Tag: ecl

ecl

  • Plastic Bricks: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি করছে ইসিএল, কিনছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Plastic Bricks: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি করছে ইসিএল, কিনছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ বান্ধব করে ইট (Eco Friendly Brick) কিনছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কয়লা উৎপাদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএল এবার থেকে বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে ইট তৈরি শুরু করছে। শুরুতে চাহিদা ভালো হওয়ায় এবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার (Bardhaman) শ্রীরামপুরে প্লাস্টিকের ইট তৈরির নতুন যন্ত্র বাসিয়েছে ইসিএল।

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের ইট?

    জানা গিয়েছে, এই ইট (Eco Friendly Brick) তৈরির কারখানার উদ্বোধন করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান সমীরণ দত্ত এবং ডিরেক্টর নিলাদ্রি রায়। পরীক্ষামূলক ভাবে দুই এক দিন চালানোর পর সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসিএল (Bardhaman)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে একটি ইট তৈরি হতে এক কেজি ওজনের প্লাস্টিকের প্রয়োজন হয়। পুরসভা এলাকার ডাস্টবিন বা ডাম্পিং হাউস থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি যে সব ইসিএল এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়, সেখানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেগুলিকে কেটে টুকরো টুকরো করে তাপ দিয়ে আংশিক গলিয়ে ঠান্ডা জলে ফেলে রাখা হয়। তারপরে সেগুলিকে মেশিনের সাহায্যে মন্ড করে ইট তৈরি করা হয়। এতে বিভিন্ন রকমের ইট প্রস্তুত হয়। কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী বলেন, “প্লাস্টিক গলাতে সময় লাগে সাধারণত ১৫ মিনিট। গরম কালে সময় লাগে ১০ মিনিট। তবে বাজারের ইটের তুলনায় এই ইট অনেক বেশি শক্তিশালী। তুলনায় হালকাও।”

    আরও পড়ুনঃ ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে তৈরি হচ্ছে

    এই ইট সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে নিলাদ্রি রায় বলেছেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের নানান নির্মাণে এই ইট ব্যবহার করবে। পাহাড়ি অঞ্চলে এই ইট দিয়ে নির্মাণ হতে পারে। ওজনে হালকা এবং শক্তিশালী হওয়ায় এই ইট বহন করতেও সুবিধা হবে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে তৈরি হচ্ছে এই ইট।” আবার রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোলের (Bardhaman) দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “পরিত্যক্ত প্লাস্টিকে কোথাও রাস্তা তৈরির কাজ হয়েছে। বেসরকারি বা সরকারি উদ্যোগে বর্জ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার যদি বাড়ানো যায় তাহলে বহু সমস্যার সমাধান করা যাবে। কয়লায় দূষণ বাড়ে। প্লাস্টিক ইট (Eco Friendly Brick) পরিবেশ থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে। এই ইট পরিবেশ বান্ধব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসিএলের খনি ভরাট করার জন্য প্রয়োজন বালি। বরাত পাওয়া প্রাইভেট সংস্থার বালির গাড়ি অবৈধ, এই অভিযোগ তুলে তা আটকে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামুরিয়ার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা। সংস্থার তরফে কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তোলাবাজির। ঘটনার প্রেক্ষিতে সংঘাত লেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে জামুরিয়া থানার। জামুরিয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে দলীয় পদ এবং সরকারি পদ থেকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামুড়িয়ার পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সমিতির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ এবং দূষিত বালিমাটি পরিবহণ তাঁরা আটকে দিয়েছেন মানুষের স্বার্থে। কিন্তু পুলিশ কাজ করছে ওই প্রাইভেট সংস্থার হয়ে, মানুষের হয়ে নয়। এই নিয়ে সরগরম জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) রাজনীতি।

    কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?

