Tag: Durga puja 2022

Durga puja 2022

  • Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে মানুষের দেহ আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি এই পাঁচ উপাদান দিয়ে তৈরি। একই ভাবে পাঁচ উপাদান দিয়েই তৈরি হন প্রতিমাও। মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাকে প্রতিমা বলে। পুজো শেষে বিদায় বেলায় আমার সেই মূর্তি আবার প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আর সেই মূর্তিকে আবার পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই, বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিমা পুজোর শেষ ধাপ হল বিসর্জন (Durga Visarjan)। পুজো শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দিয়ে আবার প্রকৃতিতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মে শুরু থেকেই গঙ্গা জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মতে, আমাদের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বর রয়েছেন, উপাসনার জন্য মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে সাকার রূপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে পুনরায় সেই সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই কারণেই দুর্গা পূজার সময় যখন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরের বছর আবার আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।          

    ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিদায় বেলার যন্ত্রণার। আরও এক বছরের অপেক্ষা। দুর্গা পুজোর আনন্দে তাল কাটে এই দশমীতেই। বাঙালিদের কাছে মা দুর্গা ঘরের মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ উপচে পড়ে, ঠিক সেভাবেই ফেরার সময় মন খারাপের সুর বাজে সানাইয়ে। বিজয়া দশমী সেই ভেজা চোখে বাঙালি বিদায় জানায় তার ঘরের মেয়ে উমাকে। ওই দিনই শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন উমা। এই দিন বনেদি বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোতেও বাড়ির মহিলারা একে একে বরণ করেন প্রতিমাকে। তার পর চলে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। কিছু বনেদী বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে কাঁটছাট করা হয়েছে।           

    দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাই তাকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়াকে দশমী বলা হয়। 

    উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে দশেরা উদযাপিত হয়। তবে তার তাৎপর্য সম্পূর্ণ আলাদা। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে। যার অর্থ দশানন রাবণের মৃত্যু। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে, আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা, ও লক্ষণ। রাবণ বধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যেই যথাক্রমে দশেরা ও দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে মানুষের দেহ আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি এই পাঁচ উপাদান দিয়ে তৈরি। একই ভাবে পাঁচ উপাদান দিয়েই তৈরি হন প্রতিমাও। মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাকে প্রতিমা বলে। পুজো শেষে বিদায় বেলায় আমার সেই মূর্তি আবার প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আর সেই মূর্তিকে আবার পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই, বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিমা পুজোর শেষ ধাপ হল বিসর্জন (Durga Visarjan)। পুজো শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দিয়ে আবার প্রকৃতিতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মে শুরু থেকেই গঙ্গা জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মতে, আমাদের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বর রয়েছেন, উপাসনার জন্য মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে সাকার রূপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে পুনরায় সেই সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই কারণেই দুর্গা পূজার সময় যখন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরের বছর আবার আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।          

    ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিদায় বেলার যন্ত্রণার। আরও এক বছরের অপেক্ষা। দুর্গা পুজোর আনন্দে তাল কাটে এই দশমীতেই। বাঙালিদের কাছে মা দুর্গা ঘরের মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ উপচে পড়ে, ঠিক সেভাবেই ফেরার সময় মন খারাপের সুর বাজে সানাইয়ে। বিজয়া দশমী সেই ভেজা চোখে বাঙালি বিদায় জানায় তার ঘরের মেয়ে উমাকে। ওই দিনই শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন উমা। এই দিন বনেদি বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোতেও বাড়ির মহিলারা একে একে বরণ করেন প্রতিমাকে। তার পর চলে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। কিছু বনেদী বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে কাঁটছাট করা হয়েছে।           

    দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাই তাকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়াকে দশমী বলা হয়। 

    উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে দশেরা উদযাপিত হয়। তবে তার তাৎপর্য সম্পূর্ণ আলাদা। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে। যার অর্থ দশানন রাবণের মৃত্যু। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে, আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা, ও লক্ষণ। রাবণ বধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যেই যথাক্রমে দশেরা ও দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Durga Puja: সন্ধি পুজো করলে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে আপনার জীবন! আর কী কী ফল পাবেন?

