Tag: durga puja 2024

durga puja 2024

  • RG Kar: মেয়ের যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেছেন মা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কাঁকুড়গাছির মণ্ডপে

    RG Kar: মেয়ের যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেছেন মা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কাঁকুড়গাছির মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদের ছোঁয়া দেখা গেল দুর্গা প্রতিমা নির্মাণেও। মেয়ের যন্ত্রণা দেখে মুখ ঢাকছেন মা! এই থিমেই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছে কাঁকুড়গাছির একটি পুজো। 

    থিমের নাম ‘লজ্জা’

    কাঁকুড়গাছি শ্রী শ্রী সরস্বতী ও কালীমাতা মন্দির পরিষদের এবারের পুজোয় এমনই অভিনব প্রতিবাদ ধরা পড়েছে। কাঁকুড়গাছির এই পুজোয় মাতৃমূর্তিও তৈরি করা হয়েছে একেবারে বিবর্ণ প্রকৃতির। হাতে কোনও অস্ত্র রাখা হয়নি। পায়ের কাছে অসুর হত অবস্থায় রয়েছে। লজ্জায় (RG Kar) মাথা নুইয়ে রয়েছে মায়ের প্রিয় বাহন সিংহ। মাতৃমূর্তির পাদদেশে রয়েছে নির্যাতিতার শরীরের প্রতিকৃতি। থিমের নাম রাখা হয়েছে ‘লজ্জা’। থিমের অঙ্গ হিসেবে মণ্ডপে রাখা হয়েছে একটি অ্যাপ্রন ও স্টেথোস্কোপ। আরজি করের ঘটনার প্রতিচ্ছবি মণ্ডপেও ফুটে উঠেছে এভাবেই। অন্যদিকে, মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে মণ্ডপের গায়ে একটি ভাঁড়ার তৈরি করা হয়েছে। তার গায়ে পাঁচশো ও হাজার টাকার নোটের ছবি দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হিসেবে উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সরকার জানাচ্ছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতীক এটি। মানুষকে এভাবেই জনমোহিনী প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে ভোলানোর চেষ্টা করছে সরকার। এর তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে যাবতীয় অপরাধ।

    বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এই পুজো 

    জানা গিয়েছে, এই পুজো ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তিনি ২০২১ সালে খুন হন শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হাতে, এমনটাই অভিযোগ। তারপর থেকে নিহত অভিজিৎ-এর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এই পুজোর দায়িত্ব নেন। বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘কামদুনি, হাঁসখালি, আরজিকর (RG Kar), ভোটপরবর্তী হিংসা — সব কিছুকে মাথায় রেখেই এই বিশেষ থিম। রাজ্যে মহিলারা কীভাবে সন্ত্রাসের শিকার হয়, সেই বাস্তবই মনে করিয়ে দিতে চায় এই থিম। মেয়েদের কষ্টে, যন্ত্রণায় মা কষ্ট পাচ্ছেন। লজ্জায়, কষ্টে ও দুঃখে মুখ ঢাকছেন নিজের। সেটি বোঝাতেই প্রতিমার আদল গড়া হয়েছে এমনভাবে। মহিলাদের ওপর সমস্ত অত্যাচারের প্রতীকরূপেই এই থিম (Durga Puja 2024) বেছে নেওয়া হয়েছে।’’

    বিগত বছরগুলিতে কাঁকুড়গাছি দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) থিম-

    ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদকে পুজোর থিম করা হয়েছিল।

    ২০২২ সালে ‘মায়েদের কান্না রক্তাক্ত বাংলা’ নামের থিম হয় ৷

    ২০২৩ সালে ভারতমাতা মোদির হাতে দেশের ম্যাপ তুলে দিচ্ছেন, এই থিম দেখা গিয়েছিল।

    ২০২৪ সালে আরজি করের নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে থিম করলেন উদ্যোক্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ নেমে আসে। সে দেশের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসায়। দিকে দিকে হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলিতে হামলা চলতে থাকে। এই আবহে দুর্গাপুজো কতটা শান্তিতে হবে, সেই প্রশ্ন তখনই উঠতে শুরু করে। জামাত-বিএনপি কলকাঠি নাড়ছে যেখানে, সেই ইউনূস সরকারের আমলে দুর্গাপুজো (Durga Puja) যে শান্তিতে হবে না, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গত ৬ দিনে বাংলাদেশে মোট ১৬টি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তিনটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।

