Tag: Durga Puja

Durga Puja

  • Navaratri 2023: মহাচতুর্থীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: মহাচতুর্থীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণে কথিত আছে, হাসির দ্বারা তিনি এ জগৎ বা বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁকেই জগজ্জননী মানেন ভক্তরা। তিনিই সূর্যের তেজ স্বরূপা। তিনিই আসুরিক শক্তির বিনাশক। নবরাত্রির চতুর্থীতে (Navaratri 2023) ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হন দেবী কুষ্মাণ্ডা।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান  

    পুরাণ অনুযায়ী, এ বিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, প্রাণের স্পন্দন যখন কোথাও ছিল না, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই ছিল ন, তখন এক মহাজাগতিক দৈব আলোকরশ্মি ক্রমশ নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। দৈব ক্ষমতার অধিকারী, জগতের সৃষ্টিকর্ত্রী এই নারী মাতা কুষ্মাণ্ডা নামে পরিচিত। মহাবিশ্বে প্রাণের উৎস, শক্তির উৎস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথের সৃষ্টিকর্ত্রী তিনি (Navaratri 2023)‌। তিনি সূর্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেন। দিন ও রাত্রি তাঁর জন্যই হয়। জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের গতি তাঁর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মনে করেন ভক্তরা।

    কুষ্মাণ্ডা শব্দের অর্থ জানেন?

    সৌরমণ্ডলকে পরিচালিত করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা (Navaratri 2023)। তাঁর মুখমণ্ডল সূর্যের মতোই দীপ্তিমান, তেজোদীপ্ত। পণ্ডিতমহলের মতে, ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই দুঃখ। দেবী জগতের সমস্ত দুঃখ এবং কষ্ট হরণ করে নিজের উদরে ধারণ করেন বলে তাঁর নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’ মনে করা হয়। দেবাদিদেব মহাদেব যেমন সমুদ্র মন্থনের সময় সমস্ত বিষ নিজের শরীরে ধারণ করে দেবতাদের রক্ষা করেছিলেন, একই ভাবে মাতা কুষ্মাণ্ডা এ জগতের সকল অশুভ প্রভাব, দুঃখ, কষ্ট, রোগ, যন্ত্রণা, পীড়াকে হরণ করে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার বিবরণ

    ভক্তরা মনে করেন, যখন এ বিশ্বে অসুরদের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল, তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। দেবী সিংহে সওয়ার। তিনি অষ্টভূজা। আটটি হাত সাজানো রয়েছে অস্ত্র তথা অন্যান্য সামগ্রী দ্বারা। চারটি হাতে রয়েছে-চক্র, গদা, তির ও ধনুক। অন্য চারটি হাতে রয়েছে জপমালা, পদ্ম, কলস এবং কমণ্ডলু। দেবীর হাতে অস্ত্র ছাড়াও দুটো পাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। একটিতে থাকে অমৃত ও অপরটিতে থাকে রক্ত। অর্থাৎ দেবী কুষ্মাণ্ডার এক হাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস। দেবীর বাহন সিংহকে ধর্মের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ধর্মের স্থাপন (Navaratri 2023) এবং ধর্মকে বহন করে মাতা কুষ্মাণ্ডার সিংহ।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন দেবী কুষ্মাণ্ডা 

