Tag: ec

ec

  • SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং ডিইও অফিসে টাঙানো থাকবে। সূত্রের খবর ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাচাই ও শুনানি (SIR Verification and Hearing) পর্ব‌। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব। এরই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই সব ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন।

    শুনানি পর্ব- নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

    বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, এনুমারেশন পর্ব (Enumeration Phase) শেষ হচ্ছে। ঠিক চার দিন পরে, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব- এই প্রস্তুতি নিতে আজ থেকেই কমিশন তৎপরতা শুরু করেছে। কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ফর্মের ৯৯.৭৫ শতাংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৮১টি ফর্ম অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ হাজার ৬৩টি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৭ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮।

    আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টবল ফর্মের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ আট হাজার ৫৭৪। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৩, নিখোঁজ ভোটার ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৩, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩২, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০৬। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও বেশ কিছু জায়গায় আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    জাল নথি পেশ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে

    অন্যদিকে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে মিল না থাকায় এখন রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাদের সবাইকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট ইআরও (ইলেকশন রিটেনিং অফিসার) নোটিস পাঠাতে শুরু করবেন। নোটিস পেলে নির্দিষ্ট দিন ওই অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথি-র মধ্যে কমপক্ষে একটি দেখাতে হবে। যারা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারবেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও, এমন অনেক ভোটার আছেন, যাদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেও কমিশন ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাদের ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে এবং কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কমিশন একথাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এসআইআরে যদি কেউ জাল নথি পেশ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। তথ্যের জালিয়াতির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।

    সিসিটিভি-র নজরদারিতে শুনানি পর্ব

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন যে শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ছিল যে, সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করতে হবে। প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ সিসিটিভির নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও দ্বিতীয় বিষয়টি অর্থাৎ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এখনও কমিশন (ECI) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের দফতর থেকে জেলাগুলিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘যাচাই ও শুনানি’ পর্ব শুধু এবং শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে এই শুনানি করা যাবে না। সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্ব, বিশেষ করে শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই এসআইআর পর্ব শেষ হয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করা হচ্ছে অথবা কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এভাবে কাজ করলে আশা করা যায় খসড়া থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ নির্ভুল হবে।

  • Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর করে বহু ভোটারের নাম বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মোদি-বিরোধীরা। এসআইআর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেই সব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের (Supreme Court) নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ অতিরঞ্জিত। কমিশন আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি অনুমান ছাড়া আর কিছুই নয়।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ (Election Commission)

    পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল, ডিএমকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বাংলা শিবির। বিরোধী দলগুলির সেই আবেদনের ভিত্তিতে কমিশনের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। সেই মামলায় পৃথক হলফনামা দাখিল করে এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলি খারিজ করার আবেদন জানান কমিশনের সচিব পবন দিওয়ান। গত ২৬ নভেম্বর সাংসদ তৃণমূলের দোলা সেন এবং অন্যদের দাখিল করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮১ পাতার হলফনামা দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যেই। হলফনামায় কমিশন আরও জানিয়েছে, এসআইআর কোনও নতুন প্রক্রিয়া নয়। ভোটার তালিকায় যাতে কোনও সমস্যা না থাকে তা দেখার দায়িত্ব কমিশনেরই। বহু বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের সংবিধানও কমিশনকে সেই অধিকার দেয় (Election Commission)।

    হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম

    আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম আলাদা করে উল্লেখ করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বাংলায় ইতিমধ্যেই ৯৯.৭৭ শতাংশ ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে (Supreme Court)। তার মধ্যে ৭০.১৪ শতাংশ ফর্ম পূরণের পর ফেরতও চলে এসেছে। বুথ লেভেল আধিকারিকরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পরে ফর্ম পূরণের পর তা সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছেন কমিশনের কাছে। কোনও বাড়িতে কেউ না থাকলে, বিএলওরা সেখানে তিনবার করে যাচ্ছেন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নামই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। কমিশন তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। এসআইআর প্রক্রিয়া সফলভাবে বাস্তবায়িত এবং কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা করছে কমিশন।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য!

