড়ে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষাসুরমর্দিনী (Mahisasuramardini)। প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী (Durga ashtami) ব্রত পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে।

  • Durga Puja 2025: নবপত্রিকা আসলে নবদুর্গার প্রতীক! মহাসপ্তমীর প্রাতে সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান

    Durga Puja 2025: নবপত্রিকা আসলে নবদুর্গার প্রতীক! মহাসপ্তমীর প্রাতে সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সপ্তমীর (Maha Saptami) সকালে জলাশয় থেকে ঘটে করে নিয়ে আসা হয় জল। সেই জলেই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই ঘটের সঙ্গেই স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় নবপত্রিকাকে। নবপত্রিকা স্নান লোকমুখে কলাবউ (Kola Bou) স্নান হিসেবেই বেশি পরিচিত। সপ্তমীর (Durga Puja 2025) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার প্রতীক নবপত্রিকাকে (Nabapatrika)। শাস্ত্রবিদদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও (Nabapatrika)।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের (Durga Puja 2025) জল। সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান (Maha Snan)। এই সপ্তসিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরী। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজনা বাজানোর রীতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, যেহেতু নবপত্রিকা (Nabapatrika) মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নানজল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    কলা বউ আসলে কে

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) পরে যিনি সচরাচর লোকের চোখে পড়েন, তিনি হলেন কলাবউ। সাধারণ মানুষ ভাবেন, তিনি গণেশের স্ত্রী। আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ, নবপত্রিকা থাকেন গণেশের ডান দিকে। হিন্দু মতে, স্ত্রী থাকবেন পুরুষের বাম পাশে। অর্থাৎ নবপত্রিকার সঙ্গে গণেশের কোনও সম্পর্কই নেই। তবে “কলা বউ” আসলে কার বউ? এক কথায় উত্তর হবে, শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বউ। “কলা বউ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। তাই তিনি গণেশের স্ত্রী নন, বরং মা। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে “কলা বউ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বউ”-এর আসল নাম “নবপত্রিকা”।

    নবপত্রিকার (Nabapatrika) ৯ গাছ

    এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে-রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ। অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা। রম্ভা (কলা), কচ্চী (কচু), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ। কলা-দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু-দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ-দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী-দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল-শিবের প্রতীক, বেদানা-রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক-শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা-চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান-লক্ষ্মীর প্রতীক। নবপত্রিকায় একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি উদ্ভিদকে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    কেন কলা বউ পুজো করা হয়?

    অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পুজো (Durga Puja 2024) ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি, জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সব কিছুতেই ঈশ্বর বিরাজমান, এই ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ”-এর পুজো। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্যশস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ওষুধ-এ সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই অধিষ্ঠাত্রীদেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদগুলিতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান। নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত। মহা সপ্তমীর সকালে “নবপত্রিকা”-র পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ” যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা।

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর সম্পর্ক

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সম্পর্ক নিয়ে পণ্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনও বিধান নেই। আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পণ্ডিতদের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও এক সময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ” পুজো হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের অ্যাকাডেমিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজোর বিষয়ে তিনি তাঁর “ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন, “বলা বাহুল্য এসবই হল পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সঙ্গে এই শস্য দেবীকে (পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনও সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো, অনেক খানি মিশিয়া আছে “। যুগ যুগ ধরে হওয়া সেই প্রথা ও ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছেন সকলে।

LinkedIn
Share