Tag: ECI

ECI

  • Election Commission: ভোট ঘোষণার পরে বাংলায় উদ্ধার প্রায় ১৪০ কোটির সোনা-মাদক, জানাল কমিশন

    Election Commission: ভোট ঘোষণার পরে বাংলায় উদ্ধার প্রায় ১৪০ কোটির সোনা-মাদক, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন ১৬ মার্চ। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে সোনা, মাদক, অ্যালকোহল সমেত অন্যান্য সামগ্রী। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ৭ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধারের ঘটনাও সামনে এসেছে। শনিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    ভোট ঘোষণার পর থেকেই চলছে পাচার রুখতে অভিযান

    ভোট ঘোষণার পরে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ইতিমধ্যে ১২.৭ লাখ লিটার মদ উদ্ধার করেছে। যার বর্তমান কালের বাজার মূল্য হল ৩৩.৮৬ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কমিশন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সাড়ে ৩ কেজিরও বেশি মাদক যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮.২৮ কোটি টাকা। এছাড়াও ২৭.৩২ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটের আগে অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে ৩৬ কোটি টাকার। প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে যে কোনও ভোটের অন্যতম কালো দিক হিসেবে সামনে আসে টাকা বিলি। এর পাশাপাশি ভোটের সময় ভোটারদেরকে বিনামূল্যে মদ সরবরাহ করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে রাজনৈতিক দলগুলি। এমন অভিযোগও সামনে আসে। এবারে আগে থেকেই সে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

    অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত ‘সেনসিটিভ’ পশ্চিমবঙ্গের ৬ লোকসভা

    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রকে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত ‘সেনসিটিভ’ বলে ঘোষণা করেছে। তার মানে এই সমস্ত লোকসভাগুলিতে বেআইনি অর্থের কারবার খুব বেশি হয়। সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বেআইনি অর্থের কারবার, গরু পাচার, মাদক পাচার, সোনা পাচারের অভিযোগ সারা বছর ধরেই আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্থানীয় শাসক দলের মদতে এই কারবার চালায় অপরাধীরা। ভোটের আগে এগুলিকে একেবারে বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। শুক্রবার কলকাতা পুলিশ নাকা চেকিং চালায় জোড়া বাগান সংলগ্ন অঞ্চলে। কলকাতার উত্তর দিকে অবস্থিত এই অঞ্চলে ১৫ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত (Election Commission) করতে সক্ষম হয় পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৮২ লাখ টাকা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এই সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি ব্যবহার। আর তাতেই বিতর্কে জড়ালেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ( Election Commission) কাছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নালিশ জানায় বিরোধীরা। এবার সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপও নিতে দেখা গেল কমিশনকে। বিশ্বকাপের ছবি ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না, এ কথা সাফ জানিয়েছে কমিশন।

    সচিন তেন্ডুলকরের ছবি ব্যবহারেরও অভিযোগ

    উল্লেখ্য, অধীর-গড় বলেই পরিচিত বহরমপুর। সেখানে তৃণমূলের বাজি ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অন্যদিকে বিজেপিও নামিয়েছে জবরদস্ত প্রার্থী ডাক্তার নির্মলকুমার সাহাকে। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছে ওই কেন্দ্র। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে তৃণমূল। বহরমপুরের রবিনহুড অধীরের তৃতীয় স্থানে নেমে আসার প্রবল সম্ভাবনা। এই আবহে বহরমপুরে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব দলই। সম্প্রতি, ইউসুফের নির্বাচনী প্রচারের একটি ফ্লেক্সে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। বিশ্বকাপ ( Election Commission) হাতে ইউসুফের ছবি দেখা যায়, সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ইউসুফের ছবিও দেখা যায়।

    ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার!

    আর এই ফ্লেক্সকে নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার করছেন ইউসুফ পাঠান। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছিল কমিশন ( Election Commission)। জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। আর এবার কমিশনের থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনওভাবেই বিশ্বকাপের ওই ধরনের ছবি আর ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনী প্রচারে।

    ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ!

