Tag: Education

Education

  • Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা উপাচার্য পেল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU)। ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ আসনে বসলেন। এএমইউ-এর (Aligarh Muslim University) উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন। আগামী পাঁচ বছর তিনিই এই পদে থাকবেন। শিক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে সই করেন। নিয়োগপত্র পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় এএমইউ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নাইমা খাতুনকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (woman Vice-Chancellor) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাইমা খাতুনকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন।” ভোট চলাকালীন যেহেতু এখন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি রয়েছে, তাই এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও (ECI) অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কমিশন শর্ত আরোপ করে জানিয়েছে, “এই নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রচার হবে না এবং এর থেকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ শতাব্দীর ওপর ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা

    উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা (Naima Khatoon), এখান থেকে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সেই বিভাগেই লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে প্রফেসর হন। এরপর ২০১৪ সালে ওমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দেন। প্রসঙ্গত এর আগে ১৯২০ সালে এএমইউ-তে আচার্য হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন বেগম সুলতান জাহান। সেই সময় তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা আচার্য। আর এবার প্রথম মহিলা উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কদিন বাদেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), শেষ মুহূর্তে কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরাই। তবে এই শাসক-বিরোধী দলের ভোটের লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর। তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচারে আসবেন তাই সরকারি স্কুল ছুটি! এই রাজ্যের সরকারি স্কুল এখন রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। কয়েকদিন আগে বীরভূমের এক স্কুলেই হয়েছে তৃণমূল মন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা। এদিন ফের স্কুলে রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কমিশনে নালিশের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে (Dev at Alipurduar)।

    নিরাপত্তা অজুহাতে স্কুল ছুটি (Dev at Alipurduar)!

    সোমবার আলিপুরদুয়ারে (Aliporeduar) ভোট প্রচারে আসেন এবারের লোকসভা ভোটের ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর দেব আসবে বলেই নিরাপত্তা অজুহাতে ছুটি দেওয়া হল স্কুল। অন্তত নোটিশে তাই উল্লেখ করেছে আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের নোটিশে (school notice) স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ক্লাস চতুর্থ পিরিয়ডের পরে ছুটি হয়ে যাবে, কারণ সাংসদ শ্রী দীপক অধিকারী (Dev at Alipurduar) সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ আকাশ পথে হেলিকপ্টারে বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করবেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    বিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রসঙ্গে জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্চ অমিত কুমার দত্ত বলেছেন, “স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড হয়েছে, মাইক বাজছে। ক্লাস করাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যেহেতু আমাদের এখানে ব্যবস্থা হয়েছে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” এবার আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনায় আবারও বন্ধ হল পঠন-পাঠন। তবে দেব (Dev at Alipurduar) আসবে বলে নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের (election) জন্য বা ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে কেন বারবার পঠনপাঠনে বাধা হচ্ছে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে স্কুলের শিক্ষক মুখে কিছু না বললেও তাঁর উপর যে চাপ রয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিজেপি। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Dev at Alipurduar) প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। তাই শিশুদের পড়াশুনা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। তাঁরা ভোটের জন্য যা খুশি করতে পারেন। তবে আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতের তাৎপর্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এদিকে জেলার (Dev at Alipurduar) তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলে কে হেলিপ্যাড তৈরি করেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবো।” আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য আরও বলেন, “এই কেন্দ্রে বিজপির হার যে নিশ্চিত তা বুঝে গিয়েছেন তাঁরা। সে জন্যই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতার পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতেন শিক্ষক। নিজের বেতনের টাকা থেকে পয়সা বাঁচিয়ে শিক্ষাদান করতেন শিশুদেরকে। দেখতে দেখতে হয়ে গিয়েছে ২৫টা বছর। ১৯৯৮ সালে ৩০ জন হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিয়ে পথচলা শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ সংস্থা। থাকা-খাওয়া, পড়াশোনা সবই একেবারের নিখরচায়। কিন্তু বারবার আবেদন করেও এখনও মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি। যা নিয়ে হতাশ কর্তৃপক্ষ, আবাসিকরা।

    কে এই শিক্ষক (Dakshin Dinajpur)?

    শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশনের টাকা টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছেন বালুরঘাটের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার দত্ত। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার অসহায় শিশুদের জন্য। বালুরঘাটে বাড়ি হলেও শিক্ষকতার সূত্রে রঞ্জিতবাবুর যোগাযোগ শুরু হয় কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে। তিনি বাগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস গেলে বেতন পাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধে ছিল না। কিন্তু স্কুলের ছাত্র সংখ্যার অভাব দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, কেন পড়ুয়ার সংখ্যা কম? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে স্কুলে এসে বেরিয়ে পড়তেন আশেপাশের গ্রামগুলোতে।

    কেন শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা?

    এলাকায় (Dakshin Dinajpur) পড়াশোনার ভাবনা একেবারই ছিল না। দারিদ্রতা ছিল এর প্রধান কারণ। তাই নিজের বেতনের পয়সা থেকে একটা করে ব্ল্যাকবোর্ড কিনে ষোলোখানা টোল খুলেছিলেন সেই সময়। সন্ধ্যায় পাড়ার শিক্ষিত ছেলেদের তুলে এনেছিলেন পড়ানোর কাজে। যাঁরা পড়াতেন তাঁদেরকেও বেতন দিতেন ৫০, ১০০ করে টাকা। বালুরঘাট ছেড়ে নিজেও রাত্রিবাস করা শুরু করেন বাগডুমা গ্রামে। সুফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। ১৯৯৮ সালে অসহায় শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলবেন বলে ঠিক করেন। এগিয়ে আসেন বাগডুমা স্কুলের পাশে মস্তৈল গ্রামের কাইচালু সরকার। তাঁর দান করা পতিত ৮৪ শতক জমিতে পাটকাঠির বেড়ায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ প্রতিষ্ঠান। আশেপাশের জেলা থেকে ছাত্ররা আসতো। এলাকার দরিদ্র ছেলেদের ওই প্রতিষ্ঠানে রাখার ভাবনা থাকলেও পাশের জেলার গাজোল, দৌলতপুর বুনিয়াদপুর কিংবা ইটাহার ব্লক থেকেও অনাথ শিশুরা চলে আসতে শুরু করে।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘কারও বাবা, কারও মা নেই। তাই যতদিন চাকরি করেছি ওদের তিনবেলা খাওয়া-থাকা সমস্ত খরচ নিজের বেতন থেকে চালিয়েছি। এখন অবসর নিলেও হাল ছাড়িনি। পেনশনের টাকা দিয়ে আশ্রমের কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার (Dakshin Dinajpur) পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য নিই। আর বাকিটা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে চলে সব খরচ। এই পরিস্থিতিতে অনাথ শিশুদের তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে হয় বলে ছাত্রবৃদ্ধির কোনও ভাবনায় নেই। ৩০ জনের তিনবেলা খাওয়া, মাস গেলে ইলেক্ট্রিক বিল, তিনজন শিক্ষকের সাম্মানিক ছাড়াও আরও অজস্র খরচ”।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    আজ ২৫ বছর হলেও নীলকণ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ব্লক বা জেলা প্রশাসন (Dakshin Dinajpur) কেন আশ্রমের স্বীকৃতি দেয়নি? রাজ্য সরকার সুপারিশ করেনি কেন? উত্তরে রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘১৫ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দিয়েছি অফিসে সরকারি স্বীকৃতি পাবো বলে। মনমতো হয়নি, তাই স্বীকৃতি দেয়নি।’ এমন আক্ষেপের সুর তাঁর গলায় বাজতে থাকে। তিনি চান প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। একথা জানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রাজ্যপাল। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি প্রথমে ১২ মাইলের এক বৃদ্ধাশ্রমে যান। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে উপহারও তুলে দেন। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালিম্পং কলেজে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    কালিম্পং কলেজের ওই অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকেই তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তার পরে তিনি মঞ্চ থেকেই উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মতামত আহ্বান করেন। তার রেশ ধরে তিনি দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি (Governor) জানান। এই সফরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয়টিও এদিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার বার্তা এই অনুষ্ঠানে দেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে উপস্থিত পড়ুয়াদের শপথও নেওয়ান তিনি।