    মাতা কুষ্মাণ্ডার সামনে কুমড়ো বলির প্রথা চালু আছে। দেবী কুষ্মাণ্ডার ভক্তরা মায়ের উদ্দেশে যে সব সামগ্রী নিবেদন বা অর্পণ করে থাকেন, সেগুলি হল-সিঁদুর, কাজল, চুড়ি, বিন্দি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, গলার মালা, লাল চুনরি ইত্যাদি। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা কুষ্মাণ্ডাকে মালপোয়া, দই থেকে তৈরি যে কোনও পদ এবং হালুয়া নৈবেদ্যতে ভক্তিপূর্বক অর্পণ করলে মাতা প্রসন্ন হন। তিনি তাঁর ভক্তদের জীবনকে সুখী, শান্তি, সমৃদ্ধি, যশ, আয়ু দ্বারা পরিপূর্ণ করে তোলেন। ভক্তদের ব্রহ্ম জ্ঞানও তিনিই দান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশফুলের মাথা দোলানো, শরতের আকাশ -পুজোর আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়। মহামায়ার আরাধনায় মেতে থাকে আপামর বাঙালি। কিন্তু, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) স্থায়ীত্ব যদি একদিন হয়? ভাবলেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে, শুনতে অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। এই বংলাতেই হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে বোধনের দিনেই বেজে ওঠে নবমীর নিষ্ঠুর সুর। পিতৃপক্ষের অন্তিমক্ষণে একদিনের জন্য বাড়ি আসেন উমা। পুজো নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাড়ি দেন কৈলাসের পথে।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো? (Durga Puja)

    পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুর ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে সত্তোরের দশকে আসাম থেকে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক মহারাজ আসেন। তিনি মহালয়ার দিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর (Durga Puja) সূচনা করেন। শুরু হয় একদিনের দুর্গাপুজো। মহালয়ার দিনেই পুজো নেন দেবী মহামায়া। কুমারীরূপে পুজো করা হয় দেবীকে। একদিনের পুজো শেষে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এখানে দেবী অসুরবিনাশিনি রূপে দেখা দেন না। দুই সখা, জয়া-বিজয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন পার্বতী। জয়া-বিজয়ার সঙ্গে দেবী দুর্গার মূর্তি সচরাচর দেখা মেলে না এই বাংলায়। তবে এই ধরণের মূর্তির পুজো, বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে বাংলাদেশে। অনেকের ধারণা, আসামের বাসিন্দা তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে নিবিড় যোগযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেই কারণে বাংলার গ্রামে অসুর মর্দিনী রূপে দুর্গা পুজো না করে, কুমারী মহামায়ার মূর্তি আরাধনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি।তেজানন্দ মহারাজের চালু করা নিময় মেনে এখনও ধেনুয়া গ্রামে হচ্ছে একদিনের দুর্গাপুজো। তবে এখন পুজো পরিচালনার সব দায়িত্ব রয়েছে গৌরী কেদারনাথ মন্দির কমিটির হাতে। ২০০৩ সাল থেকে এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা। ধেনুয়া গ্রামে কুমারী মহামায়ার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। যুগলমন্ত্র জানা কোনও পুরোহিত এই পুজো করেন। এই মন্দিরে পশুবলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    পুজোয় মেতে ওঠেন গোটা গ্রামবাসী

    কুমারী দুর্গা পুজোর (Durga Puja) জন্য আগে বিশেষ নিয়ম চালু ছিল ধেনুয়া গ্রামে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ২১ জন কুমারী মেয়েকে নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করত। তবে, সেই নিয়মে কিছুটা ভাটা পড়েছে এখন। যদিও পূর্বনির্ধারিত সব রীতি রেওয়াজ মেনে হয় ধেনুয়া গ্রামের একদিনের দুর্গাপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। পাশাপাশি, দূরদূরান্ত থেকে এই পুজো দেখতে ছুটে আসেন অনেকে। বাইরের মানুষের কাছে মহালয়ার এই দুর্গাপুজো বোনাস হলেও, স্থানীয়দের কাছে দেবীর দ্রুত গমন কিছুট মনখারাপের সাক্ষী হয়েই থাকে। দেবীর একদিন পরেই কৈলাস প্রস্থানের জন্য, মনঃকষ্টে ভোগেন গ্রামের মানুষ। পুজোর দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন সকলে। তবে, দেবীপক্ষের সূচনার দিনে দেবীর প্রস্থান কাঁদিয়ে যায় ধেনুয়া গ্রামের মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কাজে গিয়ে সিকিমে নিখোঁজ ৫ শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় বন্ধ গ্রামের দুর্গাপুজো

