Tag: ED charge sheet

ED charge sheet

  • SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে গিয়েছিলেন তাইল্যান্ড-গোয়া (Thailand-Goa)। সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha) চট্টোপাধ্যায়। শুধুই তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন এবং মনোরঞ্জন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা (Arpita) মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয় মা হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতা। সম্মতি দিয়েছিলেন পার্থ। এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির দাবি, ওই সব সফরে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময় দত্ত। তাঁকে জেরা করেই এই সব তথ্যের সন্ধান পেয়েছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৭২ পাতার চার্জশিট-সহ ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে ঠিক কত বার তাঁরা তাইল্যান্ড সফর করেছেন তা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্নেহময় জানিয়েছেন, তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে ২০১৪-১৫ সালে ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ওই চর্জশিটে আরও ৪৩ জনের বয়ানের রেকর্ড রয়েছে। স্নেহময় আরও জানান, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিমবায়োসিস মার্চেন্টস নামে একটি সংস্থার বস অর্পিতা-এমনই পরিচয় দেন পার্থ। শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্নেহময়। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।  তবে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি তাইল্যান্ডে নেই।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শুধু বিদেশ সফর নয়, তদন্তকারীরা আরও জানান, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে পার্থ তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখানে পার্থের সই আছে। অর্পিতার ওই দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা অনাপত্তি শংসাপত্র দিয়েছিলেন পার্থ। এ বিষয়ে পার্থ জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি। কারও সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করাটা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বিষয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) আরও জড়িয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পার্থ এবং মানিকের মেসেজ চালাচালির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। তার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল!

    পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি মেসেজের। তার একটি হল, এক ব্যক্তি পার্থকে লিখেছেন, দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময় প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্র পিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্ররা দিতে না পারলে কলেজকে ধমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউয়ের কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ। ইডির দাবি, পরে এই মেসেজটি পার্থ রি-ফরোয়ার্ড করেন।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। মানিককে গ্রেফতার করা না হলেও, তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই উঠে আসছে পার্থ-মানিক মেসেজ চালাচালির কথা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এরকম কয়েকটি মেসেজের উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি মেসেজ পাঠান মানিক। পলাশিপাড়ার বিধায়ক লেখেন, দশ মিনিট দিস, কাল বাড়ি যাব। মেসেজ পেয়ে পার্থ লেখেন ওকে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে অন্য একটি মেসেজে মানিক লেখেন, ইন্টারভিড স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট। পার্থ লেখেন টিকেএস। তদন্তকারীদের দাবি, টিকেএস লিখে মানিককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পার্থ।

    জনৈক ব্যক্তি মানিক সম্পর্কে পার্থকে সতর্ক করে দিলেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তিনি মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন বলে ইডির দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয় চার্জশিট। এক্ষেত্রে গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। ব্যাংকশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে মেসেজের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share