    মন্দিরে হামলা (Bangladesh)  

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে হামলা চালায় জেহাদিরা। এরপরে ১ অক্টোবর মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে একই ধরনের হামলা চালানো হয়। এই দুই জায়গাতেই দুর্গাপ্রতিমা সহ দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। জানা গিয়েছে, এই দুটি পুজোমণ্ডপই বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলাতে অবস্থিত। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে মোট চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে মানিকাদি পালপাড়া পুজোমণ্ডপে (Durga Puja) পাঁচটি মূর্তি ধ্বংস করা হয়। এই ঘটনার পরেই হিন্দুরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হিন্দুদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ও বাংলাদেশের সেনা অধিকর্তারা ওই দুই মন্দিরই পরিদর্শন করেছেন, বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দুর্গাপুজো ৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। সুজানগর উপজেলায় ৫১টি মন্দিরে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের সভাপতি বিজন পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর রাতে মন্দির থেকে বের হওয়ার সময়ও তিনি প্রতিমাগুলিকে ঠিকঠাক অবস্থায় দেখেছিলেন। পরের দিন সকালে মন্দিরে এসে দেখেন, মূর্তিগুলি ভাঙা হয়েছে। অন্যদিকে সুজানগর উপজেলার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দোষীদের খুঁজে বের করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় লোকেদের নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।

    হাসিনার পদত্য়াগের পর থেকে হিন্দুদের ওপর হামলা ২০৫টি

    ঠিক এই আবহে গত বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর গোপীনাথ জিউ-র পুজোমণ্ডপে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর করার খবর মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কিশোরগঞ্জে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রক্ষীরা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই গভীর রাতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীকালে প্রশাসন স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই (Bangladesh) হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে চট্টগ্রামে কদম মোবারক এলাকায় গণেশ উৎসবের সময় মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরেও দেবী দুর্গা ও অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজোয় চাই টানটান উজ্বল ত্বক! এই পাঁচ ঘরোয়া উপকরণেই রয়েছে সমাধান

    Durga Puja 2024: পুজোয় চাই টানটান উজ্বল ত্বক! এই পাঁচ ঘরোয়া উপকরণেই রয়েছে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েকদিন! তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু! দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময়ে বাঙালি যেমন খাবারে নতুনত্ব চায়, তেমনি পোশাক আর সাজসজ্জাতেও থাকে বিশেষ নজর। কিন্তু দূষণের জেরে এখন অনেকেই ত্বকের নানান সমস্যায় ভুগছেন। খুব কম বয়স থেকেই ব্রণ, কালো ছোপ দাগ-এমন নানান ত্বকের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজার চলতি নানান রাসায়নিক ক্রিম ত্বকের ক্ষতি করে। এমন একাধিক ক্রিম নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। অভিযোগ, বহু ক্রিম মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে ত্বকে সাংঘাতিক ক্ষতি হয়। তাই দ্রুত ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের সমস্যা মেটাতে ঘরোয়া উপকরণেই আস্থা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আসুন, দেখে নিই, কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানে মসৃণ ত্বক সম্ভব?

    চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর মিশ্রণ (Durga Puja 2024)

    ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, লেবু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত যে কোনও ধরনের লেবু খেলে ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা কমে যায়। ত্বকে পাতিলেবুর রস ব্লিচের মতো কাজ করে। সমস্ত কালো ছোপ সহজেই বেরিয়ে যায়। তবে সরাসরি ত্বকের উপরে পাতিলেবু লাগাতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে বৃত্তাকারে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে মুখ পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেললে কালো ছোপ সহজেই মুছে যাবে।

    শশার রস বাড়াবে ত্বকের উজ্জ্বলতা

    বায়ুদূষণের জেরে অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা হারান। বিশেষত যাদের নিয়মিত বাড়ির বাইরে যেতে হয়, তাদের এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শশা তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। শশার রসে সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে পারে। তাঁদের পরামর্শ, একটা গোটা শশা বেটে নিয়ে, তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে একাধিকবার সেই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে দ্রুত ত্বক মসৃণ হবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে (Durga Puja 2024)।

    ব্রণ-র জীবাণু রুখতে সাহায্য করবে মধু

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু ত্বকের (Bright skin) জন্য খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু ত্বক কোমল করে, উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে, আবার ব্রণ-র জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে। তাই মধু ত্বকে লাগালে ত্বকের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, সরাসরি ত্বকের উপরে মধু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে দ্রুত উজ্জ্বলতা পাওয়ার জন্য দই কিংবা শশার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে দ্রুত উজ্জ্বলতা বাড়ে‌। আবার ব্রণ-র সমস্যাও কমে।

    ত্বক মসৃণ করবে কলা (Durga Puja 2024)

    ত্বক মসৃণ করতে কলা খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। কলা খুব মিহি করে মেখে, তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগালে খসখসে ভাব সহজেই চলে যায়। ত্বক মস‌ৃণ হয়ে ওঠে।

    মুসুর ডাল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

    আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে অনেকেই ত্বকের ভিজে ভাব হারাচ্ছেন‌। খুব কম বয়সিদের মধ্যেও তাই ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, মুসুর ডাল ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মসুর ডাল বেটে ভালো ভাবে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। কিছু সময় পরে ত্বকে সেগুলো শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে পরিষ্কার জলে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার ফিরে আসবে। ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা কমবে (Durga Puja 2024)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ১১৪ বছর ধরে একই রীতি! একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো

    Durga Puja 2024: ১১৪ বছর ধরে একই রীতি! একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো। ১১৪ বছর ধরে একই রীতিতে বৈষ্ণব নিয়মে পূজিত চৌধুরী বাড়ির দেবী দুর্গা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাটের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বইদুল গ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। চৌধুরী বাড়ি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চৌধুরী পরিবারে দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ হয় ১৯১১ সালে পান্নালাল চৌধুরী-র হাত ধরে। পান্নালাল চৌধুরী মারা যাওয়ার পরে তাঁর ছয় ছেলে পালাক্রমে এই দুর্গাপুজো চালিয়ে আসেন। বংশানুক্রমে চলে আসা বইদুল গ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো আশপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।

    মঙ্গলচণ্ডীর গানের আসর (Durga Puja 2024)

    কালক্রমে পুজোর জৌলুস বাড়লেও রীতিতে হয়নি কোনও বদল। ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি দেবী দুর্গাকে এখানে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় ফল ও মিষ্টি। দশমীতে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বসে মঙ্গলচণ্ডীর গানের আসর। যে গান শুনতে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের মানুষ। চৌধুরী বাড়ির পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন গোটা গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর পাঁচ দিন গ্রামের সবাই এক সঙ্গে পুজোর (Durga Puja 2024) আচার অনুষ্ঠান করে থাকেন। এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুজো দীর্ঘদিনের পুরনো পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে পান্নালাল চৌধুরী-র হাত ধরে। আজও সেই নিয়ম মত করে পুজো হয়ে যাচ্ছে।