    Dakshin Dinajpur: কাজে গিয়ে সিকিমে নিখোঁজ ৫ শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় বন্ধ গ্রামের দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর সিকিমের একেবারে চিন সীমান্তে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজে গিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) পাঁচজন শ্রমিক এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। উৎকণ্ঠায় ওই পরিবারগুলিতে উনুন পর্যন্ত জ্বলছে না। তাই পুরো গ্রাম ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে চেয়ে, এবারে গ্রামের দুর্গাপুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এবারে পুজো নেই বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম কৃষ্ণপুরে।

    বন্ধ দুর্গা পুজো

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের ভেরেন্ডা মোড় হয়ে বোল্লা যাওয়ার পকেট রুট ধরে এগিয়ে যাওয়ার পর, একেবারে ফাঁকা মাঠের মাঝখান দিয়ে ঢালাই রাস্তা চলে গিয়েছে, একেবারে দ্বীপের মতো পশ্চিম কৃষ্ণপুর গ্রামে। ছোট্ট ওই গ্রামে প্রতিটি বাড়ি যেন একে অপরের সাথে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বারোয়ারি কমিটির মাধ্যমে লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতীপুজো, কালীপুজো, দুর্গাপুজোয় একসাথে ওই গ্রামের মানুষ আনন্দ করে। প্রথমে, এবারের দুর্গাপুজো ছোট করে হলেও গ্রামের সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে আয়োজন করবে বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু আচমকা সিকিমের বন্যা যেন তাঁদের সব আয়োজন লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। একই গ্রামের পাঁচ জন শ্রমিক, সিকিমের ভয়াবহ বন্যার দিনের পর থেকে নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন। আর তাঁদের দুশ্চিন্তায় পরিবারদের খাওয়-দাওয়া প্রায় উবে গিয়েছে। সেই সঙ্গে চরম উৎকণ্ঠায় গোটা গ্রাম।

    উৎকণ্ঠায় পরিবার

    এদিন গ্রামে (Dakshin Dinajpur) গিয়ে দেখা গেল, গৃহবধূ সুজাতা বেসরার এক বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর স্বামী বোদন সরেন ও ছেলে বিক্রম সরেন একসাথে কাজে গিয়ে ছিলেন সিকিমে। দুজনেই বর্তমানে নিখোঁজ। দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    সুজাতার দিদি ছবি বেসরা বলেন, “আমাদের বাড়িতে উনুন জ্বলছে না কয়েকদিন ধরে। রাতে ঘুমায় না কেউ। শুধু কান্না করে করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সকলে। কিছুতেই ওঁদের বোঝানো যাচ্ছেনা। আমার একমাত্র যুবক ছেলে নয়ন মার্ডিও নিখোঁজ। তার বাবা বিষন মার্ডি যেন পাগল হয়ে গিয়েছেন।”

    ৮ মাসের গর্ভবতী শিউলি সরেনর স্বামী জয়ন্ত মূর্মুও নিখোঁজের। তিনি ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি রওনা হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামীর খোঁজে। আবার পাশের বাড়ির সুজয় টুডুও নিখোঁজ। সুজয়ের স্ত্রী আরবিন সরেনও শিলিগুড়ি গিয়েছেন। গ্রামের প্রায় সব পরিবারেই উৎকণ্ঠা। ওই নিখোঁজরা ভালোভাবে ফিরে আসুন, এটাই চায় সকলে।

    দুশ্চিন্তার মধ্যে পুজো কীভাবে সম্ভব?

