Tag: Education

Education

  • B.Ed. Colleges: দুর্নীতি না অন্য কিছু! একধাক্কায় রাজ্যের ২৫৩ বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল

    B.Ed. Colleges: দুর্নীতি না অন্য কিছু! একধাক্কায় রাজ্যের ২৫৩ বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার অভিযোগে রাজ্যের ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হল। রাজ্যে মোট ৬২৪টি বিএড কলেজ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকার সাপেক্ষে রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭১টি বিএড কলেজকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাকি ২৫৩টি বিএড কলেজ কোনও অনুমোদন পায়নি বলেই খবর। কেন্দ্র বাতিল করেছে ১৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    রাজ্যে প্রায় ২৫০টি বিএড কলেজের পুনর্নবীকরণের অনুমতি দেওয়া হতে পারে না এই আশঙ্কা আগেই ছিল। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের নিয়ম মোতাবেক, এই কলেজগুলিতে শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। কোনও কলেজে যদি শিক্ষক কম থাকে তাহলে কোনওভাবে তা চলবে না। কোনও কলেজে যদি শিক্ষক কম থাকে এবং সেখানে নতুন করে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হয় সেক্ষেত্রে তাঁদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির তরফে মাস খানেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এনসিটির ২০১৪ সালের রেগুলেশন মেনে চলতে হবে। সেই রেগুলেশন যে কলেজগুলি মেনে চলতে পারবে না, সেগুলিকে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না। এমনকী বেশ কয়েকটি বিএড কলেজে ভুয়ো ফায়ার সেফটি লাইসেন্স ব্যবহারের অভিযোগও এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    দুর্নীতির প্রশ্ন

    রাজ্যে ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একের পর এক বি এড কলেজ। সেই বিএড কলেজগুলিতেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে রাজ্যের বি.এড বিশ্ববিদ্যালয়, বলে অনুমান শিক্ষামহলে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই উঠে এসেছে বিএড কলেজগুলির থেকে ফেক সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো তথ্য। বি এড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা দেখছেন নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কয়েকটি বিএড কলেজ থেকে ফেক সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার আমাদের কড়া হওয়ার প্রয়োজন ছিল। দুর্নীতি হয়েছে কী হয়নি তা পরবর্তীকালে বিচার ব্যবস্থা বিচার করবে। তবে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকলে অনুমোদন দেওয়া যেবে না। ”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আবেদন। ইউজিসির (UGC NET) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহ এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। তারপরে জুন মাসে পরীক্ষা হবে। জানা গেছে, আগামী ১৩ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর জন্য ইউজিসি নেট পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এই পরীক্ষা অনলাইনে হবে মোট ৮৩ টি বিষয়ে। ১০ মে বুধবার থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলবে আগামী ৩১ মে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

    প্রার্থীদের সুবিধার্থে ইউজিসির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নিয়মিত এনটিএ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট nta.ac.in এবং ইউজিসি নেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.nic.in তাঁরা যেন নজর রাখেন।

    কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে নেট (UGC NET) উত্তীর্ণ থাকা বাধ্যতামূলক

    প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে শিক্ষকতার পদে আবেদন করার জন্য নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও জুনিয়ার রিসার্চ ফেলোশিপের যোগ্যতা মানের জন্য নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে ‘কম্পিউটার বেসড মোড ইউজিসি নেট’ পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিবছর দু’বার এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। একটি জুন মাসে এবং অপরটি হয় ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরের নেট (UGC NET) পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে official website, ugcnet.nta.nic.in- এ যেতে হবে।

    ২) এরপরে ইউজিসি নেট জুন ২০২৩ রেজিস্ট্রেশনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে

    ৩) এরপর অনলাইনে আবেদনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে এবং যাবতীয় তথ্য এবং নথি জমা করতে হবে।

    ৪) রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে এর একটি প্রিন্ট আপনাকে বের করে নিতে হবে।

    ফি কতো?

    ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে যে সাধারণ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের জন্য ১১০০ টাকা ফি জমা করতে হবে। ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফি হবে ৫৫০ টাকা এবং এসসি, এসটি প্রার্থীদের জন্য ফি ২৭৫ টাকা। ফি অনলাইনে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ। বৃষ্টি হলেই ফুটো হওয়া টিনের চাল দিয়ে জল পড়ছে ক্লাসরুমে। এমনকী বৃষ্টির জল স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ছে। এছাড়া টিনের গরমে নাজেহাল অবস্থা খুদে পড়ুয়াদের (Education)। এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট শহর লাগোয়া খিদিরপুরের শান্তিময় ঘোষ স্মৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

