Tag: economic crisis

economic crisis

  • Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আর এই অস্থির পরিস্থিতির জেরে বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটের (Economic crisis) সম্মুখীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। শুধু তাই নয়, জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও গত ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে বিধিনিষেধ

    সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জুড়ে বিক্ষোভের কারণে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা (Supply chain) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিন্দু বিরোধিতা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে দেশের ব্যবসায়িক খাতও। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নগদ তোলার সর্বোচ্চ পরিমাণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্যাঙ্ক থেকে একদিনে ২ লক্ষ বাংলাদেশি টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। মাস্টারকার্ড ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের (MEI) নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি ধীরগতিতে নামবে। ২০২৫ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশে এবং মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৯.৮ শতাংশে দাঁড়াবে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    বাংলাদেশি টাকার মান কমছে

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ৩১ জুলাই ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ২১.৭৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। এইভাবে বাংলাদেশের মুদ্রাভান্ডার থেকে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজারের (Kawran Bazar) বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি টাকার মান কমতে থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার চাপে রয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যবসায় লাভ করতে পারছেন না তাঁরাও। যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, আগামী মাসে দাম বাড়ানো যাবে বলে সরকারের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। ভারত সহ প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ডাল, ড্রাই ফ্রুটস, মশলাপাতি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে অনুমান ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে কবে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Economic Crisis: চরম খাদ্য সংকটের মধ্যেই পাকিস্তানে এবার ১০০ কোটি টাকার গম চুরি!

    Pakistan Economic Crisis: চরম খাদ্য সংকটের মধ্যেই পাকিস্তানে এবার ১০০ কোটি টাকার গম চুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরতে চলল। সংকট কাটেনি পাকিস্তানের। অর্থনৈতিক সংকট (Pakistan Economic Crisis) কাটাতে আইএমএফের (IMF) কাছে হাত পাতছে ইসলামাবাদ। তবে কতটা সাহায্য মিলবে, সংকটই বা কাটিয়ে ওঠা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিবিদদের একাংশ। এদিকে, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ায় আমদানি করা যাচ্ছে না জিনিসপত্র। তার জেরে ক্রমেই উর্ধমুখী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট (Pakistan Economic Crisis) চরমে…

    আটা, পেঁয়াজের মতো জিনিসপত্রও সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। ৯ মার্চ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৫৭ টাকায়। অথচ এক বছর আগেও এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৯ টাকা কেজি দরে। ২০ কেজি গম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৭৫ টাকায়। দেশের অর্থনৈতিক সংকট (Pakistan Economic Crisis) মোকাবিলায় শাহবাজ শরিফের সরকার দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের। ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য চেয়েছে। কিন্তু আইএমএফ এখনও বেলআউট প্যাকেজ অনুমোদন করেনি। তার জেরেই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। চড়চড়িয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দামও।

    আরও পড়ুুন: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    খাদ্য সংকটের জেরে বাড়ছে চুরির ঘটনাও। সিন্ধ প্রদেশে প্রায় ৪০ হাজার টন গম চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিমাণ গমের বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। চুরির দায়ে অন্তত ৬৭ জন পদস্থ সরকারি কর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, খাদ্য দফতরের কর্মীদের যোগসাজশে দেশের ১০ জেলার সরকারি গোডাউন থেকে মোট ৪০ হাজার ৩৯২ টন গম চুরি গিয়েছে। চুরির দায়ে যাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৪৯ জন খাদ্য তত্ত্বাবধায়ক। বাকি ১৮ জন খাদ্য পরিদর্শক।

    পাকিস্তানের বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য গম। এই গমের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক বিস্তর। যার জেরে পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। সিন্ধ, বেলুচিস্তান প্রদেশে এ জাতীয় ঘটনার খবর জায়গা করে নিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। বর্তমানে রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে ইসালামাবাদ। দেশের অর্থনৈতিক সংকট (Pakistan Economic Crisis) কাটাতে আইএমএফের কাছে ৬৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রকল্প চালু করার অনুরোধ জানিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সর্ব শ্রেষ্ঠ। শুক্রবার এই ভাষায়ই ভারত-প্রশস্তি গাইল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। দুর্দিনে (Sri Lanka Economic Crisis) কলম্বোর পাশে দাঁড়ানোয় ভারতের প্রশংসা করলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এমইউএম আলি স্যাব্রি। বিপদের দিনে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানো এবং সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভারতের অবদানের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বিশ্বের সব দেশ মিলে শ্রীলঙ্কাকে যে পরিমাণ সাহায্য করেছে তার চেয়েও ঢের বেশি করেছে ভারত। আলি স্যাব্রি বলেন, আমাদের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়াতে যারা সাহায্য করেছে, তাদের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ হল ভারত। তিনি বলেন, ভারত আমাদের জন্য যা করেছে, তা অন্য সব দেশের সাহায্যের তুলনায় ঢের বেশি। ভারতের ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাহায্য করেছে। ভারতের কাছে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।