    গ্রামের (Dakshin Dinajpur) একমাত্র সরকারী কর্মী বাবলু সরেন বলেন, “গত সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার ২৭ জন শ্রমিক একসাথে শিলিগুড়ির এক ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে উত্তর সিকিমের জিরো পয়েন্ট এলাকায় কাজে গেছিল। তাঁদের সেখানে ভারতীয় সেনার হয়ে চীন সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণের কাজ করানো হচ্ছিল। গত ৪ অক্টোবর সিকিমের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে সকল শ্রমিকরা নিখোঁজ। এর মধ্যে আমাদের গ্রামের পাঁচজন রয়েছেন। এই প্রতিটি পরিবারই প্রবল দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা গ্রামবাসীরা সকলেই তাঁদের পাশে রয়েছি। তাই এবারে আমরা পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি ষষ্ঠির আগের দিনও সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরে আসে, তাহলে আমরা ফের দুর্গাপুজোয় ঝাপিয়ে পড়ব। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে পুজো করা কি সম্ভব?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বঙ্গ থেকে পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে বিদেশে। তবে, তাদের চাষ করা পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে যেমন গর্বিত পদ্মচাষিরা। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে পদ্মচাষে ক্ষতিও হয়েছে এবছর। মিলছে না ন্যায্য মজুরি, আক্ষেপ পদ্মচাষি থেকে মহাজন সকলের।

    বীরভূম (Birbhum)  থেকে কোন কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছে পদ্ম?

    গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূমও (Birbhum) পদ্ম চাষের অনুকূল। আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম পদ্ম ফুল। বীরভূমের আহমদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে এবার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও। এখান থেকে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই প্রভৃতি জায়গায় পদ্ম যাচ্ছে। এমনকী, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও মেট্রো শহরগুলি পদ্ম ফুল যায় বীরভূমের আহমদপুর থেকে।

    বিদেশে একটি পদ্মের কত দাম?

    তবে, এবার দুর্গাপুজোয় এখান থেকে পদ্ম যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম চাষিরা। পাশাপাশি তাদের আক্ষেপ, এবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে পদ্ম চাষে। তাই পদ্ম বিদেশে গেলেও সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছেন মজুতদারেরা। আর মুনাফা পাচ্ছেন না পদ্ম চাষিরা। এক একটি পদ্ম ফুল মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কেনেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম তারা দোকানে দেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। দোকান থেকে এই বাংলায় এক একটি পদ্ম ফুল বিক্রি হয় ৭ থেকে ১০ টাকায়। বাংলার বাইরে মেট্রো শহরগুলিতে এক একটি পদ্মের দাম হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ টাকা। আর বিদেশে পাড়ি দিলেই সেই পদ্ম ২ থেকে ৫ ডলারে বিক্রি হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

    পদ্মচাষিদের কী বক্তব্য?

    পদ্মচাষি ও মহাজনেরা বলেন, বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুর থেকে প্রতি বছরই দূরে দূরে পদ্ম ফুল পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোয় পদ্ম যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্গাপুজোয় পদ্ম পাড়ি দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম যাচ্ছে। আর আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল ভূটানে পদ্ম যাচ্ছে। তবে, বাংলা থেকে বিদেশে পদ্ম পাড়ি দিলেও আমাদের মতো ফুল চাষিরা থাকেন সেই তিমিরেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছিল নর্থ-ইস্ট মেট্রো (Metro Service) পরিষেবার সময়সীমা। এবার বাড়ানো হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও। পুজোর তিনদিন দুপুর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা।

    মোট ৭২টি ট্রেন চলবে

    মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রতিদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩৬টি করে মোট ৭২টি ট্রেন চলবে। এই দিনগুলিতে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সেক্টর ফাইভগামী মেট্রো ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী শেষ মেট্রো রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। প্রথম মেট্রো থেকে শেষ মেট্রো দু’দিকেই ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর।

    বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি

    মেট্রোরেলের (Metro Service) তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর তিনদিন ৭২টি করে ট্রেন চললেও, বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি। ওই দিন দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। পুজোর তিনদিনের মতো বিজয়া দশমীতেও প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১২টায়। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ থেকে সল্টলেকগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে ৭টা ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহের দিকের শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। তবে পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    এদিকে, রবিবার মেট্রোর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে পেপার বেসড কিউআর কোডযুক্ত টিকিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। আগামী ১১ তারিখ এই করিডরের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চালু হবে নয়া এই টিকিট। এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ সফল হবে এই করিডরের সম্পূর্ণ অংশেই ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে টোকেন। পরিবর্তে পুরো ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরেই চালু করা হবে পেপার বেসড কিউআইর কোড যুক্ত টিকিট। তবে পরীক্ষামূলক পর্বে কাগজের টিকিটের পাশাপাশি চালু রাখা হবে টোকেনও।

