Tag: East Bengal FC

East Bengal FC

  • ISL Derby: শনির ডার্বিতে এগিয়ে মোহনবাগান, তবুও সতর্ক মোলিনা! হুংকার ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর

    ISL Derby: শনির ডার্বিতে এগিয়ে মোহনবাগান, তবুও সতর্ক মোলিনা! হুংকার ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মরসুমে দ্বিতীয় ডার্বিতে (ISL Derby) নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। খাতায় কলমে এটা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হোম ম্যাচ হলেও দুই দলের কাছেই এটা অ্যাওয়ে, কারণ ম্যাচটা হচ্ছে গুয়াহাটিতে। এই ম্যাচে লাল হলুদ ও সবুজ মেরুন দুই দলেই (Mohun Bagan vs East Bengal) রয়েছে চোটের সমস্যা। একাধিক প্লেয়ারকে পাবে না দুই দল।  

    এগিয়ে সবুজ-মেরুন

    গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বাইরে রেখে ডার্বির (ISL Derby) একাদশ সাজাচ্ছেন হোসে মোলিনা। বন্ধ দরজার আড়ালে প্রস্তুতিতে জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস জুটির ওপরই ডার্বির গোলের দায়িত্ব দিতে চলেছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ। খাতায় কলমে এবং পারফরম্যান্স গ্রাফে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে, তারাই ফেভারিট। আইএসএল ডার্বিতে (Mohun Bagan vs East Bengal) এখনও অপরাজিত সবুজ-মেরুন। তবে ইতিহাস বলছে ডার্বির মেজাজ, চাপ আলাদা। মোলিনার দলে সবচেয়ে বড় শক্তি আক্রমণ-মাঝমাঠ-রক্ষণ, প্রতিটি বিভাগের ফুটবলারই গোলের মধ্যে রয়েছেন। ম্যাকলারেনের সঙ্গে গোল করার প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিচ্ছেন আলবার্তো।  রক্ষণে আলবার্তো রড্রিগেজ এবং টম অলড্রেট থাকছেন। দুই সাইডব্যাক শুভাশিস বসু এবং আশিস রাই। মাঝমাঠে আপুইয়ার সঙ্গে সাহাল আবদুল সামাদ। দুই উইং ধরে মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসো দৌড়বেন। আক্রমণে কামিংস​ এবং জেমি ম্যাকলারেন। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অনুশীলনে যথেষ্ট সাবলীল। তবে স্কটিশ মিডফিল্ডারকে আরও একটু দেখে শুনে ব্যবহার করতে চান মোলিনা। 

    ব্যাকফুটে ইস্টবেঙ্গল

    এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ব্যাকফুটে থেকে খেলতে নামবে। এর কারণ হচ্ছে সাম্প্রতিক ফর্ম। গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে যেভাবে গোল খেয়েছে তারপর লাল হলুদের রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। যদিও নিজেদের আন্ডারডগ মানতে নারাজ কোচ অস্কার ব্রুজো। পয়েন্ট তালিকায় মোহনবাগান শীর্ষে। এই ম্যাচে হারলে বা ড্র করলে সবুজ মেরুনের খুব একটা বেশি সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ১১ নম্বর স্থানে। এই ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে লাল হলুদের শেষ ছয়ে শেষ করাটা। মুম্বই ম্যাচে চোট পেয়ে হুইল চেয়ারে করে মাঠ ছাড়েন আনোয়ার। ব্রুজো জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা আনোয়ারকে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সল ক্রেস্পোর খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার সকালে অনুশীলন করে দুপুরে বিমানে গুয়াহাটি পৌছেছে দুই দল। স্নায়ুর লড়াইও শুরু হয়ে গিয়েছে। দু-দলের কাছেই  তিন পয়েন্ট পাখির চোখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Bengal FC: বিশৃঙ্খলা ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে! উৎসব শেষ চার মিনিটেই, কুয়াদ্রাতের লক্ষ্য ডার্বি

    East Bengal FC: বিশৃঙ্খলা ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে! উৎসব শেষ চার মিনিটেই, কুয়াদ্রাতের লক্ষ্য ডার্বি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। এক যুগ পর আবার ট্রফি নিয়ে শহরে ফিরল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সুপার কাপে টিমকে চ্যাম্পিয়ন করলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। সোমবার বিকেলে লাল-হলুদ টিম কলকাতায় পা দিতেই শুরু হয়ে গেল মাত্রাছাড়া উৎসব। বিমানবন্দরের রঙ লাল-হলুদ। টিমকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য় লাল-হলুদ আবির, স্মোকবম্ব,পতাকায় ছেয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। প্রায় হাজার দশেক সমর্থক ভিড় করেছিলেন বিমানবন্দরে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় কুয়াদ্রাত, ক্লেটন, গিলদের। অবশেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশি তৎপরতায় এক-একজনকে এসকর্ট করে বের করে নিয়ে আসা হয় বিমানবন্দর থেকে।

    লক্ষ্য ডার্বি

    সবেমাত্র সুপার কাপ জয় করেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, এখন দলের আত্মতুষ্টির কোনও জায়গাই নেই। কারণ সামনেই আবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ডার্বি। জয়ের আনন্দেও ডার্বি ম্যাচের চিন্তা লাল-হলুদের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। তিনি বলেন, “মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য আমাদের একেবারে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা আপাতত খুব ভালো পারফরম্যান্স করছি। অনেকদিন পর আমরা আবার জিততে পেরেছি। তবে এরপর কলকাতায় ঘরের মাঠে মোহনবাগানের সামনে আমদের লড়াই যে কঠিন হবে, সেটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। ডার্বি ম্যাচে জয়লাভ করা সত্যিই খুব কঠিন। তবে আমরা এই ম্য়াচটা জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করব।”

    ক্লাব তাঁবুতে বিশৃঙ্খলা

    সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মাঠের উৎসব ক্ষণিকেই মিলিয়ে গেল। সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর ক্লাব কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাবে দ্রুত উৎসব শেষ করতে বাধ্য হলেন ক্লাব কর্তারা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল মাঠে পা রাখেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার চার মিনিট আগে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার (নিতু) সুপার কাপ ট্রফিটি নিয়ে গিয়ে রাখেন সাজানো চারটি টেবিলের মাঝখানে। কোচের পিছু পিছুই মাঠে ঢোকেন ক্লেটন সিলভা, সৌভিক চক্রবর্তী, সাউল ক্রেসপোরা। ব্যস! অমনি দেখা যায় র‌্যাম্পার্টের দিকের কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে দিয়ে কিছু ইস্টেবঙ্গল সমর্থক মাঠে ঢুকছেন। কয়েক সেকেন্ডের ম‌ধ্যে তা যেন গ্যালারিতে সংক্রামিত হয়ে যায়। কেউ ফেন্সিং টপকান, তো কেউ উচ্ছ্বাসের ঠেলায় গ্রিলে লাগানো পলকা তালা ভেঙে দেন। বাঁধ ভেঙে যায়। কুয়াদ্রাতদের ঘিরে ফেলেন কয়েক হাজার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কোনওরকমে কেক কেটে উৎসবে ইতি টানেন কর্তারা। তবে চার মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল টিম মাঠ থেকে তাঁবুতে চলে গেলেও আবেগের উদযাপন চলতেই থাকে। আতসবাজি, আবিরে দোল-দীপাবলী একাকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share