    ইসিএলের কাজে বাধা দেওয়া ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, বেআইনি ও অবৈধ কাজ বরদাস্ত নয়। তারপরেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন জামুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতারা (Trinamool Congress)। মাটি, বালি, ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই গাড়ি দেখলেই অভিযান শুরু নেতাদের। এই নিয়েই তৃণমূল নেতাদের একাংশের সঙ্গে লাগল সংঘাত। প্রাইভেট সংস্থার অভিযোগ, অভিযানের নামে তোলাবাজিতে নেমেছেন ওই তৃণমূল নেতারা।

    পাল্টা কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Bardhaman)

    ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া গ্রুপ অফ মাইনসের এজেন্ট মধুসূদন সিং ও ইসিএলের টেন্ডার পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পিওবি (প্রসেস ওভার বার্ডেন) প্ল্যান্টের ইনচার্জ অসীম চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত উদীপ সিং ও তার ৬ সঙ্গী সহ ২০-২৫ জনের নামে একটি এফআইআর করেছে। শনিবার রাতে তাঁদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁরা হলেন রঘুপদ মণ্ডল ও মলয় মণ্ডল। পুলিশ অ্যাকশন নিতেই  জামুড়িয়া ব্লকের পরাশিয়া গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা, তথা কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং। পাল্টা তিনি জামুরিয়া থানার (Paschim Bardhaman) ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, ইসিএল এবং ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিককে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমি জামুরিয়া এলাকায় মাটি ও বালির বেআইনি কারবার বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচিত গ্রামসদস্য ছিলেন। উদীপ সিং এদিন হুমকি দিয়ে বলেন, দল পাশে না দাঁড়ালে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থানে বসব। দলের নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। দল যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে পদত্যাগ করব, এমন হুমকিও তিনি দেন। তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। আর কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে পরামর্শ করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের, কী বলছে বিজেপি?

    অন্যদিকে, দায় এড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব। বিষয়টি জানা নেই। পাণ্ডবেশ্বর প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, তৃণমূলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন না বা তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারও নেই। কারণ জামুরিয়ার সমস্ত কিছুই আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও দল ও পুলিশ-প্রশাসন থেকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হবে উদীপকেই। সম্মান নিয়ে যদি উনি বাঁচতে চান, ওঁকে তৃণমূল ছাড়তে হবে। আর যদি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান, আত্মসমর্পণ না করতে চান, তাহলে দল ছাড়ুন। আমরা তাঁর (Trinamool Congress) পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩ জন। জানা গিয়েছে, নিজাম প্যালেসে দফায় দাফায় জেরা করার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসিএলের কাজোরা অঞ্চলে জেনারেল ম্যানেজার নরেশ কুমার সাহা এবং অপর দিকে দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যা দাস কেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। বাপি ঠাকুর আসানসোলের জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার বাসিন্দা এবং বিদ্যা দাস রানীগঞ্জের বাসিন্দা। তবে মিডিল ম্যান হিসাবে অশ্বিনী কুমার যাদবের নাম উঠে এসেছে। ঘটনায় কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam)

    জানা গিয়েছে, ধৃত এই কয়লা (Coal Scam) মাফিয়াদের মাধ্যমে রাজ্যের প্রভাবশালীর কাছে টাকা পৌঁছাত। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের সঙ্গে কয়লা পাচারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এই পাচার কাণ্ডে ধৃত ইসিএলের ম্যানেজার। ইসিলের ভিতরেই কয়লা পাচার! অবাক তদন্তকারী অফিসারেরা। নিজাম প্যালেসে এই ধৃতদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ফলে যাঁদের রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরাই এখন ভক্ষকের আচরণ করছে। কয়লা পাচারের অভিযোগে পদস্থকর্তা গ্রেফতার হওয়ায় এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। একই ভাবে আজ তাঁদের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ইসিএলের ভিতরে এখন সমান ভাবে সক্রিয় রয়েছে কয়লা পাচার চক্র।

    আরও পড়ুনঃ “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়!

