Tag: earthquake in Delhi

earthquake in Delhi

  • Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয় দিল্লিতে। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলি সহ উত্তর ভারতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।

    কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে

    মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।

  • Nepal Earthquake: মধ্যরাতে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা একশোর বেশি

    Nepal Earthquake: মধ্যরাতে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা একশোর বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্যরাতে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৪০ জন। শুক্রবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট নাগাদ নেপালের এই ভূমিকম্পের কারণে দুলে ওঠে রাজধানী দিল্লিও। কম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও। কলকাতা থেকে ভূমিকম্পের উৎসস্থলের দূরত্ব ৯২৫ কিমি এবং দিল্লি থেকে ২৫৩ কিমি। বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরেই কম্পন (Nepal Earthquake) অনুভূত হয়।

    তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাড়িগুলি

    ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছেm ভূমিকম্পের অভিঘাতের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করে বাড়িগুলি। তাতে চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বহু বাড়িতে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে সব থেকে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, রুকুম পশ্চিম থেকে। সেখানে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নেপালের এই ভূমিকম্পে (Nepal Earthquake) সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে লেখা হয়, ‘‘শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ জাজারকোটের ভূমিকম্পের কারণে হওয়া মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণের জন্য তিনটি নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।’’

    গত ১ মাসে নেপালে ৪ বার ভূমিকম্প 

    এটাই প্রথম নয় বিগত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে ৪ বার ভূমিকম্প কেঁপে উঠল নেপাল। গত ২২ অক্টোবর ভূমিকম্প হয় রাজধানী কাঠমান্ডুতে। সে সময় রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের (Nepal Earthquake) কেন্দ্রস্থল ছিল তখন নেপালের ধাদিং জেলায়। এর ঠিক দুদিন পরে আবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। তখন মাত্রা ছিল ৪.১। আবার গত ৩ অক্টোবরও দুলে উঠেছিল নেপাল। অর্থাৎ পরপর চারবার ভূমিকম্প হল বিগত একমাসে নেপালে। নেপালের ভূমিকম্পে প্রভাব পড়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। নেপাল হল পৃথিবীর ১১তম ভূমিকম্প প্রবণ রাষ্ট্র।

    সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বীরভূমে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই উৎসস্থল ছিল ঝাড়খণ্ডের দুমকা। বীরভূম বেশ কিছু এলাকা কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে (Nepal Earthquake)। আবার পশ্চিমবঙ্গে গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ইত্যাদি জায়গায়। তখন ভূমিকম্পের উৎস ছিল মায়ানমার। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। বুধবার দুপুরে আচমকাই কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। জানা গিয়েছে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ নেপালে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিমি।

    রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি ভূমিকম্পের অভিঘাত অনুভূত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন দুপুর দেড়টায় উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়েও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৪। পিথোরাগড় থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

    ভূমিকম্প অনুভূত মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতে

    এর আগে রবিবার অর্থাৎ, ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের মালওয়া এলাকায় ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র) ট্যুইট করে জানিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর সদর দফতর থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে ধার জেলায় রবিবার দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভুপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নিচে ৩.০ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ধার জেলার গুজরাট ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে। মৃদু এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধার ছাড়াও বারওয়ানি ও আলিরাজপুরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

    রবিবার শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। জাতীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুসারে, ওই দিন সকাল ৬টা বেজে ২৬ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মেঘালয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে। শুধু মেঘালয় নয়, অসম ও গুয়াহাটির বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

    রবিবার সকাল ৭টা ৩ মিনিটে ভারত মহাসাগরে রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল সৈকত থেকে ৬২৩ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমদ্রতলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৬ কিলোমিটার গভীরে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কা

    ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এইসব রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অতটা না থাকায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ভারতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ভূ-বিজ্ঞানীদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট। হায়দরাবাদের ন্যাশন্যাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান আবহবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী ডঃ এন পূর্ণ চন্দ্র রাও জানান, পৃথিবীর ভূত্বকে বহু রকমের প্লেট রয়েছে। যেগুলি প্রতিনিয়ত চলমান। ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এর ফলে সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে ভূমিকম্পের।

    ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানা গেছে সোমবার উত্তরাখন্ডের ধর্মশালা থেকে ৫৬ কিমি উত্তরে ৩.৬ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০ কিমি গভীরে। এছাড়া ফ্রেবরুয়ারির ১৯ তারিখেও অন্ধ্রপ্রদেশের  এনটিআর জেলার নন্দিগামা এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share