Tag: election 2026

  • Suvendu Adhikari: ২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, কীভাবে? অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, কীভাবে? অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election) বাদ্যি বাজতে শুরু করেছে। রাজ্য চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি। এসআইআর নিয়ে চলছে বৈঠক। আর মাস সাতেক পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election)। সেই নির্বাচনে বিজেপি কীভাবে জিতবে, অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কাঁথিতে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে তিনি শাসকদল তৃণমূলকেও তীব্র আক্রমণ করলেন। রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ৪৬ শতাংশ ভোট পেলেই ক্ষমতায়

    আর দেরি নয়! সোমবার কাঁথির বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের এখনই ‘ঘরে ঘরে সংগঠন গড়ে তোলা’র বার্তা দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি কীভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই হিসেবে তুলে ধরে বিজয়া সম্মলিনীর মঞ্চে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে আমরা ৪৬ শতাংশ ভোট পেলেই ক্ষমতায় আসব। সংখ্যালঘুদের ৯৫ শতাংশ ভোট ওরা পায়। ওদের সঙ্গে ৪২ লক্ষ ভোটের ব্যবধান রয়েছে। দরকার ২২ লক্ষ ভোট।” তিনি দাবি করেন, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ কোটি ভোটার বাদ যাবে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এই প্রক্রিয়ার (SIR) পর ভোটের অঙ্ক অনেকটাই বদলে যাবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে ২০২৬ বিধানসভা ভোটের রণকৌশল স্পষ্ট হয়ে গেল। এসআইআর প্রক্রিয়া ও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তাঁর মন্তব্য, বিজেপি-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশই দিয়েছে।

    বিশেষ নিবিড় সংশোধনের উল্লেখ

    রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন(SIR) খুব দ্রুত শুরু হতে পারে বলে জল্পনা বেড়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শুভেন্দু। এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিএলও-দেরও বার্তা দিলেন শুভেন্দু। বলেন, “বিএলও-দের উপর নজর রাখতে হবে। বিএলও-রা কমিশনের কথা শুনে চলুন। ওদেরও না, আমাদেরও না।” পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির ফল যে ক্রমশ ভালও হচ্ছে, সেকথা তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে আমরা ৪৬ শতাংশ। তৃণমূল ৪১ শতাংশ।” তাঁর দাবি, বাংলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ রয়েছে, কাঁটাতার না থাকায় বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করতে শুরু করেছে। এবার তাঁদের নাম সরিয়ে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি হোক, এটাই চান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, বিহারে সরকার সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক দলগুলিও কাজ করেছে। ফলে সেখানে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে (SIR)। এখানে বিস্তির্ণ এলাকায় সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় সন্ত্রাস। এখানে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে লেলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সঠিক এসআইআর-এর পর নির্বাচন হলে রাজ্যে ভোটের অঙ্কটাই বদলে যাবে।

    বুথে বুথে হিন্দুদের এক করার আহ্বান

    দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের নিয়ে তিনি কর্মসূচির আয়োজন করবেন বলেও জানান। বুথে বুথে হিন্দুদের এক করার আহ্বান জানালেন। ‘মেরা বুথ সবচেয়ে মজবুত’-র ডাক দিলেন। পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশও দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “যাঁরা একসময় দল গড়েছিলেন, তাঁদের ভুলে গেলে চলবে না। দলের মধ্যে তুই বড় না আমি বড় ছাড়ুন।” এদিন কাঁথির এই সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। ভোটের অঙ্ক ছাড়াও এদিন নারী নিরাপত্তা নিয়েও সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় অসুর তৈরি হয়েছে। বোনেদের হাতে ত্রিশূল দরকার। মহিলাদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন, তৃণমূল সরকার কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষকদের রক্ষাকারী। সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেও দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী এবং তৃণমূলের যুব নেতা।” এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের লাভ