    কী বলছে শিক্ষক সমাজ?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ থেকে শিক্ষা, সর্বত্র দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে কালিমালিপ্ত হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত চলছে। এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবার ব্যাট হাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: বন্ধের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন সুকান্ত

    Education: বন্ধের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুরো পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি দায়ী করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণা আছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি আদৌ কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন কি না, তা অবশ্য আমার জানা নেই। কিন্তু তাঁর যে কোনও ধারণা নেই, রাজ্যে একের পর এক ভোট বিশ্ববিদ্যালয় (Education) গড়ে তিনি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরেরটাও একটা ভোট বিশ্ববিদ্যালয়। হয়তো পরের ভোটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বালি, সিমেন্ট বরাদ্দ হবে।’ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গত বিধানসভা ভোটের আগে তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও নিজস্ব ভবন নেই, কর্মী নেই, অধ্যাপক নেই। অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। সীমানা প্রাচীরও নেই। ভাড়া বাড়িতে ক্লাস চলে। এ কেমন বিশ্ববিদ্যালয়! আমরা প্রশাসনে নেই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঞ্চিত পড়ুয়াদের পাশে সরাসরি দাঁড়ানোর মতো অবস্থা আমাদের নেই। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের জন্য আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন জেলাবাসী

    রাজ্যের একমাত্র উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার বঞ্চনার ফিরিস্তিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জুড়ে যাওয়াকে ভালোভাবে নিচ্ছে না জেলাবাসী। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এখনও এখানে কেন উপাচার্য নিয়োগ করছেন না, রাজ্য উচ্চশিক্ষা (Education) দফতরই বা কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে না, এসব নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ। এনিয়ে এদিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন ছাত্র, শিক্ষক, গবেষকরা?

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলেন, উপাচার্য না থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এখনও স্থায়ী বিল্ডিং নেই। আমাদের নতুন কোনও অধ্যাপকও দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যাগুলি থেকে আমাদের রেহাই দেওয়া হোক।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Education) দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা বিশিষ্ট শিক্ষক কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর আমরা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও উন্নতি হল না। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের কাজ হল না। এখন আবার উপাচার্যও নেই। আমরা ফের এনিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ বলছেন, ‘প্রান্তিক অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকারের জন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি না করে উল্টে দুর্বল করা হচ্ছে। এটা যথেষ্ট চিন্তার। দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা ছাড়াও নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া আশু প্রয়োজন।’

    শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ ছাত্র পরিষদের

    এনিয়ে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Education) আজ বন্ধের মুখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কী? এই উদাসীন মনোভাবের জন্য জেলার শিক্ষাব্যবস্থা বিশ বাঁও জলে। বিভেদকামী শক্তিগুলি যখন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বিভাজন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন উত্তরবঙ্গের এক প্রান্তিক জেলার সঙ্গে এমন বঞ্চনা তাদেরই প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই শিক্ষামন্ত্রীকে মেল করেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সহ অন্যান্য সমস্যাগুলি মেটানোর আর্জি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal University: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন হচ্ছে না, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরাও

    West Bengal University: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন হচ্ছে না, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) উপাচার্যের নিযুক্তি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় এবং তিনি একমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অপারেট করার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত দিয়েই বেতন হত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মচারীদের। অবশ্য স্থায়ী সরকারি কর্মী বলতে দুটি পদ এখনও পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে। একজন ফিনান্স অফিসার, অপরজন উপাচার্য। বাকি যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক। কিন্তু তাঁদের মাসের শেষে বেতন দিতে গিয়েই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার আর অধিকার অন্য কারও নেই। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে আর উপাচার্যের পদেও নেই সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা এবং জেলাশাসক, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। 

    এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নেই

    উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, ২০১৮ সালে জেলা সফরে এসে গঙ্গারামপুরে একটি জনসভায় ভাষা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর ২০২১ সালে বালুরঘাটে একটি ভাড়াবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজকর্ম শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণ বা অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিযুক্তি অথবা অন্যান্য কর্মীদের নিযুক্তির কাজ থমকে রয়েছে। ফলে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী দূর-দূরান্ত থেকে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী অধ্যাপক-অধ্যাপিকা না থাকায় ক্লাস নিয়মিত হয় না। ক্লাসঘর নেই, বিভিন্ন কলেজে বা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। সব মিলিয়ে খাতায়কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব থাকলেও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসলে কাগুজে বাঘ, মন্তব্য করছেন বিরোধীরা। বেতন না হলে কতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন, বলেছেন চরম অব্যবস্থার কথাও।

