Tag: Eid

Eid

  • Bombay High Court: ইদ-ই-মিলাদের মিছিলে তারস্বরে মাইক! বড় পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের

    Bombay High Court: ইদ-ই-মিলাদের মিছিলে তারস্বরে মাইক! বড় পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবে মাইক বাজানো নিয়ে বুধবার বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে। আদালতের মতে, ‘‘গণেশ উৎসবের (Ganesh Chaturthi) সময় তার স্বরে মাইক বাজানো যদি ক্ষতিকারক হয়, তবে ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলের সময়ও তা সমান ক্ষতিকারক।’’ প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমিত বোরকারের ডিভিশন বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন।

    মামলাকারীদের দাবি (Bombay High Court) 

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলে ডিজে নাচ এবং লেজার শো- এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার দাবি জানান মামলাকারীরা (Bombay High Court)। এর পাশাপাশি, পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিতেও আর্জি জানান আবেদনকারীরা। যুক্তি হিসেবে তাঁরা তুলে ধরেন যে কোরান বা হাদিস কোনও বইতেই ডিজে সিস্টেমের ব্যবহার এবং লেজার লাইট ব্যবহার করে ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবী পালন করতে হবে এমন কথা বলা নেই।

    হাইকোর্ট (Bombay High Court) তার আগের আদেশের উল্লেখ করে

    প্রসঙ্গত, এর আগে গণেশ উৎসবের (Ganesh Chaturthi) সময় আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছিল। বুধবার এই মামলার শুনানির সময়, আদালত সেই আদেশের কথা উল্লেখ করে। সেই আদেশে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাউন্ড সিস্টেম এবং লাউড স্পিকারের ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞায় জোর দিয়েছিল। সেই নির্দেশ উল্লেখ করে হাইকোর্ট জানায়, গণেশ পুজোর মাইক ক্ষতিকারক হলে ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলের সময়ও তা সমান ক্ষতিকারক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তার স্বরে মাইক বাজানো বেআইনি।

    লেজার লাইট কী ক্ষতি করতে পারে তা মামলাকারীদেরই জানাতে হবে

    এর পাশাপাশি, লেজার লাইটের ব্যবহারে মানুষের কী কী ক্ষতি হয়, সে নিয়েও বিজ্ঞানসম্মত রিপোর্ট বোম্বে হাইকোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Bombay High Court)। এদিনই বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, আমরা কেউ বিশেষজ্ঞ নই, তাই লেজার লাইট কী ক্ষতি করতে পারে তা মামলাকারীদেরই জানাতে হবে। মামলা করার আগে এবিষয়ে মামলাকারীদের লেজার লাইটের ক্ষতিকারক দিকগুলি খুঁজে রাখা উচিত ছিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

LinkedIn
Share