Tag: Durga Puja

Durga Puja

  • Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া, ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে। দশমীতেই শুরু এখানকার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

    দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা (Durga Puja)

    রায়গঞ্জ থানার ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে। তবে, কত বছরের পুরানো এই পুজো, তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গার পুজো। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সরা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। সবাই যখন মা দুর্গাকে (Durga Puja) নিরঞ্জন করে মুখ ভার করে ঘরে ফেরেন, আমরা তখন মায়ের পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠি।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তা কী বললেন?

    খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা নির্মল বর্মন বলেন, পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দুর্গাপুজোই (Durga Puja) খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহু দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে, আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুরে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছেন গোটা গ্রামের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Ratna Award 2023: ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কার প্রদান করলেন রাজ্যপাল, তালিকায় রয়েছে কোন কোন পুজো?

    Durga Ratna Award 2023: ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কার প্রদান করলেন রাজ্যপাল, তালিকায় রয়েছে কোন কোন পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে রাজ্যের মোট চারটি পুজো কমিটিকে মোট ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের কথা জানাল রাজভবন। এই ঘোষণায় পুরস্কার প্রাপ্ত পুজো কমিটিগুলির মধ্যে উৎসাহ ধরা পড়ল।

    ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কারে কী থাকছে (Durga Ratna Award 2023)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষের বিচারে সেরা চার পুজো কমিটিকে ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। চার কমিটিকে দেওয়া হবে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা এবং সেই সঙ্গে থাকবে রাজবভনের বিশেষ মানপাত্র। এর আগে, সেরা দুর্গা পুজোর কমিটিগুলিকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এবার রাজ্যপালও নির্বাচিত কিছু পুজো কমিটিকে সেরা পুজোর জন্য পুরস্কার স্বরূপ টাকা প্রদান করলেন।

    কোন কোন ক্লাবের পুজো দুর্গা রত্ন পুরস্কার পেল?

    রাজবভন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল আগেই ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো ইমেলের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে মতামত দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আর তার উপর নির্ভর করেই চার পুজো মণ্ডপের নাম পুরস্কারের তালিকায় ঘোষণা করা হল। ‘দুর্গা রত্ন’ সম্মানে ভূষিত চারটি পুজো মণ্ডপ হল—কলকাতার টালা প্রত্যয়, নেতাজি নগর কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধু দল স্পোর্টিং এবং কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব।

    পুজোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তা রাজ্যপালের

    পুজোতে রাজ্যপালকে (Durga Ratna Award 2023) প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করতে দেখা যায়। তিনি শহরের পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করে, রাজ্যবাসীকে দুর্নীতির অসুরের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দেন। অষ্টমীর দিনে সুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোতে গিয়ে অঞ্জলি প্রদান করেন তিনি। মণ্ডপে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আজ মায়ের সামনে আসুন সবাই শপথ গ্রহণ করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সকল হিংসার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্নীতি হল রক্তবীজ এবং হিংসা হল নরকাসুর। মা কালী যেমন রক্তবীজকে বধ করেন, তেমনি মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমন নরকাসুরকে বধ করেন, ঠিক তেমনই হিংসাকে আমাদের বধ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোয় জনজোয়ার কল্যাণীতে, ভিড়ের চাপে ৪ দিন বন্ধ রইল রেল স্টেশন!

    Durga Puja 2023: পুজোয় জনজোয়ার কল্যাণীতে, ভিড়ের চাপে ৪ দিন বন্ধ রইল রেল স্টেশন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের পুজোয় কলকাতার অনেক ক্লাবকে ভিড়ের দিক থেকে টক্কর দিল কল্যাণী (Durga Puja 2023)। সাধারণভাবে শারদীয়া উৎসবের দিনগুলিতে গ্রাম বা শহরতলির মানুষের গন্তব্য হয়ে থাকে শহর কলকাতা। এ বছর ঠিক যেন উল্টো স্রোত দেখা গেল হাওড়া বা শিয়ালদা স্টেশন থেকে। সেখানে কল্যাণীগামী ট্রেনগুলিতে ভিড়ে পা রাখার জায়গা নেই। এমনিতে যে কোনও জায়গায় উৎসবকে (Durga Puja 2023) কেন্দ্র করে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে থাকে ভারতীয় রেল। তা সে কলকাতার দুর্গাপুজো হোক, অথবা নবদ্বীপের রাস কিংবা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে এ বছর কল্যাণীতে এত ভিড় হবে, এটা বোধহয় ভাবতেও পারেনি ভারতীয় রেল। ভিড়ের চাপে জনস্রোতকে লাগাম দিতে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনও ট্রেনকেই দাঁড় করানো হয়নি কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে।

    সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা ‘লুমিনাস’  ক্লাবের পুজোকে কেন্দ্র করে

    কল্যাণীতে সবথেকে বেশি উন্মাদনা ‘লুমিনাস’ ক্লাবের পুজোকে কেন্দ্র করে। দর্শনার্থীদের একাংশের মতে, কলকাতার অনেক বড় ক্লাবকেও ইতিমধ্যে টক্কর দিয়েছে কমবয়সী এই পুজো (Durga Puja 2023)। খাস কলকাতার লোকেরাও ভিড় জমিয়েছেন কল্যাণীর ‘লুমিনাস’-এর পুজো দেখতে। জানা গিয়েছে, কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের কাছে ক্লাব ‘লুমিনাস’-এর পুজো চলতি বছরে একত্রিশে পা দিয়েছে। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোয় এই ক্লাবের থিম চিনের বিলাসবহুল হোটেল ‘গ্রান্ড লিসবোয়া’ মূলত লুমিনাসের আকর্ষণেই গ্রাম-মফস্বলের গন্তব্য তাই কল্যাণী।

    অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু মণ্ডপ তৈরির কাজ

    পুজো মণ্ডপের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন যে চতুর্থীর দিন থেকেই বিপুল জনসমাগম দেখা যাচ্ছে। কলকাতা এবং শহরতলি সমেত দূর দূরান্তের গ্রাম থেকেও সাধারণ দর্শনার্থীরা আসছেন পুজোতে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাব কর্তাদের। এরপরেই স্থানীয় কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তবে তাতে অবশ্য ভিড় ঠেকানো যায়নি। ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে লুমিনাসের মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৫০ কেজি সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে দুর্গাপ্রতিমাকে (Durga Puja 2023)। এক ক্লাব সদস্যের কথায়, ‘‘শুধু নদিয়া জেলা নয়, গোটা রাজ্যের নজর কাড়া আমাদের লক্ষ্য। জেলার পুজোও যে কলকাতার ভিড় টানতে পারে, সেই নজির আমরা তৈরি করেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের ক্লাবের পুজোয় পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের ক্লাবের পুজোয় পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহাঅষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মৈত্রীচক্র ক্লাবে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শাসক বনাম বিরোধীদের লড়াই, প্রত্যেক দিনের অঙ্গ, তাই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে হয়। রাজ্য রাজনীতি নিয়ে শত ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারকে সময় দিতে অষ্টমী থেকে পুজোর কয়েকটা দিন তিনি বালুরঘাটেই থাকবেন বলে জানা গেছে। পুজো সেরে রাজ্যে হিংসামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বার্তা দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। 

    অষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত (Dakshin Dinajpur)

    অষ্টমীর দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীর আগেই স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মজুমদার এবং দুই কন্যা সৃজা ও শ্রীময়ীকে নিয়ে পাড়ার মৈত্রী চক্র ক্লাবে (Dakshin Dinajpur) অঞ্জলি দেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পুজো দিয়ে, রাজ্যের সকলর জন্য অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে, শুভ শক্তি জাগরণের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করলেন।

    কী বলেন সুকান্ত

    বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) পুজো দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সংগঠন দেখার কাজে বিভিন্ন কর্মসূচি করে বাড়িতে সময় দিতে পারি না। তাই পুজোয় এসেছি অঞ্জলি দিতে। সেই সঙ্গে স্ত্রী কন্যাদেরকে কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় দেওয়াটাও প্রয়োজন।” তবে তিনি পরিবার বলতে সমগ্র জেলার তথা রাজ্যেরবাসীর কথা বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অসুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রার্থনা জানাই মা দুর্গার কাছে।” পাশাপাশি রাজ্যপালের বক্তব্যের পালটা কুনাল ঘোষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, “বর্তমানে হিংসা মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ একান্ত প্রয়োজন।”

    পুজো হল জনসংযোগের মাধ্যম

    সুকান্তর বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) পুজোতে অঞ্জলি দেওয়াকে বড় জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হাতে গোনা কয়েকটা মাস পরেই লোকসভার ভোট। এ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের গতবারের থেকে বেশি আসনের প্রত্যাশা। আর তাই রাজনৈতিক প্রচার এবং জনসমর্থন নিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতারা বার বার পরামর্শ দিতে আসছেন রাজ্যে। পুজোর দ্বিতীয়ার দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছেন। আবার সপ্তমীর দিন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকাতায় এসে পুজো দর্শন করেন। সেই সঙ্গে ভিতরে ভিতরে দলকে আরও শক্ত-মজবুত করার বার্তা দেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতির অসুর নিধনের বার্তা নিয়ে বঙ্গবাসীকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: বেহালার ক্লাবের থিম ‘ফুচকা মণ্ডপ’, আর তাতেই বিপত্তি! মণ্ডপের ফুচকা খাচ্ছে দর্শনার্থীরাই