    কী আশ্বাস দিলেন জেলাশাসক?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) কাজকর্ম সাধারণত জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হয় না। তবুও স্থানীয় বিষয় হিসেবে এটা আমার কাছে এসেছে। আর্থিক বিষয়গুলি যিনি দেখেন, তাঁকে আমি ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁর কাছ থেকেই পুরো ব্যাপারটা জেনে নিলাম, কী হয়েছে। আসলে উপাচার্য নতুন নিয়োগ হয়নি। এটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপারেট করা হত। চেকে সই করার ক্ষমতা একজনেরই থাকায় সমস্যা বেড়েছে। এটা নিয়ে আমি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। উপাচার্য নিয়োগ যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি হবে না, তাই এর মধ্যে সমস্যা মেটানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।

    সহযোগিতার আশ্বাস সুকান্তর

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত (West Bengal University) উপাচার্য নিয়োগ করা। যদি রাজ্য সরকার চায়, আমার সাহায্য নিতে পারে। আমি সবরকম সহযোগিতা করতে রাজি। যদি রাজ্যপালের কাছ থেকে তাড়াতাড়ি অনুমোদন বের করে আনতে হয়, সে ব্যবস্থাও করা যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানলেই আমরা বুঝতে পারি। সমগ্র এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি ছিল। প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nalanda University) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানান বিবাদ আছে। প্রাচীন ভারতের ১৬ টি মহাজনপদের অন্যতম শক্তিশালী জনপদ মগধের রাজধানী রাজগৃহ, যা বর্তমনকালের রাজগীর। সেই রাজগীরের কাছেই এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এসেছিলেন শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এখানে অধ্যাপক হিসাবে বহুদিন কাজ করেন। 

    কেমন ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়?

    এটি ছিল একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়  (Nalanda University)। এখানে সবরকম সুযোগসুবিধা পাওয়া যেত। এখানে ছিল এক মস্ত বড় গ্রন্থাগার, যার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই গ্রন্থাগারটি ছিল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিশাল গ্রন্থাগার, যেখানে অজস্র বইয়ের সমাহার ছিল। দূর দূর থেকে ছাত্ররা ছুটে আসতেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিন, কোরিয়া, তিব্বত, সুমাত্রা ইত্যাদি দেশ থেকে দলে দলে ছাত্ররা আসতেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হত। সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এটি। ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বখতিয়ার খিলজি এই মহাবিহার ধ্বংস করেন, যার ধ্বংসাবশেষ ১৯৯৫ সালে খনন করা হয়। বেদ, ‘হেতুবিদ্যা’ (ন্যায়শাস্ত্র), ‘শব্দবিদ্যা’ (ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব), ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ (ভেষজবিদ্যা), জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য গ্রন্থ (অথর্ববেদ) ও সাংখ্য দর্শন সম্মন্ধে এখানে শিক্ষাদান করা হত। গবেষণা অনুযায়ী আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নগর-পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হত।

    নালন্দার পুনরুজ্জীবন, আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাদান

    প্রথমে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ২০০৬ সালে নালন্দাকে (Nalanda University) আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তার বছর চারেক বাদে অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বিল, যেখানে প্রস্তাব রাখা হয় নতুন আকারে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তাতে পড়ানো হবে ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, পররাষ্ট্রনীতি, পরিবেশবিদ্যা বা বৌদ্ধ দর্শনের মতো নির্বাচিত কিছু বিষয়। যাতে নালন্দা আবার সেই আগের মতো এক উচ্চশিক্ষা দানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তার জন্য গড়ে তোলা হয় ‘নালন্দা মেন্টর গ্রুপ’-যার নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর অমর্ত্য সেন আচার্যের পদে মনোনীত হন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ আবার তার শিক্ষাদান শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, দেশ বিদেশ থেকে আসছে ছাত্ররা, এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে। 

    কী কী বিষয় এখন পড়ানো হয়?