    তবে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ইউসুফ পাঠানও। তাঁরও বক্তব্য, বিশ্বকাপের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ। কারণ বিশ্বকাপ জয় একার কৃতিত্ব নয়, তা দলগত প্রয়াস। ইউসুফকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি পরিশ্রম করে এটা অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও বহরমপুর কেন্দ্র নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় নতুনই। এমন অভিযোগ সাধারণত দেখা যায় না, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের। খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার নিয়ে এইরকম অভিযোগ আগে আসেনি কমিশনের কাছে। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বলা যায় নাকি, সেই  বিষয়ে জানার জন্য দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠায় সিইও দফতর। তারপরেই এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোটের দিন কি সবেতন ছুটি আপনার প্রাপ্য? কী বলছে কমিশনের আইন?

    Election Commission: ভোটের দিন কি সবেতন ছুটি আপনার প্রাপ্য? কী বলছে কমিশনের আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। চলতি মাসের ১৬ তারিখ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সারা দেশে সাত দফায় ভোট হবে দেশে। প্রতিটি দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসন থাকবে। ভোট শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন প্রকাশিত হবে লোকসভা ভোটের ফল। সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীরা কি ছুটি পাবেন ভোটের দিনগুলিতে? কী বলছে কমিশন? কী সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য?

    কী বলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম?

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারের নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিন সবেতন ছুটি প্রাপ্য। ১৯৫১ সালের ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী এই ছুটি পেতে পারেন ভোটাররা। এই আইনের ১৩৫বি ধারায় তা উল্লেখও করা রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি এবং সমস্ত প্রকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই সবেতন ছুটির কথা বলা রয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষ ছুটি না দিলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানাও করা যেতে পারে। লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন সমেত সমস্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রেই এই ছুটি পাবেন ভোটাররা। কোনও ভোটার যদি কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে বাস করেন, সে ক্ষেত্রেও নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে সবেতন ছুটি দেওয়া বাধ্যতামূলক। 

    বাংলায় ছুটি ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের দিনগুলিতে ইতিমধ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে (Election Commission)। যে যে কেন্দ্রে যেদিন নির্বাচন রয়েছে সেই কেন্দ্রগুলিতে সেদিন ভোটাররা সবেতন ছুটি পাবেন। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কেবলমাত্র সরকারি দফতর নয়, বেসরকারি কর্মীদেরও ওই দিনগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জানা গিয়েছে, শ্রম দফরের তরফে এ নিয়ে একটি পৃথক বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হবে শীঘ্রই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: সিঙাড়া থেকে হেলিপ্যাড তৈরির খরচ, ভোট প্রচারে রেট বেঁধে দিল কমিশন

    Election Commission: সিঙাড়া থেকে হেলিপ্যাড তৈরির খরচ, ভোট প্রচারে রেট বেঁধে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অবাধ করার ঘোষণা কমিশন (Election Commission) আগেই করেছিল। সেই মতো একের পর এক পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে কমিশনকে। এবার ভোটের খরচকে স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন রেট বেঁধে দিতে চলেছে কমিশন। এমনটাই জানা গিয়েছে। এবিষয়ে এক কদম এগিয়ে ২৮১টি সামগ্রীর মূল্য বেঁধে দিল যোগী রাজ্যের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা প্রশাসন। তবে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় দরকে মাথায় রেখে এই রেট চার্টে সামান্য অদলবদল করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।  কিন্তু, কেন এমন মূল্য বেঁধে দেওয়ার প্রয়োজন হল?

    কেন এমন সিদ্ধান্ত? 

    গৌতম বুদ্ধ নগরের এক আধিকারিকের কথায়,  “কেউ হিসাবে গরমিল দেখাতে পারবে না। ধরুন কোনও দল ১ হাজার সিঙাড়া বা মিষ্টি বিতরণ করেছে, তখন এর মূল্য এই রেট তালিকার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।” নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী খরচের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে রাখতে হবে। প্রচারের প্রতিটি খরচ সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ করলে তা চেকের মাধ্যমে করতে হবে প্রার্থীদের। এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮তম লোকসভা নির্বাচন প্রার্থীদের ২০% খরচ বাড়তে চলেছে। কারণ গত পাঁচ বছরে সিঙাড়া থেকে থেকে স্পেশাল থালি, কফি, পোহা, পুরি-সবজি সমেত অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে।

