Tag: Economic Growth

Economic Growth

  • Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এই মেলাই হতে চলেছে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের উৎস (Economic Growth)। রাজ্য জীবিকা মিশনের অধীনে গ্রামীণ অঞ্চলের স্ব-সহায়ক গ্রুপগুলির মহিলাকে মহাকুম্ভ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল এবং দোকান বরাদ্দ করা হবে।

    গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন (Mahakumbh 2025)

    রাজ্য জীবিকা মিশনের দ্বারা পরিকল্পিত পুরো পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে লক্ষ্য রেখে করা হয়েছে। মাঘ মেলা, কুম্ভ মেলা বা মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানগুলি লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। এই সব আচার-অনুষ্ঠানে খাবার, স্ন্যাকস ও গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। এই মিশনের লক্ষ্য গ্রামীণ মহিলাদের মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা।

    ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব

    ডেপুটি কমিশনার এনআরএলএম রাজীব কুমার সিং জানান, পরিকল্পনাটির মধ্যে মহিলাদের মেলা প্রাঙ্গণে পাঁচটি ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কুম্ভ মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে এই মহিলাদের জন্য প্রতিটি সেক্টরে ১০টি করে দোকান বরাদ্দ করার একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেলার সরস হাট সেকশনে ৪০টিরও বেশি দোকান রয়েছে। এই উদ্যোগটি ৫,০০০-এরও বেশি গ্রামীণ মহিলার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) গ্রামীণ মহিলাদের তৈরি স্টল এবং দোকানে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের ব্র্যান্ডিংকে প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে, যা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রাম্য রাস্তায় এর পরিচিতি ছড়িয়ে দেবে।”

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    উপজেলা কমিশনার রাজীব কুমার সিংয়ের মতে, এই স্টলগুলিতে বিভিন্ন ধরণের বহুমুখী পণ্য থাকবে। মহাকুম্ভের সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান সহ মাফলার তৈরি করা হচ্ছে যাতে উষ্ণতা বজায় থাকে। তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা সেলফি ক্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যা শীত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সেলফির জন্য স্টাইলিশ টাচ প্রদান করবে।”

    একলব্য আজীবিকা মহিলা সমূহের তরফে নেহা নিশাদ বলেন, আমার গ্রুপের মহিলারা এই পণ্যগুলো তৈরি করছেন। প্রতিটি (Economic Growth) পণ্যে কুম্ভের লোগো থাকবে। প্রসাদের জন্য প্রস্তুত করা ঝুড়িগুলিতে রাখা অঙ্গবস্ত্রেও মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান থাকবে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে গাধা, পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে হাসির রোল

    Pakistan: জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে গাধা, পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে হাসির রোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যপূরণ হয়নি জিডিপি বৃদ্ধির। তবে তাতে কী! দেশটার নাম যে পাকিস্তান (Pakistan)! অতএব, ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা প্রশাসনের। গাধার সংখ্যা বৃদ্ধি দিয়েই জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যপূরণ করতে না পারার ব্যর্থতা ঢেকেছে ইসলামাবাদ।

    পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Pakistan)

    বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের জন্য পাকিস্তান যে জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩.৫ শতাংশ। যদিও বৃদ্ধির হার ২.৩৮ শতাংশ। বুধবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব। এই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি হয়নি বলেই পূরণ হয়নি জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা। এই সমীক্ষায়ই তুলে ধরা হয়েছে, পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গাধার সংখ্যা।

    পাক অর্থনীতিতে গাধার ভূমিকা

    পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গাধা-সহ গবাদি পশুর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সে দেশের ৮০ লাখেরও বেশি গ্রামীণ পরিবার পশু পালনের সঙ্গে যুক্ত। প্রাণিসম্পদই গ্রামীণ পাকিস্তানের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় গাধার সংখ্যা ১.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৯ লাখ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে বর্তমানে গোরু রয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ, মহিষের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ, ভেড়া রয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ, আর ছাগলের সংখ্যা ৮ কোটি ৭০ লাখ। এসব গবাদি পশুর পাশাপাশি বেড়েছে উটের সংখ্যাও। পাকিস্তানে কাঁটাভোজী এই প্রাণী রয়েছে ১২ লাখ। গত বছর এই সংখ্যাটাই ছিল ১১ লাখ।

