Tag: Durgapur

Durgapur

  • Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও একজনের নাম রয়েছে পাঁচবার! আবার কোথাও বিলাসবহুল বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় উঠেছে নাম। জেলায় জেলায় আবাস যোজনায় (Awas Yojana) দুর্নীতির ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে, প্রকৃত উপভোক্তারা যেখানে টাকা পাচ্ছেন না, সেখানে আবাসের টাকা পাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। এনিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ফলে, জেলায় জেলায় তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    আবাস তালিকায় পাঁচবার নাম ভূতুড়ে উপভোক্তার (Awas Yojana)  

    পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রামের সুদেষ্ণা রায় নামে এক বাসিন্দার আবাস যোজনার (Awas Yojana)  তালিকায় তাঁর নাম এসেছে পাঁচবার! কিন্তু, আরও বড় কেলেঙ্কারি সামনে এল এবার। যখন সরকারি আধিকারিকরা সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও মহিলার অস্তিত্বই নেই। আর এতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, আবাস যোজনার টাকা লুট করতে কি এবার ভূতুড়ে উপভোক্তা তৈরি করা হচ্ছে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিকায় যে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে, তার সমাধান করা হবে। তালিকা খতিয়ে দেখে, সমস্ত ভুয়ো নাম যোগ হয়েছে। সেই সমস্ত নাম বাতিল করা হবে। বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ঝোলা থেকে একের পর এক দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। আবাস যোজনার বাড়ি প্রতি তৃণমূল ২০ হাজার টাকা করে তুলছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজি চলছে এই আবাস যোজনার বাড়ি থেকে। তাই ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে দিয়ে তারা টাকা তোলার কারবার ফেঁদেছে। সুদেষ্ণা রায় নামে এই পঞ্চায়েতে কাউকে পাওয়াই যায়নি।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, “প্রশাসনিক ব্যাপার এটা। কারও নামে ভুলবশত বাড়ি এলে সেই নাম বাতিল হবে। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বাড়ি পাবেন।” অন্যদিকে, যোগ্যকে বঞ্চনা, যাঁর পাকা বাড়ি, তাঁকেই আবাস? পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাজ্য সড়ক  অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যোগ্যরা। মূলত দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    আবাসের তালিকায় নাম রেশন ডিলারের

    পশ্চিম বর্ধমানে আবার আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় নাম ঢুকেছে রেশন ডিলারের। জানা গিয়েছে, জেলার কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকায় থাকেন মৃণালকান্তি ঘোষ। তিনি আবার বিদবিহার গ্রামের রেশন ডিলার। তিনি থাকেন বিদবিহারের জামদহ এলাকায় এই বিলাসবহুল বাড়িতে। তারপরেও কীভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকল ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল, সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কারও নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেওয়া হবে বাড়ি। সমালোচনায় সরব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা সাংগঠনিকজেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই দেওয়া হবে আবাসের পাকা বাড়ি।”

    আবাসের তালিকায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম

    এবার আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতেও আবাসের (Awas Yojana) অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর। যদিও প্রধান সবিতা মাহাতো তাঁর স্বামী পরশুরাম মাহাতোর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছেন। একইভাবে ওই পঞ্চায়েতেরই এক তৃণমূল ছাত্রনেতার নাম জড়িয়েছে। এই অবস্থায় আবাসের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র নেতার নাম হল তন্ময় গোস্বামী। তিনি আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের গোপীনাথবাটীর বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর বাবার। তবে তিনিও প্রধানের মতোই একইভাবে বিডিওকে চিঠি দিয়ে তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, বিডিও (আউশগ্রাম ১) শেখ কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিডিও জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইতি তোমার মা”। দুর্গাপুজোয় শিহরণ জাগানো এই থিম নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুর সি-জোন বুদ্ধবিহার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সম্মিলনীর। মাতৃরূপে দুর্গাপ্রতিমা সহ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জীবনচক্র ও প্রকৃত মায়ের জীবনী মাটির মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায় (Durga Puja 2024)। থিমে প্রায় ১০০টি মাটির মডেল ব্যবহার করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের জীবন থেকে মায়ের জীবনের ইতিকথার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বর্তমান যুগে মাতৃকুলের শেষ বেলা কেনই বা কাটবে বৃদ্ধাশ্রমে? নবপ্রজন্মের কাছে সেই প্রশ্ন রেখে মণ্ডপসজ্জায় গড়ে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নবপ্রজন্ম যাতে মাকে অবহেলা না করে, তার জন্যই পুজোর থিমে মায়ের জীবনচক্র তুলে ধরা হচ্ছে। এবারও তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে দাবি।

    শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা (Durga Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চলতি বছরে তাঁদের পুজো ৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরই তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো কমিটি একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নানান সামাজিক বার্তা পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলেন প্রতিবারই। গত বছর তাঁদের থিম ছিল “ছৌরূপিণী জগৎ জননী। শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা দিতে থিমের নাট্যচিত্র তৈরির পরিকল্পনাকারী মূলত কমিটির সম্পাদক সহ উদ্যোক্তারা।

    মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম

    পুজো কমিটির সম্পাদক সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বছর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজাই রেখেই মাতৃরূপা প্রতিমা (Durga Puja 2024) হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী আমাদের প্রতিমা তৈরি করছেন। এছাড়াও গর্ভস্থ সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের প্রায় ১০০টি মাটির মডেল তৈরি হচ্ছে নদিয়া জেলার পাটুলিতে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাইউড, প্যারিস, লোহার রড, রাবার পাইপ সহ নানান উপকরণ। পুরনো দিনের বাড়ির আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে। আধুনিক  আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে মণ্ডপ। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবারের বাজেট রয়েছে।

    বিশাল পরিবার (Durga Puja 2024)

    পুজো কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ বলেন, তৃতীয়াতে আমাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন হবে। ওই দিন থেকে একাদশী পর্যন্ত প্রতিদিনই মণ্ডপ চত্বরে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অপর এক সদস্যা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় (জালান) বলেন, এই পুজোতে এলাকার প্রায় ৫০ জন মহিলা সামিল হন। তাঁরা পুজোর সমস্ত রকম আয়োজন করেন। পুজোর শেষে এলাকার প্রায় এক হাজার জনকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার একটি অনুষ্ঠান করা হয়। ওই দিন এলাকার (Durgapur) প্রতিটি মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি বিশাল পরিবারের আকার নেয়। এই বছর আমাদের পুজোর থিম সমাজে শিক্ষামূলক একটি বার্তা পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ছেলে। একজন দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানার কর্মী। বাকি দুজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তা সত্বেও আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে ডিএসপির (DSP) পরিত্যক্ত আবাসনে। তাঁকে জল দেওয়ার কেউ নেই। শুক্রবার চরম অমানবিক ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের জয়দেব এলাকায়।

    পরিত্যক্ত আবাসনে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থ! (Durgapur)

    শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত কি না তা দেখার জন্য সার্ভে করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা ডিএসপি’র (Durgapur) একটি পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, একটি ভাঙা খাটে হাত, পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের নাম মাগারাম ঘোষ। তিনি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাগারাম ঘোষের হাত-পায়ের দড়ি খুলে তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গুণধর ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতেরে বৃদ্ধকে অসহায়র মতো দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন গুণধর ছেলে?

    বড় ছেলে দয়াময় অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাবা বরাবর এখানেই থাকতেন। সেই জন্য এখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। বাবা অসুস্থ। যাতে বিছানা থেকে তিনি না পড়ে যান, সেই জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আমি নিয়মিত আসি। বাবার দেখভাল করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই বাবার আবাসন (DSP) ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবাকে দখল করা আবাসনে রাখা হয়েছে। অমানবিক কিছু ঘটেনি।”

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?

    প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন,”এমন নির্মম ঘটনা আগে কোনওদিন দেখিনি। মাগারামবাবু এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, তাঁর ছেলেরা যে এরকম করতে পারেন তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব। এই ধরণের ঘটনা যাতে সমাজে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করা কাজ ছিল কাঁকসার ধৃত জঙ্গি মহম্মদ হাবিবুল্লার। একজন উগ্রবাদ লেখকের বই তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত, বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক ছাত্রকে মগজধোলাই সে করেছে বলে গোয়ান্দারা জানতে পেরেছেন। বাংলা জুড়ে জালবিস্তার করাই কাজ ছিল হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest)।

    খোঁজ মিলেছে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়র (Terrorist Arrest)