    Durga Puja: সন্ধি পুজো করলে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে আপনার জীবন! আর কী কী ফল পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির সবচেয়ে বড় উত্‍সব হল দুর্গা পূজা (Durga Puja 2022)। পুজোর পাঁচটি দিনের জন্য সারাবছর মানুষ অপেক্ষায় বসে থাকেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী, শারদীয়া দুর্গোত্‍সবের এই পাঁচটি দিনে মেতে ওঠেন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে আপামর বাঙালি। আর এই দুর্গাপুজো- কে ঘিরেই রয়েছে একাধিক রীতি-নিয়ম। কোন রীতির কী কারণ তার ফলে কী হয়, এমন অনেক কিছুই জানেন না অনেকেই। যেমন- সন্ধি পুজোর কথা সবাই জানেন, তবে জানেন কী এই পুজো করলে কী কী ফল পাওয়া যায়? তবে আজ সন্ধি পূজা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

    সন্ধি পুজো (Sandhi Puja) হল অষ্টমী (Ashtami) ও নবমী (Nabami) তিথির মিলনের সময়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় এই সন্ধি পুজো। পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ব্যস্ত থাকাকালীন অসুরের দুই বন্ধু চন্ড ও মুন্ড পিছন থেকে দেবীকে আক্রমণ করেন। ফলে তিনি রেগে গিয়ে দেবী ত্রিনয়নী চামুন্ডা রূপ ধারন করেন। এই চামুন্ডা রূপেই মা দুর্গা চন্ড ও মুন্ডের মাথা কেটে নেন। দেবীর এই চামুন্ডা রূপেরই আরাধনা করা হয় সন্ধি পুজোর মাধ্যমে। এই  ঘটনাটিকে স্মরণ করার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধি পুজো করা হয়।

    তবে সন্ধি পূজার সময়ে দুটি জিনিস নিবেদন করতে হয়, নয়তো এই পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেটি হল ১০৮ টি পদ্মফুল ও ১০৮ টি প্রদীপ। ফলে মা দুর্গার সন্ধি পুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল এবং ১০৮টি প্রদীপ উৎসর্গ করা এই পুজোর প্রধান নিয়ম। আর এই সন্ধি পুজো যদি নিষ্ঠাভরে, ভালোভাবে করা যায়, তা হলে জীবনে নানা ভালো ফল পাওয়া যায়। সেগুলি হল-

    • সন্ধি পুজোর পরই মাকে প্রণাম করে যদি কোনও কাজ শুরু করা হয়, তা হলে সেই কাজে আপনি কখনও অসফল হবেন না।  
    • এই পুজোর সময় যদি এক মনে দুর্গা মন্ত্র জপ করা হয়, তা হলে মা খুব খশি হন এর ফলে মনের জোর বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক অবসাদও কমে যায়।
    • সন্ধি পুজোর সময় একমনে মায়ের আরাধনা করলে শুধুমাত্র মা নন, তাঁর সন্তানরাও খুশি হন।
    • ১০৮টি পদ্ম ফুল দিয়ে মায়ের পুজো করলে সংসারে ঝগড়া বিবাদ কমে যায়। জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে যায়।
    • সন্ধি পুজো করলে গ্রহ দোষ কেটে যায় এবং খারাপ স্বপ্ন দেখার আশঙ্কাও কমে যায়।
    • মনে করা হয়, এই পুজোর মাধ্যমে মনের ছোট থেকে বড়, সকল ইচ্ছা পূরণ হয়।
    • সন্ধি পুজোর সন্ধিক্ষণ মুহূর্তে মায়ের নাম নিতে থাকলে রোগ ব্যাধি আপনার ধারের কাছেও আসতে পারবে না।
  • Durga Puja: নবপত্রিকা স্নান থেকে কুমারী পুজো, জানুন এই রীতিগুলোর মাহাত্ম্য