    ধুনুচি নাচের আসর

    চৌধুরী পরিবারের দুই সদস্য বাপ্পাদিত্য চৌধুরী এবং বিশ্বদেব চৌধুরী জানিয়েছেন, পুজোতে (Durga Puja 2024) পরিবারের ৬৫ জন ছেলের নামেই দেবীর উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করা হয়। ১১৪ বছর ধরে একই রীতিতে বৈষ্ণব নিয়মে পূজিত আমাদের বাড়ির দেবী দুর্গার পুজো। অষ্টমীর দিন একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো (Sandhi Puja)। পুজোর দিনগুলিতে প্রতিদিনই প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে মন্দির প্রাঙ্গণে বসে ধুনুচি নাচের আসর। সব মিলিয়ে চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে পুজোর দিনগুলিতে আনন্দে মেতে উঠেন বইদুল সহ আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ফিরবে সৌভাগ্য! শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর পাঁচ দিন

    Durga Puja 2024: ফিরবে সৌভাগ্য! শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর পাঁচ দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষার পর মা দুর্গা আবার আসছেন বাপের বাড়ি। চারপাশে ঢাকের বাদ্যি, উৎসবের মেজাজ। সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক—পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি। পুজো মানেই নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা। সারা বছর কেনাকাটা হোক বা না হোক, দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) কেনাকাটা মাস্ট। তাই পুজোর চারদিন বিভিন্ন রঙের পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিন। তবে, সৌভাগ্য বজায় রাখতে হলে বা মায়ের আশীর্বাদ পেতে হলে শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর কটা দিন। 

    বিশেষ রঙের গুরুত্ব

    জ্যোতিষশাস্ত্রে রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রং আমাদের সৌভাগ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিভিন্ন দেবদেবীর নিজস্ব প্রিয় রং রয়েছে। শাস্ত্রেই রয়েছে মা দুর্গার ৯টি রূপের, নয়টি আলাদা রং রয়েছে। দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) পোশাক বেছে নেওয়ার সময় এই ৯টি রঙের কথা মাথায় রাখুন। এক্ষেত্রে অবাঙালিরা নবরাত্রি পালন করলেও, বাঙালিরা পুজোর চারদিনের পোশাকই বেছে নিন। 

    আরও পড়ুন: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    কোন দিন কোন রঙ (Durga Puja 2024)

    দুর্গা ষষ্ঠীতে মা দুর্গার মা কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়। কাত্যায়নীর পছন্দের রঙ লাল। তাই আমরা ষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক পরলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। মায়ের কালরাত্রি রূপের পুজো হয় এ দিন। দুর্গার এই রূপের পছন্দের রঙ নীল। তাই এবার সপ্তমীতে নীল রঙের পোশাক পরলে দুর্গার আশীর্বাদ পেতে পারেন। মা দুর্গার মহাগৌরী রূপ এ দিন পূজিত হয়। মহা গৌরীর প্রিয় রঙ গোলাপী। তাই অষ্টমীর সন্ধ্যেয় আমাদের নতুন পোশাকের রঙও গোলাপি হলে মা দুর্গার কৃপাদৃষ্টি পেতে পারি আমরা। নবরাত্রির শেষ দিন মহা নবমীতে দুর্গার মা সিদ্ধিধাত্রী রূপের পুজো করা হয়। মায়ের এই রূপের পছন্দের রঙ বেগুনি। নতুন পোশাক-কাপড়ও এদিন আমরা বেগুনি রঙের পরলে মা দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি। দশমীতে দেবীর বিসর্জন, আবার অপেক্ষা এক বছরের। এদিন লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরা সবচেয় শুভ বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবমী মানেই বাতাসে বিদায়ের সুর। আর তো একটা দিন, তার পর আবার এক বছরের অপেক্ষা। তাই মন খারাপের অনুভূতি। তবে এর থেকে ভুলতে ভুরিভোজেই (Durga Puja 2024) মেতে ওঠে বাঙালি। নবমী মানে বাঙালি ঘরে মটন চাই। কচি পাঁঠার ঝোল বা কষা খাসির মাংস-দুটোই সমান জনপ্রিয়। তবে যে যে বাড়িতে পুজো হয় বা যাঁরা নবরাত্রি পালন করেন তাঁরা নবমীর (Navami) মটনটা অন্যদিন চেখে নেন। তবে একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নবমীতে জমিয়ে ভুরিভোজ করার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে একটু সচেতন হলেই হল।

    কারা সতর্ক হবেন

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন, যা হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক, হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  মটনের অতিরিক্ত চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    খেতে হলে অল্প খান

    বছরের বিশেষ দিনে (Durga Puja 2024) অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর (Navami) দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।  হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: কাল অষ্টমীতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে অসুরেরও! না হলে দেবী বধ করবেন কাকে?

