Tag: election campaign

election campaign

  • Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিখ সম্প্রদায়। সোমবার শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত আড়াই বছরে, সরকার গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু পাঞ্জাবি, লুবানা, সিকলিগার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “বিজেপি সরকার শুধু এই সম্প্রদায়গুলির জন্য উপকারি ঘোষণাই করেনি, বরং তাদের উন্নতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপও করেছে।”

    মহাজুটি জোটের পাশে শিখরা

    সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার (Maharashtra Assembly Elections) শেষ হয়েছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি-র (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি-র (শরদ) ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। সম্প্রতি, একজন শিখ সদস্যকে মহারাষ্ট্র সরকারের মাইনরিটি কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্যের মহারাষ্ট্র রাজ্য পাঞ্জাবি সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি স্পষ্টভাবে সরকারের উদ্দেশ্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, সিকলিগার, বানজারা ও লুবানা সম্প্রদায় এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আশাবাদী যে, সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত সম্প্রদায়ের কল্যাণে একই উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তাই এই সম্প্রদায়ের সকল প্রতিনিধিদের মহাজুটি জোটকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে শিখ সংগঠনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। ঠিক এই আবহে এই ধরনের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানালেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) রাজীব কুমার। শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন সূত্রে। জানা গিয়েছে, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেখানেই মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের নিয়ে ওই বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) মহিলাদের উদ্দেশে অবমাননাকর ভাষা প্রয়োগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন ও নিন্দা জানান।

    কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC)? 

    জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে তিনি (CEC) বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদেরকে সেই সমস্ত কাজ এবং বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে যা মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদাহানি করবে।’’ একইসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কোনও দিক যা জনগণের সঙ্গে জড়িত নয় এমন ধরনের ঘটনা টেনে প্রচারে বিরোধীদের আক্রমণ করা যাবে না বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ করা যাবে না। ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধী দলের প্রার্থীদেরকে নিম্নস্তরের ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনও করা যাবে না। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য তিনি (Rajiv Kumar) ওই বৈঠকে জানিয়েছেন, মহিলাদের উদ্দেশে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    রেখার বিরুদ্ধে ফিরহাদের মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। পড়ে অবশ্য চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্যও হন তিনি। ঠিক এই আবহে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) মন্তব্য় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের অধিবাসীদের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা এবং জমি বাঁচানোর জন্য সেখানে বিজেপি সরকার গঠনের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে (Jharkhand Assembly Election 2024) এসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট।” একইসঙ্গে এই তিন দলের জোটকে ‘মাফিয়াদের গোলাম’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সোমবার গাড়োয়া জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে দুর্নীতি ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি। 

    তোষণের রাজনীতি

    আদিবাসী সমাজের জন্য ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কার্ফু জারি করা হয়, তখন জানা যায়, যে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে জল কোথায় পৌঁছেছে। এটা চলতে থাকলে, এই রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ হারিয়ে যাবে।’’ 

    বিজেপির গ্যারান্টি

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Election 2024) মোট ৮১টি আসনে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১৩ নভেম্বর প্রথম দফা। ও দ্বিতীয় দফা ২০ নভেম্বর। এর মধ্যেই রয়েছে ছট পুজো। ঝাড়খণ্ডবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঝাড়খণ্ডের আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের আর্জি জানান। বিজেপিই রাজ্যের সমৃদ্ধি করতে পারবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্কল্প পত্রের প্রশংসা করে মোদি জানান, বিজেপি একমাত্র দল যারা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তাই রাজ্যে নারী নিরাপত্তা রক্ষার্থে, নিজের জমি নিজের রাখতে বিজেপি তথা এনডিএ-র সরকার গঠনের কথা বলেন। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল। ফলাফলে ইন্ডিয়া জোট অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর প্রদেশে বিজয়ী হয়েছে। আর সেই ফল প্রকাশের পরেই বুধবার লখনউ (Lucknow) এর একটি কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রচারের সময় প্রতিশ্রুত ‘গ্যারান্টি কার্ডের’ দাবিতে ভিড় জমায় অসংখ্য মহিলা। কারন নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় কংগ্রেস অনেক পরিবারকে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ বিতরণ করেছিল। একইসঙ্গে প্রতি দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। আর এদিন সেই প্রতিশ্রুতির দাবি নিয়েই কংগ্রেস অফিসের (Congress office) বাইরে ভিড় জমান অসংখ্য মহিলা। 