    হলফনামায় কমিশন বার বার দাবি করেছে, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে তোলা হচ্ছে। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে পরিবেশন করার চেষ্টা চলছে (Election Commission)। আর এর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। কমিশনের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি এসআইআর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার বদলে হাঁটছে সমালোচনার পথে। কমিশনের আইনজীবীর অভিযোগ (Supreme Court), রাজনৈতিক দলগুলি বিএলওদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এদিন আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর আগে দেশে এসআইআর হয়নি এই যুক্তি দেখিয়ে একাধিক রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের এই প্রক্রিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত বৈধ কিনা, তা পরীক্ষা করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ৬ নম্বর ফর্মের শুদ্ধতা নির্ণয় করার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে তাঁকে নিজেকে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হয়।

    আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়

    দেশের শীর্ষ আদালত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়। তাই আমরা বলেছি, প্রামাণ্য নথিগুলির মধ্যে অন্যতম নথি এটি। কিন্তু কারও নাম বাদ গেলে কেন নাম বাদ দেওয়া হল, সে সংক্রান্ত নোটিশ দিতে হবে। বেঞ্চ বলে, “কিছু সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। কোনও (Election Commission) ব্যক্তিকে রেশন পাওয়ার জন্য আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি শুধু সেই কারণেই তিনি ভোটার হবেন? এমনও তো হতে পারে, কেউ প্রতিবেশী দেশের নাগরিক এবং তিনি এখানে একজন শ্রমিকের কাজ করেন।” আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “আপনারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিস। যেখানে ৬ নম্বর ফর্ম জমা দেওয়া হবে এবং তারা আপনার নামটি নথিভুক্ত করবে।” এর পরেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনের সব সময় এই সাংবিধানিক এক্তিয়ার রয়েছে (Supreme Court), তারা নথিটি সত্য কি না, তা যাচাই করতে পারে (Election Commission)।

  • Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেবলমাত্র ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়।” ঠিক এই ভাষায়ই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশন এও জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু এসআইআর (SIR) নিয়ে যাতে কোনও ভুল প্রচার করা না হয়, বিএলওদের কোনও হুমকি না দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধি দলকে কমিশন এও জানিয়েছে, নির্বাচন আইন মেনে পুরো প্রক্রিয়া হয়। সেই আইন মেনেই যাতে সবটা হয়, সেটা দেখতে হবে সবাইকে।

    এসআইআরের নান্দীমুখ (Election Commission)

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে এসআইআরের। কোনও গন্ডগোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রক্রিয়া। এর পর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। আর তার পরেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলায়। বাকি ১১টি রাজ্যের কোথাও কোনও উচ্চবাচ্য না থাকলেও, চিল-চিৎকার জুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় তারা এসআইআর নিয়ে হাওয়া গরম করে চলেছে এই প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার দিন থেকেই। শুধু তাই নয়, এসআইআর নিয়ে রাজনীতি করতে (নিন্দকরা বলছেন) পথে নেমে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দেশে তো নয়ই, স্বাধীন ভারতেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে তৃণমূল

    শুক্রবার, সটান নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে হাজির হন তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি (Election Commission)। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁদের কার্যত আইনের পাঠ পড়িয়ে দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিএলওদের ওপর প্রভাব খাটানো যাবে না। কোনওরকম চাপ ছাড়াই মৃত, স্থানান্তরিত এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় থাকা নাম বাদ দিতে হবে। তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৯ ডিসেম্বরের পর এসআইআর সংক্রান্ত দাবি এবং আপত্তি জমা দিতে বলা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। ততদিন পর্যন্ত বিএলও, ইআরও এবং ডিইওদের কাজে যাতে শাসক দল হস্তক্ষেপ না করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।

    বিএলওদের চাপ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে কমিশন। সেই অফিস আরও নিরাপদ জায়গায় (Election Commission) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশকে বলা (SIR) হয়েছে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএলওদের চাপ বা ভয় দেখানোর বিষয়টি দেখার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। এদিন দিল্লিতে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ১০জনের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশন তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও বক্তব্য কিংবা মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে যাতে কোনও ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, তা দেখতে হবে। সূত্রের খবর, ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে তৃণমূলকে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

    অতিরিক্ত ভাতা

    যেহেতু বিএলও এবং ইআরও বাড়তি কাজ করছেন, তাই তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়টিও স্মরণ (Election Commission) করিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। কমিশনের আধিকারিকরা জানান, অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও টাকা এই ভাতার জন্য (SIR) বরাদ্দ করা হয়নি। দেরি না করে যাতে অবিলম্বে এই ভাতার টাকা বিএলও এবং ইআরওদের দিয়ে দেওয়া হয়, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের শাসক দলের বাধার প্রাচীর ডিঙিয়েও যে এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ মসৃণ গতিতে চলছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, ৮৫ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড করে ফেলেছেন বিএলওরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ফর্ম আপলোড হয়েছে সব চেয়ে বেশি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূলকে বলে দিয়েছে যে নির্বাচনের পবিত্রতা রক্ষা করুন। তৃণমূলকে লাইনে আসতে বলেছে।”