    প্রসঙ্গত, বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে সাম্প্রতিক কালে তৎপর হয়েছে মেট্রো (Metro Service) কর্তৃপক্ষ। বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে এবার মেট্রোয় উঠছেন টিকিট পরীক্ষকও। সেই অভিযানে ধরা পড়েছে একের পর এক যাত্রী। অভিযোগ, এই যাত্রীর কম দূরত্বের ভাড়ার টোকেন কিনে বেশি দূরত্বে যাত্রা করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: সামনেই পুজো, বৃষ্টি থামছে না! প্রতিকূল আবহাওয়ায় চরম বিপাকে মৃৎশিল্পীরা

    Asansol: সামনেই পুজো, বৃষ্টি থামছে না! প্রতিকূল আবহাওয়ায় চরম বিপাকে মৃৎশিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন ধরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন আসানসোলের (Asansol) কুমোরটুলির পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো, তার আগে রয়েছে গণেশ পুজো ও বিশ্বকর্মা পুজো। তাই বাজারের চাহিদা মেনে আসানসোলের মহিশিলা কলোনিতে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা এখন চরমে। যদিও তাঁদের প্রতিমা তৈরি ও তুলির টানে প্রতিবন্ধকতা শুরু করেছে নিদারুণ আবহাওয়া।

    মৃৎশিল্পীদের প্রতিবন্ধকতা কেমন (Asansol)?

    স্থানীয় (Asansol) সূত্রে জানা গেছে, একদিকে মূর্তি তৈরির কাঁচামালের ক্রমশ মূল্যবৃদ্ধি, অপরদিকে টানা দু-তিনদিনের মেঘলা আবহাওয়া ও বৃষ্টির জেরে, প্রতিমার কিছু অর্ডার বাতিল করতে হয়েছে। মহিশিলা কুমারটুলির মৃৎশিল্পী হরিরঞ্জন পাল বলেন, বর্তমানে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠাকুর গড়ার ক্ষেত্রে বাইরে থেকে চড়া দামে মাটি নিয়ে আসতে হচ্ছে। তার উপর বর্ষার কারণে বাইরে প্রতিমা রাখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। একদিকে রয়েছে ঠিক সময়ে প্রতিমা গুলি তৈরি করে দেওয়ার চাপ। আবার অন্যদিকে বর্ষণের জেরে কাজে বিড়ম্বনা। সবটা মিলে এক প্রকার সমস্যার মধ্যেই পড়েছেন এই মৃৎশিল্পীরা।

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Asansol) এক মৃৎশিল্পী গীতা রুদ্র পাল জানিয়েছেন, এই বছর খারাপ আবহাওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়েছি আমরা। বৃষ্টির জন্য ঠাকুর বাইরে বের করে রৌদ্রে দিতে পারছি না। তাছাড়া ঠাকুরের নতুন বায়না নিতে ভয় লাগছে। কারণ বৃষ্টিতে মাটি ভেজা থাকলে, ঠিক করে মাটি শুকনো না হলে, সময়ে তৈরি করা সম্ভব হবে না মূর্তি। তাছাড়া আগের থেকে ঠাকুরের দাম ঠিক ভাবে মিলছে না এই বছরে। মাটির তৈরি মূর্তির দাম কম দিতে চায় সকলে। তিনি আরও বলেন, বাঁশের দাম অনেক বেশি। ডায়মন্ড হারবার, কালনা থেকে গাড়িতে করে মাটি আনাতে হচ্ছে। এক গাড়ি মাটির দাম প্রায় ৩০ হাজার টাকা। অথচ প্রতিমার দাম সেই ভাবে মেলে না। তাই তিনি বলেন, সবটা মিলিয়ে সমস্যার মধ্যেই রয়েছি। সরকারের কাছে কিছু সাহায্যের জন্য আবেদন করব ভাবছি।