    বর্তমানে এখানে (Nalanda University) ৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পড়ানো হয়। সেগুলি হল-হিন্দু স্টাডিজ, বিশ্ব সাহিত্য, Sustainable Development, বাস্তুশাস্ত্র ও পরিবেশ বিদ্যা, ইতিহাস, বুদ্ধিস্ট স্টাডি এবং দর্শন। 
    তাছাড়া এই বিষয় গুলিতে PhD ও করানো হয় এখান থেকে। আবার ধীরে ধীরে পুরনো জায়গা ফিরে পাচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের গর্ব, ভারতবাসীর গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: অকাল গরমের ছুটি শেষ, সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ?

    Education: অকাল গরমের ছুটি শেষ, সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের সেই তীব্রতা আর নেই। ফলে ছুটি বাড়ানোরও তেমন সুযোগ নেই। অন্যদিকে রাজ্য সরকার এক সপ্তাহের যে ছুটি ঘোষণা করেছিল, তা শেষ হচ্ছে রবিবার। সেই হিসেবে ২৪ শে এপ্রিল সোমবার থেকেই খুলে যাওয়ার কথা রাজ্যের শিক্ষা (Education) প্রতিষ্ঠানগুলির। যদিও বিষয়টি নিয়ে রবিবার দিনভর ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। কারণ সোমবার থেকে যে স্কুল খুলছে, তার কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কতদিন ছুটি থাকবে, তা আগের নির্দেশিকাতেই পরিষ্কার করা ছিল। নতুন করে কোনও নির্দেশিকা জারি করার দরকার পড়ে না। ছুটি শেষ মানেই স্কুল খুলবে, এটাই স্বাভাবিক।

    গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে

    উল্লেখ্য এবার গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে স্কুল শিক্ষা দফতর ১৭ই এপ্রিল থেকেই স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে। যদিও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার কারণেই তিনি জানতে পেরেছেন, প্রচণ্ড গরমে তাদের মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। তাঁর মতে, এ থেকেই হতে পারে হিট স্ট্রোক। সেই কারণেই তিনি সোম থেকে শনি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে (Education) এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।

    কী অভিযোগ করেছিল বিজেপি?

    অন্যদিকে তড়িঘড়ি এই ধরনের ছুটি ঘোষণার পিছনে অন্য চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, মিড ডে মিলের চাল চুরি করার পথ প্রশস্ত করতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। তাই ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও এরা থামতে চায় না। তাঁর মতে, এইভাবে পড়াশোনা (Education) বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Employment: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট,  তবুও রাজকুমারের পরিচয় ফেরিওয়ালা !

    Employment: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, তবুও রাজকুমারের পরিচয় ফেরিওয়ালা !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেরি করেই জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত রাজকুমার। রায়গঞ্জ ব্লকের মণিপুর অঞ্চলের কান্তরের বাসিন্দা রাজকুমার মাহাতো। বয়স ২৫। পড়াশোনার জন্য রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় তাঁর বর্তমান অস্থায়ী বাসস্থান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ক্যারাটেতে ব্লাকবেল্ট তিনি। ছোট্ট ফেরিগাড়িতে মণিহারি সামগ্রী সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরিগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামগঞ্জে। পরিবারের সদস্যদের সুখেশান্তিতে রাখার পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়াতে (Employment) কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

    নিজের পেশাকে পরিহাস বলতে নারাজ, কেন জানেন ?

    সপ্তাহে ৩ দিন রায়গঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা যায় তাঁকে। ফেরিওয়ালা রাজকুমারের পেশার সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা মোটেই মানানসই নয়। তবু জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে ফেরিওয়ালা পেশাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। বাবা পেশায় কৃষক। অনটনের সংসারে একটি সরকারি চাকরির (Employment) খুব প্রয়োজন থাকলেও নিজের পেশাকে পরিহাস বলতে মানতে নারাজ তিনি। রাজকুমার ২০১৫ সালে ভগিলতা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ ও ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। এরপর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ কমপ্লিট করেন। এম এ পড়ার সময় রায়গঞ্জে চলে আসেন তিনি। মেলায় মেলায় বেলুন বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন রাজকুমার। কিছু টাকাপয়সা জোগাড় হতেই ভ্যানগাড়ি তৈরি করে মনিহারি সামগ্রী বিক্রি শুরু করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান ক্যারাটে প্রশিক্ষণ।