    Durga Puja: বেহালার ক্লাবের থিম ‘ফুচকা মণ্ডপ’, আর তাতেই বিপত্তি! মণ্ডপের ফুচকা খাচ্ছে দর্শনার্থীরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বেহালার নতুন দল ক্লাবের এবারের থিম ‘ফুচকা-মণ্ডপ’। আর তাতেই বিপত্তি। ফুচকা খেয়ে পেট পুজোতে মেতে উঠেছেন দর্শনার্থীরা। পুজো উদ্যোক্তাদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তবে কে কার বারণ শোনে। এই নিয়ে প্রবল শোরগোল পড়েছে বেহালার ‘নতুন দল’ ক্লাবের পুজোকে ঘিরে। সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে কিন্তু কাজে লাগছে না কিছুই।

    ফুচাকার পেট পুজো (Durga Puja)

    ফুচকা একটি লোভনীয় খাবার। আট থেকে আশি সকলেই এই খাবার খেতে পছন্দ করেন। দুর্গা পুজোতে (Durga Puja) প্রত্যেক পুজো মণ্ডপে ফুচকার দোকান অবশ্যই চোখে পড়ে। এবার এই লোভানীয় খাবার দিয়েই গোটা একটা পুজোর আস্ত প্যান্ডেল নির্মাণ করে, রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে বেহালার ‘নতুন দল’। পুজো উদ্যোগতারা ভেবেছিলেন, বাঙালি প্রিয় খাবার দিয়েই এবারের মণ্ডপ সাজিয়ে দর্শনার্থীদের মন জয় করে নেবেন, কিন্তু সপ্তমী থেকেই ‘নতুন দলের’ কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। কারণ, যে ফুচকা দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে, তা আগত দর্শনার্থীরাই খেয়ে ফেলছেন বলে জানা গেছে। মণ্ডপ সজ্জার ফুচকা যদি পেট পুজোয় যায়, তাহলে মণ্ডপের সৌন্দর্য কীভাবে শোভাবর্ধন করবে!

    ফুচাকার মণ্ডপ

    মহালয়ার পর দেবীপক্ষের সূচনার পর, এই নতুন দলের পুজোর উদ্বোধন হয়। এই পুজো মণ্ডপ নির্মাণের শিল্পী হলেন অয়ন সাহা। গোটা পুজো মণ্ডপের প্যান্ডেল হল ফুচকা দিয়ে তৈরি। মণ্ডপের প্রবেশ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত, উপরে নিচে ডানে বামে চতুর্দিকে কেবল ফুচকা আর ফুচকার সমাহার। কিন্তু সপ্তমী থেকেই মণ্ডপে (Durga Puja) সাজানো ফুচকার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।

    ক্লাবের কর্মকর্তার বক্তব্য

    পুজো ক্লাবের (Durga Puja) কর্মকর্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১ লক্ষের বেশি ফুচকা দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। ফুচকা কমবেশি সবাই ভালোবাসেন, আর তাই হাতের কাছে পেয়ে কেউ লোভ সামলাতে পারছেন না। মণ্ডপ থেকেই ফুচকা তুলে নিচ্ছেন। কেউ খাচ্ছেন আবার কেউ সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। মণ্ডপের এই সকল ফুচকা, আসল ফুচকা। ফুচকাকে মুচমুচে রাখতে বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই ফুচকা খেলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    ইতিমধ্যে মাইকে বার বার ঘোষণা করা হচ্ছে যে ‘দয়া করে মণ্ডবের ফুচকায় কেউ হাত দেবেন না, ওই ফুচকায় কেমিক্যাল আছে, খেলে শরীরের বিপদ হতে পারে।’ যদিও স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে মণ্ডপের সুরক্ষার বিষয়টিকে নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে।  

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র অর্থ কষ্টের পাশাপাশি অন্ন কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা ধনলক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি তিথিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরণগ্রামে। সেই পুজো এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিবার আশ্বিন মাসে সংক্রান্তি তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। ফলে, আলাদা করে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। দুর্গাপুজো নয় এই ধনলক্ষ্মী পুজোতেই পাঁচ দিন ধরে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ।

    ধনলক্ষ্মী পুজোতে আর কোন কোন দেবী থাকেন? (Durga Puja) 