    প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ (Lucknow)

    সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা লখনউতে কংগ্রেস অফিসের (Congress office)  বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কিছু মহিলা ‘গ্যারান্টি কার্ড’ দাবি করেছেন। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে তাদের গ্যারান্টি কার্ড পেয়েছেন তারা তাদের অ্যাকাউন্টে প্রতিশ্রুত অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তারা তাদের ফর্ম জমা দেওয়ার পরে কংগ্রেস অফিস থেকে রসিদ পেয়েছেন।

     

    ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি  

    নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ২৫টি গ্যারান্টি কার্ড সহ প্রায় ৮ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি চালু করেছিল। এর মধ্যে ছিল মহালক্ষ্মী স্কিম, যা দারিদ্র্য সীমার নীচে (বিপিএল) পরিবারের মহিলা প্রধানদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রতি মাসে ৮,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এই প্রকল্পটি আসলে কর্ণাটকের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন গৃহ লক্ষ্মী প্রকল্পের অনুরূপ। যদিও কর্ণাটকে দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানদের ২,০০০ টাকা প্রদান করে এই স্কিম।  

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্য যাত্রীদের

    অন্যদিকে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে এসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি অনেক মহিলা বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে ছুটে এসেছেন। কারন তাঁরা আশা করেছিলেন যদি ইন্ডি জোট কেন্দ্রে ক্ষমতা পায় তাহলে মাসিক ৮,৫০০ টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে ইন্ডি জোট এক্সিট পোলকে মিথ্যে করে দিয়ে ২৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। একইসঙ্গে এনডিএ পরবর্তী সরকার গঠনের জন্যও প্রস্তুত করেছে নিজেদের। কারন বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯২টি আসন লাভ করে, ২৭২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে পুরুলিয়ায়। আর তার আগে পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে বাংলায় আরও একবার ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এদিনও মঞ্চে উঠে দুর্নীতি, টাকা উদ্ধার, শেখ শাহজাহান সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi)

    এদিন মোদি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘শাহজাহানকে বাঁচাতে সন্দেশখালির মহিলাদের দোষী বলছে। তাঁদের চরিত্র নিয়ে আঙুল তুলছে। ওঁদের জন্য যে ভাষায় কথা বলছে, তার জবাব বাংলার সব মহিলা দেবেন। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মাধ্যমে জবাব দেবেন। তৃণমূলকে বরবাদ করবেন।’’পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে বাংলার মহিলাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। এসসি, এসটি পরিবারের লোকদের তো তৃণমূল মানুষই ভাবে না। 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খোঁচা মোদির

    কেবল সন্দেশখালির প্রসঙ্গই নয় এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মুখে উঠে এল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘তোলাবাজি, চুরি করা তৃণমূল সরকারের বিচার, আচার। যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে। শিক্ষক নিয়োগে হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ বরবাদ করেছে। সকলকে ধারে ডুবিয়েছে। বাংলার গ্রামে আজ শিক্ষক নেই। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎও চুরি করেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস একই।’’
    এছাড়াও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি (Narendra Modi)বলেন, ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক আপনারা নন। তাই ওদের আপনাদের জন্য একটুও কোনও দরদ নেই। তৃণমূল মিথ্যা বলছে, যে মা মাটি মানুষের রক্ষা করবে। আজ তৃণমূল মা মাটি মানুষেরও ভক্ষক হয়েছে। বাংলার মানুষের ভরসা তৃণমূলের ওপর থেকে চলে গিয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত মোদি

