Tag: Earthquake

Earthquake

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) সবার প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে পণ্যবাহী বিমান ইতিমধ্যেই ইয়াঙ্গন পৌঁছে গিয়েছে। মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস সেই ত্রাণসামগ্রী দ্রুত ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। বিমানে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আগেই জানিয়েছিলেন বিধ্বস্ত মায়ানমারে সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। তাইল্যান্ডেরও পাশে রয়েছে ভারত, বলে জানান মোদি।

    ভারতের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছল মায়ানমারে

    মায়ানমারের ভূমিকম্পে সবথেকে প্রথমে ত্রাণসাহায্য নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান সি-১৩০জে ইয়াঙ্গন (সাবেক রেঙ্গুন) শনিবারই পৌঁছে গিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমানে ১৫ টন ওজনের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেদেশে। এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সৌর ল্যাম্প, খাদ্য সামগ্রী, রান্নাঘরের সেট, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি-টু-ইট মিল, জল পরিশোধক, হেলথ কিট, জেনারেটর এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ। ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যনুলা, সিরিঞ্জ, গ্লাভস, তুলো ব্যান্ডেজ এবং ইউরিন ব্যাগ। এই ত্রাণসামগ্রীর সঙ্গে গিয়েছে চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল। উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার আরও দুটি সি-১৩০জে বিমান শীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মায়ানমার রওনা দিচ্ছে।

    বিপর্যস্ত মায়ানমার

    শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটির মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২। ‘আফটারশক’গুলি উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

    রক্তের ব্যাপক চাহিদা

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজারের বেশি। জখম ২০০০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমারে (Myanmar) ক্ষমতাসীন জুন্টার তরফে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    ভূমিকম্পের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি এবং বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাধ্যমতো সমস্ত সাহায্য করবে ভারত। এ বিষয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন। শনিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে (Operation Brahma) বিমান মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাতে অন্তত ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে খাবার, কম্বল, তাঁবু, ঘুমানোর সামগ্রী (স্লিপিং ব্যাগ), সোলার ল্যাম্প, জল পরিশোধক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী শহর ব্যাংককে (Bangkok) নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাংককের ‘প্রতিটি ভবন’ পরিদর্শন করা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই তাইল্যান্ড যাবেন। ৪ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের আবেদন

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই আবহে যে কোনও দেশের থেকেই তিনি সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মায়ানমারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেই সমস্ত এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জুন্টা সরকার।

  • Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দু’বার ৭ মিনিটের ব্যবধানে জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার (Earthquake in Myanmar)। রিখটার স্কেলে প্রথমটির কম্পনের মাত্রা ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছে ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। তবে আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৭। দ্বিতীয়টির ৬.৪। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও। মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, যে কোনও ধরনের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের পর, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। ভারত যে কোনও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। এই বিষয়ে, আমাদের কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।’’

    কখন অনুভূত হয় কম্পন

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ২ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে। আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছে বড় বড় হোটেলের সুইমিং পুলেও।

    কেন এত ভয়ঙ্কর কম্পন 

    ১২টা ২ মিনিটে মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) মান্দালে থেকে ৯০ কিমি দূরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি নীচে কম্পনের কেন্দ্র ছিল। যেহেতু ভূপৃষ্ঠের এত কাছে, অগভীর কম্পনের উৎসস্থল ছিল, তাই মাটির উপর ধাক্কা অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে ইন্ডিয়ান প্লেট বার্মা প্লেটের নীচে ঢুকে গিয়েছে। দুই প্লেটের সংঘর্ষে বিপুল পরিমাণে শক্তি জমা হচ্ছে ভূগর্ভে। সেই শক্তিই ভূমিকম্প রূপে বেরিয়ে এসেছে