    সিঙাড়া, পোহা, পুরি-সবজির রেট বেঁধে দেওয়া হল

    নির্বাচনে কমিশনের (Election Commission) একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে যে সিঙাড়ার দাম ৮ টাকা ছিল বর্তমানে তা পৌঁছেছে ১০ টাকায়। এইভাবে ১০০ টাকার স্পেশাল থালি ২০২৪ সালে হয়েছে ১৬০ টাকা। পোহার দামও বেড়েছে পাঁচ টাকা। এক কাপ চায়ের দাম ধরা হচ্ছে ১৪ টাকা। পুরি-সবজির দাম ৬০ টাকা, লাঞ্চ প্যাকেট ১২০ টাকা, ভিআইপি লাঞ্চ প্যাকেট ২০০ টাকা, জলের বোতল ২০ টাকা, কোল্ড-ড্রিঙ্কস ১৫ টাকা। একইভাবে, বরফি ২০০ টাকা কিলো, বিস্কুট ১৫০ টাকা কিলো, ব্রেড পকোড়া ১০ টাকা, স্যান্ডউইচ ১৫ টাকা এবং জিলিপি ১৪০ টাকা কিলো ধার্য করেছে কমিশন। 

    ধার্য করা হয়েছে হোটেল, গাড়ি ভাড়ার খরচও

    হোটেলে রুম বুক করলে এসি সিঙ্গেল বেডের ভাড়া ধরা হয়েছে ১,৬৫০ টাকা। আর ডবল বেডে ভাড়া ধরা হয়েছে ২,১০০ টাকা, এসি ছাড়া হোটেল রুমের খরচ ধরা হচ্ছে ৯০০ টাকা। ডাবল বেডে ১,৩০০ টাকা। এর পাশাপাশি, নির্বাচনের প্রচারের (Election Commission) কাজে ব্যবহৃত যানবাহনগুলির খরচাও বেড়েছে। এই যানবাহনগুলির একদিনের ভাড়া আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হয়েছে। জীপ গাড়ির দর ঘণ্টাপ্রতি ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। একইভাবে টেম্পো ৮৫০ টাকা, টাটা সুমো ১২০০ টাকা, ইনোভা ২৭০০ টাকা, স্করপিও ১৫০০ টাকা, ইন্ডিগো, সুইফ্ট এবং বোলেরো ১২০০ টাকা, টাটা সাফারি ১৬০০ টাকা এবং টাভেরা ১৭০০ টাকা। গাড়ি চালকের মজুরি ধরা হয়েছে ৫৪০ টাকা হয়েছে।

    হেলিপ্যাড তৈরির খরচ

    বড় বড় তারকা প্রচারকরা (Election Commission) সাধারণত হেলিকপ্টারে উড়ে প্রচারে আসেন। তাঁদের জন্য নির্মাণ করতে হয় হেলিপ্যাড। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও হেলপ্যাড তৈরিতে খরচ ছিল ১০,০০০ টাকা। ২০২৪ সালে এটা ধরা হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি প্যান্ডেল, মঞ্চ, ব্যানার ইত্যাদির খরচও বেশি ধরা হয়েছে আগের থেকে। ড্রোন ক্যামেরার খরচ ১৫ মিনিটের জন্য ১৬ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

    নেতাদের জন্য গাঁদা-গোলাপ ফুলের মালা

    রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফুলের মালাতেও (Election Commission)। গাঁদা ফুলের মালার এক পিসের দাম ধরা হয়েছে ২৫ টাকা। ফুলের তোড়ার দাম ধার্য করা হয়েছে ১৮০ টাকা। ভিভিআইপি নেতারা মঞ্চে এলে দৈত্যকায় ফুলের মালা ব্যবহার করতে দেখা যায়। এর দাম ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরা হয়েছে। গোলাপ ফুলের বুকের দাম ৪০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। খরচ বেড়েছে প্রজেক্টরেরও। ৪৪ ইঞ্চি এলইডি’র ডিসপ্লে ২০২৪ সালে ৫০০০ টাকা ভাড়া হিসাবে ধরা হচ্ছে প্রতি ১২ ঘণ্টায়। ২০১৯ সালে যা ৩,০০০ টাকা ছিল।