    উল্লেখ্য, এদিন পুরুলিয়ায় অগণিত জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত হন মোদি (Narendra Modi)। কপ্টার থেকে নেমে তিনি চলে গিয়েছিলেন জনসমুদ্র দেখতে। তিনি বলেন, ‘‘এত লোক দেখে দর্শন করতে চলে গেছিলাম। বিকশিত ভারত, আত্মনির্ভর ভারতের জন্য আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। দিল্লির এসি ঘরে বসে সব হিসাব করে। এখানে এসে দেখে, ৪ জুন কী হবে?’’এছাড়াও এদিন মোদি বলেন, ‘‘পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল বিজেপিকে অসীম স্নেহ দিয়েছে। আজ মোদি আপনাদের থেকে শুধু ভোট (Lok Sabha Election 2024) চাইতে আসেননি। বরং সবার কাছে আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। ৪ জুন আর বেশি দিন বাকি নেই।  মোদী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের  পোল খুলে ফেলেছে।’’ 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোটপ্রচারে (Lok Sabha Election 2024) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সঙ্গে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সবে লোকসভা ভোটের দুদফা মিটেছে। বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭ মে উত্তরে দুই আসনের সঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু দক্ষিণবঙ্গেও। আর তার আগে ফের বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    হাওড়ায় জনসভা মোদির (PM Narendra Modi)

    রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী শনিবার হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি। ওই দিন মোদির সভামঞ্চে উপস্থিত থাকবেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় চৌধুরী। 

    সিঙ্গুরে সভা মোদির  

    বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী শনিবার কলকাতাতেই রাত্রিবাস করবেন মোদি। তার পরের দিনই হুগলি জেলার সিঙ্গুরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আগামী ২০ মে হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রেই ভোট। ওই দিনই নির্বাচন হবে হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রেও। তার আগে জমি আন্দোলনের জন্য সংবাদ শিরোনামে থাকা সদা আলোচ্য এলাকা সিঙ্গুরে সভা করতে চলেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। 
    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ আরামবাগে সভা করেছিলেন মোদি। এরপর গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। রাজভবনে রাত্রিবাস করে শুক্রবার তিনি (PM Narendra Modi) বর্ধমান, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুরে সভা করেন। আর এর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি।   
    উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তুলনায় চব্বিশের নির্বাচনে বেশি আসন পেতে জোরকদমে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। ভোট প্রচারে এসে একাধিক প্রচার সভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মোদি। এবার উত্তরের পর দক্ষিণবঙ্গের প্রচারে আসছেন মোদি। এবারে যে পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের জন্য মোদি সভা করবেন, সেগুলির মধ্যে এক মাত্র হুগলি বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে গত বার জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এ বার এই পাঁচটি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি। মোদির প্রচার ওই কেন্দ্রগুলির কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে বিজেপি।  

    আরও পড়ুন: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে 

    দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা শাহর 

    মোদির (PM Narendra Modi) পাশাপাশি রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনী জনসভা করছেন শাহও। বিজেপি সূত্রে খবর আগামী সোমবার তিনি (Amit Shah) বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সমর্থনে সভা করবেন। ওই সভায় দিলীপের পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে পারেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী আলুয়ালিয়াও। উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন শাহ। আর এবার দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে রেখা পাত্র। তার পর অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া কি তৃণমূলের (TMC) রণকৌশল। উঠছে প্রশ্ন। দুটি প্রচারে বাধা দেওয়ার ধরণে মিল রয়েছে। তিনি বলেছেন, “চোরের দল বাধা দিয়েছে, মহিলাদের শিখিয়ে পড়িয়ে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকছেন তৃণমূল নেতারা।”

    গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা (Agnimitra Paul)