    Durga Puja 2024: কাল অষ্টমীতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে অসুরেরও! না হলে দেবী বধ করবেন কাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীর অধিবাস, বোধন পেরিয়ে বাংলায় মহাষ্টমীতেই হয় অসুর পুজো। মহিষাসুরকেও এই সময়ে প্রণাম করা বিধেয়, ‘ওঁ মহিষ ত্বং মহাবীর ইন্দ্রাদিদেবমর্দকঃ।’ মহাষ্টমীর (Mahastomi) দিন অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা না করলে দুর্গাপুজো সম্পন্ন হয় না। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর চলে অসুর পুজো। তারপর মহিষাসুর বধ।

    কেন হয় অসুরের পুজো

    ষষ্ঠ্যাদি কল্পে যাঁদের পরিবারে দুর্গাপুজো (Durgapujo) হয়, তাঁদের পুজোর তৃতীয় দিন মহাষ্টমী। যে কল্পে সচরাচর পুজো হয়, সেটি হল ষষ্ঠ্যাদি কল্প। যেসব পরিবারে এই কল্পে পুজো হয়, তাঁদের পুজো শুরু ষষ্ঠীর দিন। এদিন দেবতার সঙ্গে সঙ্গে পুজো হয় দানবেরও। এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় অসুরের। তার পরেই পুজো হয় অসুরের, তাঁকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়। শাস্ত্রকারদের মতে, দেবী দুর্গা যেদিন মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, সেদিন ছিল অষ্টমী তিথি। মহিষাসুর বধের সময় হয় অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণ। সপ্তমীতে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এবং নবপত্রিকার প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয় এদিনই। বাকি অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় অষ্টমীতে। কারণ মহিষাসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা না হলে দেবী কাকে বধ করবেন? এই কারণেই অষ্টমীপুজোর দিন পুরোহিতের অন্যতম প্রধান কাজ হল অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা। 

    আরও পড়ুন: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    এদিন অস্ত্রপুজোও হয় এই কারণেই। দেবী অস্ত্র দিয়েই অসুর বধ করবেন। তাই পুজো হবে অস্ত্রেরও। দেবীর বাহন সিংহের প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হবে এই দিনেই। অন্যান্য দেবীর বাহনের পুজোও হবে এদিন। অষ্টমীর শেষ চব্বিশ মিনিট ও নবমীর প্রথম চব্বিশ মিনিট এই মোট আটচল্লিশ মিনিটে হবে সন্ধিপুজো। বধ হবেন মহিষাসুর। শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপুজো হয়। ১০৮ লাল পদ্ম উত্‍সর্গ করা হয় দুর্গার পায়ে। জ্বলে ওঠে ১০৮ প্রদীপ। অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণে এই পুজো হয়ে থাকে। মন্ত্রের অণুরণনে মুখরিত হয়ে ওঠে বাতাস। পটকা, দামামা, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘন্টা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দুর্গার ঘামতেলযুক্ত মুখমণ্ডল। অষ্টমীতিথির বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Sweets: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দশমীর ‘স্পেশাল’ মিষ্টি’ কতখানি বিপজ্জনক? 