    আর পড়ুন: জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ, বৃহস্পতিতে ইটালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    পাকিস্তানের জিডিপিতে ১৪.৬৩ শতাংশ অবদান এই প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রের। ঔরঙ্গজেব জানান, অন্যান্য সব ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে গিয়েছে কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি, বৃদ্ধির হার ৬.২৫ শতাংশ। তাঁর দাবি, গত উনিশ বছরে কৃষি খাতে এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি। পাকিস্তানের মূল্যবৃদ্ধির হার অবশ্য কমেছে। এই হার নেমে এসেছে ১১.৮ শতাংশ। অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সম্পদ বিক্রির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাক সরকার লোকসানে থাকা সরকারি সংস্থাগুলি বিক্রি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” পাকিস্তান এয়ারলাইন্সকেও বেসরকারিকরণ করা হবেও বলেও জানান (Pakistan) তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Economy: জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’, ট্যুইট উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর

    Indian Economy: জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’, ট্যুইট উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ক্রমশই এগিয়ে চলেছে দেশ। শেষ দফার ভোটগ্রহণে সেই তথ্য আবারও সামনে এল। দেশের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির হার (Indian Economy) সমস্ত পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে পৌঁছেছে ৮.২ শতাংশে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের নিরিখে এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’। এর পাশাপাশি তিনি দেশের পরিশ্রমী মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতের জিডিপির এই বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর মত, আগামীদিনে বৃদ্ধির এই চাকা আরও দ্রুত গড়াবে।

    কী বললেন নির্মলা সীতারামান

    অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান লিখেছেন, মোদি সরকারের তৃতীয় পর্যায়েও এই বৃদ্ধির (Indian Economy) গতি বহাল থাকবে। তিনি জানিয়েছেন যে উৎপাদন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে এবং সেখানে বৃদ্ধির হার ৯.৯ শতাংশ, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে। বাংলার অন্যতম অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, ‘‘এই বৃদ্ধি অর্থনীতি নিয়ে শিল্পকে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা এবং জোগান-শৃঙ্খলের সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়েও ভারতের এমন উন্নতি তাদের আরও উৎসাহিত করবে।’’

    ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের দেওয়া তথ্য

    ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (Indian Economy) ৮.২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ। এদিকে, ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের পূর্বাভাস ছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে তা ছাপিয়ে গেল এদিন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী চিন। তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ছিল ৫.৩ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Economic Growth: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India Economic Growth: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতি এবং সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের তরফে জানানো হয়, ২০২৪ সালেও ভারত বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতির দেশ হবে। এর বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ হতে পারে বলে আশা। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার আসার পর থেকেই দেশে অর্থনৈতিক পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। স্থিতিশীল সরকারের জন্য দেশীয় বাজারে বিনিয়োগও বাড়ছে।

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ

    ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস-২০২৪’ শীর্ষক রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টের পূর্বাভাস, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের বাজারে অভ্যন্তরীণ চাহিদা রয়েছে এবং উৎপাদন ও পরিষেবা খাতে শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উন্নত অর্থনীতির থেকে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের চাহিদা থাকে বেশি। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য ভারত। সরকারির পাশাপাশি প্রচুর বেসরকারি বিনিয়োগও হয়েছে দেশীয় বাজারে।

    ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু জোড়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের (এল নিনোর প্রভাব) কারণে এ বছরের পূর্বাভাসে তা সামান্য কমানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৮.৮ শতাংশ। এ বারও ‘প্রকৃত ফল’ পূর্বাভাসের তুলনায় ভাল হবে বলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ভারতে বিনিয়োগের বিষয়ে দিনে দিনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সরকারও মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে জোর দেওয়ায় নিজেদের তৈরি পণ্য বিদেশে রফতানি করতে পারছে ভারত। আমদানি-রফতানির চলমান ধারায় দেশে অর্থনৈতিক ভিত্তিও মজবুত হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনবার। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৩ মাস। আর তৃতীয় দফায় (১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত) পুরো পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হল, তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। এই স্বল্প মেয়াদের ভারত-শাসন কালে দেশকে এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

    বাজপেয়ী জমানা

    বাজপেয়ীর কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে ১৯৯৮ সালে পোখরানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের কথা। সব মিলিয়ে তাঁর বছর ছয়েকের রাজত্বকালে যে উন্নয়নের ধ্বজা তিনি উড়িয়েছিলেন, তা দেশকে দেখিয়েছে নয়া দিশা। নেহরু-গান্ধী পরিবার চেয়েছিলেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। সেই কারণে সব কিছুই ছিল কেন্দ্রীভূত। কোনও দেশের উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে জিডিপি গ্রোথ। এই জিডিপি গ্রোথের জন্যই হয় কর্মসংস্থান। যে দফায় বাজপেয়ী পুরো মেয়াদ শেষ করেছিলেন, সেই সময় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন দেশে।