    সমস্যার মধ্যেও রোজগারের আশা

    আসানসোল (Asansol) শহরের বাজারগুলিতে বিভিন্ন পুজোর সময় চাহিদা অনুযায়ী ঠাকুরের জোগান দিয়ে থাকেন আসানসোল কুমারটুলির এই মৃৎশিল্পীরা। এবারের এই বর্ষণের জেরে প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা অনেকটাই সমস্যা তৈরি করেছে। তবে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েও উৎসবকে সামনে রেখে, রোজগারের পথ দেখছেন আসানসোলের মহিশিলা কলোনির কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরই তাঁর তৈরি দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেয়। এই বছর তাঁর তৈরি ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা নদিয়া (Nadia) থেকে পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। দেশের মূর্তি বিদেশের মাটিতে পূজিত হবে, এটা ভেবেই আপ্লুত জেলাবাসী।

    কীভাবে প্যারিসে যাবে ফাইবারের মূর্তি (Nadia)?  

    নদিয়ার (Nadia) চাকদার মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী। ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রতিমার মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। প্রথমে মাটি দিয়ে বিভিন্ন পূজোর ঠাকুর তৈরি করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর হাতের সুন্দর কারুকার্য দেখে হঠাৎ করে বিদেশ থেকে কাজের অর্ডার আসতে শুরু করে। মাটির তৈরি মূর্তি ওজনে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে মজবুতের দিক থেকে কিছুটা দুর্বল। সেই কারণে মাটির তৈরি মূর্তি বিদেশে নিয়ে যেতে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়। তাই তিনি বর্তমানে ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। এবার সেই ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। এর আগেও অনুপ গোস্বামীর তৈরি মূর্তি অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে পাড়ি দিয়েছে।

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী (Nadia) জানান, কখনও জাহাজে কখনও ফ্লাইটে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু বাঙালিরা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে, সেই কারণে দুর্গা পুজো বিদেশেও কমবেশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে শিল্পীদের। লাভের মূল্য আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে জানান তিনি। তাঁর তৈরি করা মূর্তি গতব ছর বাহারিন, প্যারিস এবং চিলিতে গিয়েছিল। সেখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বছর দুর্গা মূর্তি যাবে প্যারিসে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু দুর্গা প্রতিমা নয়, বিভিন্ন মুনিঋষির মূর্তি তৈরি করে থাকেন। তাঁর তৈরি মূর্তি অন্যান্য রাজ্য সহ দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রোঞ্জ,পাথর এবং ফাইবার দিয়ে মূর্তি তৈরি করে থাকেন তিনি। এই বছর রথযাত্রার পরেই বিদেশ থেকে বিশেষ অর্ডার দেওয়া হয়। এই মূর্তি তৈরি করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। তিনি মূর্তি তৈরি প্রসঙ্গে আরও বলেন, প্রথমে সব মূর্তি মাটির তৈরি হয়, এরপর হলোকাস্টিং করে ফাইবারের ছাঁচে তৈরি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন বাতিল দু’ মাসের জন্য! কেন জানেন?

    Toy Train: এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন বাতিল দু’ মাসের জন্য! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনজেপি রেল স্টেশনে নেমে টয় ট্রেনে (Toy Train) চেপে দার্জিলিং যাবেন? আপাতত এমন ট্যুর প্রোগ্রাম থেকে বিরত থাকুন। কেননা এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ওই ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। তবে বরাবরের জন্য নয়। দু’ মাসের জন্য এই রুটে টয় ট্রেন পরিষেবা বাতিল করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।

    কেন টয় ট্রেন (Toy Train) বাতিলের সিদ্ধান্ত?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনে (Toy Train) যাত্রী না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আগামী ২ অগাস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর আগে ২০ জুলাই থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের ট্রয় ট্রেনের চারটি জয় রাইড বাতিল করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। বর্ষার জন্য আগেই দার্জিলিংয়ে চারটি জয় রাইড ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাতিল করা হয়।