    ভোটের প্রচারে ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্র পল-কে। মঙ্গলবার দাঁতনে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এমনকি অপশব্দ বলতেও শোনা গেছে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করতে এসেছিলেন অগ্রিমিত্রা (Agnimitra Paul )। দাঁতনের কুসমি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মহিলাদের এগিয়ে দেওয়া হয় গাড়ির সামনে। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এবং কয়েকজন মহিলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগানও। তাঁর গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তৃণমূলীরা।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এ বিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul ) বলেন, “ওদের দলের চুরি যাতে জনমানসে না বেরিয়ে যায় তাঁর জন্য একদিকে সুপ্রিম কোর্ট দৌড়াচ্ছেন অন্যদিকে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। রাজ্যে সব জায়গায় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এতদিন চুরি করেছে তাদের আজ অসুবিধা হচ্ছে বলে বিজেপি প্রার্থীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। গ্রামের মানুষ কেউ বেরিয়ে আসেনি, জনাকয়েক চোর বেরিয়ে এসেছে।” প্রসঙ্গত অগ্রিমিত্রা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, “দলের কয়েকজন কর্মী ছাড়া ওদের পাশে কেউ নেই। এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা চুরির সঙ্গে যুক্ত। এরপর জনগণ ওদের কাছ থেকে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইবে।” হুঁশিয়ারী দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী (Agnimitra Paul )। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বসিরহাটে (Basirhat) একই কায়দায় রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) ঘিরে ধরে কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক। রেখাকে আটকে ঘেরাও করা মহিলাদের পেছনে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এদিন দাঁতনেও দেখা গেল একই ছবি। সামনে মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক পিছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা। প্রচারে বাঁধার জেরে দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হুগলির ভোটপ্রচারে টাটাকে এরাজ্যে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হুগলির ভোটপ্রচারে টাটাকে এরাজ্যে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Vote 2024) আবহের মধ্যেই বিরাট আশ্বাস বিরোধী দলনেতার। সরকার বদলের ডাক দিয়ে আগামী দিনে ফের টাটাকে (TATA) এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    সোমবার সন্ধ্যেয় হুগলির (Hooghly) ধনিয়াখালিতে লোকসভা ভোটের প্রচারে (Election campaign) একটি সভা করেন তিনি। সেই সভামঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন বিজেপি জিতলে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত যেতে হবে না। কয়েক মাসের মধ্যেই সরকার বদলে যাবে। আমরা এমন এক সরকার উপহার দেব, যে সরকার টাটাকে ফিরিয়ে আনবে।”

    ২০০৮ সালে কারখানা নির্মাণের কাজ স্থগিত হয়

    প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্পের (Singur Nano Plant) জন্য ৯৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। তার মধ্যে প্রায় ৪০০ একর জমির দাতা ছিলেন অনিচ্ছুক। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এরপর ২০০৬ সালে ২৫ মে থেকে ৯৯৭ একর কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে ২০০৮ সালে সিঙ্গুরে কারখানা নির্মাণের কাজ স্থগিত করে টাটা মোটরস। তাই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবার হুগলিতে সরব হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলায় ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে সরকার বদলের ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। সিঙ্গুরের আমজনতাও টাটা গোষ্ঠী চলে যাওয়া নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত। এসবের মধ্যেই এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতিশ্রুতি দিলেন, বাংলায় বিজেপির (BJP Government) সরকার ক্ষমতায় এলে আবার টাটাকে এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনবেন।

    আরও পড়ুনঃ “লাঠি, ইট দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল”, বললেন প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    হুগলি লোকসভা আসনে লকেট বনাম রচনা

    প্রসঙ্গত, এবার হুগলি লোকসভা আসনে (Hooghly Lok Sabha Seat) তারকাদের লড়াই। একদিকে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এর আগে ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, হুগলি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছিল। সেবার এই আসনে বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি (Locket Chatterjee) ৭৩,৩৬২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। এবার এবারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রচনা। তাই লড়াইয়ের ময়দানে জয়ী হতে ভোট প্রচারে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সিঙ্গুরের মাটিতে টাটা ফিরবে কিনা সে জবাব ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশেই মিলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Vote 2024: কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা, গ্রেফতার আসরাফ সহ ২

    Lok sabha Vote 2024: কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা, গ্রেফতার আসরাফ সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। কসবায় (Kasba Incident) বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ (kolkata police) সূত্রে খবর, দুজনকেই সোমবার আদালতে তোলা হবে। সম্প্রতি ভোট প্রচারে (Lok sabha Vote 2024) বেরিয়ে কসবা বিধানসভা এলাকার আনন্দপুরে আক্রান্ত হন বিজেপি নেত্রী (BJP leader) সরস্বতী সরকার। ঘটনার পরেই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী। এরপরেই এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঠিক কী ঘটেছিল (Lok sabha Vote 2024)?

