Tag: ED

ED

  • ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি (Ration Case) মামলায় ফের তৎপর ইডি (ED)। দিন কয়েক আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার নজরে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গোডাউনও।

    জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় (Ration Case)

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দুটি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফের তৎপর হল ইডি।

    হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা

    এদিন সকালে ইডির দফতর থেকে বিভিন্ন দিকে বেরিয়েছে একাধিক দল। সকাল সকালই একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দেয় তাঁর গোডাউনে। এছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতে চলছে ইডির (ED) অভিযান।

    ইডির আর একটি দল হানা দিয়েছে হাওড়ারই শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করেন পার্থেন্দু। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। এদিন যখন ইডির দল তাঁর বাড়িতে হানা দেয়, তখন অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।

    ২০২০ সালে নদিয়া থেকে ৭৬২ কিলো কালোবাজারির আটা উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই রেশন কেলেঙ্কারির তথ্য আসে পুলিশের হাতে। প্রথমে নদিয়ার তিনটি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পরে অভিযোগ ওঠে, রেশনের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ গম সরিয়ে ফেলে তাতে সরকারি ছাপ দিয়েই বিপুল টাকায় বিক্রি করা হত কালোবাজারে। এরই তদন্তভার পায় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়কে। গ্রেফতার (Ration Case) করা হয় বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য-সহ বেশ কয়েকজনকে (ED)।

  • ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)। বেরিয়ে এসেছিলেন তিহাড় জেল থেকে। ফিরেছিলেন বাড়ি, মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে। বর্তমানে তৃণমূলের এই নেতা ইতিমধ্যে সক্রিয় রাজনীতিতেও নেমে পড়েছেন। তবে গরু পাচার মামলায় বিপদ যেন কিছুতেই কমছে না অনুব্রতর। এরই মধ্যে গরু পাচার মামলায় ফের অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। উল্লেখযোগ্য তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, শুধুমাত্র অনুব্রতর একার নয়, তাঁর আত্মীয়দের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও তাঁর সহযোগী সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা (ED)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED) তরফে এক বিবৃতি দিয়েছে এবিষয়ে। সেখানেই জানানো হয়েছে, অনুব্রতর নামে থাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত (ED)

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখন থেকে জেলবন্দি ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে তিহাড় জেলে স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এবার তাঁর ৩৬ অ্যাকাউন্টের বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তারী সংস্থা ইডির (ED) দাবি, অনুব্রতর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত গরু পাচারের টাকা। সেগুলিই বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছিল এতদিন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখনও চলছে, শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল।

  • Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় (Liquor Policy Case) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে। দিন কয়েক আগেই দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার অনুমোদন মিলেছিল। এবার মিলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনও। ঘটনার জেরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেজায় বিপাকে পড়লেন কেজরিওয়াল।

    আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট (Liquor Policy Case)

    ওই মামলায় জুলাই মাসেই আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কেজরিওয়াল ও তাঁর দলকে। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য রয়েছে ওই চার্জশিটে। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হয়। ইডি তা করেনি।

    দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি ইডির

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর পরেই (Liquor Policy Case) আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি দেয় ইডি। সেই চিঠিতেও ইডি দাবি করে, আবগারি মামলায় কিংপিন ও মূল ষড়যন্ত্রকারী কেজরিওয়ালই।

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    গত ২১ মার্চ পিএমএলএ-এর অধীনে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। ১৭ মে একটি চার্জশিটে কেজরিওয়ালের নাম করেই ইডি দাবি করে, নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নেওয়া ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করতে। ইডির দাবি, কেজরিওয়াল জাতীয় আহ্বায়ক এবং আপের জাতীয় এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে তহবিল ব্যবহারের জন্য চূড়ান্তভাবে দায়ী। তিনিই আপের নেপথ্যে থাকা মূল মস্তিষ্ক। বর্তমানে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত কেজরিওয়াল। ঠিক এই সময়ই অমিত শাহের মন্ত্রকের অনুমোদনের দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) যে নতুন করে বিপাকে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য (Liquor Policy Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Recruitment Case) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে মোট ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সম্পত্তি নীলান্দ্রি দাস এবং আবদুল খালেকের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে নম্বর বিকৃত করার অভিযোগ রয়েছে। 

    উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন নীলাদ্রি (SSC Recruitment Case)

    রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) এবং সিবিআই তদন্ত (SSC Recruitment Case) করছে। এই আবদুল নিয়োগ মামলায় অন্যতম এজেন্ট বলে সন্দেহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘নাইসা’ নামে এক সংস্থার কর্ণধার ছিলেন নীলাদ্রি। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার উপরই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় নম্বর বদল করার অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে তিনি নিজে ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। নাইসার আধিকারিক পোস্টে থেকেই নীলাদ্রি ২০১৫ সালেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে অন্য সংস্থা খুলেছিলেন। ওই সংস্থার মাধ্যমেই এই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হত।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এখনও পর্যন্ত মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তি ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা

    এবার এই আবদুল এবং নীলাদ্রির সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, এসএসসির (SSC Recruitment Case) তৎকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে উত্তরপত্রে নম্বরের গোলমালের পিছনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একই ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তি প্রসাদ সিন‍্‍হা এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাই শিক্ষক নিয়োগে বিরাট পরিমাণে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা (ED)। মামলায় এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগেই ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মূল্য ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) একাধিক দুর্নীতিতে ব্যাপক ভাবে জেরবার। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একশ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মিড ডে মিল, রেশন বণ্টন, সমবায়, পুর নিয়োগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার রেশন কেলেঙ্কারি চলছে।”

    চাল মিলগুলিতে পাচার করছে রেশন সামগ্রী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) দুর্নীতি প্রশ্নে একহাত নিয়ে বলেন, “রাজ্যের রেশন বিতরণ জন বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই রেশনের চাল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চাল কলের মিলগুলিতে পাচার করছে। পরবর্তী সময়ে এই চাল পালিশ করে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।” একই ভাবে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রেশনের চাল কীভাবে পাচার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সরকার পক্ষের লোক অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। শাসক দলের নেতারা এই দুর্নীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ইডিকে তদন্তের আর্জি

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতাকে তোপ দেগে আরও বলেন, “সরকারের নাকের ডগায় বসে তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রকাশ্যে চুরি করছে। মমতা সরকার বেসরকারি রাইস মিলের কাছে জনগণের প্রাপ্য রেশন চোরা চালান করছে। এই চোরাকারবারকে আটকাতে আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আনুরোধ জানাবো। কেন্দ্র সরকারের সম্পত্তি কীভাবে লুট করছে রাজ্যের তৃণমূলের নেতারা, সেই দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নেতা জামিন পেয়েছেন। তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু-কুন্তল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন খোলা আকাশের নীচে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানেরও জামিন হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক চেষ্টা করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উলটে শনিবার ছিল জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি। সেখানে আদালতে ইডি (ED) অফিসাররা জামিনের বিরোধিতা করে জ্যোতিপ্রিয়কে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলে উল্লেখ করলেন।

    ইডির আইনজীবী কী বললেন?(ED)

    এদিন ইডির (ED) আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriyo Mallick) হলেন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। এই দুর্নীতিকে যদি পাখির মতো ওপর থেকে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, গঙ্গাসাগরে যেমন নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এসে মেশে, তেমনই দুর্নীতির একাধিক শাখা গিয়ে মিশেছে মন্ত্রীর কাছে। তদন্ত করতে গিয়ে এই সব দেখা গিয়েছে। এই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিনএই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” এখানেই শেষ নয়, আদালতে ইডির আইনজীবী এও বলেছেন, “বালুই এই রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার। রেশন দুর্নীতি পরিচালনা করছেন তিনি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে সব কিছু গিয়েই সেই জ্যোতিপ্রিয়র দিকে ইঙ্গিত করছে। আদালতে বালুকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ইডির দাবি, সামনে না এসে পিছন থেকে দুর্নীতির সব টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন জ্যোতিপ্রিয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    উল্লেখ্য, আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে একাধিকবার রেশন দুর্নীতির জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারই বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। এর আগে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ সময় এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সেই অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে এদিন ফের বালুর জামিন মামলা আদালতে উঠতেই ফের বিরোধিতা করলেন ইডি আধিকারিকরা। এতে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন পাওয়া আরও চাপ হয়ে গেল? তা বলবে সময়ই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: কাগজের নোটই ‘টোকেন’! লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, চার্জশিটে জানাল ইডি