    এদিকে, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আসছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। জেলায় জেলায় এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। অবশ্য (SIR) তিনি একা নন, আরও ১১ জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকও আসবেন তাঁর সঙ্গে। এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানো হবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে (Election Commission)।

  • SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিরোধীদের। প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাঁদের দ্বিচারিতার রাজনীতিও। এক সময় এসআইআরের দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই তিনিই এখন এসআইআরের বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন পথে। এই দ্বিচারিতার রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেসও (Rahul Gandhi)। নির্বাচন কমিশনের দাবি, একদিকে রাহুল গান্ধী এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। অথচ এটি ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে তিনিই অতীতের ভোটার তালিকার অশুদ্ধির কথা তুলে ধরে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। কমিশনের সাফ কথা, “এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, শুরুতে তিনি বিরোধিতা করলেও, এখন তিনি এসআইআরকে সমর্থনই করছেন।”

    ভোট চুরির অভিযোগ রাহুলের (SIR)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফের দাবি করেন, দেশে ব্যাপকভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। এদিন তিনি তাক করেছিলেন হরিয়ানাকে, যেখান ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। দুপুরে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিরোধী দলনেতা শ্রী রাহুল গান্ধীর প্রেস কনফারেন্সের বিস্তারিত জবাব শীঘ্রই জানানো হবে।” হরিয়ানা সিইওর এক্স হ্যান্ডেলে ‘হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, পোলিং এজেন্ট, প্রাপ্ত অভিযোগ এসবেরই বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে (Rahul Gandhi)।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    সংবাদ সংস্থা এএনআই নির্বাচন কমিশনের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচনী তালিকা নিয়ে কোনও আপিল দাখিল হয়নি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হাইকোর্টে মাত্র ২২টি পিটিশন বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে (SIR)। সূত্রের প্রশ্ন, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন যে ডুপ্লিকেট ভোট হয়েছে, তবে তাঁরা ভোটকেন্দ্রেই আপত্তি জানালেন না কেন? গান্ধী কি এসআইআর প্রক্রিয়া সমর্থন করেন নাকি বিরোধিতা করেন? এই প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে ডুপ্লিকেট, মৃত এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বও। সূত্রের আরও প্রশ্ন, কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্টরা কেন তালিকা সংশোধনের সময় কোনও দাবি বা আপিল দায়ের করেননি? নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর ওই দাবিতে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে নকল বা দ্বৈত ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। আর বিজেপির দাবি ছিল, সেই ভোট পড়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, ‘হাউস নম্বর জিরো’ সেই সব এলাকাকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এখনও বাড়ির নম্বর বরাদ্দ করেনি (Rahul Gandhi)।

    রাহুলের বিস্ফোরক দাবি

    রাহুল গান্ধীর দাবি, হরিয়ানার প্রতি আটজন ভোটারের একজন নকল। তিনি বুথে পড়া ভোট ও পোস্টাল ব্যালটে পড়া ভোটের মধ্যে অকারণ ফারাক সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন। প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে হরিয়ানায় ২৫ লাখ ভোটার নকল, এরা হয় নেই, অথবা এদের নাম দ্বৈতভাবে রয়েছে, অথবা এমনভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাতে যে কেউ তাদের নামে ভোট দিতে পারে। হরিয়ানায় প্রতি ৮ জনের ১ জন ভোটার নকল, শতাংশের বিচারে তারা ১২.৫ (SIR)।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ‘এইচ’ ফাইলস নামে একটি নথি আছে এবং এটি দেখায় কীভাবে পুরো একটি রাজ্যকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছিলাম যে এটি কেবল আলাদা আলাদা আসনে হচ্ছে না, বরং রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও ঘটছে। হরিয়ানা থেকে আমাদের প্রার্থীদের কাছ থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছিলাম যে কিছু একটা ঠিকমতো কাজ করছে না। তাদের সমস্ত পূর্বাভাস উল্টে গিয়েছিল। আমরা এ ধরনের অভিজ্ঞতা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রেও পেয়েছি, কিন্তু আমরা হরিয়ানায় জুম করে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল সেটা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে।

