Tag: East Bardhaman

East Bardhaman

  • TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি চতুর্থ দফায় ভোট পর্ব মিটেছে বর্ধমানে। আর ভোট মিটতেই এবার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict)। পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) খণ্ডঘোষ এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বিরোধের জেরে সোমবার রাতে খণ্ডঘোষের উখরিদের শেরপাড়ায় মারধরের ঘটনায় জখম হন পাঁচ জন। ঘটনার পরে তাদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জখম পাঁচ জনের মধ্যে উখরিদ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ হাবিবুর রহমান, তার ছেলে সেখ মেহবুব রহমান ওরফে আকাশ ও ভাইপো সেখ মাইনুল রহমান রয়েছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (TMC Inner Conflict)

    মেহবুব রহমানের দাবী তারা খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের অনুগামী। সেই জন্য ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের (ফাগুন) নির্দেশে তার অনুগামীরা হঠাৎই আক্রমণ করে। মেহবুব রহমান জানান, তারা গ্রামের শেরপাড়ায় বসে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নির্দেশে একদল লোক মোটরবাইকে এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ছিল রড লাঠি ও টাঙ্গি। 

    গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণ 

    জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির ভাই ও ছেলে এলাকায় ঠিকাদারি করছে। অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) কারণ এই ঠিকাদারি নিয়েই। গোটা ব্লকের সব ঠিকাদারি কাজ করবে অপার্থিব ইসলামের ছেলে ও ভাইপো। আর সেটা নিয়ে বাধা দেওয়াতেই অশান্তির সূত্রপাত।   

    স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য  

    এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলি হোসেন মণ্ডল বলেন, “বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) জন্যই গ্রামে মারপিট ও অশান্তি হয়। শেরপাড়ায় অতর্কিতে হামলা চালায় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির লোকজন। জখম পাঁচজনকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খণ্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে প্রথমে তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “এই ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আর গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict) বা বিবাদের কোন বিষয়ই নয়।”

    আরও পড়ুন: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    বিজেপির দাবি 

    অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এখানকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Conflict) দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিজেদের মধ্যেই কাটমানি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই আছে। আর এই দুই দলের মধ্যে টেন্ডার নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দ্বন্দ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই গতকাল সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট ভাবে আতঙ্কিত।” এছাড়াও এদিন তিনি গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বকে দায়ী করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দুধের কন্টেনারে গরু পাচার করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। ফের একই ঘটনা ঘটল। কিন্তু এবার গরুর বদলে কয়লা। কন্টেনারে করে কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) ছক বানচাল করল পশ্চিম বর্ধমানের (East Bardhaman) জামুড়িয়া থানার পুলিশ! এ যেন এক সিনেমার ছক। অবৈধ কয়লা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এক জন। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছে কয়েক দিন ধরে খবর আসছিল জামুড়িয়া থানা এলাকা দিয়ে প্রচুর কয়লা পাচার হচ্ছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। জামুড়িয়া- রানিগঞ্জ রাস্তায় নাকা চেকিং চলাকালীন একটি দুধের কন্টেনার আটকায় পুলিশ। সেই গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় ভিতরে কী আছে দেখতে গিয়ে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দুধের কন্টেনারের ভিতরে বস্তা বস্তা কয়লা বোঝাই রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই তদন্তের ভার পেয়েছে ইডি এবং সিবিআই। রাজ্যের তদন্তকারীর সংস্থা সিআইডিও ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। রাতদিন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু আটকানো যাচ্ছে না বেআইনি পাচার।  

    জামুড়িয়া থানার পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কোথা থেকে এল কয়লা? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই পাচারের পিছনে কারা রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আর কোন কোন এলাকায় বেআইনি কয়লার কারবার চলছে সে বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছিল। এ নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল ডক্টর কুলদীপ এসএস বলেন, “পুলিশ সমস্ত থানা এলাকায় প্রত্যেকদিন নাকা চেকিং করে। জামুড়িয়ায় এই কন্টেনার উদ্ধার হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোথা থেকে এই কয়লা নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোথায় তা পাচার হচ্ছিল।”

    এর আগে পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে গরুপাচারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার দুধের কন্টেনারে কয়লা পাচারের ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ। 

LinkedIn
Share