    ED: কাগজের নোটই ‘টোকেন’! লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, চার্জশিটে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নাম রয়েছে। ওই সংস্থার টাকা কোথায়, কী ভাবে লেনদেন হয়েছে, চার্জশিটে তা বিশদে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কাগজের নোটই ‘টোকেন’ হিসেবে ব্যবহার! (ED)

    ইডির (ED) দাবি, নগদ টাকা বার বার হাতবদল হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, কাগজের নোটকে ‘টোকেন’ হিসেবে ব্যবহার করা হত। নোটের সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে টাকা দেওয়া-নেওয়া হত। সেই টাকা ঢুকত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক ‘মিডলম্যানের’ সন্ধানও পেয়েছে ইডি। তাঁদের একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়ে তারা। উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম আগেই উঠে এসেছিল। ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক। তাঁর বাবা এবং মা-ও ছিলেন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। এই সংস্থা যে তাঁরই, তা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। সংস্থার কাজ বেশির ভাগটাই দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদে ছিলেন ‘কাকু’। সংস্থায় তাঁর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল। তিনি ছিলেন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ‘চিফ অপারেটিং অফিসার’ (সিওও)। সংস্থার আর্থিক দিকটি তিনিই দেখতেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ধস্তাধস্তি! ‘‘রাহুল গান্ধী ধাক্কা মেরেছেন”, বললেন রক্তাক্ত বিজেপি সাংসদ

    ব্যবসা হয়েছে শুধু খাতায়-কলমে!

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসা হয়েছে শুধু খাতায়-কলমে। আর সেই ব্যবসার বিনিময়েই একটি সাইকেল সংস্থা-সহ চারটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds) সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের বৈদ্যুতিক কেটলি, চশমা এবং কার্ডের ব্যবসা হয়েছে বলে ‘ইনভয়েস’ দেখানো হলেও ইডির দাবি, তা হয়নি। বাস্তবে কোনও জিনিসপত্রই কেনাবেচা হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে। পুরোটাই রয়েছে শুধুমাত্র নথিতে। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি।

    অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রে এই সংস্থা ইডির (ED) আতশকাচের নীচে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাদের পঞ্চম অতিরিক্ত (সাপ্লিমেন্টারি) চার্জশিটে ওই সংস্থাকে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই চার্জশিটে ইডি (ED) দাবি করেছে, বেশ কিছু সংস্থা থেকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে। ইডি (ED) মনে করছে, ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে আদতে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন হয়নি লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের। কোন কোন সংস্থা থেকে কত টাকা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেছে, চার্জশিটে তারও খতিয়ান দিয়েছে ইডি (ED)। ব্যবসা হয়নি, ‘ভুয়ো’ ব্যবসার ‘ইনভয়েস’ তৈরি করা হয়েছে। সেই ‘ভুয়ো’ ইনভয়েসের বিনিময়েই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার। মন্ত্রীর পদে না থাকলেও, এখনও তিনি ক্ষমতাশালী। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) এই কেলেঙ্কারির কিংপিন বলেও উল্লেখ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জামিন পেলে জ্যোতিপ্রিয় গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারেন।

    দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় স্বয়ং! (Jyotipriya Mallick)

    আজ, বুধবার জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বিচারভবনে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করেছিলেন। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজেই। যাঁরা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয়ের দিকে। ইডির দাবি, রাজনৈতিকভাবে এখনও প্রভাব খাটাতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। এর পরেই আদালতে ইডির আইনজীবীর মন্তব্য, রাজা না হলেও, রাজা তৈরি করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    কিং মেকার