    স্কুলের বেহাল দশা, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্কুল সংস্কার করা হয়নি। জেলার প্রায় অধিকাংশ স্কুলের ছাদ পাকা হলেও এখনও ওই স্কুলের ছাদ হয়নি। তাই বৃষ্টি ও ঝড়বাদলে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু ওই স্কুল (Education) নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার হয়নি। অনেক স্কুলের বিল্ডিং পুরনো ও জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বা ছাদের একাংশ খসে পড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের সীমানা বরাবর ওই স্কুলটি (Education) অবস্থিত। ১৯৮৯ সালের হলেও ওই স্কুল এখনও টিনের। চারদিকে দেওয়াল থাকলেও একেবারে জীর্ণ। একটিমাত্র ঘর ও একটি রান্নাঘর নিয়েই চলছে স্কুল। ছাত্র সংখ্যা ২৫ জন। শিক্ষিকা ২ জন। কিন্তু ওই স্কুলের বেহাল দশায় দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের চারদিকই ঢোবা-জঙ্গলে পরিপূর্ণ। তাই এই গরমে সাপের উৎপাত বাড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। 

    কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা সংসদ চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীতা ঘোষ দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্কুল (Education) খারাপ হয়ে আছে। স্কুল সংস্কারের জন্য দফতরে জানিয়েছি। ওই স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক মিলন মোহন্ত বলেন, স্কুলে সাপ ঘুড়ে বেড়ায়। টিন ফুটো হয়ে জল পড়ে। এমনকী বৃষ্টির জল ঢুকে যায়। যার ফলে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, কিছু স্কুল (Education) খারাপ আছে। সেই রিপোর্ট আমার কাছে এসেছে। তবে স্কুলগুলি কেন সংস্কার হচ্ছে না, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম জিৎপুর অ্যাডিশন্যাল প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School)। স্কুলে একজন শিক্ষক। জনা কুড়ি ছাত্র-ছাত্রী। নিয়ম মেনেই ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক। আচমকাই সেখানে হাজির হন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সঙ্গে ছিলেন ডিপিএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মতিলাল কুজুর সহ দলীয় নেতৃত্ব। ক্লাসের মধ্যে একসঙ্গে  এতজনকে দেখে পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যায়। মূলত এলাকাবাসীর মুখে স্কুলের পঠন-পাঠনের বেহাল অবস্থা শুনে তারা স্কুলে যান। স্কুলে গিয়ে তৃণমূল নেতা মতিলাল কুজুর চতুর্থ শ্রেণির একাধিক পড়ুয়াকে নিজের নাম খাতায় লিখতে বলেন। দুজন পড়ুয়া সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়, তারা নাম লিখতে পারে না। তাদের অক্ষর জ্ঞান নেই। যা দেখে বিধায়ক থেকে উপস্থিত সকলের চক্ষুচড়ক গাছ। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, শিক্ষকদের আরও যত্ন নিয়ে পড়ুয়াদের পড়ানো দরকার।

    কী বললেন স্কুলের শিক্ষকরা? Primary School

    স্কুলের (Primary School) একাধিক পড়ুয়ার এই হাল অস্বীকার করেননি স্কুলের (Primary School) সহকারি শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, করোনার জন্য দুবছর লেখাপড়া হয়নি। আমরা দুজন শিক্ষক পড়াই। পড়ুয়ারা স্কুলে যেটুকু শিখে যাচ্ছে, বাড়িতে গিয়ে চর্চা না করার জন্য তাদের উন্নতি হচ্ছে না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত দাস স্কুলে আসেননি। তিনি ফোনে বিষয়টি শুনে বলেন, ২০১০ সালে কাজে যোগ দিই। তখন ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। ২০১৭ সালে আর একজন শিক্ষক যোগ দেন। স্কুলে আমরা পড়ুয়াদের সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করি।

    স্কুলের পঠন-পাঠন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য ?  Primary School

    প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্কুলে (Primary School) লেখাপড়া হয় না। যারজন্য পড়ুয়াদের অনেকের অক্ষর জ্ঞান নেই। শিক্ষকরা পালা করে স্কুলে আসেন। একজন শিক্ষক সব ক্লাস নেন। আসলে ক্লাস না নিয়ে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, অনেক অভিভাবক আর এই স্কুলে পড়াতে চান না। আর শিক্ষকরা স্কুলে (Primary School) এসে না পড়িয়ে মাসের পর মাস বেতন পেয়ে যাচ্ছেন বলে তাঁদের কোনও হেলদোল নেই। এলাকাবাসীর আরও বক্তব্য, দোষটা কার? পড়ুয়া, শিক্ষক, মোবাইলে আসক্তি না মানসিকতার। আসলে টাকা দিয়ে শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছেন। যাদের শুরুটা হচ্ছে অন্যায় দিয়ে, তাদের পড়ানোর ইচ্ছে না থাকাটাই স্বাভাবিক। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েও নিজের নাম লিখতে পারছে না। শৈশব তলিয়ে যাচ্ছে অশিক্ষার আঁধারে। অবিলম্বে শিক্ষকদের বদলি করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলের পঠন-পাঠন ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সকলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক স্কুলে অঙ্ক এবং ইংরেজি পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি, বাঁকুড়ার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছিলেন পুলিশ সুপার। বাঁকুড়া পুলিশের (Police) এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সিভিক কর্মীদের পড়ানোর ব্যবস্থা নিয়ে বাংলার শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের অঙ্ক-ইংরেজি শেখাবে এটা একবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমবাংলার লজ্জা’। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। 