    ঢোল-করতাল থেকে নাচগানের আসরও তালিকায়

    প্রচারে জনসংযোগ বাড়াতে বহু প্রার্থী খোল-করতাল থেকে শুরু করে ডিজে ও নাচগানের আয়োজন করেন। নির্ধারিত হয়েছে তার খরচও। জানা যাচ্ছে, ঢোল-নাগাড়ার জন্য ঘণ্টাপ্রতি ৫৫০ টাকা এবং নাচগানের আসরের জন্য ৯,৫০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) কড়া নজর রাখতে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অনিল শর্মাকে নিয়োগ করেছিল কমিশন। এবার ভোটে নজরদারির জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক আইএএস আধিকারিক অলোক সিনহাকে নিয়োগ করা হল। বৃহস্পতিবার কমিশন এ কথা জানিয়েছে। 

    কেন বিশেষ পর্যবেক্ষক

    সাধারণভাবে, ভোটের (Lok Sabha Election) সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কমিশন, তবে নির্বাচনের এতটা আগে থাকতে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয় না। তবে এবার লোকসভা ভোট শুরুর আগে থেকেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলার উপর বাড়তি জোর দিতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শর্মার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক শর্মার রিপোর্ট করার কথা বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহার কাছে। 

    কেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই অনিল শর্মাকে চণ্ডীগঢ় থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট পর্ব শুরু হচ্ছে রাজ্যে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) ঘোষণার আগে থেকেই বঙ্গের বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গ্রেফতারি বা টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করাই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের মূল কাজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে মোট ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক, পুলিশ ও সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক

    প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল বাংলায় তিনটি আসনে ভোট (Lok Sabha Election) রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই এই তিনটি জায়গার জন্য তিন জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। কোচবিহারের জন্য আইআরএস সঞ্জয় কুমার, জলপাইগুড়ির জন্য মদনমোহন মীণা ও আলিপুরদুয়ারের জন্য শালম কে দুর্গেশ যাদবকে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভোটে এই রাজ্যে অশান্তির ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তাই এই বছর সরকার এই ব্যাপারে আগাম সতর্ক বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok sabha Election 2024) মানেই শুধু খরচ আর খরচ। গত ১৬ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। এরমধ্যে প্রচার পর্বও শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে মোটা টাকা অর্থ ব্যয় হয় কমিশনেরও। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীন ভারতে যখন প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৯৫১ ডিসেম্বর) সেবার নির্বাচন কমিশনের খরচ হয় প্রায় ১০.৫ কোটি টাকা। সময় যত এগোতে থাকে প্রতি বছরই নির্বাচনের খরচের বহরও বাড়তে থাকে। একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও (Lok sabha Election 2024) বেশি।

    সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে খরচ

    সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাজিজ নামের একটি সংস্থার অনুমান, এবারের সাধারণ নির্বাচনে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে চলেছে। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক ব্যয়বহুল ভোট হতে চলেছে। গবেষণায় (Lok sabha Election 2024) দেখা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচ বছরে নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানা যায় কমিশনের সাইট থেকে।

    কেন এত ব্যয় বহুল নির্বাচন 

    ক্ষমতায় আসতে রাজনৈতিক দলগুলি এবং প্রার্থীরা জলের মতো অর্থ ব্যয় করা হয়। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের ব্যয়ের বিষয়ে বিধি নিষেধ জারি করলেও রাজনৈতিক দলগুলির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর এসব কারণেই ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। হিসাব বলছে, গত কয়েক বছর ভারতের লোকসভা ভোটে যা খরচ হয়েছে তা বিশ্বের একাধিক দেশের জিডিপির সমান। লোকসভা নির্বাচনে যে কোনও দলের প্রার্থীর জন্য ৯৫ লাখ টাকা সীমা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ একজন প্রার্থী (Lok sabha Election 2024) নির্বাচনী প্রচারে ৯৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না।

    দলের খরচ কত?

    অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর রিপোর্ট অনুসারে, গত নির্বাচনে সাতটি জাতীয় দল ৫,৫৪৪ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪,০৫৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস ১,১৬৭ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে। হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে, বিজেপি ১,১৪২ কোটি টাকা খরচ করেছিল। কংগ্রেস ৬২৬ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। ২০১৯ সালে, বিজেপি ৩০৩টি আসন জিতেছিল। এই হিসাব অনুযায়ী, এক একটি আসন জিততে গেরুয়া শিবির গড়ে ৪.৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কংগ্রেসের ঘরে যায় মাত্র ৫২টি আসন। সেই হিসেবে একটি আসন জেতার জন্য গড়ে তাদের খরচ হয়েছে ১২ কোটি টাকার বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ! দিলীপ ঘোষকে শোকজ বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ! দিলীপ ঘোষকে শোকজ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই নিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷ এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য় করে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর এই আচরণে ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এই ঘটনায় তাঁকে দলের তরফে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।

    দিলীপকে শোকজ নোটিস

    ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষের উপর ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। দ্রুত দিলীপ ঘোষকে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির মহাসচিব অরুণ সিংয়ের স্বাক্ষরিত ওই শো-কজ নোটিসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি দিলীপের মন্তব্যের নিন্দা করে বলা হয়েছে, “মাননীয় দিলীপ ঘোষ, আপনার বক্তব্য অশোভনীয় এবং অসংসদীয়। ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির পরিপন্থীও। দল এই বক্তব্যের নিন্দা করছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশানুসারে আপনি যত দ্রুত সম্ভব আপনার আচরণের ব্যাখ্যা দিন।” 

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপের বিরুদ্ধে সরাসরি আদর্শ নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর অফিস সূত্রে খবর, জেলাশাসকের কাছ থেকে ওই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে তা দিল্লিতে কমিশনের দফতরে পাঠানো হবে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মমতাকেও আক্রমণ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে কুরুচিকর ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ব্যাঙ্কে ১ লাখের বেশি টাকা তুললেই তথ্য যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে

    Election Commission: ব্যাঙ্কে ১ লাখের বেশি টাকা তুললেই তথ্য যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন (Election Commission)। স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট করাতে আদর্শ আচরণবিধিকে কঠোরভাবে লাগু করার কথাও ঘোষণা করতে শোনা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। ইতিমধ্যে নির্বাচনে যাতে কালো টাকা ব্যবহার না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে কমিশন। ব্যাঙ্ক থেকে যেকোনও ব্যক্তি ১ লাখ টাকার বেশি তুললেই সরাসরি তথ্য চলে যাবে কমিশনের কাছে।

    ‘ইলেকশন সিজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ অ্যাপে আসবে তথ্য

    কমিশন সূত্রে খবর, টাকা পাচার (Election Commission) রুখতে বেশ কিছু বিশেষ অ্যাপও চালু করা হয়েছে।  ইতিমধ্যে সেই অ্যাপগুলি কাজও শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে দেশে যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে এক লাখ টাকার বেশি তোলা হলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপে তথ্য চলে আসবে। শুধু তাই নয়, কোন ব্যক্তি কোন ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা তুললেন সে তথ্যও পেয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি যে সমস্ত গাড়িগুলিতে এটিএম মেশিনে টাকা ভরা অথবা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, সেগুলিতেও বিশেষ কিউআর কোড লাগিয়ে রাখবে কমিশন। পরবর্তীকালে সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই গাড়ি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে কমিশনের হাতে। এই অ্যাপটির নাম রাখা হয়েছে ‘ইলেকশন সিজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’।

    ভোট এলেই কালো টাকার ব্যবহার বাড়তে থাকে

    ভোট এলেই কালো টাকার ব্যবহার বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তার কারণ অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার। ভোটের আগের রাতে গোপনে টাকা বিলি করারও অভিযোগ সামনে আসে। কালো টাকার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে কমিশন (Election Commission) নামিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর, আয়কর দফতর, শুল্ক দফতর সহ মোট ২২ এজেন্সিকে। প্রসঙ্গত, বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ৪১ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। গতকালই ইডি সেই তথ্য কমিশনকে জানিয়েছে। ১০ লাখের বেশি টাকা উদ্ধার হলেই তা কমিশনকে জানানোর নিয়ম রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: রাজ্যে বাহিনীর গতিবিধির রিপোর্ট রোজ পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, জানাল সিআরপিএফ

    Central Force: রাজ্যে বাহিনীর গতিবিধির রিপোর্ট রোজ পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, জানাল সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রতি দিন পাঠাতে হবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকেই প্রতি দিন এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে, এ রাজ্যের বাহিনী সমন্বয়কারী অফিসারকে (Central Force)। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করেছে সিআরপিএফ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এর ফলে রাজ্যের শাসক দলের প্রশাসন নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে পারবে না।

    নির্দেশে কী বলা হয়েছে? 

