Tag: Election Commission

Election Commission

  • Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কিংবা ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত নথি হতে পারে না। অন্যান্য নথির সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Supreme Court On SIR) ইস্যুতে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, সেই সময় কার্যত বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল, তালিকা ত্রুটিমুক্ত করাই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের উদ্দেশ্য, এতে কমিশনের কোনও ভুল নেই।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court On SIR) বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ভারতের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আধার আইনের ৯ ধারা দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করে লাখ লাখ নাম বাতিল করেছে। এই মর্মে বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, আধার কখনও স্থায়ী বাসিন্দার উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না। তাই আধার কার্ড থাকলেই ভোটদানের অধিকার থাকতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কমিশনের সেই যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে, মূলত বিশ্বাসের অভাবে এসআইআর নিয়ে বিবাদের এই ইস্যুটি তৈরি হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা বাতিলের অধিকার রয়েছে কমিশনের।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে কমিশনের এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তার শুনানিতে কমিশন জানায়, বিহারের ভোটার সংখ্যা ৭.৯ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি ভোটারকেই নিজেদের বা বাবা-মায়ের কোনও নথি পেশ করতে হয়নি।’ এর প্রেক্ষিতেই আবেদনকারী আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত জানায়, ৭.৯ কোটির মধ্যে যদি ৭.২৪ কোটি ভোটার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়ার তত্ত্ব খাটে না।’ সিব্বলের যুক্তি, বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন বলেন, ‘বিহারে কারও নথি নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি। বিহারে এই অবস্থা হলে দেশের অন্যান্য অংশে কী ঘটবে?’ শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম তুলবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। তার কারণ কমিশন জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়েছে।

    আধার পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক

    আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন যে, আধার, রেশন এবং সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট আধিকারিকরা সেগুলি কোনও প্রমাণ বলেই গ্রহণ করতে চাইছেন না। এর জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এই নথিগুলি প্রমাণ করে যে আপনি ওই এলাকায় বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে আধার বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কোনও আবেদনকারী বা ভোটার আধার দেখিয়ে নিজেকে নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক।’

    বুধবার ফের শুনানি

    এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আপত্তি জানান প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক সিংভি ও প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে মৃত, স্থানান্তর বা অন্য কেন্দ্রে নাম রেজিস্টার করা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও তোলেন। কমিশনের তালিকায় মৃত হিসেবে নাম থাকা ভোটারদের এদিন আদালতে হাজির করেন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। সিবাল যুক্তি দেন, একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, ১২ জনকে কমিশন মৃত হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁরা জীবিত। কমিশনের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, খসড়া তালিকায় এধরনের কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তা শুধরে নেওয়া যাবে। আজ, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

  • Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ এরই মধ্য়ে নির্বাচন কমিশন (ECI) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নামের আলাদা তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করার জন্য আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশনের দাবি, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় নেই, তাদের অনুপস্থিতির কারণ (যেমন মৃত্যু, রাজ্য ত্যাগ, নামের পুনরাবৃত্তি বা অননুসন্ধানযোগ্যতা) জানানোও আইনসঙ্গত নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিশেষ সংশোধনের পর কাদের নাম বাদ গিয়েছে তা আলাদা তালিকা প্রকাশ করে জানানো হবে না৷ কেন বাদ গেল তাও বলবে না তারা ৷ তবে যাঁদের নাম গিয়েছে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে ৷ তাঁরা আবেদনের সুযোগও পাবেন ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে এই অভিমত প্রকাশ করে কমিশন। ওই আবেদনপত্রে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের ফর্ম জমা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নেহা রাঠি আদালতে সওয়াল করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতকে “ভুল পথে চালিত করছে” এবং এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলাও দাবি করেছে। কমিশনের মতে, আবেদনকারী এই তালিকা কোনও “অধিকারের প্রশ্নে” চাইতে পারে না।

    আইনি ধারার উল্লেখ

    নির্বাচন কমিশন ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা (Rules 10 ও 11)-এর উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, তারা আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। নিয়ম ১০ অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে তা সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ERO) অফিসের বাইরে রাখা হয়। নিয়ম ১১ অনুযায়ী, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিটি অংশের দুটি কপি সরবরাহ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য তালিকাটি পাঠানো হয়। কমিশন দাবি করেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে এমন একটি তালিকাও সরবরাহ করেছে যেখানে সেইসব ভোটারদের নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমনকি সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকেও সেই তালিকার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ইসি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন এই ধরনের নানা তথ্য জানিয়েছে৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে এখন মোট ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন ৷ বিশেষ সংশোধনের পর বাদ গিয়েছে ৬৫ লাখ নাম৷ কমিশনের দাবি, এঁদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাকিরা এখন আর বিহারের বাসিন্দা নন৷

