Tag: Durgapur

Durgapur

  • Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টির (Storm) পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি প্রমাণিত হল। মাত্র ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কোথাও রাস্তার ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোথাও আবার শপিং মলের ছাউনি উড়ে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে।

    ঝড়ে (Storm) বারাকপুর-বারাসত রোড, বেলঘরিয়ায় যান চলাচল ব্যাহত

    কিছুক্ষণের ঝড়ের (Storm) তাণ্ডবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি হয় বারাকপুর-বারাসত রোডের। বারাসতের আগে একটি বেসরকারি কলেজের সামনে রাস্তার ওপর বিশাল গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। যার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। হঠাৎ ঘটা এই বিপত্তিতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও যান চালকদের সহায়তায় গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। অন্যদিকে, বেলঘরিয়া ফিডার রোডে ২৩৪ বাসস্ট্যান্ডের কাছে অল্প হাওয়াতেই বিরাট গাছ পড়ে ফিডার রোডের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ-প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    দুর্গাপুরে শিলাবৃষ্টি!

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় (Storm) আর শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দুর্গাপুর শহর। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ের দাপট। ঝড়ের দাপটে দুর্গাপুর জংশন মলের সামনের অংশের ছাউনি উড়ে যায়। মল সংলগ্ন বেশ কিছু স্টলের ছাউনিও উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় গাছ পড়ে জনজীবন ব্যাহত হয়। খানিকক্ষণের শিলাবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। শহরের বেশ কিছু এলাকায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙার একাধিক বাসিন্দা। তালিকায় নাম দেখে তাঁরা খুশিও হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে। শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) রায়ডাঙার প্রায় ২০ জন বাসিন্দা পুরসভায় চিঠি দেন। তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় আমাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে পুরসভা পরিদর্শন করে। এর পরে পুরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাড়ির নির্মাণকাজও শুরু হয়। কিন্তু, একতলার কিছুটা দেওয়াল গাঁথার কাজ হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আসলে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকার চারজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সবার কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। তাঁরা দাবি মতো সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তারপর থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। এমনকী বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সেই হুমকি সত্যি হল। সরকারি প্রকল্পের কাজ কাটমানি না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাঙা টালির চালের ঘরে বসবাস করি। পাকা বাড়ি পেলে নিশ্চিন্ত হব। কাটমানি দিতে পারিনি বলে আমাদের বাড়ি হবে না।” পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি পুলিশকে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্প তালুকের  রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার বটলিং প্লান্ট চত্বর। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ব্লক নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, স্থানীয়দের বাধায় কাজ করতে বাধা পান ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয়রা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। আর ঠিকাদারের হয়ে ব্লক নেতৃত্ব দালালি করতে আসে বলে অভিযোগ। তারা হামলা চালায়। ফলে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্পতালুকে বটলিং প্লান্টে নতুন ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। বুধবার বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে কারখানার সামনে জড়ো হন। তাঁরা বহিরাগতদের কার্যত ঢুকতে বাধা দেন। এরপরই ঠিকাদারের হয়ে দাঁড়ান তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ব্লক নেতৃত্বে পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় চারজন জখম হন। স্থানীয়দের বক্তব্য, কারখানায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে কাজ করাচ্ছে ঠিকাদার। আমরা সবাই তৃণমূল করি। অথচ আমাদের কাজ না দিয়ে বাইরের লোকজনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না। তাই, আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা হামলা চালায়। আসলে ঠিকাদারের হয়ে তৃণমূলের একাংশ দালালি করতে এসেছে। ওরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা জগবন্ধু বাউরি বলেন, নিয়ম মেনে ঠিকাদার কাজের বরাদ পেয়েছেন। তিনি কাজ করতে এলে কিছু মানুষ তাদের বাধা দেয়। আর বহিরাগতদের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে গিয়েছে। আমরা চাই, যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন, তিনি যাতে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা রমণ শর্মা বলেন, শিল্পতালুকে গোষ্ঠী কোন্দলে নতুন নয়। আর টাকার বিনিময়ে কারখানায় নিজের লোক ঢোকানো হয়। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবার সেই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের কোন্দলের জেরে প্লান্টের কাজ না বন্ধ হয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার দখলে থাকবে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তাই নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। আর ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ঘ এক বছর ধরে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তার জেরে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন প্রসূতি ও যক্ষারোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালা ভাঙতে দৌড়তে হল বিডিওতে। এমনই নজিরবিহীন ঘটনাে ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চণ্ডীপুরে।

    তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলেছিল উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে! (Durgapur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে আউশগ্রাম জঙ্গলমহলবাসীর সুবিধার্থে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালার কাঁকোড়ায় পশ্চিম চণ্ডীপুরে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। সেখানে দেবশালা অঞ্চলের কাঁকোড়া, কলমডাঙা, সহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন। মূলত প্রসূতি, বয়স্ক ও যক্ষা রোগীরা বেশী উপকৃত হতেন। গত ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এলাকাটি জঙ্গলমহল। অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বসবাস। সরকারি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একাংশ দখল করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ক্লাবঘর করতে চেয়েছিল। তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে তালা ঝুলে যায়। অভিযোগ, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়েছিল। বিবাদের জেরে শেষ পর্যন্ত তালা ঝুলে যায় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েন গর্ভবতী মা’য়েরা ও যক্ষা রোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আউশগ্রাম-২ বিডিও চিন্ময় দাস বুদবুদ থানার পুলিশকে নিয়ে দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  আসেন। তালা ভেঙে দেওয়া হয়।

    স্বাস্থ্যকর্মী কী বললেন?

    পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সোমা ঘোষ জানান, খুব অসুবিধে হচ্ছিল। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা সমস্যায় পড়ছিলেন। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যক্ষা রোগীদের জামতাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ফের পরিষেবা চালু হল।

    উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল কংগ্রেসের আউশগ্রাম-২ ব্লক সভাপতি আব্দুল লালন বলেন, “দল কখনই এধরনের কাজে মদত দেয় না। যারা তালা ঝুলিয়েছিল, তারা সমাজবিরোধী।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার ওবিসি মোর্চার সহ সভাপতি সৌমেন পাত্র বলেন,” তৃণমূলের কোন্দলের জন্য ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এটা অমানবিক, বেদনাদায়ক ঘটনা। আশ্চর্যের বিষয়, বহু আবেদনের পর বন্ধ তালা ভাঙতে পুলিশ-প্রশাসনের এক বছর সময় লাগল। শাসকদলের কাছে কত’টা অসহায় পুলিশ ও প্রশাসন, এটা তারই প্রমাণ।”

    এবার তালা মারলে কড়া ব্যবস্থা

    আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, “কে বা কারা তালা ঝুলিয়েছিল, পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এরপর যদি কেউ তালা মারে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তাহলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের কাজে নিয়োগের দাবিতে রবিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথের পাশে সমাবেশ করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, কালোবরণ মণ্ডল, কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক মণ্ডল সহ অন্যরা। সেই সভায় তৃণমূলের একাংশ কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে বলে সরব হন ব্লক নেতৃত্ব। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে তৃণমূল! (Durgapur)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা শ্রমিক নেতা কালোবরণ মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক (Durgapur) ও অন্ডাল ব্লকের একাধিক মৌজার জমি অধিগ্রহণ করেই অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি। কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে থেকে লোক এনে কাজে নিয়োগ করেছে। আগামী দিনে এই জিনিস আর মানা হবে না, নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে উক্ত দুটি ব্লকের বেকার যুবক, যুবতীদের নিয়োগের দাবিতে সংগঠন কাজ করবে বলে জানান কালোবরণবাবু। পাশাপাশি কালোবাবু বলেন, একশ্রেণির নেতা কাটমানির বিনিময়ে এই প্রজেক্টে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করছেন। নিজেদের পকেট ভরছেন। মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সামনে কালোবরণ মণ্ডল নাম না করেই দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন, না হলে আগামী দিনে এই বিমান বন্দর এলাকায় সামগ্রিকভাবে আন্দোলন হবে।

    শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    অভিজিৎবাবু বলেন, বিমানবন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন থাকলেও তা সক্রিয় নয়। সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির নেতৃত্বেই সংগঠন শ্রমিক স্বার্থের কাজ করবে। আগামী দিনে বিমানবন্দর এলাকায় অনুসারী শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই বিষয়ে সংগঠনকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন অভিজিৎবাবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে দেবদেবীর সংখ্যা অসংখ্য। তার মধ্যে প্রায় গোটা ভারতবর্ষে দেবী কালী পূজিত হয়ে আসছেন অনেক রাজ্যেই। আর এই দেবী কালী যে এক রূপেই বিরাজ করেন, তা কিন্তু নয়। কালীর আছে অসংখ্য রূপ। হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালীর বিভিন্ন রূপ যেমন: দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী ইত্যাদি। কিন্তু পুরান শাস্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে এই মা কালীর আরও একটি রূপ আছে, যা গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিল্পনগরী দুর্গাপুরেই (Durgapur) দেখা যায়। এখানে ভবনী পাঠকের আরাধ্য দেবী কালী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এমনটাই হয়ে আসছে দীর্ঘ কয়েকশো বছর আগে থেকে। যা অনেক ইতিহাস বহন করে নিয়ে আসছে।

    কোথায় অবস্থিত এই মন্দির? কী এর ইতিহাস? (Durgapur)

    পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে অবস্থিত এই মন্দির ভবানী মাতার মন্দির নামেই পরিচিত। এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেবী কালি ভারতমাতা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন দীর্ঘ সময় থেকে। পুজোর সময় মূল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ‘বন্দে মাতরম, জয় জয় ভারতবর্ষম। ঐক্যং শরণম গচ্ছামি। সত্যম শরণম গচ্ছামি। স্বরাজম শরণম গচ্ছামি’। এই মন্ত্র একদম ব্যতিক্রমী। এমনকী মন্দির খোলা এবং বন্ধের সময় ঠিক এই মন্ত্রই জপ করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগে এই মন্দির ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি বড় আখড়া। মন্দিরের পুরোহিতদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মন্দিরের পরিবেশ নির্জন হওয়ায় অনেক সময় অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মন্দিরে এসে আশ্রয় নিতেন। এমনকী ব্রিটিশ সৈন্যদের পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যানের নকশা (ব্লু প্রিন্ট) এখানে বসেই তৈরি করা হত। এই সময় ভারতমাতা রূপে কালীকে প্রণাম করেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের উদ্দেশ্যের পথে রওনা দিতেন। এমনকী কথিত আছেে, দেশ ছাড়ার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই মন্দিরে (Durgapur) এসে রাত্রিযাপন করেছিলেন।

    ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন?

    বিভিন্ন ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিভিন্ন বিপ্লবীরা এই কালীকে ভারতমাতা রূপে পুজো করার সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিলেন। সংগ্রামীরা মনে করতেন দেবী কালী যা ভারতমাতা রূপে পূজিত হন, সেই দেবী সব সময় সংগ্রামীদের রক্ষা করবেন, সঙ্গে দেশবাসীকেও মাতৃরূপে রক্ষা করবেন। ঠিক আবার তেমনি মহাকালী রূপে শত্রুদের দমনও করবেন তিনিই। সেই সময় থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেবী কালীর (Durgapur) আরাধনা করতেন। 
    ইতিহাসবিদদের মতে, এই মন্দিরের দেবী মূর্তির পিছনে একটি অখণ্ড ভারতবর্ষের মানচিত্র ছিল। যে মানচিত্র বর্তমানে আর নেই। কিন্তু বিপ্লবীরা যেভাবে দেবীকে পুজো করে এসেছেন, এখনও সেই রীতি মেনেই পুজো করা হয় এই কালীকে। এমনকী দেবীর বেদীতে এখনও পর্যন্ত বন্দে মাতরম লেখা আছে (Durgapur)। মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভারতমাতার জপমন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্ত, উন্নয়ন করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। এমনই অভিযোগ তুলে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এলাকায় উন্নয়ন করারও দাবি জানানো হয়।

    তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার এই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, নিকাশি, আলো সব কিছু দেখার কথা। কিন্তু, বাস্তবে সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পানাগড়ের অফিসপাড়া থেকে মাধবমাঠ পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পঞ্চায়েতের অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি পানাগড় বাজারসহ আশেপাশের এলাকার যে সমস্ত হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছিল, সেই আলোও এখন ঠিকমতো জ্বলে না। ফলে, সন্ধ্যা হলেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এলাকায় উন্নয়নের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এদিন যোগ দেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমেন শর্মা, গলসি ৬ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস, কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা, বিজেপি নেতা পঙ্কজ জয়সওয়াল সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবস্থান করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে, কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গলসি ছয় নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার পর থেকে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। একাধিক রাস্তাঘাট বেহাল, বেহাল হয়ে রয়েছে এলাকার একাধিক নিকাশি-নালা। পঞ্চায়েত বোর্ড নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    কাঁকসা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, নিকাশি নালা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয়। এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে, বাকি সব উন্নয়ন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। ওরা রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “নামেই দুয়ারে সরকার, কাজের কাজ কিছুই হয় না”, অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ, কাজ বন্ধ

    Durgapur: “নামেই দুয়ারে সরকার, কাজের কাজ কিছুই হয় না”, অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ, কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই দুয়ারে সরকার। কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। কারণ, এর আগে পর পর দুবার দুয়ারে সরকার শিবিরে সমস্যার কথা জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। এবার দুয়ারে সরকার শিবির বসতেই তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ালা গ্রামের ওয়ারিয়া পাড়ার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে বুধবার বেশ কিছুক্ষণ শিবিরের কাজ ব্যাহত হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    দুর্গাপুরের (Durgapur) পেয়ালা গ্রামের ওয়ারিয়া পাড়ায় দুই পরিবারের বিবাদের জেরে দুর্গাপুর নগর নিগমের রাস্তার একটা অংশ দখল করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী একটি নর্দমাও দখল হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘রাস্তার একটা অংশ দখল হওয়ার জন্য বড় কোনও গাড়ি এলাকায় ঢুকতে পারে না। অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে পারে না। ফলে, চরম নাকাল হতে হয়। পর পর দুবার দুয়ারে সরকার শিবিরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সুরাহার আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, দুয়ারে সরকার শিবির করে কোনও অভিযোগ জানিয়েও কাজই হয়নি। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’ এবার পলাশডিহা গ্রামে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হতেই গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিক্ষোভের খবর পেয়ে পলাশডিহার ক্যাম্পে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ যথাযথ জায়গায় বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর বিক্ষোভ ওঠে। তবে, বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, অবিলম্বে সমস্যা সমাধান না করা হলে এবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য কী বললেন?

    দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রাখি তেওয়ারি বলেন, নিগমের রাস্তা কোনওভাবে দখল করা যায় না। এলাকাবাসী আমাদের কাছে এর আগে অভিযোগ জানাননি। ফলে, বিষয়টি জানা ছিল না। অবিলম্বে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দুর্গাপুরে (Durgapur) উৎসবের আবহে নেমে এল বিষাদের সুর। ঘুমের ঘোরে মিষ্টি তৈরির কারখানার ভিতরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দোকানের কারিগর ছিলেন। এছাড়া ৬ জন জখম হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বি-জোনের উইলিয়াম কেরি মোড়ের সামনে একটি মিষ্টির দোকানে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অতনু রইদাস এবং বিধান বাউরি। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Durgapur)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টির দোকানের পিছনে গোডাউন রয়েছে। সেখানে মিষ্টি তৈরি হয়। সেখানে আট কারিগর ও কর্মী রাতে ঘুমোছিলেন। ভোর রাতে এক কারিগরের ফোন পেয়ে দোকানের মালিক ছুটে আসেন। এরপরই সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক, না মিষ্টির দোকানের উনুনের ভাটির গ্যাস থেকে এই বিপত্তি হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ জন কারিগর ও কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুরের শোভাপুরে একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলের বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায়।

    দোকানের মালিক কী বললেন?