    Durga Puja: নবপত্রিকা স্নান থেকে কুমারী পুজো, জানুন এই রীতিগুলোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজার বিশেষ উল্লেখযোগ্য দুটি রীতি হল নবপত্রিকা স্নান ও কুমারী পুজো। দুটো রীতিরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। অনেকের আবার এই দুই রীতির কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে, তা স্পষ্টও নয়। যেমন দুর্গাপূজার সময়ে মন্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়ে গণেশের পাশে কলাবউ-কে দেখতে পেয়ে অনেকেই মনে করেন যে, কলাবউ গণেশের স্ত্রী, কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়। ফলে এমনই ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই, তাই আজ এই রীতিরগুলোর পেছনের কী কী কারণ রয়েছে এবং কী এর মাহাত্ম্য, তা নিয়ে আলোচনা করা হল।

    মহাসপ্তমীর ‘নবপত্রিকা স্নান’

    নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ হল নয়টি পাতা। কিন্তু এখানে নয়টি উদ্ভিদ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নয়টি উদ্ভিদ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। এই নয়টি উদ্ভিদ হল কদলী বা রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব(বেল), দাড়িম্ব(ডালিম), অশোক, মান ও ধান। এরপর একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ। তারপর তাতে সিঁদূর দিয়ে দুর্গা ও গণেশের দেবীর ডানপাশে রাখা হয়। আর এই কলাবউ গণেশের স্ত্রী নয়।

    এটি দুর্গা অর্থাৎ গণেশের জননী। গণেশের স্ত্রীদের নাম রিদ্ধি ও সিদ্ধি। এই ৯টি গাছের পাতা শক্তির ৯টি রূপকে তুলে ধরে- ব্রহ্মাণী (কলা), কালিকা (কচু), দুর্গা (হলুদ), কার্ত্তিকী (জয়ন্তী), শিব (কদবেল), রক্তদন্তিকা (বেদানা), শোকরহিতা (অশোক), চামুণ্ডা (ঘটকচু), লক্ষ্মী (ধান)। মহাসপ্তমীর দিন সকালে পুরোহিত নিজের কাঁধে করে কাছের কোনও নদী বা জলাশয়ে নবপত্রিকা নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। এরপর নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পর নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজা মণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। এরপর এই চারদিন দেবদেবীদের সঙ্গে এটিও পুজো করা হয়। তবে অনেকে মনে করেন, নবপত্রিকার পূজার মাধ্যমে শস্যদেবীর পূজা করা হয়। এই শস্যবধূকেই দেবীর প্রতীক রূপে গ্রহণ করে প্রথমে পূজা করতে হয়। কারণ মনে করা হয়, শারদীয়া পূজার মূলে রয়েছে শস্য-দেবীর পূজা।

    মহাঅষ্টমীর ‘কুমারী পুজো’

    অষ্টমীর দিন সাধারণত কুমারী পুজো করা হয়। এদিন বাচ্চা মেয়েদের দুর্গার মর্যাদা দিয়ে, দুর্গারূপে তাদের পুজো করা হয়। আগেকার দিনের মুনি-ঋষিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পূজা করতেন তাঁরা। তাঁরা মনে করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। আর এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবেই অষ্টমী তিথিতে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়।

    শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত ১ বছর থেকে ১৬ বছরের ঋতুস্রাব না হওয়া বালিকাদের কুমারী রূপে পূজা করা হয়। তাদের নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে সাজিয়ে তাদের পুজো করা হয়।

    শাস্ত্র মতে, কোলাসুর-কে বধ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কুমারী পুজোর। গল্পে আছে, কোলাসুর যখন স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করেন, তখন কোলাসুর-এর থেকে মুক্তি পেতে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবতাগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারীরূপে কোলাসুর-কে বধ করেন। এর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়।

  • Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। উৎসবের আনন্দকে মাটি করে দিতে হাজির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর দিনগুলোতে বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর স্বল্প থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। ২ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর, অর্থাৎ পুজোর চারদিনই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পেছনের কারণ হল ঘূর্ণাবর্ত।

    জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর পূর্ব-মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর এর জেরেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমী থেকে বৃষ্টি বাড়বে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, বৃষ্টির চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়বে না উত্তরবঙ্গও (North Bengal)। নবমী এবং দশমীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। সুতরাং উত্তরবঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। কিন্তু ৪ ও ৫ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে কি ভাসবে পুজো? আশঙ্কার ঘুর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২ অক্টোবর থেকে কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোন কোন জেলায় পুজোয় ঠিক কতটা বৃষ্টি হবে, তা আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জানাবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বিগত দুবছর করোনার দাপটে উৎসবে তেমন কোনও মজা করতে পারেনি বঙ্গবাসী। ফলে এবারে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় ফের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আনন্দে ফের ব্যাঘাত ঘটাতে আসছে বৃষ্টি।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? 

  • Tarpan: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    Tarpan: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার মহালয়া। আগামীকালই পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha 2022) অবসান হয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে ভাদ্রপূর্ণিমা থেকে পিতৃ পক্ষের সূচনা, যা মহালয়া অমাবস্যা বা মহালয়ার দিনে শেষ হয়। অন্য দিকে উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্রের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের তর্পণ (Tarpan) ও শ্রাদ্ধকর্ম করে তাঁদের বিদায় জানানো হয়। ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়, তাই এই পক্ষে শুভ কাজে করা যায় না।   

    আরও পড়ুন: আজ সূচনা হচ্ছে পিতৃপক্ষের, কীভাবে করবেন তর্পণ, জেনে নিন

    এ সময় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রাদ্ধকর্ম করেন বাড়ির পুরুষরা। তবে শাস্ত্রে মহিলাদেরও মৃত পরিজনদের শ্রাদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনও মৃত ব্যক্তির পুত্র না-থাকলে, ভাইয়ের তাঁর স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার অধিকার রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, মৃত পূর্বপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনও ব্যক্তি তর্পণ করতে পারেন। সাধারণত পুরুষরা পিণ্ডদান করে থাকেন। তবে মহিলারাও পিণ্ডদানের সমান অধিকারী। রামায়ণ অনুযায়ী, দশরথের মৃত্যুর পর রামের অনুপস্থিতিতে সীতা তাঁর পিণ্ডদান করেছিলেন।  

    কোনও ব্যক্তির ছেলে না থাকলে মৃত ব্যক্তির মেয়ে বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করতে পারেন। মহাভারতে স্ত্রী পর্বে কৌরব রমণীদের তর্পণ করার কথার উল্লেখ আছে। আবার অবিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির মা এবং বোনও শ্রাদ্ধ করতে পারেন। আবার ছেলে শ্রাদ্ধ কর্ম করতে না-পারলে পুত্রবধূ তা করতে পারেন। আবার পৌত্র ও প্রপৌত্রও পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ কর্ম করার অধিকারী। পৌত্র বা প্রপৌত্র না-থাকলে, ভাই, ভাইয়ের সন্তানরাও শ্রাদ্ধ করার অধিকারী। আবার দৌহিত্রও পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করতে পারে। আবার ভাগ্নেও শ্রাদ্ধকর্ম করার অধিকারী।   

    হিন্দু ধর্মে, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে মুক্তি দিতে পিণ্ডদান করার রেওয়াজ রয়েছে। মনে করা হয়, এর ফলে আত্মা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। পিণ্ডদান করলে জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে আত্মা মুক্তি লাভ করে বলে মনে করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Durga Puja: মহাসপ্তমীর নির্ঘণ্ট, তাৎপর্য সহ জানুন এদিনের কিছু রীতির কথা

    Durga Puja: মহাসপ্তমীর নির্ঘণ্ট, তাৎপর্য সহ জানুন এদিনের কিছু রীতির কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দুর্গা পুজোর মহাসপ্তমী (Mahasaptami)। ষষ্ঠীতে দেবীর মুখ উন্মোচন ও বোধন প্রক্রিয়া শেষ করে এরপর আসে সপ্তমীর পুজো। এই দিনে দেবী দুর্গার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ, কালরাত্রি রূপের পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করেন দেবী কালরাত্রি। শাস্ত্র মতে, মহাসপ্তমীতে মহাপুজো হয়। এই তিথির দুটি নিয়ম হল নবপত্রিকা স্নান ও মহাস্নান। খুব সকালে একটি কলা গাছ গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে, এটিকে নববধূর মতো নতুন শাড়ি পরানো হয়। যাকে আমরা কলাবউ বলে থাকি। এই আচারের পেছনে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য।