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, বিআইপি, টেলিগ্রাম ব্যবহার করেই হাবিবুল্লা এই মডিউল চালাত। সে অনেক সময় বক্তব্য রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা বিভিন্ন গ্রুপে পাঠিয়ে দিত। একাধিক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগ মিলেছে। মগজধোলাই করার সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি সে তার আত্মীয়কে মগজধোলাই করতে ছাড়েনি। তদন্তে নেমে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়ের যোগসূত্র জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) থেকে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, তার থেকে তেমন তথ্য মেলেনি। প্রাথমিকভাবে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হাবিবুল্লা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে দেশে ওই সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই সে নিজের ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনের সব তথ্য মুছে দেয়। ওই তথ্য উদ্ধারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগের ছক

    প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ করতেই ‘শাহদাত’ মডিউল খুলেছিল আনসার। এই মডিউলের সূত্রে আনসারের সঙ্গে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যোগ হয়। অনেক জেএমবি সদস্য ‘শাহদাত’ মডিউলে যোগ দেয়। এ রাজ্যে ওই মডিউলের মূল চাঁই ছিল হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest)। এই মডিউলে মূলত অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করা হত। পুলিশের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশে ‘জিহাদের’ মাধ্যমে ইসলামি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পত্তন করাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জেরায় হাবিবুল্লা দাবি করেছে। তাই সমমনোভাবাপন্ন যুবক- যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগ করার ছক কষা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। সোমবার অফিস খোলার প্রথম দিনে এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৩ টি। অধিকাংশ সদস্যই তৃণমূলের। তারমধ্যে ১০ জন তৃণমূলের সদস্য পঞ্চায়েতের দুর্নীতির (TMC Conflict) বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।  বিক্ষোভকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, আমাদের সমর্থনে প্রধান, উপ প্রধান হয়েছে। আর এখন পরিষেবা বলে কিছু নেই। এলাকায় পানীয় জল নেই। বার বার বলার পরও পঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু, কে টেন্ডার পেয়েছে, কীভাবে পেল, প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি। প্রধান অপর্ণা বাদ্যকর বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে, সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যান। মিটিংয়ে আমাদের মতো পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। প্রধান, উপ-প্রধান নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পঞ্চায়েতের অনেক কিছুই আমাদের এড়িয়ে করা হয়। তাই, আমরা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।  

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন, তৃণমূল (Trinamool Congress) শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সেই দলের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে এই ধরনের জঙ্গি আন্দোলন করা ঠিক না। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে আমাদের কাছে এসে বলতে পারত। আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে, সব ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে ওরা দলকে হেয় করছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এই ধরনের আন্দোলন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাছাড়া কাজের কাজ কিছু হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার মহম্মদ হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest) নামে এক মেধাবী পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লা। বছর কুড়ির ওই যুবক মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত হাবিবুল্লা।

    কী করে খোঁজ পেল হাবিবুল্লার? (Terrorist Arrest)

    চলতি বছরের ১৪ মে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম থেকে নতুন মডিউল হিসেবে উত্থান হওয়া জঙ্গি সংগঠন শাহাদাত-এর দুই সক্রিয় সদস্য মহম্মদ আসাদুজ্জামান আসিফ ও মহম্মদ আহাদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছিল র‍্যাব। তাদের থেকেই খোঁজ মিলেছিল কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লার। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে পাওয়া ‘গোবরা’ নামে একটি অনলাইন গ্রুপের সন্ধানও পেয়েছিল র‍্যাব। মহম্মদ হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) ল্যাপটপ থেকেও এই গোবরা গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে এসটিএফ। নিয়মিত এই গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইন মিটিংও করা হত। জানা গিয়েছে, আনসার-আল-ইসলাম অতীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে নাম বদল করে এই সংগঠনটি। এরপর ২০১৭ সালে আনসার-আল-ইসলাম সংগঠনটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। গোপনে তারা জাল বিস্তার করছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের প্রাক্তন শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন ওরফে বড়ভাই শাহাদাত-এর প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    হাবিবুল্লার ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এসটিএফ

    গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি শাহাদাত- এর সদস্যদের কিছু দিনের জন্য সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেওয়ার নির্দেশ অডিও ক্লিপের মাধ্যমে দিয়েছিল ভারতে থাকা সালাউদ্দিন (Terrorist Arrest) । সেই বার্তা পেয়েই শাহদাত-এর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার দিকে গত ২০-২৫ দিন ধরে নজর রেখেছিলেন এসটিএফ কর্তারা। কয়েকদিন আগে হাবিবুল্লার মোবাইল থেকে একটি সন্দেহজনক ফোন যায় দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যে। সেই ফোন ট্র্যাক করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসে যায় এসটিএফ কর্তাদের। এরপরই হাবিবুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে বড়ভাই-এর হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

    ১৪ দিনের হেফাজত হাবিবুল্লার

    এর আগে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাঁকসা থেকে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া থেকে একটি বেসরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআই-এর হয়ে তখন যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল আশিকের বিরুদ্ধে। এসটিএফের পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে হাবিবুল্লাকে (Terrorist Arrest) ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। তদন্তের স্বার্থের বেশি বলা সম্ভব নয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূল সমর্থক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূলের তিন নেতা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ রবিবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল মহিলাকে দেখতে গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল (Durgapur)?