    সুকান্তের কটাক্ষ

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন। তিনি নিজে একাধারে শিল্পী, কবি, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী। ঠিক তাঁর মতোই রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়াররাও নানা ভাবে পারদর্শী। তাঁরা শিক্ষকতার কাজটা ঠিকঠাক করে দেবেন।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দিল্লিতে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, “এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। এই ধরনের উপদেশ কারা দেন বুঝতে পারি না।  তাদের মুখগুলো দেখতে ইচ্ছে করছে। পড়ানোর মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে কী করে এত ছেলেখেলা হয় বুঝতে পারি না।”

    পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘বিশেষ পাঠ’

    দেড়শো জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিহ্নিত করে ফেলেছিল জেলা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, খাতড়া সাব ডিভিশনের ৫ টি থানার অন্তর্গত ৪৬টি স্কুলের প্রতিটিতে ২ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হবে। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধায় এই প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্কুল নয়, আপাতত গ্রামের কোনও এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। স্কুলের ক্লাসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি ‘সাপ্লিমেন্টারি ক্লাস’। অর্থাৎ, স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘বিশেষ পাঠ’ দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানাল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে ‘অঙ্কুর’ নামে যে কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ‘মানুষকে বিভ্রান্ত্র’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, ‘‘যদি এটা সত্যিই সাপ্লিমেন্টারি ক্লাস হয়, তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, যদি এমনটা হয় যে, স্কুলে শিক্ষক নেই বলে সেখানে পড়ানো হচ্ছে (সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে), সেটা ঠিক নয়। নির্দেশে তেমনটাই রয়েছে ঠিকই, বাস্তবে কী হচ্ছে সেটা দেখা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত পুরো শ্বেতপত্র পাঠানো।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যে কেউ শিক্ষক হতে পারেন। তবে তাঁর পড়ানোর যোগ্যতা থাকা উচিত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিজাব (Hijab row) বিতর্ক! সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ফিরিয়ে দেওয়া হল কয়েকজন ছাত্রীকে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়ম মানতে হবে সবাইকে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া।

    সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গেলে সবাইকেই পোশাকবিধি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিজাব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আদালত রায় দিয়েছে। সবাইকেই আদালত ও সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া এটি অনুসরণ করছে। সিন্ডিকেটের রেজোলিউশনও হল যে আদালতের রায় অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন : গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায় বলেন, যেসব মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমের ভিতরে  হিজাব পরার জন্য চাপ দেয়, তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের মাথার স্কার্ফ ছাড়াই ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।

    দিন দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তাদের ঢুকতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। অভিযোগ, পোশাকবিধির আড়ালে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্য জানিয়ে দেন, নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    প্রসঙ্গত চলতি বছর ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সব আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, সেগুলিও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেও লাভ হয়নি। যার অর্থ, আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না ছাত্রীরা।

     

  • Inteligent Child: বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করতে চান? জেনে নিন নানা কৌশল

    Inteligent Child: বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করতে চান? জেনে নিন নানা কৌশল

     

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব বাবা-মায়েরাই চান তাঁদের সন্তান হোক শ্রেষ্ঠ। কিন্তু প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে একটি শিশুকে ছেড়ে দিলে তা তার পক্ষে ভাল হবে না। শিক্ষাবিদরা বহুবার সাবধান করেছেন,শিশুদের জোড় করে প্রতিভাবান করতে চাইলে হিতে বিপরীত হয়। তাদের নানারকম সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
    কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনও চাপে না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, তাহলে তাতে সে অনেক দূর এগোতে পারবে। 

    ১.শিশুর নানা ধরণের  অভিজ্ঞতা: মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য,স্থবিরতা ডেকে আনে। তাই শিশুকে নিত্য নতুন বিষয়ে আগ্রহী করে তুলুন।

    ২. শিশুকে উৎসাহিত করা:খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে ‘কিছু হওয়ার জন্য’ তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

    ৩. শিশুর জানার চেষ্টার প্রশংসা করুন: তার ক্ষমতাকে নয়, শিশুর শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। নতুন কোনও ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টাকেও উৎসাহিত করুন। জানার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে।

    ৪.ভুল করলে ভয় দেখাবেন না: শিশুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণই আসল শিক্ষা। ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়ে। তার গায়ে ব্যার্থতার তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে।

    ৫. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ: প্রতিভাবান শিশুরা নতুন নতুন জিনিস শিখতে চায়। তাদের নিজের গতিতে শিখতে দিন। চলতি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহিদা পূরণে বাবা-মা- শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।

LinkedIn
Share