    উন্নয়নের জোয়ার

    তাঁর আমলেই উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাটের। উন্নত হয়েছে সড়ক। উন্নত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিপ্লব এসেছিল টেলিকমের ক্ষেত্রে। সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প তাঁরই (Atal Bihari Vajpayee) অবদান। দেশের চার মেট্রো শহর কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি এবং মুম্বইকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক সূত্রে গেঁথেছেন তিনি। এই চার শহর বাদেও দেশের প্রধান প্রধান শিল্প, কৃষি এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোকেও সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ে এসেছিলেন একই বন্ধনীতে। গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা চালু করেছিলেন তিনিই। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বর্তমানে দেশের রাস্তার দৈর্ঘ সব মিলিয়ে ৬.৪ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই পুরো রাস্তার দু’ শতাংশ জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, কোনও একটি দেশের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করে রাস্তা ও রেললাইন। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সুগম হয় পরিবহণ। যা অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম একটি কারণ।

    আমরা যদি চিনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব অর্থনৈতিক সংস্কার করতে গিয়ে বেজিং প্রথমেই রেল এবং সড়ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় নয়ের দশকের মাঝামাঝি চিন চালু করে রোডস ইমপ্রুভমেন্ট ফর পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন। তারপর থেকে চিন রেল ও সড়কের উন্নতিতে প্রাণপাত করছে। বেজিংয়ের সমৃদ্ধির এটাই হল চাবিকাঠি। তার পর থেকে আজও চিন জোর দিয়ে চলেছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রাগনের দেশ হাতে নিয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প। এবার তাকানো যাক ভারতের (Atal Bihari Vajpayee) দিকে। তথ্য বলছে, ১৯৯৯ সালের পর থেকে এ দেশে তরতরিয়ে বেড়েছে জিডিপি। বলা বাহুল্য, এই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। এটা সত্য যে, নরসিমহা রাওয়ের সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন নয়ের দশকের মাঝামাঝি, তার পর থেকেই ফিরতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতির হাল।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    ১৯৯৪ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ৩৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০২ সালে জিডিপির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। তার পরের দু বছরে ভারতের জিডিপি দাঁড়ায় ৫২৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তার পরের দু বছরে এর পরিমাণ হয় ৭২১ বিলিয়ন ডলার। তার পর থেকে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী যখন ক্ষমতায়, তখন ভারতের জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাহলে দেখা গেল, বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) যখন দেশের হাল ধরেন, তখনই প্রকৃত দিশা পায় ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের উন্নতিও ঘটেছিল বাজপেয়ীর হাত ধরে। পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। যদিও বাজপেয়ীর আমলেই সেই ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লেগেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রশংসার পালক ভারতের (India) মাথায়! ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তা স্বীকার করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF)। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) ক্ষেত্রে প্রত্যেকে যখন পিছিয়ে পড়ছে, ভারত তখনও থমকে দাঁড়ায়নি। বরং এই দেশ উন্নতি করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও ভাল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ডিরেক্টর অফ এশিয়া প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বের দিকে তাকান। দেখুন, সমস্যায় ভুগছে নানা দেশ। তিনি বলেন, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে রয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এর পরেই কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন। অথচ মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে চড়চড়িয়ে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের ৩ ভাগের এক ভাগ দেশ চলতি বছর কিংবা আগামী বছর আর্থিক মন্দার কবলে পড়বে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। ফলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) হার ধীর গতি সম্পন্ন। তার তুলনায় ভারত ভালো করছে। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তার আর্থিক বৃদ্ধির হাল ভালও। এদিন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক প্রজেক্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। তাতে দেখা যায়, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৮.৭ শতাংশ।

    অর্থনীতিতে ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তার অতি সাম্প্রতিক প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান হয়েছে পাঁচে। আগে দীর্ঘ দিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনকে হারিয়ে ওই জায়গা দখল করেছে ভারত। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আগামী পাঁচ ছ বছরের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে তথাকথিত অন্য কোনও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কিছু দিন আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ভারতের এই সম্ভাব্য উত্থানের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন।  

     

     

LinkedIn
Share