    গ্রামের বাসিন্দারা পুজোর (Durga Puja) কদিন একসঙ্গে মিলিত হন। এছাড়াও থাকে নিত্যদিন পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা। প্রতিদিন রাতে লক্ষ্মী মঙ্গল গান অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন লোক সংগীতের আসর, ধনলক্ষ্মী পুজো হলেও রাম লক্ষণ সীতার মূর্তি আর মূল মূর্তি দুপাশে লব, কুশ ও হনুমান প্রতিমা পূজিত হয়। গ্রামের মহিলারা নিজের নিজের বাড়ি থেকে পূর্ণ ঘট অর্থাৎ চাল ভর্তি পূর্ণ ঘট নিয়ে আসেন মূল মণ্ডপে। সেখানেই ওই চাল জমা দিয়ে শূন্য ঘট নিয়ে চলে যান নদীতে। যেখান থেকে ঘট ভর্তি করে নিয়ে এসে দেবীর আবাহন শুরু হয়। এটাই রীতি। 

    লক্ষ্মী পুজো শুরু হওয়ার ইতিহাসে রয়েছে চমক

    গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায় কৃষিভিত্তিক এই গ্রামে এক সময় অনটন দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখান থেকেই মুক্তি পেতে প্রায় ৮০ বছর আগে এই গ্রামের পূর্বপুরুষেরা দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন। যে রীতি রেওয়াজ মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল, সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ভগবানের আশীর্বাদে আর তাদের কোন আর্থিক সমস্যা নেই। বরং আগের থেকে গ্রাম উন্নত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে, আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে ধনলক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে। বেড়েছে জাঁকজমকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। কলকাতা শহরের বেশ কিছু দুর্গা পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন। সূত্রের খবর, এই বাংলার জামাই শহরের তিনটি পুজোতে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন। তিনটির মধ্যে দুটি জানা গেছে, যার একটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার দুর্গা পুজো এবং আরেকটি সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো। তাই বঙ্গ বিজেপির মধ্যে তাঁর আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।  

    পুজোতে শহরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি (JP Nadda)

    অমিত শাহের কলকাতা ঘুরে যাওয়ার পর, জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কলকাতা আসার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে, বাংলার বিজেপি নেতাদের বিশেষ বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে পুজো এবং অপর দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনকে সামনে রেখে, রাজ্য বিজেপিও জনসংযোগের করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

    পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ

    পুজোর দ্বিতীয়ার দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা পুজোতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, কিন্তু কলকাতাবাসীরা বাংলায়, দুর্গাপুজোতেই রামমন্দির নির্মাণ করে উদ্বোধন করে ফেলেছেন। সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আজকের দিনে কোনও রাজনীতির আলোচনা করবো না। বাংলা, দুর্নীতি থেকে মুক্তি লাভ করুক এটাই মায়ের কাছে কামনা করি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলায় বার বার আসবো এবং বাংলার রাজনীতির সমস্যা নিয়ে কথাও বলবো। বাংলার পরিবর্তন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।” এবার আসবেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) তাই রাজ্য বিজেপির মধ্যে প্রস্তুতির ব্যস্ততা চলছে ব্যাপক ভাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: আজ মহাষষ্ঠী, জানুন মাতা কাত্যায়নী কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    Navaratri 2023: আজ মহাষষ্ঠী, জানুন মাতা কাত্যায়নী কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্যঘেরা এক ঋষির আশ্রম। ‘কাত্য’ গোত্রধারী ওই ঋষির নাম কাত্যায়ন (Navaratri 2023)। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে, ‘‘যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে, তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন।’’ বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয়  অষ্টাদশভূজা এক নারী মূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী। নবরাত্রির (Navaratri 2023) মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শনচক্র,অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তিরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী গেলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দু’জন চর দেবীকে দেখে, মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ মহিষাসুর,দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, ‘‘তাঁকে লাভ করার পূর্বে যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে।’’ শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের উপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাঁকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে (Navaratri 2023) কেন্দ্র করেই প্রতি বছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যহ মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী, দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি করেন। রম্ভাপুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ মেলে তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কণ্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্য’-এ মাতা কাত্যায়নীর দিব্যলীলার বর্ণনা রয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর (Navaratri 2023) লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে, এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করত। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলত। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরি করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তিতে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন মাতা কাত্যায়নী

    মাতা কাত্যায়নীর এই স্বরূপ শৌর্য, তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে (Navaratri 2023) মায়ের উদ্দেশে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে জীবন কাটিয়ে, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ কী জিনিস, তা ভুলেই গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিধানপল্লি গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর দিনগুলিতে যখন আপামর বাঙালি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে,পুজোর ক’টা দিন ঘরে বসেই দিন কাটে গ্রামবাসীদের।