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচন হয় ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভার। সেই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয় ৪৭টি আসনে।  কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সেই নির্বাচনের এক বছর পর এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার ঠিক আগের দিনই দিল্লিতে রাহুল অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানায় ৫.২১ শতাংশ ডুপ্লিকেট ভোটার ভোট দিয়েছিলেন (Rahul Gandhi)।  ৯৩ হাজার ১৭৪ জন অবৈধ ভোটার ভোট দেন। আর ১৯ লাখ ২৬ হাজার বাল্ক ভোটার ভোট দেন। সব মিলিয়ে চুরি হয়েছে ২৫ লাখ ভোট (SIR)।

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন।’

    কমিশনকে তুলোধনা মমতার (Suvendu Adhikari) 

    বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এসআইআরের নামে আদতে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে।” তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। পাশাপাশি নিশানা করেন নির্বাচন কমিশনকেও। তিনি বলেন, “এখানে যিনি (মনোজ আগরওয়াল) রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে, তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর।’ তিনি বলেন, “আমি একে রাজনৈতিক ভাষা বলব না, বলব গুন্ডাদের ভাষা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে যে ভাষা মমতা প্রয়োগ করেছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই কারণেই এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কী তথ্য আছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তা জানতে চান, আমরা প্রধান বিরোধী দলও জানতে চাই। আমরা জানতে চাই কোন কোন আধিকারিককে কীভাবে তিনি ধমকেছেন, সেই আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে ওই আধিকারিককে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করুন (Mamata Banerjee)। আমরা তাঁর নাম, পদ জানতে চাই। তিনি বিএলও, নাকি বিডিও নাকি ম্যাজিস্ট্রেট নাকি এসডিও নাকি এডিএম, আমরা তা জানতে চাই।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আপনি যদি সোমবারের মধ্যে এই সব অভিযোগ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সামনে না আনেন, তাহলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছেন। সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে, আপনার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, সিএমও-র স্টাফদের সিরিজ অফ দুর্নীতির কথা আমরা বলব।” তিনি আরও বলেন, “মনোজ আগরওয়াল কী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব। কেন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি?”

    নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক

    এদিকে, বাংলায় (Suvendu Adhikari) নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক। রাজ্যের একাধিক জেলায় নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ইআরও পদে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, “রাজ্যের বহু জেলাশাসক জুনিয়র অফিসারদের ইআরও পদে নিয়োগ করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘন (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু বলেন, “এভাবে সিনিয়র ডাব্লুবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) আধিকারিকদের এড়িয়ে জুনিয়রদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, যা ইলেকশন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশের পরিপন্থী।”

    কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সব মিলিয়ে মোট ২২৬টি নিয়োগ হয়েছে কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড উপেক্ষা করে। তিনি বলেন, “এই ধরনের অনিয়ম আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এসডিও, এসডিএম বা আরডিও পদমর্যাদার আধিকারিকরাই ইআরও হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বার্তা

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, পশ্চিমবঙ্গে এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করা হোক। যেন দ্রুত সংশোধন ও পুনর্নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে উদাহরণ হিসেবে তিনি কয়েকজন ইআরও-র নাম এবং বিবরণ পাঠিয়েছেন, যাঁরা যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেন না (Mamata Banerjee)।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার প্রায় সাড়ে চারশো বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম যেমন তালিকা থেকে বাদ যাবে না, তেমনই কোনও অবৈধ ভোটারের নামও ভোটার তালিকায় রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে (Mamata Banerjee) কোনও ভুল হলে তার দায় বর্তাবে বিএলওদের ওপরই (Suvendu Adhikari)।

  • Election Commission: বঙ্গের ভোটার তালিকাভুক্ত ৫০ শতাংশ শতায়ু ভোটার মৃত! কী করবে রাজ্যের সিইও দফতর?