    শ্রীলঙ্কার দুর্দিন (Sri Lanka Economic Crisis)…

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Economic Crisis) মুখে ভারত-প্রশস্তি অবশ্য এই প্রথম নয়, সপ্তাহ তিনেক আগেও আলি স্যাব্রি ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সে দেশে ছিলেন। মালদ্বীপ সফর সেরে তিনি গিয়েছিলেন কলম্বো। সেখানকার রাষ্ট্রপতি রনীল বিক্রমসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর। দেখা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও। তখনই শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা বললে অতিরঞ্জিত হবে না যে ভারতের ব্যাপক সাহায্য আমাদের কিছুটা আর্থিক স্থিরতা দিতে পেরেছে।

    আরও পড়ুুন: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি (Sri Lanka Economic Crisis) সম্পর্কেও জানান আলি স্যাব্রি। তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রার মূল্যমানেও স্থিরতা এসেছে। আলি স্যাব্রি বলেন, গত মে-জুন মাসে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রাও স্থিতিশীল। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতেও শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা ক্রমেই স্থিতাবস্থার দিকে এগোচ্ছি। আশা করি, এই মাসের শেষেই আইএমএফের ইএফএফ প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তাই আমার মনে হয়, আমরা এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pakistan: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি। প্রকাশ্য সভায় এ কথা ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) খাজা আসিফ। শনিবার দেশের দেউলিয়াপনার কথা স্বীকার করে নিলেন শাহবাজ শরিফ ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এজন্য তিনি দায়ী করলেন প্রতিষ্ঠান, আমলা এবং রাজনৈতিক নেতাদের। এদিন শিয়ালকোটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে পাকিস্তান দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। এটা (দেউলিয়া) হয়েই গিয়েছে। এর পরেই খাজা আসিফ বলেন, আমরা একটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশে বাস করছি।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী…

    এ থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মধ্যেই এর সমাধান নিহিত রয়েছে। পাকিস্তানের সমস্যা মেটানোর চাবিকাঠি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে নেই। পাক (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে ক্রমাগত মিথ্যাচারের ফলেই আজ এই পরিস্থিতি। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রতিষ্ঠান এবং আমলারা, তেমনি রয়েছেন রাজনীতিবিদরাও। তিনি বলেন, পাকিস্তানে আইন এবং সংবিধানের দেখানো পথ অনুসৃত হয় না। 

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের সঙ্গে হওয়া ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির মধ্যে কমপক্ষে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এজন্য কার্যত হন্যে হচ্ছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। চুক্তি নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের শর্তাবলী পূরণ না হওয়ায় পাকিস্তানকে টাকা দেয়নি তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার পাকিস্তানকে কতগুলি শর্তও দিয়েছে। এই সব শর্ত পূরণ করতে না পারলে, টাকাও পাবে না ইসলামাবাদ।

    পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বিদেশি মুদ্রার যা সঞ্চয় ছিল, তাতে কোনওক্রমে ১০-১৫ দিন চলত। সেই সঞ্চয়ের ভাণ্ডারও তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার জেরে নিত্য মূল্যবৃদ্ধির চড়া আঁচে ছ্যাঁকা লাগছে আম-আদমির। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে এক লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ রুপিতে। এক কিলো মুরগির মাংস বিকোচ্ছে ৭৫০ রুপি দরে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৭৫ বছরে এ নিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে হাত পেতেছে ২৩ বার। তিনি জানান, গত এক বছরে পাকিস্তানের (Pakistan) ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত বছর মার্চের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পর এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও (Pakistan Economic Crisis)। ইতিমধ্যেই সাহায্যের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে ইসলামাবাদ। এখনও সাহায্য মেলেনি। তাই ক্রমেই হাঁড়ির হাল হচ্ছে পাক অর্থনীতির।

