Tag: election comission

election comission

  • SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর (SIR)  নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুজো মিটতেই বাংলায় এসআইআর নিয়ে বুধবার বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম। সেই টিমে রয়েছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী-সহ চার কমিশন কর্তা। বুধ ও বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে কমিশনের বিশেষ টিমের। প্রতিটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, ওসি (ইলেকশন)-দের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

    কোথায় কোথায় বৈঠক কমিশনের

    বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) পর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছে কমিশনের বিশেষ টিম। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিশেষ নজর দিচ্ছে তারা। ওই তিন জেলার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। এছাড়া রাজারহাট-গোপালাপুরে সব আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের কারণে পরিস্থিতি খারাপ। তাই বুধবার সকাল দশটা থেকে উত্তরবঙ্গ বাদে সব জেলার জেলাশাসক, ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO)-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। বৈঠক শেষে প্রথমে রাজারহাট-গোপালপুর তারপর বারাসত যাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় কোলাঘাটে পৌঁছবেন। সেখানে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    কমিশন সূত্রে খবর, ৮ দফা বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

    ১) ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, বর্তমান তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে কী না, তা দেখা হবে।

    ২) বিএলও নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

    ৩) বিএলও-দের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক চিহ্নিত করা

    ৪) বিএলও-দের কিটে কী কী থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া

    ৫) এসআইআর-এর ফর্ম তৈরি করতে হবে এ-ফোর সাইজের পাতার ম্যাপে

    ৬) সাম্প্রতিককালে ফর্ম ৬ অর্থাৎ ভোটার তালিকায় কত আবেদন জমা পড়েছে, কতজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কতজন ঠিকানা বদল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন, তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরি করা

    ৭) এসআইআর সংক্রান্ত বিস্তারিত ইস্যু

    ৮) বিএলও নিয়োগ বা বুথ পুনর্গঠন নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    কেন তিন জেলাকে গুরুত্ব

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। তাই এই জেলায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে, বলে অনুমান। সূত্রের খবর, বিজেপি অভিযোগ করেছে, সরকারি কর্মীদের বাদ দিয়ে বেসরকারি কর্মীদের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভোটার তালিকায় গরমিল হতে পারে। এর মধ্যে বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি ছিল। কমিশনের আধিকারিক জানাচ্ছেন, বাঁকুড়ায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের অনেকের নাম ২০২৫ সালের তালিকায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখবে কমিশন। সূত্রের খবর, রাজারহাট গোপালপুর নিয়েও তৎপর কমিশন। রাজারহাটের ডিস্ট্রিক্ট অফিসার (ডিইও), আইটি সেল, ইআরও-দের নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন। রাজারহাট-গোপালপুর এবং রাজারহাট-নিউটাউন, এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বিএলও-দের নিয়ে বৈঠক আছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার ইআরও-দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কমিশন। বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) আগে সবদিক খুঁটিয়ে দেখে এগোতে চায় কমিশন।

  • Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) কড়া নজর রাখতে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অনিল শর্মাকে নিয়োগ করেছিল কমিশন। এবার ভোটে নজরদারির জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক আইএএস আধিকারিক অলোক সিনহাকে নিয়োগ করা হল। বৃহস্পতিবার কমিশন এ কথা জানিয়েছে। 

    কেন বিশেষ পর্যবেক্ষক

    সাধারণভাবে, ভোটের (Lok Sabha Election) সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কমিশন, তবে নির্বাচনের এতটা আগে থাকতে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয় না। তবে এবার লোকসভা ভোট শুরুর আগে থেকেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলার উপর বাড়তি জোর দিতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শর্মার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক শর্মার রিপোর্ট করার কথা বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহার কাছে। 

    কেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই অনিল শর্মাকে চণ্ডীগঢ় থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট পর্ব শুরু হচ্ছে রাজ্যে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) ঘোষণার আগে থেকেই বঙ্গের বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গ্রেফতারি বা টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করাই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের মূল কাজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে মোট ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক, পুলিশ ও সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক

    প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল বাংলায় তিনটি আসনে ভোট (Lok Sabha Election) রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই এই তিনটি জায়গার জন্য তিন জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। কোচবিহারের জন্য আইআরএস সঞ্জয় কুমার, জলপাইগুড়ির জন্য মদনমোহন মীণা ও আলিপুরদুয়ারের জন্য শালম কে দুর্গেশ যাদবকে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভোটে এই রাজ্যে অশান্তির ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তাই এই বছর সরকার এই ব্যাপারে আগাম সতর্ক বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হওয়ার পরেও সরানো হয়নি রাজনৈতিক দলের এমন পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং, দেওয়াল লিখন দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলবও করেছে কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনের যাবতীয় পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য রাজ্যগুলিকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রচারমূলক পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি

    বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। সেই বিধি অনুযায়ী, কোথাও কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন থাকতে পারে না। অভিযোগ, পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখনের আকারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট ঘোষণা হওয়ার চার দিন পরেও থেকে গিয়েছে সরকারি বিজ্ঞাপন। তা নিয়ে কমিশনের কাছে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও জমা পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর, জাতীয় সড়ক থেকে অবিলম্বে এই ধরনের অননুমোদিত সমস্ত পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখন সরিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় কত বেআইনি নির্মাণ? কী করছে পুরসভা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, ঠুকলেন আরটিআই

    কমিশনের বার্তা

    গোটা দেশে এবার সাত দফায় হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। তবে সব রাজ্যে সাত দফায় হবে এমনটা নয়। বাংলা, বিহার, উত্তর প্রদেশে হবে সাত দফায়। লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হচ্ছে ১ জুন। ফল প্রকাশ ৪ জুন। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। দিকে দিকে চলছে টহল। কমিশনের (Election Commission) স্পষ্ট বার্তা, এই আবহে কোনও সরকারি প্রকল্পের প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন বা দেওয়াল লিখন যেন না দেখা যায়।  সমস্ত পোস্টার, ব্যানার যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে হবে। ওই কাজ শেষ হয়েছে এই মর্মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। কমিশনের ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Lok Sabha Election 2024: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    Lok Sabha Election 2024: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে নারাজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটে (Lok Sabha Election 2024) নজরদারিতে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির শরণাপন্ন হতে চলেছে তারা। মঙ্গলবার একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের আগে ২২টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।

    নির্বাচনে আর্থিক দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা

    সূত্রের খবর, এবার লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দ্বারস্থ হতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটে কোনও কালো টাকা বা অবৈধ লেনদেন হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টির উপর নজরদারি চালাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর দফতর। তিনি বলেন, “সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হবে।” নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে ডিএম, এসপি এবং প্রাথমিক প্রশাসনিক স্তরের আধিকারিকদের। রাজনৈতিক দলগুলিকে পোর্টালের মাধ্যমে সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি সিটিজেন্স ভিজিলেন্স-এর সুযোগ থাকবে। যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। চাইলে কোনও কিছু ছবি তুলেও পাঠানো যাবে।

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কথা শুনেছে কমিশন (Election Commission)। জানা গিয়েছে, সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল সহ মোট আটটি রাজনৈতিক দল। এদিন কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাজীব কুমার। এদিন তিনি বলেন, ‘কত দফায় ভোট হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করবে। তারা পদক্ষেপ না করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করব।’ অর্থশক্তির পাশাপাশি পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোট পূর্ববর্তী এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। 

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে ফের খুনের হুমকি! কী বলল দুর্বৃত্ত?

    বাংলার ১৪ তম পার্বণ নির্বাচন

    লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, একটি দল বাদে সব দলই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে। পরিদর্শকদেরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যে এবার ৮০ হাজারেরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। নতুন ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার। রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে নজরদারি চালাতে সরাসরি ‘ওয়েব কাস্টিং’ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজীব। নির্বাচনকে ‘বাংলার ১৪ তম পার্বণ’ বলে উল্লেখ করে রাজীব বলেন,  “আমরা চাই উৎসবের মেজাজে ভোট দিক মানুষ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভুয়ো ভোটার নিয়ে ফের সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার প্রায় ১৭ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটারের তালিকাসহ রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এদিন বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Election Commission) দফতরে গিয়ে এই সংক্রান্ত তালিকা জমা দিয়ে আসে বিজেপির প্রতিনিধি দল। 

    ভুয়ো ভোটারের নথি

    নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গত ২৫ জানুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ নাম ‘ভুয়ো’ বলে দাবি বিজেপির। একই ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকায় রয়েছে। বিজেপির পক্ষে দাবি করা হয়েছে, দলের হিসাবে মোট ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যা ১৬,৯১,১৩২। বুধবার ২৪টি ব্যাগে করে দলের দাবি করা ‘ভুয়ো ভোটার’-দের তালিকা কমিশন দফতরে জমা দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৭ লাখ ভোট কম পেয়েছিল। আর ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যাও সমান সমান। বুধবার কমিশন দফতরে এই অভিযোগ জানাতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও শিশির বাজোরিয়া। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এই মেকানিজমটা মমতা ব্যানার্জি করে রেখেছেন। আমরা এটা, চুরিটাকে ধরেছি। কারণ, আমরা ভোটার তালিকাটাকে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন চাই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে, পঞ্চায়েতে ১ কোটি গ্রামের মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সন্দেশখালির যার কাছে গিয়ে আপনারা জিজ্ঞাসা করছেন – ভোট দিয়েছেন? বলছে, না…ভোট দিইনি। যতদিন মমতা, ততদিন আমাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। শেষ ১১ সালে ভোট দিয়ে তো ওনাকে ক্ষমতায় এনেছিলাম। এই ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২ ভোটারের ডকুমেন্ট আমরা নিয়ে এলাম, দিয়ে গেলাম।’  রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এলে সেখানেও এই অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share