    পুজোর পর্যটন নিয়ে চিন্তার কারণ নেই

    এভাবে পর পর টয় ট্রেন (Toy Train) বাতিলের খবরে পর্যটকরা চিন্তিত হতেই পারেন, পুজোর সময় টয় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে না তো? তবে এ ধরনের আশঙ্কার কোনও জায়গা নেই। টয় ট্রেন এখন লাভজনক। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। মোট ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার সময় প্রত্যেক বছরই পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামে। এই ধসের কারণে টয় ট্রেনের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার ক্রমাগত বৃষ্টি ও ধসের কারণে টয় ট্রেনের লাইনের তলার মাটি ও পাথর কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সে কারণে ঝুঁকি এড়াতে এবং লাইনের উপর চাপ কমাতে চারটি জয় রাইড বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার রেলের আর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুজোর পর্যটন মরশুমের প্রস্তুতির জন্য এই সিদ্ধান্ত। কেননা বর্ষার সময় পাহাড়ে পর্যটক সংখ্যা অনেক কম থাকে। ফলে টয় ট্রেনের চাহিদাও কমে যায়। সেই হিসেব করে এই সময়টা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টয় ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজারের বেশি দোকান। পুজোর আগে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মাথায় হাত হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, দর্জি ও অন্যান্য কারিগরদের। তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না, কী ভাবে এই ক্ষতি পূরণ করবেন।

    পুজো এলেই বাড়ে ব্যস্ততা (Mangla Haat)

    হাওড়ায় ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা রঙের পোশাক। দিন-রাত কাজ করে চলেছেন দর্জি, কারিগররা। হাওড়ার বাঁকড়া, উনসানি, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও উলুবেড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি দেখা যায় এই ছবি। পুজো এলে তাঁদের বাড়ে ব্যস্ততা। হাওড়ার মঙ্গলাহাটে (Mangla Haat) যে পোশাক আসে, তা তৈরির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। বড় বড় দোকান থেকে কাপড় এনে তৈরি হয় জামা-প্যান্ট, সালওয়ার, ফ্রক। কেউ পোশাকে ডিজাইন করেন, কেউ কাপড় কাটেন, কেউ সেলাই করেন, আবার কেউ জামায় বোতাম বসান। অনেকে আবার প্যাকিংয়ের কাজ করেন। এটাই একমাত্র উপার্জনের পথ। তাই রুটি-রুজির টানে পুরুষদের সঙ্গে হাত লাগান বাড়ির মহিলারাও।

    কী বলছেন ব্যবসায়ী এবং কারিগররা (Mangla Haat)

    মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে রাতের ঘুম উড়েছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। এরকমই এক ব্যবসায়ী শ্যামসুদ্দিন পিয়াদা বলেন, আমরা কী ভাবে সংসার চালাব, ভেবে পাচ্ছি না। পুজোর জন্য অনেক মাল তৈরি হয়ে গেছে। এত কাজ হয়ে গেছে, এদের পয়সা কী করে দেব, মাল বেচব কী করে, সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। তিনি বলেন, তাঁর ৪০ বছরের পুরনো দোকান (Mangla Haat)। এখানে ১৫-১৬ জন দর্জি আছে। এখন মাল বিক্রি না হলে তাঁদের বেতন দেব কী ভাবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। দর্জি কারিগর শেখ হাবিব বলেন, ‘কী করে চলবে আমাদের? কী করে খাব? ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২-৩ জন ওস্তাগারে কাজ করি। হাওড়া হাটে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, এখন তাঁদের মাল বিক্রি হচ্ছে না। খুব চিন্তায় পড়ে গেছি কী করব, কোথায় মাল বিক্রি করব।

    সবাই তাকিয়ে সরকারের দিকে

    বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেছে মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। হাট আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, জানা নেই কারও। সামনে পুজো। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দিকে তাকিয়ে ব্য়বসায়ী, দর্জি ও কারিগররা। দর্জিমিস্ত্রি সাহেব আলি পিয়াদা বলেন, এই মাল তাঁদের  হাটে যায় প্রতি সপ্তাহে। হাট পুড়ে গেছে। মাল আর হাটে যাবে না। ওস্তাগর আমাদের পয়সা দিতে পারবেন না। এই করে আমরা খাই। কী করে আমাদের সংসার চলবে। ওস্তাগররা এখন কিছু বলছে না। দিদি তো গিয়েছিল দেখলাম। দিদির উপর আশা আছে।

