Tag: eastern Ladakh

eastern Ladakh

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লালফৌজ। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেই এ খবর (S Jaishankar) জানানো হয়েছে (India China Relation)। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, রাশিয়ায় ভারত ও চিন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্থির হয়েছে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে চিন? (India China Relation)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবিকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব লাদাখের চার এলাকা মুক্ত করে দিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুপক্ষে।”

    সেনা প্রত্যাহার

    তিনি (India China Relation) বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে থাকা সীমান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে চিন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা দুই দেশের জনগণের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। দুই দেশই রাজি রয়েছে, উভয় দেশের প্রধানদের মধ্যে অর্জিত ঐক্যমত বাস্তবায়ন করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বাড়াবে, নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে। এর পরেই চিনা মুখপাত্র বলেন, “গালওয়ান-সহ চারটি এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্মত হয়েছে চিন ও ভারতীয় সেনা। সেই মতো দখল করা চারটি এলাকা থেকেই সরে গিয়েছে (S Jaishankar) চিনা ফৌজ (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা জওয়ান, কড়া নজরদারি গালওয়ান উপত্যকায়

    Indian Army: হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা জওয়ান, কড়া নজরদারি গালওয়ান উপত্যকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনা জওয়ানের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ফলে সেরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে, তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু এই টহলদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এক অন্য ছবিই দেখা গেল গালওয়ানে, যা দেখে হতবাক ভারতীয়রা। দেখা যাচ্ছে, সেই রক্তাক্ত উপত্যকাতেই মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা। শুধু তাই নয়, প্যাংগং হ্রদের পাশে হাফ ম্যারাথন রেসেরও আয়োজন করা হয় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।

    মিশন ইমপসিবল!

    ভারতীয় সেনা কার্গিলের (Kargil) রুক্ষ জমিতে দাঁড়িয়ে হিমাঙ্কের নিচে থাকা তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় জওয়ান, একে ‘মিশন ইমপসিবল’ই বলা চলে। সেই ক্রিকেট খেলার ছবিগুলি এই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। আর তা দেখে রীতিমত অবাক নেটিজেনরা। এমনিতেই উচ্চ অক্ষাংশ। তারপর সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ কম। তার উপর আবার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে। এমন এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে রীতিমত চলছে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস-এর তরফে ট্যুইট করে কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। পাটিয়ালা ব্রিগেডের ত্রিশূল ডিভিশন আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের যে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গি দেখা গিয়েছে তা কার্যতই ‘মিশন ইমপসিবল’। ছবিগুলি পোস্ট করে ওই ব্রিগেডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি।’

    নজরদারি বাড়ানো হয়েছে গালওয়ানে

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা। ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও চিনের লাল ফৌজের (PLA) মুখোমুখি সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ি এলাকা। ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা কত তা সঠিক জানা যায় নি আজও। এই ঘটনার পরই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় জওয়ান এলএসি-তে উন্নত অস্ত্র সহ মোতায়েন করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gogra-Hotsprings: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    Gogra-Hotsprings: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বরফ গলেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চিন।  আগামী সোমবার ১২ অগাস্টের মধ্যে লাদাখ (Ladakh) সীমান্তের গোগরা হটস্প্রিং (Gogra-Hot Springs) থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চিন (China) সরকার। দুই দেশের তরফে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়ছে যে ১৬ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে গোগরা হট স্প্রিং এলাকা থেকে দুই দেশে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেনা প্রত্যাহারের ফলে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী শুক্রবার বলেন, “আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর্ব শেষ হবে।” এরপরই ঠিক হয় সেনা প্রত্যাহার পর্ব ঠিকঠাক চলছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আজ, শনিবার লাদাখে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে।

    আরও পড়ুন: পরীক্ষা সফল! সেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তৈরি কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল

    সেনা সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে ডেমচক এবং প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়ার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভাবা হচ্ছে। প্রায় ২৮ মাস ধরে ভারত ও চিনের সেনা মোতায়েন ছিল হটস্প্রিং এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে ১৬ রাউন্ড আলোচনার শেষে দুপক্ষই উত্তেজনা অনেকটা কমিয়ে আনে। এরপরই সেনা প্রত্যাহারে উদ্যোগী হয় দুই দেশ। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চল থকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে চিনকে টক্কর দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা! জানেন সেনার কী পরিকল্পনা?

     আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রসিডেন্ট  শি জিনপিং যোগ দেবেন। সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত হলে ওই সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাস থেকে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ২০ জন সেনা কর্মী। চিনেরও বহু জওয়ান নিহত হয়েছিল। যদিও তবু শান্তির পথ ছাড়েনি ভারত। চিনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয়। এই আবহে গোগরা হটস্প্রিং থেকে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share