    Durga Puja Sweets: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দশমীর ‘স্পেশাল’ মিষ্টি’ কতখানি বিপজ্জনক? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দশমী মানেই মিষ্টিমুখ। বাঙালির দুর্গোৎসবের এই শেষ দিনে একদিকে মাকে বিদায় জানানোর পালা, আরেকদিকে মিষ্টিমুখ করে পাশের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্পর্ক আরও মজবুত করাই রেওয়াজ (Durga Puja Sweets)। মিষ্টি বাঙালির উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। আনন্দে, বিষাদে, উদযাপনে মিষ্টি ছাড়া চলে না। কিন্তু মিষ্টি যে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বড়ই বিপজ্জনক। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের দশমীর দিন উদযাপনে অনেক সময়েই মিষ্টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক সময়েই ডায়বেটিস রোগীরা নিজেরাই বিকল্প খুঁজে নেন। দশমীতে অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়, ‘ডায়বেটিস স্পেশাল’ মিষ্টি। আর এই মিষ্টিগুলো বেশিরভাগ তৈরি হয় কৃত্রিম চিনিতে। কিন্তু এই কৃত্রিম চিনি আরও বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই দশমীর দিনে কৃত্রিম চিনিতে একেবারেই মিষ্টিমুখ করা যাবে না বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন কৃত্রিম চিনি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিপজ্জনক? (Durga Puja Sweets)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এক নির্দেশিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, কৃত্রিম চিনিতে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং এর কিছু উপাদান শরীরের জন্য বিপজ্জনক। তাই কৃত্রিম চিনিকে কখনই প্রাকৃতিক মিষ্টির তুলনায় ভালো উপকরণ মনে করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ, অ্যাসপার্টেম, স্যাকারিন, স্টিভিয়ার মতো একাধিক উপকরণ। রাসায়নিক একাধিক উপকরণে তৈরি এই কৃত্রিম চিনি তাই শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে কৃত্রিম চিনির কোনও ভূমিকাই নেই। বরং এই ধরনের রাসায়নিক কিডনির উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

    কিডনি রোগের ঝুঁকি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তার উপরে কৃত্রিম চিনির (Artificial sugar) তৈরি খাবার খেলে সেই ঝুঁকি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক স্নায়ুর উপরেও চাপ বাড়ায়। তাই স্নায়ু ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাইগ্রেনের মতো সমস্যাও বাড়াতে পারে কৃত্রিম চিনি। এমনকী কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনির তৈরি মিষ্টি খাওয়ার তুলনায় প্রাকৃতিক চিনিতে তৈরি মিষ্টি শরীরের জন্য কম ক্ষতিকারক। তবে ডায়বেটিস আক্রান্তদের মিষ্টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Durga Puja Sweets)। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট শুধু নয়, নদিয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যচরণ ঘোষ হুগলি জেলার আকনা থেকে আসেন ব্রহ্মডাঙ্গায়, যা পরে রানাঘাট নামে পরিচিত হয়। এখানে তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই মকারন্ধ ঘোষের বংশধররা দুর্গাপুজো করে আসছেন। বর্তমানে ২৯ তম বংশপরম্পরায় এই পুজো হচ্ছে। এই বংশের ২৯ তম পুরুষ রণজিৎ ঘোষ বলেন, দুর্গাপুজো প্রথম শুরুর যে মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয়েছিল, সেই মাটি দিয়ে আজও পাটা তৈরি হয়ে আসছে। তুলে রাখা হয় কিছু মাটি। সেই মাটি দিয়েই পাটা তৈরি হয় বছরের পর বছর। এই ভাবে হয়ে আসছে দেবীমূর্তি।

    ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ (Durga Puja 2024)

    ৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। এ বছর পড়ল ৫০৫ তম বছরে। একটা সময় ৫১টি পাঁঠা ও মোষ বলি হত। ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নাদেশে এবং ঘোষ বংশের রামগোপাল ঘোষ মারা যান, ক্ষয়ক্ষতিও হয়। তার পর থেকে আর বলি হয়নি। পঞ্চমীতে বোধন শুরু হয়, ষষ্ঠীতে নয়। তার পর অধিবাসের সময় রক্ষা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালান এই বংশের পুরুষ, যে প্রদীপ নেভে না। বিসর্জন হয়ে গেলে পাঠ ভেঙে সেই রক্ষা প্রদীপের থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই প্রদীপের আলোতে ১০৮বার দুর্গা নাম লেখা হয় কলাপাতার ওপর। তার পর চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়, নয়তো তুলসী তলায় দেওয়া হয়। এরপর মুড়ি-মুড়কি, পকান্ন দেওয়া হয় (Ranaghat)।

    দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ

    নবমীর দিন (Durga Puja 2024) থোর ও মোচার ভোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাদা খেলা হয়। রান্না করা ভোগ অষ্টমী দিন দেওয়া হয়। আর অন্য দিনগুলিতে মশলা, চাল ইত্যাদি কাঁচা ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ করা হয়। ওই দিন টাটকা ফুলে পুজো হয় না, বাসি ফুলে পুজো হয়। এই প্রাচীন পুজো দেখতে  দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, পাশাপাশি এখানে পুজো ও অঞ্জলি দেন অনেকে। রানাঘাটের ঘোষবাড়ির পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে (Ranaghat)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি তৈরির রীতি নেই! কেন মানা হয় এই প্রথা?

    Durga Puja 2024: যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি তৈরির রীতি নেই! কেন মানা হয় এই প্রথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতিতাপল্লিকে নিষিদ্ধপল্লি বলা হয়। যৌনপল্লির রাস্তা দিয়ে হাঁটাও অনেকের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ কী আশ্চর্য্য নিয়ম! পতিতাপল্লির মাটি ছাড়া অসম্পূর্ণ বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি (Durga Idol) তৈরির রীতি নেই। যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে এই নিয়ম। জানা যায়, এক সময় ব্রাহ্মণরা নিজে গিয়ে মন্ত্রপাঠ করে মাতৃ নির্মাণের জন্য নিয়ে আসতেন পতিতাপল্লির মাটি। কিন্তু কেন এই প্রথা? এই প্রথার পিছনে নানা যুক্তি রয়েছে শাস্ত্রবিদদের। অনেকেই মনে করেন, একবার কোনও পুরুষ পতিতালয়ে গেলে যৌনকর্মীর বাড়ির দরজায় নিজের সারা জীবনের সঞ্চিত সব পুণ্য বিসর্জন দিয়ে আসেন। শাস্ত্রমতে, সেই কারণেই যৌনপল্লির মাটি হয়ে ওঠে অত্য়ন্ত পবিত্র। আর সেই পবিত্র মাটি দিয়েই গড়া হয় উমাকে।

    মহামায়া ৯ রূপে পূজিত হন এই বিশ্বে (Durga Puja 2024)

    আবার হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, অসুরদলনী দুর্গাকে (Durga Puja 2024) আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরেক রূপ বলে মনে করা হয়। মহামায়া ৯ রূপে পূজিত হন এই বিশ্বে। এই ৯ রূপ হল নর্তকী, কাপালিকা, ধোপানী, নাপিতানী, ব্রাহ্মণী, শূদ্রাণী, গোয়ালিনী, মালিনী ও পতিতা। মহামায়ার এই ৯ রূপ সমাজের নানা জাত, বর্ণের প্রতীক। ঠিকঠাক ভাবে পাঠক যদি এই ৯ রূপ লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, উচ্চ থেকে নিম্ন-সব বর্ণই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই ৯ রূপে। এঁদের মধ্যে মায়ের নবম রূপ ‘পতিতা’, যৌনপল্লির মহিলাদেরই প্রতীক (Durga Idol)। এই কারণেই এমন প্রথার শুরু বলে মনে করেন অনেকে।

    সমগ্র নারীশক্তির প্রতিনিধি দেবী দুর্গা 

    আসলে সমগ্র নারীশক্তির প্রতিনিধি দেবী দুর্গা (Durga Puja 2024। জাতি, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে হিন্দু শক্তির প্রতীক তিনি। যিনি সমাজের অসুর দমন করেন, তিনিই দেবী দুর্গা। তাই অনেকের মতে সকল স্তরের নারী শক্তিকে সম্মান জানাতেই এই প্রথার শুরু হয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share