    নিজাম প্যালেসে ডাকার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জানা যায়, অশ্বিনীর মাধ্যমে কয়লা (Coal Scam) পাচারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নরেশের কাছে গিয়েছে। আসানসোলের আদালতে পেশ করার পর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিন তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে চায়। সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে ধৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একই ভাবে ধৃতদের আইনজীবীদের পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আদালতে। তবে ২০২১ সালে নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই সময় মোবাইল ছাড়া আর কিছু উদ্ধার হয়নি। কয়লাকাণ্ডের এই ঘটনায় আরেকবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কয়লা কান্ডে এবার ইসিএল কর্তার জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। পরে, ওই ইসিএল কর্তা ও একজন সিভিল কনট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     ইসিএল কর্তাকে কেন গ্রেফতার? (CBI)

    কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠন হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহা। আর সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদব। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম রয়েছে, তার বাইরে এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ইসিএল কর্তার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সিভিল কনট্রাক্টর অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটে সাপ্লাই দিত বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    লালার থেকে টাকা নিতেন ইসিএল কর্তা!

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহাকে। ডাক পড়েছিল পেশায় সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এরপর শুক্রবার ভোরে সিবিআই এসপি উমেশ কুমার ধৃতদের নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে যোগ থাকার কারণেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা-কাণ্ডের  (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত ইসিএল অফিসারের বিরুদ্ধে। তার তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raniganj: রানিগঞ্জের খনি অঞ্চলে জমিতে ধস, আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে বন্ধ কাজ

    Raniganj: রানিগঞ্জের খনি অঞ্চলে জমিতে ধস, আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে বন্ধ কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই খনি অঞ্চলে খননের ফলে ধস নামছে। আশপাশের মাটি নিচের ফাঁকা স্থানে ঢুকে যাচ্ছে। চাষের জমিতে জল দাঁড়াচ্ছে না। জলের স্তর নেমে দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। রানিগঞ্জের (Raniganj) ইসিএল সাতগ্রাম অঞ্চলের নিমচা খনির আশপাশে এমনই ঘটনা ঘটছে বলে আদিবাসী বাসিন্দাদের দাবি। আদিবাসী সমাজ তাই সমস্যার প্রতিকার না পেয়ে রাস্তায় নেমেছে।

    এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ কেন?

    রানিগঞ্জের (Raniganj) কয়লাখনিকে ঘিরে আদিবাসী স্থানীয় মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। গত বছর বিশেষ অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আদিবাসী বিক্ষোভের জেরে খনি অঞ্চলের উৎপাদন বন্ধ সকাল থেকেই। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষের দাবি, আদিবাসী সমাজকে উচ্ছেদ করে খনি অঞ্চল বা শিল্প গড়া যাবে না। খননের জন্য জলের স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। স্থানীয় এক আদিবাসী মহিলা রানী মুর্মু অভিযোগ করেন, এলাকায় পুকুরের জলস্তর স্বাভাবিক নেই, কলে জল নেই। দৈনন্দিন জীবনে জলাভাব একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরগুলিতে ফাটল বড় আকার ধারণ করছে। যে কোনও সময় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও কোনও জবাব পায়নি বলে দাবি করেছে এলাকার মানুষ। আর তাই আন্দোলন। আদিবাসী সামজের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমী। তাই খনি আর শিল্পের নামে মানুষকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কেন তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সামিল তারা।

    আদিবাসী সমাজের দাবি

    এলাকার (Raniganj) আন্দোলনকারী গোবিন্দ সরেন বলেন, খনির কারণে এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে এই খনি-শিল্পকে বন্ধ করতে হবে। আরও দাবি, তাঁদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ধসজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক বাড়ির নাম নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে অবস্থান সরাবো না। পাশের এলাকা ছোপড়া থেকে এসে আন্দোলন করছি আমারা। এরপর আরও নানা বড় সামাজিক সংগঠনকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করব। ক্রমশ বৃহৎ আন্দোলন করব। এদিন প্রতিবাদে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় খনি অঞ্চলের ডাম্পারগুলোকে।

    কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ইসিএল খনি অঞ্চলের (Raniganj) দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, যে যে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের বিস্তৃত বিবরণ দিয়ে আমদের কাছে আবেদন করলে আমরা আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আদিবাসী সমাজের পাশে আমরা সবসময় আছি। ঘটনাস্থলে ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রবাহিনী ও নিমচা ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন আদিবাসী সমাজের দাবি পূরণে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তাই দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL:  আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    ECL: আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাত হলেই  গাড়ি করেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত ইসিএল (ECL) কোলিয়ারির জিনিসপত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাচার হওয়ার সময় এলাকার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে জিনিসপত্র সহ গাড়ি আটক করেন। আসানসোল ইসিএল (ECL)  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, বন্ধ কোলিয়ারির বিভিন্ন সামগ্রী একটি পিকআপ ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। সোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেন। পরে, গাড়ি চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখনই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাচার নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী? ECL

    বন্ধ কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিনের বেলায় কেউ কয়লার গুঁড়ো নিতে আসলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। আমরা পদক্ষেপকে প্রশংসা করছি। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভরতি করে কোলিয়ারি ভিতর থেকে জিনিসপত্র সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা দেখার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নেই। আসলে ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে এই  পাচার চলছে। গত কয়েকদিন ধরে দেদার জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এদিনও তারা গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার করার সময় ধরা পড়ে যায়। আমাদের বক্তব্য, গাড়ি করে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জরুরি কিছু নয়। তাই, দিনেরবেলায় নিয়ে গেলে কারও কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে এভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

    ইসিএল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য? ECL

    জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি পাচার করার সময় এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষণ আটক করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ একলাখ খান। তিনি বলেন, কোনও পাচার করার জন্য গাড়ি করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। নিয়ম মেনেই এই কোলিয়ারি থেকে আমাদের মেন অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চালকের কাছে চালানো রয়েছে। এলাকাবাসী আমাদের ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান। তবে, ম্যানেজারের বক্তব্য এলাকাবাসী মানতে চাননি। তাঁরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িসহ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে ফের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর সুপ্রিম নির্দেশকেই বহাল রাখলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিকাশকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর কেটে গেছে এক মাস। এদিন ফের বিকাশ মিশ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারল সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে বিকাশ ছাড়া পায়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই এবং সেখানে তারা দাবি করে যে, বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে এগনো যাবে, এই তথ্য শোনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বিকাশকে চারদিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পরে বিকাশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চারদিন হেফাজতে থাকার পরে পঞ্চম দিনে কী হবে? জামিন মিলবে নাকি তাকে আবারও হেফাজতে টানা হবে? এই ছিল বিকাশের প্রশ্ন। কিন্তু ইতিমধ্যে একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশের। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ বিকাশ দেখাতে পারেনি, তাই আদালত কক্ষ থেকেই বিকাশকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করল দুই সরকারি আধিকারিককে

    অন্যদিকে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে দুই সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জেরায় কোন সদুত্তর দিতে না পারায় ইসিএল-এর ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝা এবং সিআইএসএফ-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবারে এই দুইজনকে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য‌। ধৃত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কয়লা পাচারে সুবিধা করে দিতেন এই দুই আধিকারিক। এদিন জেরার সময় দুইজনের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তখনই তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই।

    শুক্রবার দুই ধৃতকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানা গেছে। সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ ইসিএল-এর লিজ নেওয়া খনি থেকে কয়লা পাচার হতো। লিজ নেওয়া খনির দেখাশোনা করে থাকে সিআইএসএফ। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই কয়লা পাচারে অভিযুক্ত লালাকে সাহায্য করতেন দুইজন ধৃত, এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন আসানসোলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায় মন্ত্রীর?’’

    ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল অবধি অনুপ মাঝি অবাধে কয়লা পাচার করেছে

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝি এবং তার সহযোগীরা ইসিএল-এর কয়লা খনি থেকে কয়লা পাচার করত এবং এই কাজে তাদের মদত দিত কয়েকজন ইসিএল-এর আধিকারিক। এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের একাংশও জড়িত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: খনি এলাকায় বাড়ছে ফাটল! নতুন করে ধসের আতঙ্কে এলাকাবাসী