    Election Commission: বঙ্গের ভোটার তালিকাভুক্ত ৫০ শতাংশ শতায়ু ভোটার মৃত! কী করবে রাজ্যের সিইও দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বাংলাতে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী শীঘ্রই চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বর্তমান ভোটার তালিকায় শতায়ু ভোটারদের ক্ষেত্রে বড় গরমিল ধরা পড়ল। রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকা শতায়ু ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই মৃত! রাজ্যজুড়ে শতায়ু ভোটারদের নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় প্রায় ১৩ হাজার নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা শতায়ু পার করেছেন। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম–সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন এই শতায়ু ভোটাররা। ভোটার তালিকায় কারও বয়স ১০০, কারও আবার ১০৬। কোচবিহারের শীতলকুচি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ১১৪ বছর বয়সি ভোটারও রয়েছেন।

    ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা ঘিরে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, ২০২৪ লোকসভার ভোটার তালিকা অনুযায়ী রাজ্যে মোট ১২ হাজার ৪৯৪ শতায়ু ভোটার রয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা বা যাচাইকরণের পর দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ২১২ জন শতায়ু মৃত অথচ তাদের নাম এখনও ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে। বছরে চার বার ভোটার তালিকার রিভিশন বা যাচাইয়ের কাজ করা হলেও রাজ্যের ভোটার তালিকা যাচাইকরণের ক্ষেত্রে ইআরও, এইআরও, বিএলও এমনকি ডিইও-দের ভুমিকা নিয়েও ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শতায়ু ভোটারদের এই পরিসংখ্যান। বিষয়টি একেবারেই সুনজরে দেখছে না রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।

    ৮৫ বছর থেকে ১০০ বছর ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ

    বঙ্গে এসআইআর বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগেই এবার ৮৫ উর্ধ্ব বয়সি ভোটারদের নিয়ে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ করতে চায় রাজ্য সিইও দফতর। যেহেতু ৮৫ বছর ঊর্ধ্ব ভোটাররা বাড়ি থেকেই ভোট দান করেন, কমিশনের পরিভাষায় যাকে হোম ভোটিং বলা হয়। সে কারণে ৮৫ বছর থেকে ১০০ বছর এই বয়সি ভোটারদের কতজন বর্তমান ভোটার তালিকার সাপেক্ষে জীবিত আছেন তা নিয়ে ফের একবার পরীক্ষা করতে চায় রাজ্য সিইও দফতর। রাজ্যে এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই সমীক্ষা বা যাচাইয়ের নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যের সিইও দফতর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশজুড়ে শতায়ু ভোটারদের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা বা যাচাই করণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে গোটা দেশের সিইও-দের নিয়ে বৈঠকে এই যাচাইকরনের আভাস আগেই দিয়েছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তদনুযায়ী রাজ্যে রাজ্যে বর্তমান ভোটার তালিকার সাপেক্ষে শতায়ু ভোটারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজ করা হয়। বঙ্গের বাস্তব চিত্র হল, বর্তমান ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত শতায়ু ভোটারদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মৃত হলেও তাদের নাম এখনো ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে।

    নির্বাচন কর্মীদের আরও সতর্ক ও সজাগ করা প্রয়োজন

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বক্তব্য রাজ্যে ভোটার তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে ইআরও, এইআরও বা বিএলও-দের দায়িত্ব পালনে যে খামতি থেকে যাচ্ছে এই ধরনের তথ্য তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে নির্বাচন কর্মীদের আরও সতর্ক ও সজাগ করা প্রয়োজন। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের শতায়ু ভোটারদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জীবিত না মৃত তার লিখিত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়লে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই প্রত্যেক ইআরও–কে শতায়ু ভোটারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের স্বাক্ষর–সহ লিখিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্টই সিইও দফতর সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবে।

  • BLO Appointment: বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    BLO Appointment: বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল এর সঙ্গে দেখা করল বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। বিএলও নিয়োগে ফের বেনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে নিবাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। দলের সহ সভাপতি শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে এদিন জগন্নাথ চাটোপাধ্যায় ও সুনীল সিং সহ ৪ জনের প্রতিনিধি দল এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যায়।

    ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা জমা দিয়েছে বিজেপি

    এদিন ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা সিইও দফতরে জমা দেয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাদের অভিযোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে বড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল ক্যাডারদের বিএলও করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তারা ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের নাম দিয়েছে। অথচ সিইও দফতর স্থায়ী কর্মীদের খুঁজে পাচ্ছে না। তারা শুধু বিএলও হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দেখছেন বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিশির বজোরিয়ার। একই ভাবে প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ রাজ্যে যখন এসআইআর নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, তখন এসআইআর নিয়ে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তারা এসআইআর-এর বিরোধিতা করছে। আবার অন্য দিকে তাদের রাজনীতিক প্রতিনিধি হিসেবে বুথ লেভেল এজেন্ট ১ এর পর ভিতরে ভিতরে বিএলএ ২ ও নিয়োগ করছে।