    ভূমিকম্পের প্রভাব

    এই ভূমিকম্পের (Earthquake in Myanmar) প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশেও। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তরে সিকিম-সহ একাধিক জায়গায়। তীব্র কম্পনের জেরে মায়ানমারে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। মায়ানমারের মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ইরাবতী নদীতে ধসে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই কম্পনের যে ছবি-ভিডিও ছড়িয়েছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফটার শকেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সাত দিনে ভারতীয় উপমহাদেশের (Indian Subcontinent) চারটি বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প (Earthquakes) অনুভূত হয়েছে। সবগুলিই ছোট থেকে মাঝারি মানের। কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা স্বস্তিতে থাকতে নারাজ। পর পর কম্পনের মধ্যে তাঁরা একটা অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, ছোট ছোট হতে হতে কোনওদিন এমন একটা শক্তিশালী কম্পন হবে যে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে এও ব্যাখ্যা করেছেন, কেন বার বার কেঁপে উঠছে ভারতীয় উপমহাদেশ (Indian Subcontinent) অঞ্চল।

    এক সপ্তাহে চার বার!

    কেন বার বার ভূমিকম্প (Earthquakes) হচ্ছে, এটা বোঝার আগে, দেখে নেওয়া যাক, গত সাতদিনে ঘটে যাওয়া চারটি ভূমিকম্পের খতিয়ান—

    বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। জানা গিয়েছে, নেপালের স্থানীয় সময় রাত ২টো ৫১ মিনিট নাগাদ হঠাৎই কেঁপে ওঠে নেপালের মধ্য এবং পূর্বাংশ। ভূ-কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি এবং পাটনাতেও। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের (Earthquakes) উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড। জানা গিয়েছে, মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি।

    তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসম। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভুটান ও চিনের একাধিক এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.০। অসমের মরিগাঁওতে ছিল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১৬ কিলোমিটার গভীরে।

    তার আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাতসকালে ভূমিকম্পে (Earthquakes) কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.১। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর।

    এর আগে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লি। প্রায় ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড ধরে স্থায়ী হয় কম্পন। ভূমিকম্পের সঙ্গে জোরালো আওয়াজও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। রিখটার স্কেলে দিল্লির ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। দিল্লিতে ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর সেদিনই কেঁপে ওঠে বিহারও।

    কেন বার বার হচ্ছে ভূমিকম্প? (Earthquakes)

    প্রায়ই ছোট থেকে মাঝারি কম্পন হচ্ছে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত– বিশেষ করে হিমালয়ান বেল্ট ও তার লাগোয়া অঞ্চলে (Indian Subcontinent)। এক সপ্তাহ জুড়ে পর পর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে। কেন হচ্ছে?

    নেপাল — বিশ্বের তীব্র ভূমিকম্প (Earthquakes) প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম নেপাল। কারণ নেপালের তলায় ইউরেশীয় পাতকে প্রতি বছর ৫ সেমি করে দূরে সরিয়ে দেয় ভারতীয় পাত। যার জেরে সংঘর্ষে ভূমিকম্প হয় এই এলাকাগুলিতে। মাটির তলায় টেকটনিক প্লেটগুলির এহেন অবস্থানের কারণে হিমালয়ের কোলে বারবার ভূমিকম্প দেখা দেয়। উপরন্তু নেপালের ভূপৃষ্ঠ তৈরি হয়েছে নতুন শিলা দিয়ে। কাঠমাণ্ডুর মতো শহরগুলিতে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের ফলেও মাটির উপর চাপ বাড়ছে।

    পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ-বঙ্গোপসাগর — বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি সক্রিয় ফল্ট লাইনসহ টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বঙ্গোপসাগর ভূমিকম্পের (Earthquakes) ঝুঁকিতে রয়েছে। কলকাতার তলায় আছে ইন্ডিয়ান ও টিবেটান প্লেট। প্রতি বছর এই ইন্ডিয়ার প্লেট ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে টিবেটান প্লেটের দিকে। যার কারণে লাগছে ধাক্কা। হচ্ছে ভূমিকম্প।

    দিল্লি — গোটা হিমালয় অঞ্চলই ভূমিকম্পের দিক থেকে অত্যন্ত সক্রিয়। দিল্লি হিমালয়ে নিকটবর্তী হওয়ায় সেখানে কম্পনের ঝুঁকি রয়েছে। জাতীয় ভূকম্পন (Earthquakes) কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির কাছে আরও বেশ কিছু দুর্বল অঞ্চল এবং ফল্ট লাইনও রয়েছে। গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারত দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি ‘কম্পন অধ্যুষিত’ অঞ্চলে যাকে ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা ‘হটস্পট’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ কি না এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই রিখটার স্কেলে ৪, সাড়ে ৪, ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই থাকে। বিশেষজ্ঞেরা এই কম্পনে মোটেই বিচলিত নন।

    বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের (Indian Subcontinent)

    বার বার এই কম্পনে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিজ্ঞানীদের কপালে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবার যে কোনও সময় হয়ত বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। যার জেরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এই অঞ্চলে। তাঁদের মতে, একটি শক্তি ক্রমশ জমা হচ্ছে মাটির নীচে। যত শক্তি পুঞ্জীভূত হবে তত বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, মাটির তলার জল কমে যাওয়ার কারণে হচ্ছে কম্পন (Earthquakes)। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় বিপর্যয়ের আভাস হতে পারে, এবং এ কারণে অবিলম্বে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা (Indian Subcontinent)।

  • Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ (Earthquake Hits Kolkata) দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল। মঙ্গলবার সকালে কম্পন টের পেলেন কলকাতাবাসী। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কম্পন অনুভূত হল। সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে একাধিক জেলা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরেই এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ফলে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ ও ওড়িশাতেও।

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন (Earthquake Hits Kolkata) অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ওড়িশা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনও তথ্য মেলেনি।

    কলকাতা কতটা ভূমিকম্প-প্রবণ

    সম্প্রতি তিব্বতের ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছিল কলকাতা (Earthquake Hits Kolkata) তথা বাংলা। গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে তিব্বতের ভূমিকম্পেই কেঁপে উঠেছিল কলকাতা সহ গোটা বাংলা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। ফলে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জোন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জোন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জোন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জোন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।

  • Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয় দিল্লিতে। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলি সহ উত্তর ভারতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।

    কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে

    মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।

  • Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের ভোরে তখনও ঘুম ভাঙেনি সকলের। তার মাঝেই প্রবল তীব্রতায় কেঁপে ওঠে নেপাল, তিব্বত, ভারত এবং চিনের বেশকিছু অংশ। তিব্বতই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তিব্বতের (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২ জনকে। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভূমিকম্পে প্রভাবিত অন্তত আট লক্ষ!

    মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত (Earthquake Hits Tibet)। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।  এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মতো তীব্রতা কোনওটিরই ছিল না। এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। তীব্রতা ছিল ৭.১, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তারপর বারবার কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। 

    ৪০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত

    সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভিডিওটি তিব্বতের লাৎসে শহরের কাছে। সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    তিব্বতে (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা। প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Earthquake: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    Earthquake: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের সকালে কেঁপে (Earthquake) উঠল কলকাতা। মঙ্গলবার যখন ভালো করে ঘুম ভাঙেনি শহরবাসীর, তখনই আচমকা কেঁপে ওঠে কলকাতা ও আশপাশের এলাকা। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও অনুভূত হয়েছে প্রবল কম্পন। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বত। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১।

    তিব্বতই কম্পনের উৎস

    সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নেপালের লোবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের (Earthquake) উৎসস্থল। গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎসস্থলে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পর পর কম্পন অনুভূত হয়েছে একই অঞ্চলে। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২ মিনিটে। তীব্রতা ছিল ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন, সকাল ৭টা ৭ মিনিটে। তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ’মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫.০। তিব্বতের অপর একটি শহর শিগাতসে শহরে ৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে বলে দাবি করেছে চিন। শিগাতসে হল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কম্পনের পর আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকে। ভুটান এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।

    ভারতে বিভিন্ন জায়গায় কম্পন

    মঙ্গলবার সকালে নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন। উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপেছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। এছাড়া জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষও এদিন কম্পন অনুভব করেছেন। সিকিম, অসমের কিছু অঞ্চলেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: রবিবার ভোরে দুলে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর! রিখটার স্কেলে মাত্রা কত?