    পুজো আসছে। এই সময় ঘরে ঘরে কাজ যখন বাড়ার কথা, তখন অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। পুজোর আগে কবে আবার আগের ছন্দে ফিরবে মঙ্গলাহাট, সেই অপেক্ষায় সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! কীসে আসছেন দেবী? গমনই বা কীসে?

    Durga Puja: দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! কীসে আসছেন দেবী? গমনই বা কীসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রথের দিন থেকেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja) প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সেদিন কাঠামো পুজো হয়। কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু জনপ্রিয় পুজোতে খুঁটি পুজোর কাজও সম্পন্ন হয় সেদিন। এবারের দুর্গাপুজোর মহালয়া ১৪ অক্টোবর। সেসময় প্রকৃতি সাজবে নতুন ভাবে। কাশফুলে ভরে যাবে চারিদিক। প্রকৃতি জানান দেবে ‘মা আসছেন’।

    ২০২৩ সালে দেবীর আগমন ও গমন কীসে হবে? এর ফলাফলই বা কী?

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেবী দুর্গার আগমন হবে ঘোড়ায়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘোড়ায় আগমন খুব একটা শুভ বার্তা দেয় না। পঞ্জিকা অনুসারে ঘোড়ায় আগমন ‘ছত্রভঙ্গ’এর প্রতীক। ফলে দেবীর আগমন কালে ধ্বংস ও অস্থিরতার বার্তা রয়েছে। আবার মা উমার (Durga Puja) গমনও হবে ঘোড়ায়। অর্থাৎ ফলাফল সেই একই থাকছে। অস্থিরতা ও ধ্বংস।

    দেবীর (Durga Puja) আগমন ও গমনে সপ্তমী তিথি তাৎপর্যপূর্ণ কেন?

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর দেবীর আগমন ও গমনের বাহন নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখা রয়েছে। কোনওটাতে শুভফল এবং কোনওটাতে অশুভ! শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘প্রতি বছরের দুর্গাপুজোয় সপ্তমীর দিনটি সপ্তাহের কোন বারে পড়ছে তার ওপর নির্ধারিত হয় দেবী কোন বাহনে আসছেন, সেই বিষয়টি। চলতি বছরে দুর্গাপুজোর সপ্তমী পড়েছে শনিবার।’’ চলতি বছরে দেবীর আগমন ও গমন দুটোই ঘোড়াতে। ঘোড়ায় আগমন বা গমন এমনিতেই অশুভ মানা হয়। তার উপর দেবীর আগমন ও গমন একই বাহনে হলে, তা খুব একটা শুভ ফল দেয় না বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    ২০২৩ সালের দুর্গা পুজোর (Durga Puja) নির্ঘণ্ট

    মহালয়া- ১৪ অক্টোবর। এদিন পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে। দেবীপক্ষের সূচনা হয় সেদিন থেকেই। মহালয়ার পরের দিন দেবীপক্ষের প্রতিপদ তিথি শুরু হয়।

    মহাষষ্ঠী- ২০ অক্টোবর, ২০২৩, শুক্রবার

    মহাসপ্তমী- ২১ অক্টোবর, ২০২৩, শনিবার

    মহাঅষ্টমী – ২২ অক্টোবর, ২৩২৩, রবিবার

    মহানবমী- ২৩ অক্টোবর, ২০২৩, সোমবার

    বিজয়া দশমী- ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, মঙ্গলবার

    কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো- ২৮ অক্টোবর, ২০২৩, শনিবার

    কালীপুজো – ১২ নভেম্বর, ২০২৩, রবিবার

    ভাইফোঁটা- ১৪ নভেম্বর, ২০২৩, মঙ্গলবার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share