    বিচারক প্রশ্ন করেন, উনি তো এখন আর মন্ত্রী পদে নেই। তাহলে কী করে এত প্রভাব খাটাবেন? সওয়াল করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, “কেউ কিং হন, কেউ কিং মেকার। এমনও মামলা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “কিংমেকাররা আসলে এতটাই ক্ষমতাশালী। জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে জ্যোতিপ্রিয় কী করতে পারেন, তা আমরা পিজি হাসপাতালের চিরকুটের ঘটনায়ই দেখেছি।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। বেশ কয়েকদিন তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই সময় ইডি একটি চিরকুট উদ্ধার করে। অভিযোগ, মেয়েকে হাসপাতালে বসেই ওই চিরকুটটি লিখেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি চলে আসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। তাতে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লেখা ছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা ইডির, রয়েছে অভিষেকের সংস্থার নাম

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা ইডির, রয়েছে অভিষেকের সংস্থার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ১০ হাজার পাতার নথি জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর নামও উঠে এসেছে। তালিকায় রয়েছে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত একাধিক সংস্থার নামও। ইডির অভিযোগ, ওই সংস্থাগুলিতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। চার্জশিটে নাম উঠে এসেছে ২৯ জনের। ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় প্রায় ১৫১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে

    চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ (Recruitment Scam), বেআইনিভাবে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ইডি। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি (ED) মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রেফতারও করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে।

    ‘‘আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’’ (Recruitment Scam)  

    গ্রেফতারের আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মুখে উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও! সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, ‘‘আমি লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে চাকরি করি, সেই জন্য হয়তো ঘুরে ফিরে আমার নামটা আসছে। আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তো তাঁকে ছোঁবে। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়, চার বছর আগে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস এবং সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সংস্থার (Recruitment Scam) মধ্যে চুক্তিও হয়। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে নথি পেশ করার পরে ইডি জানিয়েছে, সব অভিযোগই সত্যি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জাল নথি বানিয়ে এনআরআই-দের ডাক্তারিতে সুযোগ দেওয়া! রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির

    ED: জাল নথি বানিয়ে এনআরআই-দের ডাক্তারিতে সুযোগ দেওয়া! রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযান ইডির। জানা গিয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে জাল নথি জমা দিয়ে অনাবাসী বা এনআরআই কোটায় ডাক্তারি পড়েছেন অনেকেই। এনিয়েই এবার তদন্তে সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি অভিযান। সল্টলেকের বিসি ব্লকের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি ও তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।

    কলকাতা-দুর্গাপুর-বর্ধমানে চলছে একযোগে তল্লাশি

    ইডির (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরআই কোটাতে যে নথি জমা দিয়ে ডাক্তাররা অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন সেখানে প্রচুর জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্য পাওয়ার পর, প্রাথমিক অনুসন্ধান করার পর ইডি নতুন করে ইসিআইআর করেন। কলকাতা, বীরভূম, দুর্গাপুর, বর্ধমান-সহ একসঙ্গে ২০টি জায়গায় (West Bengal) ম্যারাথন তল্লাশি চলছে। হলদিয়ায় তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের বাড়ি ও তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে পৌঁছে গিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, বীরভূমে যে মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি অভিযান চলছে, তার মালিক অনুব্রত মণ্ডল ‘ঘনিষ্ঠ’ মলয় পীট। আগেও গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল মলয়ের। এছাড়াও ভিনরাজ্যেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।

    কোটি কোটি টাকার লেনদেন (ED) 

    অভিযোগ, ডাক্তার বানাতে বেআইনিভাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমেই এই জাল নথি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেনও হয়েছিল। সেই টাকা কীভাবে লেনদেন হয়েছিল, কারা জড়িত? কেন এই অনাবাসী কোটাতে (ED) জাল নথি জমা দিয়ে অ্যাডমিশন দেওয়া হল বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় এনিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ওপর ভিত্তি (West Bengal) করেই চলছে এই তল্লাশি চলছে। গত এপ্রিলে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে সরাসরি রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের নাম রয়েছে (ED)। গত সেপ্টেম্বর মাসেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তা ভুয়ো নথি দিয়ে এনআরআই কোটায় ভর্তির মতো জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share