    Jammu and Kashmir: রবিবার ভোরে দুলে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর! রিখটার স্কেলে মাত্রা কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাত সকালে দুলে উঠল জম্মু এবং কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Centre for Seismology) তথ্য অনুসারে, রবিবার ভোর ৫:১৫ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জম্মু কাশ্মীরে। কম্পনের গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন:‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় গঠিত হচ্ছে এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার

    জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রশাসনের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, যে সেখানকার ২০টি জেলা নিয়ে গঠিত হবে এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার। যেকোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষকে আশ্রয় দিতেই এই প্রকল্প গড়ে উঠছে কেন্দ্র সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সহায়তায়।

    দুদিন আগেও কম্পন অনুভূত হয় জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২৮ এপ্রিল মাঝরাতে পর পর দু’বার কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, সেদিন প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮ এবং দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের বাজুরা জেলার দাহাকোট। নেপালের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ওই দিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয়েছিল রাত ১২টায়। দ্বিতীয় কম্পন হয় রাত দেড়টা নাগাদ।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: দলে দলে মানুষ মৃত্যুপুরী তুরস্ক ছেড়ে পালাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘ বলল নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে

    Earthquake: দলে দলে মানুষ মৃত্যুপুরী তুরস্ক ছেড়ে পালাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘ বলল নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) ধ্বংসপ্রায় তুরস্ক ও সিরিয়ার  মৃত্যুমিছিল চলছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় দেশে খাদ্য, পানীয় ও ওষুধপত্রের আকালও দেখা দিয়েছে। মাথার ওপর কোনও ছাদও পাওয়া যাচ্ছেনা সেখানে। এই পরিস্থিতে মৃত্যুপুরী ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন ভিটেমাটি হারা মানুষগুলি। সংকটকালীন এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ঠিক এই সময়ই এগিয়ে এল সেখানকার এয়ারলাইন্সগুলি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তুর্কি ও পেগাসাস এয়ারলাইন্স। ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের বিনামূল্যে উড়ানের টিকিট দিচ্ছে এই দুই বিমান সংস্থা।

     তুরস্কের বিভিন্ন শহরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আশ্রয় নিচ্ছেন বহু মানুষ। হাতায়, নুরদাগি, মারাশের মতো এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইস্তাম্বুলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে এসেছেন।

    প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর পরে ফের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের (Earthquake)  সাক্ষী থাকল এই দুই দেশ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য তুরস্কে ৫.৬ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে বিপর্যয় যেন থামতেই চাইছে না। মূল কম্পনের পর আফটার শকে অন্তত ১০০ বার কেঁপেছে দুই দেশের মাটি। ভূমিকম্পে (Earthquake)  মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৩ হাজারের গণ্ডি। উদ্ধারকাজ চলছে এখনও। বিভিন্ন দেশ থেকে এসে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। ভারত থেকে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, ভেন্টিলেটর নিয়ে সপ্তম গ্লোবমাস্টার বিমানও পৌঁছেছে তুরস্কে।

    তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়ে যাবে, বলল রাষ্ট্রসংঘ

    রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এদিন মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake)  মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরোতে পারে। গত শনিবার থেকেই রাষ্ট্রসংঘের এই মুখপাত্র  রয়েছেন তুরস্কের শহর কাহরামানমারাসে, এটাই ছিল তুরস্কের ভূমিকম্পের (Earthquake)  কেন্দ্র।

    একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মার্টিম গ্রিফিথস আরও বলেন, আমি মনে করি মৃতের সংখ্যা এখনই বলা যাবেনা।  সমস্ত ধ্বংসস্তূপ সরালে দেখা যাবে এই সংখ্যা ৫০ হাজার বা তার বেশি হয়ে যাবে।

    আজ অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তুরস্কে ২৪,৬১৭ জন এবং সিরিয়ায় ৩,৫৭৪ জন নিহত হয়েছেন। মোট ২৮,১৯১ জন।

    রাষ্ট্র সংঘের মতে, তুরস্ক এবং সিরিয়া জুড়ে কমপক্ষে ৮,৭০,০০০ জন মানুষ বর্তমানে খাদ্য এবং বাসস্থান সংকটে ভুগছে। প্রায় তিন কোটি মানুষ ভূমিকম্পে (Earthquake)  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share