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী সুবিধা দেওয়া হবে, এদিন সেই ইঙ্গিতও দেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষ পাবেন প্রকৃত উন্নয়ন। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারি বাসে মহিলারা বিনামূল্যে যাতায়াত করছেন, গ্যাসের দাম কমেছে। বাংলায়ও সংকল্পপত্রে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো থাকবে।” তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা— “যতই বাধা আসুক, আমরা লড়ব। বাংলায় পরিবর্তন আসবেই।” শুভেন্দু অধিকারী দাবি করে বলেন, “প্রার্থীকে দেখার দরকার নেই, উপরে মোদিজি আর নিচে পদ্মফুল, এরাই আপনার প্রার্থী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই”।

  • Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। তার পরের দিনই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটার কথা বললেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০২৬ সালে রাজ্য থেকে বিদায় হবে তৃণমূল কংগ্রেসের, মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “দেশের যতগুলি রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করুক না কেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে যদি বিজেপি না আসে, তাহলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। এক সময়ের ৩টি আসন যদি পরে ৭৭ হতে পারে, বা ১০ শতাংশ ভোট যখন ৪০ শতাংশে আসতে পারে, তাহলে আসন সংখ্যা ১৭৭, আর ভোট ৪৫ শতাংশ না হওয়ার কোনও কারণ নেই।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় চান। কোনও দলের ঝান্ডা ছেড়ে, সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে প্রশ্ন করলে বহু মানুষ একই উত্তর দেবেন। তাঁরা বলবেন, বিজেপির হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন চাই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প।”

    বিজেপিই একমাত্র বিকল্প

    রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা এমন একটা রাজ্য যেখানে ৯ বছর পরে চাকরির পরীক্ষা হয়, তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এখানে এমনও অনেক যুবক রয়েছেন যাঁরা একটা প্যান্ট তিনবার সেলাই করে পরেন। তাঁরা জানেন বেকারত্বের জ্বালা।” কেন অন্য কোনও দল নয়, বিজেপিই একমাত্র বিকল্প, এদিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। বলেন, “যে রাজ্যেই বিজেপি সরকার রয়েছে, সেটা যাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হোক না কেন, নজরদারি থাকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দেশপ্রেম, মমত্ববোধ, জনগণের প্রতি একাত্মতা সর্বজনবিদিত। প্রধানমন্ত্রীর সততা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না।”

    একদম সাফ করে দেব

    এদিকে, সোমবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “যাদবপুরে যারা সংবিধান মানে না, যারা হেরোইন আর চরসের আখড়া করে রেখেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লালন-পালন করেন। কারণ ভোটের সময় এরা ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান দেয়।” পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বিজেপি (BJP) এলে যে যাদবপুরের হাল বদলে যাবে, এদিন সেই আশ্বাসও দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “বিজেপিকে আনুন, একদম সাফ করে দেব আমরা। যাদবপুরে যত জঞ্জাল আছে, সব পরিষ্কার করে দেব।” তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং ফের তাকে মূল স্রোতে শামিল করতে হলে বিজেপিকে আনতেই হবে। বিজেপি এলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”

    বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থার খবর মিথ্যে প্রচার

    ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এগুলো বেশিরভাগই ভুয়ো প্রচার। হরিয়ানা সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে আটক হওয়া এক হাজার বাংলাভাষীর মধ্যে ৯১৫ জনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।” তিনি বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ায়, তারা আর যাই হোক না কেন, বাংলা ও বাঙালির রক্ষক হতে পারে না।”

    শাহ সন্দর্শনে শুভেন্দু

    এদিকে, সোমবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। নয়াদিল্লিতে শাহের বাসভবনে দু’জনের বৈঠক হয় মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে (BJP)। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শুভেন্দু অবশ্য নিজেই লিখেছেন, ‘তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মাস ছয়েক পরেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দু-সহ (Suvendu Adhikari) বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। তার পরেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়বেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পুজোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যাতায়াত বাড়বে এ রাজ্যে। এই আবহে শাহ-শুভেন্দুর এই বৈঠক (যাকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলছেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’) তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (BJP)।

  • Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Phantom Voters) চিহ্নিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Bengal CEO) মনোজ আগরওয়াল। সোমবার তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। গত এক বছরে রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। জেলাশাসকরা একই সঙ্গে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক (DEO) হিসেবেও কাজ করেন। তাই ১৪ অগাস্টের মধ্যে তাঁদের এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ (Phantom Voters)

    জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করে ফর্ম-৬ (যা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়) নিষ্পত্তির একটি নমুনা সমীক্ষা পরিচালনা করবেন। এই আধিকারিকরাই খতিয়ে দেখবেন এবং রিপোর্ট করবেন যে নির্বাচনী নথিভুক্তি আধিকারিকেরা (ERO) কীভাবে ফর্ম-৬-এর আবেদনের নিষ্পত্তি করছেন। জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, “অনেক নির্বাচনী কর্মী ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভুক্তি আইনের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করছেন না।” সিইও-র চিঠিটি এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে ১১টি জেলার ভোটারদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    সিইওর নজরে ২

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিইওর নজরে রয়েছেন ময়না ও বারুইপুরের দু’জন ইআরও। কারণ ভোটার তালিকায় অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি (Phantom Voters)। সিইওর (Bengal CEO) চিঠিতে বলা হয়েছে, “ক্রমাগত আপডেটের সময় ইআরওরা যে ফর্ম ৬ জমা দিয়েছেন, তার এক শতাংশেরও কম নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে দু’জন ইআরও ভুতুড়ে ভোটারদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফর্ম ৬ নিয়েছেন।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “এই সব ক্ষেত্রে কোনও জরুরি প্রয়োজন বা বাস্তব প্রয়োজন ছাড়াই বিএলওদের যাচাই করা তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। একই ধরনের নথি বহু সংখ্যক আবেদনপত্র ও তাদের ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য নেওয়া হয়েছে।”

    অনিয়মের কথা কবুল!

    ওই চিঠি থেকেই জানা গিয়েছে, দুই ইআরও স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা অন্যান্য আধিকারিক মায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও ইউজার অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন। তাঁরা পরে ফর্ম ৬-এর আবেদনগুলি নিষ্পত্তি করে দেন। সূত্রের খবর, সিইও ওই দুই ইআরও-সহ আরও যে সব আধিকারিক এই ধরনের অনিয়মে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। নির্বাচন কমিশনের (Bengal CEO) এক আধিকারিক বলেন, “যদি কোনও (Phantom Voters) ইআরও, সহকারী ইআরও বা অন্য কেউ ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, সংশোধন বা কোনও অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্তব্যে গাফিলতি বা দুর্নীতি করেন, তাহলে তাঁদের ন্যূনতম তিন মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ দু’বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে।”

    নতুন ভোটার নয়, উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বয়স্ক ভোটারদের নাম

    নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত অঞ্চলে ২৫-৪০ বছর বয়সিদের ভোটার তালিকায় নাম লেখানোর হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অথচ এই হার বেশি থাকার কথা ১৮-২১ বছর বয়সি নতুন ভোটারদেরই। ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, মাত্র এক শতাংশ ফর্ম পরীক্ষা করেই বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে ইআরওকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁরা ভুয়ো আবেদনপত্র জমা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিএলওরা কোনও রকম যাচাই না করেই তার অনুমোদনও দিয়েছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Phantom Voters)।

    কী বলেছিল কমিশন?

    প্রসঙ্গত, ভোটার (Bengal CEO) তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের বাদ দিতে আগেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ডেটাবেস এবার যুক্ত করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফলে যখনই কারও জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন করা হবে, তখন কমিশনের সিস্টেমেও সেই তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে। ভোটার তালিকায় কখনও কখনও মৃত ব্যক্তির নামও থাকে, বাদ যান যিনি জীবিত, তাঁর নাম। কমিশন সূত্রে খবর, এহেন বিভ্রান্তি এড়াতেই চালু হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারের নাম দ্রুত ও সহজ পদ্ধতিতে বাদ দেওয়া যাবে। এজন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা সিস্টেমের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইআরও এবং বিএলওদের যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এবার থেকে জন্ম বা মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন হলেই সেই তথ্য একেবারেই পৌঁছে যাবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে। কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডুপ্লিকেট এপিক (EPIC) নম্বর বরাদ্দের সময় কিছু ভুলের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ব্যক্তিকে একই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এবার প্রযুক্তিগত (Bengal CEO) দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি ভোটারকে একক এপিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে (Phantom Voters)।

LinkedIn
Share