    ওই নির্দেশে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) অবস্থান ও গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট ই-মেল ও হার্ডকপি মারফত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে হবে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। সিআরপিএফ আরও জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং ডিজিপির সঙ্গে আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধি সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে। বাহিনীর যাতায়তের সুবিধার জন্য রেলকে বিশেষ ট্রেনও দিতে বলা হয়েছে।

    এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। প্রথম দফায়, ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিন আরও ৫০ বাহিনী (Central Force)। জেলায় জেলায় বাহিনী রুটমার্চও করছে। সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে।

    ৭ দফায় নির্বাচন

    উল্লেখ্য, সারা দেশে নির্বাচন সাত দফায় হবে। প্রতিটি দফাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসন থাকবেই। প্রথম দফার নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় প্রথম দফার তিনটি আসনের ভোটে ২২৫ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ব্যবহার করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তারকা প্রচারকরা বিধি না মানলে, বাতিল হবে দলের স্বীকৃতি, সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: তারকা প্রচারকরা বিধি না মানলে, বাতিল হবে দলের স্বীকৃতি, সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটযুদ্ধে (Lok Sabha Election 2024) তারকা প্রচারকদের সাহায্য সব দলই নেয়। তাঁদের জনপ্রিয়তাকে ইভিএম-এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে সব দল। এক্ষেত্রে তারকাদের সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য না হলেও চলে। তবে এবার তারকাদের প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর নিয়ম এনেছে কমিশন। কোনও দলের তারকা প্রচারক যদি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, তবে ওই রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি এবং ভোট প্রতীক বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

    সংশ্লিষ্ট দলের স্বীকৃতিও বাতিল হতে পারে

    সূত্রের খবর, গত ১ মার্চ, কমিশনের তরফে যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ঘোষণা করা হয়েছিল, তা যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয়, সে জন্য এ বার সক্রিয় হতে চলেছে কমিশন (Lok Sabha Election 2024)। জানা গিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনও দলের তারকা প্রচারকরা নির্বাচনী বিধি মেনে না চলেন, তা হলে নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ ও বরাদ্দ) আদেশ, ১৯৬৮-এর ধারা ১৬-এ ধারায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট দলের স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে। বাজেয়াপ্ত হবে নির্বাচনী প্রতীকও।

    কমিশনের ৮ নির্দেশিকা

    প্রসঙ্গত, ১ মার্চের ওই নির্দেশিকায় সমস্ত রাজনৈতিক দল, তাদের প্রার্থী এবং তারকা প্রচারকদের (Lok Sabha Election 2024) জন্য মোট আটটি আচরণবিধির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলি হল—

    ১। ভোটের প্রচার চলাকালীন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য বা আচরণ করা যাবে না। যা হিংসা ছড়াতে পারে।

    ২। ব্যক্তির সমালোচনা তাঁর কার্যকলাপ ও নীতির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনওভাবে সমালোচনা করা যাবে না।

    ৩। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে কোনও রকমের ভুয়ো তথ্য দেওয়া যাবে না। অপর কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা যাবে না (Lok Sabha Election 2024)।

    ৪। ধর্মীয় স্থানকে ভোট প্রচারের মঞ্চ কোনওভাবে বানানো যাবে না। ভোট পেতে জাত বা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো যাবে না।

    ৫। রাজনৈতিক দলের প্রচারে কোনও ভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে।

    ৬। পার্টির বা প্রার্থীর কোনও ভুয়ো বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

    ৭। খবরের মোড়কে কোনও বিজ্ঞাপন কোনও সংবাদমাধ্যমে দেওয়া যাবে না।

    ৮। সমাজমাধ্যমের পাতায় আপত্তিকর এবং রুচিহীন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share