    শনিবার রাতে কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে নিয়ে আরবান কমপ্লেক্সের কাছে পূর্বপাড়ায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা (Lok sabha Vote 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই আচমকা তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁদের পোস্টার, ব্যানার। তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়া হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরস্বতী সরকারকে কোপানো (Kasba Incident) হয়।গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তর নাম গৌর হরি গায়েন ও আসরাফ মোল্লা ওরফে ভুতো। দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআরে বিজেপির (BJP) নেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল।

    বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata) জেলা সভাপতি অনুপম বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের গড় হলেও এ বারের ভোটে সেই গড় নড়ে যাবে। আমাদের প্রার্থী এবং কর্মীরা ভোটপ্রচারে (Lok sabha Vote 2024) নেমে যে ভাবে সাড়া পাচ্ছেন, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সেই ভয় থেকেই আমাদের মণ্ডল সভাপতি ও কর্মীদের ওপর হামলা (Kasba Incident) চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধিদের দল

    ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না

    এই ঘটনায় আনন্দপুর পুলিশ স্টেশনের সামনে ধর্নায় বসেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী (Lok sabha Vote 2024) দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর দাবি, জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ হামলাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে পুলিশকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারার মামলা করার দাবিও জানিয়েছেন দেবশ্রী। যতক্ষণ না তা করা হবে ততক্ষণ ধর্না (Kasba Incident) চলবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

    অন্যদিকে শনিবার রাতেই আক্রান্ত বিজেপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় শিশু ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। একই সঙ্গে, তাঁর যাবতীয় খোঁজ খবরও নিয়েছেন মন্ত্রী৷ বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলেও জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: ৪৪ ডিগ্রিতেও খামতি নেই! আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে মহাগুরু

    Mithun Chakraborty: ৪৪ ডিগ্রিতেও খামতি নেই! আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে মহাগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোদের গনগনে আঁচে পুড়ছে বাংলা। আর তার সাথে পুড়ছে শিল্পশহর আসানসোল। তবে এরমধ্যেও ভোটের প্রচারে খামতি নেই মহাগুরুর। ১৩ মে রাজ্যে চতুর্থ দফায় ভোট (lok sabha vote 2024) রয়েছে আসানসোলে। আর তার আগে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও শেষ মুহূর্তের প্রচারে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুয়ালিয়ার (S. S. Ahluwalia) সমর্থনে রবিবার আসানসোলে আসেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর এদিনই নাম না করে শত্রুঘ্ন সিনহা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Mithun Chakraborty)?

    “উনি ছিলেন বিজেপির একজন লিডার, মন্ত্রী। রাজনীতিতে আমার থেকে অনেক বেশি জ্ঞান উনি রাখেন। কিন্তু উনি একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল বেছে নিয়েছেন। এটা আমার অনুভব।” নাম না করে আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তারকা প্রার্থী তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

    কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য?

    প্রসঙ্গত আসানসোলের (Asansole) বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুয়ালিয়ার নির্বাচনী প্রচারে আসেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। রবিবার এসএস আলুয়ালিয়ার সাথে একটি রোড শো (road show) এ অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরপরে এক বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্দে মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু জুলাইতে, জুড়বে ১২৪ শহরকে

    হুড খোলা গাড়িতে রোড শো

    এদিন হুড খোলা গাড়িতে চড়ে রোড শো শুরু হয়। মিঠুনের পাশে সেই গাড়িতে ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। আসানসোলের বটতলা বাজার এলাকায় এই রোড শো শেষ হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই মিঠুন চক্রবর্তী রোড শো থেকে চলে আসেন। ফলে বটতলা বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষ মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যদিও এরপর এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “এতে বিজেপি কর্মীদের কোনও দোষ নেই, আমি পারছিলাম না। আমার পা কাঁপছিল।” একথা বলে এরপর সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মহাগুরু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share