    ইচ্ছে শিক্ষক হওয়া আর অলিম্পিকে সোনা নিয়ে আসা

    ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়ার পর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহারাজা মোড়ে একটি স্কুলও চালু করেছেন। এত পরিশ্রমের পরেও হাসিখুশি  রাজকুমারের ইচ্ছে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া। তার বিশ্বাস, অংশ নিলে সোনা আনবেনই। গত ২০ মার্চ রাজকুমার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন এবং ৬ দিনে কলকাতায় পৌঁছন। ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গ্রামেগঞ্জে ছেলেমেয়েদের মোবাইল ফোনের অত্যাধিক ব্যবহার বন্ধের জন্য গ্রাম্য খেলাধুলোর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাবেন। কিন্তু দেখা করার সুযোগ পাননি। রাজকুমার জানান, ফেরি করে যে আয় হয়, তা দিয়ে চাকরির জন্য পড়াশোনার খরচ এবং সংসারের খরচটুকু ওঠে। কঠিন লড়াই করতে হয়। নেট ও স্লেটের জন্য চেষ্টা করছি। বাবা রামদেব মাহাতো গ্রামেই থাকেন। অন্যের জমিতে কাজ করেন। মা মিনাদেবী মাহাতো অসুস্থ। মা, বাবা ও চার ভাইবোন নিয়ে কোনও রকমে চলে তাঁদের সংসার। উকিলপাড়ার এক বাসিন্দা রাজকুমারকে থাকতে দিয়েছেন, এজন্য কোনও ভাড়া নেন না। রাজকুমার জানান, ইচ্ছে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু আমাদের মতো গরিব মানুষের কাছে চাকরি (Employment) স্বপ্নের মতো। কারণ, এখন যোগ্যতার দাম নেই, টাকা দিলেই চাকরি মেলে। 

    ঘরে এত মেডেল, কিন্তু সম্মান নেই, আক্ষেপ রাজকুমারের

    রাজকুমারের ঘরে গিয়ে দেখা গেল, দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে অনেক মেডেল। জাতীয়, রাজ্য ও জেলাস্তরে ক্যারাটেতে অংশ নিয়ে কোনওবার প্রথম, আবার কোনওবার দ্বিতীয় হয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, এত মেডেল রয়েছে, কিন্তু কোনও সম্মান নেই। প্রতিবেশীদের কাছে অত্যন্ত নম্র, ভদ্র এবং গুণী ছেলে রাজকুমার। প্রতিবেশি লক্ষ্মী চৌহান বলেন, উচ্চশিক্ষিত হয়েও সে যেভাবে ফেরি করে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালায়, সত্যি ভাবা যায় না। এমন ছেলে দেখা যায় না। ওর একটা চাকরি (Employment) দরকার। পাড়ার ছেলেমেয়েরা খুব ভালোবাসে ওকে। সোনিয়া চৌহান নামে পাড়ার এক ছাত্রী জানায়, দাদা খুব ভালো মানুষ। আমাদের সঙ্গে খেলাধুলো করে।আমাদের খুব সাহায্য করে। দাদার একটা চাকরি দরকার। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি  সকল ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। ঠিক এইরকমই এক সময়ে রাজকুমারের লড়াই কি কর্মসংস্থান প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকার দিকে আঙুল তুলছে না?
    এই প্রশ্নই ঘুরছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো, তাঁদের গঠন নয় নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। নিজেদের বেতন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক সমাজের একাংশ, এমনই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার রাজ্য সরকারের সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত প্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “এই পদগুলো তৈরি হয়েছে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তারা রোজ কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। ওদিকে এই টানাপোড়েনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”  বিচারপতি বসুর কথায়, যারা এখন চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করছে চাকরি পেলেই তাদের ভোল বদলে যাবে। বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়ার আবেদন জানাবে। উৎসশ্রী, শুভশ্রী প্রকল্পে আবেদন করবে। বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। এবার শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, “ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।” ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের থেকে বেতন নিয়ে নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করছেন। নিজেদের পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে অতটা চিন্তা করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share