    ২০২২-এর মহাসপ্তমীর দিনক্ষণ ও নির্ঘণ্ট

    সপ্তমীর পুজো শুরু সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে ও সময়সীমা রাত ৬ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। এদিন সূর্যোদয় ৫ টা ৩২ মিনিটে, অস্ত যাবে ৫ টা ২২ মিনিটে। পূর্বাহ্ণ মধ্যে দ্ব্যাত্মক-চরলগ্নে ও চরণবাংশে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা প্রশস্তা। 

    সপ্তমীর পুজোর তাৎপর্য

    শরৎকালে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। এই সময় স্বর্গের দেবতাগণ ঘুমিয়ে থাকেন। তাই দেবীকে ঘুম থেকে তোলার জন্য আহ্বান করতে হয়। দেবী এই সময় কুমারী (Kumari) রূপে বেল গাছের পাতায় অবস্থান করেন। তাই ষষ্ঠীর দিন বেল গাছের তলায় দেবীর বোধন (Bodhan) ও অধিবাস (Adhibas) সম্পন্ন হয়। এরপর বেল গাছের একটি ডালকে চিহ্নিত করে রাখা হয় এদিন। আর আজ অর্থাৎ সপ্তমীর দিন ওই চিহ্নিত ডাল কেটে মণ্ডপে পুজোর স্থানে নিয়ে আসতে হয়। মহাসপ্তমীর দিন সকালে নিকটস্থ নদী বা কোনো জলাশয়ে এটি নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন কলা গাছের সঙ্গে বেলগাছের ডাল সহ আরও ৭টি গাছের ডাল নিয়ে একেবারে মূল থেকে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর পুরোহিত নিজেই কাঁধে করে নবপত্রিকা (Nobopatrika) নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী, এরপর নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান করানোর পর একে নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজামণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। গণেশের পাশে এটিকে রাখার কারণে অনেকে মনে করেন যে, কলাবউ (Kola Bou) আসলে গণেশের বউ। কিন্তু আদতে এটি নবপত্রিকা বা গণেশের জননী। সপ্তমীর আর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হল মহাস্নান। নবপত্রিকা স্নানের পর মহাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দুর্গার মহাস্নান সম্পন্ন হয়।

  • Durga Puja : দেবী বরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু মহিলারা! জানেন এর তাৎপর্য?

    Durga Puja : দেবী বরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু মহিলারা! জানেন এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমী মানেই বিদায়। দশমী মানেই বিজয়া । দশমী মানেই মন খারাপের বেলা। এবার মাকে বিদায় দিতে হবে। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠাতে হবে।

    দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ ও মনখারাপ মিশ্রিত একটি অনুভূতি। দশমী এলেই বাঙালির মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটা বছর। সাধারনত দুর্গাপুজোর শেষদিনই হল দশমী। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এই দিনটিকে বিজয়া দশমী বলার সঠিক অর্থ আজও জানেন না অনেকেই। পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গলকামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়। 

    ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে পরম ব্রহ্মের সামনে স্বামী ও নিজের মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ব্রহ্ম সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে সুখ দান করেন। তাই দশমীর দিন সিঁদূর দান ও সিঁদূর খেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। এ ছাড়াও শ্রীমদ্ভগবতে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে গোপীনিদের সিঁদুর খেলার বিবরণ পাওয়া যায়। তবে এটি কৃষ্ণের মঙ্গল কামনার জন্য করা হত। 

    বাংলায় সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য ৪০০ বছরের পুরনো। নিছক খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওই দিন একটু আনন্দ উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়, বলে মনে করা হয়।

LinkedIn
Share