    কেন এই অবস্থা এই গ্রামের? (Durga Puja)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামটিতে বসতি গড়ে উঠেছিল ১৯৪৯ সালে। এককালে ছোট নদীটি পারাপারের জন্য কাঠের সেতু ছিল একটি। কিন্তু, পরে তা ভেঙে যায়। কয়েক বছর আগে নতুন করে একটি কাঠের সাঁকো বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন চাষের ক্ষেতের পাশ দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটারের আল পথ ধরে হেঁটে গিয়েই তাঁদের রাস্তায় উঠতে হয়। মূলত যোগাযোগের কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন এই গ্রাম। গ্রামে ঢোকা ও বেরনোর জন্য একটি মূল রাস্তা আছে। কিন্তু, সেখানেও প্রায় দেড় কিলোমিটার জমির আল পথ পেরোতে হয়। এরপর একটা ছোট্ট নদী, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে কাঁদর। সেই ছোট নদী পেরিয়ে, তারপর বড় রাস্তা। নদী পারাপার করার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা। অল্প কিছু ছোট ছোট ডিঙি আছে। সেগুলিও আবার নিজস্ব মালিকানাধীন। মালিকদের অনুরোধ করলে, নদী পার করে দেয়। যোগাযোগের এই সমস্যার কারণেই গ্রামে দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে না। দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গ্রামে ঢোকার ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলেই বঞ্চিত পুজোর (Durga Puja) আনন্দ থেকে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ এই গ্রামে হয় না। প্রতিমা নিয়ে আসার মতো অবস্থা নেই। ফলে, গ্রামে কোনও পুজো হয় না। এত বছর কেটে গিয়েছে, যোগাযোগ ঠিক করার বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। তাঁদের আমাদের গ্রামে আলাদা করে পুজোর আনন্দ নেই।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীর উপরে যে সাঁকোটি ছিল, সেটিও নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির উদ্যোগে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সারাদেশে। পুজোর আগেই এই রাজ্যের কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ির অন্যতম প্রধান জাতীয় সড়ক ৩৪ নম্বর সম্প্রসারণের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন। আর তার ফলে মহালয়ার দিনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে শহরের যানজট কমাতে বাইপাস খুলে দেওয়া হল। রাস্তা সম্পূর্ণ না হলেও একটা অংশ খুলে উদ্বোধন করলেন এলাকার সাংসদ। পুজোর আগে বহরমপুরবাসীর কাছে এক আনন্দের খবর। এলাকাবাসী বলছেন, যানজটের কবল থেকে শহরের মানুষ অনেকটাই মুক্তি পাবে।

    খোলা হল বহরমপুর বাইপাস (Murshidabad)

    উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের মধ্যপথ দিয়ে গিয়েছে। শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। তাই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মানের মধ্যে দিয়ে বহরমপুর শহরের বাইরে দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা করা হয়। যদিও, এখনও জাতীয় সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু এই উৎসবের মরশুমে শহরবাসী তথা সারা বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবং অধীর চৌধুরীর অনুরোধে জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পুজোর কিছুদিন সাময়িক ভাবে বাইপাস খোলা হল। রাস্তা চালু হওয়ায় উপকৃত হলেন অগণিত মানুষ।

    বাইপাসের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ বছর আগে বহরমপুর বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমিজট এবং নানা জটিলতা মিটিয়ে শেষ হওয়ার পথে। বাইপাস সড়কটি সারগাছি থেকে বহরমপুরের দিকে এসে, বলরামপুর থেকে মানকরা হয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে বাসুদেবখালি হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের পশ্চিম দিক দিয়ে ফতেপুরের কাজ পর্যন্ত, প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত দপ্তর। এই দপ্তরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী বহরমপুর বাইপাসের কাজ শুরু হওয়ার বরাত দেন।

    সাংসদের বক্তব্য

    সাংসদ (Murshidabad) অধীর চৌধুরী নিজেই, ওই রাস্তায় নিজের সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেল চালালেন এবং সেই সঙ্গে বাইকে হাত ছেড়ে সোজা হয়ে একপ্রকার চমক দেখালেন। আজ বলেন তিনি, “পুজোর আগে বহরমপুরকে যানজট মুক্ত করা আমার লক্ষ্য, সেজন্য আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিনজির কাছে গিয়েছিলাম এবং সরকারি আধিকারিক, ঠিকাদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, আজ মহালয়ার দিনে খুলে দেওয়া হল নতুন বাইপাস ও দ্বিতীয় সেতু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share