    ২০ হাজারের কাছাকাছি বিএলও ঘাটতি

    বিজেপির অভিযোগ যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী বিডিও এবং এসডিও দের হলফনামা নিয়ে বলতে হবে যে তারা বিএলও পাচ্ছেন না। অথচ এখনও প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি বিএলও ঘাটতি রয়েছে রাজ্যে। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা জমা দিয়েছি। কিন্তু সিইও দফতর স্থায়ী কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী একদিকে এসআইআর এর বিরোধিতা করছেন, আবার বাইরে থেকে কুস্তি করছেন আর ভিতরে তারা তাদের ব্লক লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দলের আহ্বান অক্টোবরের শেষ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে এসআইআর লাগু হতে চলেছে। তাই সবাই নিজের নথিপত্র খুঁজে রাখুন। কারোর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে না বলে জানাল বিজেপির প্রতিনিধি দল।

  • SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) লক্ষ্যে আরও একধাপ এগলো নির্বাচন কমিশন। এবার রাজ্যের ভোটার তালিকার মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছে তারা। এ রাজ্যে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভোটার তালিকার সঙ্গে এবার মিলিয়ে দেখা হবে রাজ্যের বর্তমান ভোটার তালিকা -কমিশনের ভাষায় ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ (Voter Mapping)।

    ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ (SIR)

    ১০ অগাস্ট দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সিইওদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়াল। ওই বৈঠকেই ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সেই মতো এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিইও অফিস। মূলত, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করবেন বুথ লেভেল আধিকারিকরা। এদিকে, ১৭ সেপ্টেম্বরই রাজ্যে আসছেন সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। অন্য একটি সূত্রের খবর, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে রাজ্যের এসআইআর প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। ২০ তারিখে দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তিনি।

    সারা দেশেই এসআইআর চালু

    বিহারের পর এবার সারা দেশেই এসআইআর চালু করার পথে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। অক্টোবরে জারি করা হতে পারে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যদিও ঠিক কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা জানা যায়নি। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের (SIR) তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রস্তাব দেন, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে রেশন কার্ড এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকেও নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি হিসেবে গ্রহণ করা হোক। রাজ্যের দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের সাফ কথা, আধার কার্ডের পরে আর কোনও নথি গ্রহণ করা হবে না। সারা দেশেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

    এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর হবে আগে

    সামনেই রয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো। তাই এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ শুরু হবে পুজোর পরে। যদিও নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতেও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। অক্টোবরের প্রথম দিকেই শেষ দুর্গাপুজো। কালীপুজো-ভাইফোঁটার পর্ব চুকতে আরও দিন পনেরো। তার পরেই জোরকদমে (Voter Mapping) শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। কারণ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এই রাজ্যগুলিতে (SIR)।

  • Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। অভিযোগের আইনি ভিত্তি থাকতে হয়। বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দাখিল করা হলফনামা প্রসঙ্গে রবিবার এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। তিনি জানান, গত দুই দশক ধরে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির ভিত্তিতেই প্রথমে বিহার থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

    সরাসরি অভিযোগ করা যায় না

    এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আধার (Aadhaar) সম্পর্কিত নানা বিষয়েও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমার জানান, “প্রতিনিধিত্ব আইনের (Representation of the People Act) অধীনে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একজন বৈধ ভোটারই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “অবৈধ ভোটার বা সাধারণ নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন না; তবে সাক্ষী হিসেবে তথ্য দিতে পারেন, যদি তা শপথনামার মাধ্যমে নির্বাচনী অফিসারের (ERO) সামনে পেশ করা হয়।”

    স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেন, ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ১৮,০০০ ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কমিশন এসব আমলে নিচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বিরোধী দলগুলির তরফে ভোট চুরির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এবং বিএলও-রা মিলে স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ করছেন এবং প্রক্রিয়াটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন স্বাক্ষর ও ভিডিও টেস্টিমোনিয়ালের মাধ্যমে। কমিশনের অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও বুথ লেভেল এজেন্টদের এই অনুমোদন রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

    আধার বাধ্যতামূলক নয়

    আধার ইস্যুতে, নির্বাচন কমিশনার জানান, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়। তবে অভিযোগকারীরা চাইলে আধার কার্ড সমর্থক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন এই নিয়ম মেনে চলে।” এদিকে, আধার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত মামলাটি আগামী ২২ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে উঠছে। আদালত এই বিষয়ে আরও আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share