    ECL: খনি এলাকায় বাড়ছে ফাটল! নতুন করে ধসের আতঙ্কে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে খনি অঞ্চলে অণ্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই পাণ্ডবেশ্বরের অণ্ডাল থানার পড়াশকোল এলাকায় বহুলা – কাজোড়া যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর একাধিক জায়গায় বিশাল আকারে ফাটলের জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। সেই জের মিটতে না মিটতেই ই সি এল (ECL) এর কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনি চত্বরে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত তিন-চারদিন ধরেই ফাটল ক্রমশ বাড়ছে। আর এতেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এক লরির চালক বলেন, ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আচমকা এলাকাটা কেঁপে ওঠে। প্রথমে ভূমিকম্প ভেবেছিলাম। সকাল হতেই নজরে আসে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গভীর ফাটল। খবর দেওয়া হয় ই সি এলের (ECL) আধিকারিকদের। পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অণ্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ। সুরক্ষার খাতিরে সেই মুহূর্তে খনির কাজ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু, দুদিন কাজ বন্ধ রাখার পর ফের বিপদের ঝুঁকি নিয়েই শুরু হয় খনির কাজ। শুক্রবার আবার কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনি এলাকায় ফের ফাটল শুরু হয়। শনিবার সেই পুরানো ফাটল বড় আকার নেওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় খনি চত্ত্বর এবং আশেপাশের গ্রামেও। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ফাটলের কারণে এলাকায় যেকোনও সময় ধস নামতে পারে। খনি এলাকার ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে দুটি গ্রাম। যেভাবে দিনে দিনে খনি চত্ত্বর জুড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে, তাতে আগামীদিনে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সব দেখেও উদাসীন ই সি এল (ECL) কর্তৃপক্ষ। সিঁদুলি থেকে শীতলপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তার দু’পাশেই দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। খনির চত্বর থেকে ৩০০ মিটার দূরে রয়েছে দিঘির বাগান নামক একটা জনবসতি। দিঘির বাগান এলাকার বাসিন্দা আরশাদ হোসেন বলেন, যেভাবে ধীরে ধীরে ফাটল বাড়ছে এবং আশেপাশের মাঠ ধীরে ধীরে বসছে তাতে আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। আর এখন মেঘলা আবহাওয়া। বৃষ্টি নামলেই এই ফাটলই বড় ধসের আকার নেবে। এই নিয়ে ই সি এল (ECL) কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। অবিলম্বে ফাটল প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং (Shyam Singh)। কয়লাপাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) এবার ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন আরেক আইপিএস (IPS) আধিকারিক। বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই আধিকারিককে তলব করেন ইডি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এই একই মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়ার প্রাক্তন এসপি কোটেশ্বর রাও। তাঁর হাজিরা দেওয়ার পরদিনই  বাংলার আরেক পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও 

    সম্প্রতি কয়লাপাচার মামলায় আট আইপিএস আধিকারিককে তলব করে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকাতে ছিল শ্যাম সিং- এর নামও। সেইমতো নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২১-র মধ্যে দু দফায় বীরভূমের এসপি ছিলেন এই আইপিএস। গোয়েন্দাদের দাবি, কয়লাপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার কর্মকাণ্ড বীরভূমসহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় চলত। সেই অঞ্চলে এসপি থাকাকালীন এই বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, পুলিশ কর্তাকে সেই প্রশ্ন করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, লালার ডায়েরিতে থেকে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের নাম ও টাকার উল্লেখ রয়েছে। এই বিষয়ে শ্যাম সিং কিছু জানতেন কি না তাও জিজ্ঞেস করেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে
     
    এর আগে গত সোমবার কয়লা পাচারকাণ্ডে এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু ইডির হাজিরা এড়িয়ে যান ওই আইপিএস আধিকারিক। হাজিরা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, যে সময় রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে রমরমিয়ে কয়লাপাচার হত, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদের দায়িত্বে ছিলেন জ্ঞানবন্ত। লালার জেরায় এই আইপিএস আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে বলেও দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই এই তলব। 

    এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আরও ৩ আইপিএস এবং রাজীব মিশ্র, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সেলভা মুরুগান, সুকেশ জৈন ও তথাগত বসুকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির সঙ্গেই কয়লাপাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। গত মাসেই ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (ECL) বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে ৫ আধিকারিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে তারা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

LinkedIn
Share