    হাইব্রিড সিস্টেম…

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের এই আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী হাইব্রিড সিস্টেম। যে সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইএসআইয়ের (ISI) ডিরেক্টর জেনারেল সুজা পাশা। ২০১০ সালে তিনি এই সিস্টেম চালু করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে অশান্তি জিইয়ে রাখতে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০১৮ সালের অগাস্টে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল হাইব্রিড সিস্টেম প্রজেক্ট ইমরান। সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সমস্ত অবৈধ সম্পদ। তার জেরে ব্যর্থ হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন লগ্নি। এসবের প্রভাবও পড়েছিল ইমরান সরকারের জমানায়। পাক অর্থনীতিবিদ খুররম হুসেনের মতে, পাকিস্তানের এই সংকট কাটাতে প্রয়োজন বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য। এজন্য রাজনৈতিক মূল্য চোকাতে হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন ক্ষমতায় আসার আগে শাহবাজ শরিফ একাধিকবার দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মিফতা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শর্ত মেনে শাহবাজ যখন অর্থনৈতিক সংস্কার করতে শুরু করলেন, তখন দলেই শুরু হয় অশান্তি। দলীয় নেতাদের অনেকেই লন্ডনে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দরবার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইশাক দার লন্ডনে শরিফকে জানান অর্থমন্ত্রী মতিফ ইসমাইল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছেন না। এর পরেই মতিফকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় দারকে। তার পরেও বদলায়নি পাক অর্থনীতির হাল। পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভেঙে পড়েছে পাক অর্থনীতি। কী ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেউই সংস্কারের রাস্তায় হাঁটেননি। সেই কারণেই লাগামছাড়া হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের ভুল নীতির জন্যই দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারও তলানিতে। মড়ার ওপর ঘাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে চিনা ঋণের ফাঁদ। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায় পাক অর্থনীতির রথের চাকা। পাক সরকার এই ক্রাইসিস কীভাবে সামাল দেয়, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • IMF on India economy: কোভিডের মতোই ইউক্রেন সমস্যা সামাল দিতে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত, জানাল IMF

    IMF on India economy: কোভিডের মতোই ইউক্রেন সমস্যা সামাল দিতে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত, জানাল IMF

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine war) প্রভাবে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক পতনের (Global economic fallout) মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সেই সময় এই সমস্যার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত। এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)। 

    ২০২২ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির (Economic growth) হার ৮.২ শতাংশের অনুমান করেছে আইএমএফ। তাদের মতে, বিশ্বের সার্বিক এবং বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির তুলনায় ভাল জায়গায় থাকবে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অবস্থান।

    আইএমএফ-এর এক শীর্ষ কর্তা স্বীকার করেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ও ভারত তার অর্থনীতিকে বিশ্বের তুলনায় অনেকটা ভালভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। ওই কর্তার কথায়, ভারত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, ভারত ভ্যাকসিন রফতানি করে মহামারী চলাকালীন বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার উদাহরণ তৈরি করেছে। এর ফলে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

    সংগঠনের দাবি, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে থাকবে ভারত। সেখানে, চিনের আনুমানিক বৃদ্ধির হার ৪.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ভারতের বৃদ্ধির হার চিনের দ্বিগুণেরও বেশি বলে অনুমান করেছে আইএমএফ। পাশাপাশি, বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশ  বলে অনুমান করেছে আইএমএফ। 

    আইএমএফ-এর মতে, ভারতের উচ্চ বৃদ্ধির হার শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই সুখবর। সংগঠন জানিয়েছে, ভারত এমন কয়েকটি অর্থনীতির মধ্যে একটি, যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামান্য নিম্নগতি সত্ত্বেও, এই বছর প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ভারতের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের জন্য ইতিবাচক, যেখানে প্রবৃদ্ধির মন্থরতা একটি বড় ফ্যাক্টর।

    ক্রয় ক্ষমতা সমতার (PPP) নিরিখে মোট বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৭% প্রতিনিধিত্ব করে ভারত। বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। এর ফলে, বিশ্ব অর্থনীতির (World economy) সার্বিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।

     

     

LinkedIn
Share