    ঘটনাস্থলে (Durgapur) বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল পৌঁছে ওঁই মহিলার খোঁজ নিতে যান। এরপর সব শুনে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরেও কি সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটছে? তৃণমূলের কাছে মহিলাদের কাছে সম্মান নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। শেখ বিল্লি আর সুকুমার নামে দুই জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। বাকি আরও দুজনকে পুলিশ খোঁজ করছে। তৃণমূলের রাজত্বে জুয়া, মদের আড্ডা পাড়ায় পাড়ায় গজে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী যতই চেষ্টা করুন বিরোধী শূন্য করতে পারবেন না। তৃণমূলের নেতারা কুপ্রস্তাব দিয়ে দুর্গাপুরকে সন্দেশখালি করে দিয়েছেন। বিজেপি সব সময় পথে আছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোড়াল হবে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত দুদিন আগে দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূলের সমর্থক এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এলাকায় তৃণমূল নেতাদের মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এই মহিলা। এরপর তাঁর স্বামীর ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। পুনরায় স্বামীকে আবার কাজে যুক্ত হতে গেলে ওঁই মহিলাকে এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সহবাস করতে হবে। ঠিক এরকম কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওঁই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ। যদিও বাকি দুজন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দুর্গাপুরের (Durgapur) এই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, “এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। এখানে রাজনৈতিক ইস্যুকে খাড়া করতে অগ্নিমিত্রা এসেছেন। তাই এলাকাবাসী তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া এবার দুর্গাপুরে (Durgapur)। স্বামীর কাজ ফিরে পেতে হলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাত্রিবাস করতে দিতে হবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লি এলাকায়। তৃণমূল নেতাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ।

    তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বধূকে রাত কাটানোর প্রস্তাব (Durgapur)

    তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ভোটের পরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের কাজে ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। ভয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নবীন পল্লি এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তারপরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে রাত্রিবাসের প্রস্তাব দেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। হুমকির ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি

    স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি বলেন,”গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে। বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ওই বধূ। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করে ওরা। ওই গৃহবধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বধূ।  দ্রুত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন,”একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বৈঠক শেষ করে এলাকা ছাড়তেই হামলা চালাল তৃণমূল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রবিবার দুর্গাপুরে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সহ প্রায় সব নেতা-কর্মীরা চলে যান। অভিযোগ, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজন কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ে সামনে থাকা দু থেকে তিনটি বাইক ভাঙচুর করে। জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপদা বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন কার্যালয়ে বসেছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। বুকে, পেটে গুরুতর চোট লেগেছে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের বাইকগুলি ভাঙচুর করে। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। হামলার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৫, জখম বহু যাত্রী

    হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ কী বললেন?

    সোমবার সকালে সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে, দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রথম এই চতুরঙ্গ ময়দানে এসেছিলাম। আবার এখানকার সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার পরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস প্রশাসনকে  সব কিছু বলা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ এই সব চায়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভোট পরিবর্তী হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় ভ্যাম্বে কলোনি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম রঞ্জিত অধিকারী। তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    তৃণমূলের ঝান্ডা ধর, নাহলে এলাকা ছাড় (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই পোলিং এজেন্টকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দলীয় দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায়ের বিরুদ্ধে। সেখানেই তৃণমূল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায় সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী রঞ্জিত অধিকারী বলেন,” নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যেত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্যও বলা হত। আমি না যাওয়াই বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলীয় কার্যালয়ে বলা হয়, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে, নাহলে এলাকা ছাড়তে হবে। সেখানে মারধরও করা হয়।”

    আরও পড়ুন: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বর্ধমান-দুর্গাপুর (Durgapur) বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন,”দিকে দিকে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া এবং আক্রান্ত। রঞ্জিতকেও পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”এইসব বিজেপির নাটক। বাংলা থেকে বিদায় হয়ে গিয়েছে ওরা। তাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share