    দোকানের মালিকের নাম মিলন মণ্ডল। তিনি দোকানটি অন্য একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। মিলনবাবু বলেন, দোকানের কারিগর ও কর্মীরা গোডাউনে প্রতিদিনের মতো শুয়ে থাকেন। আর শীতের কারণে দরজা, জানলা সবই বন্ধ ছিল। ঘরের মধ্যে কী হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। অসুস্থরা কিছুটা সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে। ভোরের দিকে অতনু নামে এক মিষ্টির কারিগর ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলেন। আমি শুনে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে যাই। এসে দেখি সকলেই অচৈতন্য হয়ে রয়েছে। সকলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। রাস্তাতেই যে অতনু আমাকে ফোন করেছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার এই জঙ্গল ‘গড় জঙ্গল’ নামে খ্যাত হলেও এর অন্য পরিচিতি ‘কাঁকসার জঙ্গল’ নামে। না, এই জঙ্গলের নেই কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্ক বা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙচুয়ারির স্বীকৃতি। তবে আছে অরন্যের শিহরণ, প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। একই সঙ্গে রয়েছে ধর্মের যোগ। শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গলে দেখা মেলে হরেক রং-এর হরেক প্রজাতির পাখির। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ময়ূরের। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে ইতিউতি চলে গেছে রাঙা মাটির বনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

    উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও

    বলা হয় এই গড় জঙ্গল (Paschim Bardhaman) হল ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থান। গড় জঙ্গলের কথা উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সুপ্রাচীন কালে এই জঙ্গলে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেধস মুনি। শ্রী শ্রী চণ্ডীপুরাণ মতে, রাজা সুরথ এই মেধস ঋষির আশ্রমে মিলিত হন বৈশ্য সমাধির সঙ্গে। রাজা সুরথ এই জঙ্গলে তিনটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১) মহাকালী মন্দির ২) মহা সরস্বতী মন্দির এবং ৩) মহালক্ষ্মী মন্দির। বর্তমানে এখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম, মহাকাল ভৈরবীর মন্দির। এক সময় এখানে ১৬ টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে শ্যামরূপা মন্দির এবং শিব মন্দির দুটি এখনও পর্যন্ত অবশিষ্ট আছে।

    দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি?

    চণ্ডী পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এখানেই (Paschim Bardhaman) করেছিলেন দুর্গাপুজো। তিনি এখানে দুর্গাপুজো করেছিলেন বসন্তকালে। বলা হয় রাজা সুরথের করা সেই দুর্গাপুজোই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো। দ্বাদশ শতকে নির্মিত এই শ্যামরূপা মন্দিরটিতে বহু ভক্ত আজও পুজো দিতে আসেন। এও শোনা যায়, এখনও এখানে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি শোনা যায়। গড় জঙ্গল থেকে সামান্য দূরে অজয় নদ। প্রায় নদের তীরেই রয়েছে আর একটি দারুণ সুন্দর দ্রষ্টব্য। সেটি হল বহু লোককথা এবং প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে থাকা “ইছাই ঘোষের দেউল”।

    দুর্গাপুরের কাছেই

    এক কথায় বলা চলে, অরণ্য, নদ, ধর্ম, ইতিহাস-সব মিলিয়ে একটা দুটো দিন বেড়িয়ে আসার জন্য এক অন্যতম আদর্শ স্থান এই ‘গড় জঙ্গল’ (Paschim Bardhaman)। গড় জঙ্গল যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে দুর্গাপুর। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে সরাসরি দূর্গাপুর। আবার কলকাতার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বহু বাস আসছে সরাসরি দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে হবে গড় জঙ্গল।
    দুর্গাপুরে থাকার ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share