    হলফনামায় কমিশনের তিন দাবি

    হলফনামায় কমিশনের তরফে আলাদা করে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আগাম নোটিশ না দিয়ে কারও নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না৷ সকলে আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ শেষমেশ কমিশন যদি কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও কোনও প্রশাসনিক সংস্থার মাধ্যমে ভোটারকে জানানো হবে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যাতে এ নিয়ে কোনও সংশয় না থাকে তা নিশ্চিত করবে কমিশন৷ তাছাড়া কোনও ভোটারকে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি সংগ্রহ করতে হবে৷ তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হবে৷ হলফনামার অন্য় একটি অংশে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

    সুপ্রিম-মতের অপেক্ষা

    কমিশন আরও জানিয়েছে, ১ অগাস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭ অগাস্ট বুথ স্তরের অফিসাররা (BLOs) রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (BLAs) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তালিকাভুক্ত না হওয়া ভোটারদের নাম পড়ে শোনানো হয় এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসআইআর নিয়ে শেষ কয়েকদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ১ অগাস্ট বিশেষ সংশোধনের পর তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তারপর থেকে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে৷ আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, কেন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেল৷ শুনানিতে এই বিষয়টি ওঠার পর দেশের নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থা হলফনামা দিল৷ আপাতত শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আলাদা তালিকা প্রকাশের আইনি প্রয়োজন নেই, এবং তারা সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কাজ করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।

  • Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোট-চুরির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসাররা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ, আপিল বা প্রতিক্রিয়া পেশ করেনি নির্বাচনী তালিকা নিয়ে। তারা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যদি তাঁর অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তিনি যেন আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেন এবং নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করেন। রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    রাহুলের অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নৈশভোজে একইভাবে কমিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৷ সেখানেও তিনি তথ্য তুলে ধরে জোট শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কীভাবে ভোট চুরি করছে কমিশন ৷ এদিন রাহুল গান্ধীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োতেই তিনি আরও দাবি করেছেন, “বিহারে এসআইআর করা হয়েছে কারণ, কমিশন জানে যে আমরা তাদের চুরি ধরে ফেলেছি ৷” তাঁর দাবি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ ধরণের কারচুপির মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০২৫০টি ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে, ভারতে এমন ১০০টিরও বেশি আসন রয়েছে, যা এখানে ঘটেছে তা সেই আসনগুলিতেও ঘটেছে ৷”

    একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস

    এ প্রসঙ্গে ৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক চিঠিতে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন অফিসার (Election Commission) সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল একটিও প্রথম স্তরের বা দ্বিতীয় স্তরের আপিল দায়ের করেনি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলটি কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভোট নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে তোলা উচিত, সাংবাদিক সম্মেলনে নয়। হলফনামা দিয়ে নির্দিষ্ট ‘অযোগ্য’ ভোটারদের নাম দিতে বলা হয়েছে রাহুলকে।

    কোনো অভিযোগই জমা পড়েনি

    কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল এবং কংগ্রেসকে সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ দলটির তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। তাই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আইনি ভাষায় মনে করিয়ে দেন—যদি তিনি তাঁর অভিযোগে অটল থাকেন, তবে ১৯৬০ সালের নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালার ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, প্রমাণ নেই

    মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতরও একইভাবে জানিয়েছে—ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ এবং কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ বা আপত্তি জানায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যেন নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম, অংশ নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে শপথনামা জমা দেন। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

    আইনি সঙ্কটে রাহুল গান্ধী

    তিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসাররা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে যে হলফনামা ফর্ম পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—মিথ্যা তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন (Section 31) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (Bharatiya Nyaya Sanhita) ধারা ২২৭ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে হয় তিনি নির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করবেন, নয়তো স্বীকার করতে হবে যে তাঁর বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

     

     

     

     

  • SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের ২৪টি জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের প্রায় ৫ শতাংশ জেলায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাবে এই তালিকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সবিস্তারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর।

    এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট

    ভোটার লিস্ট সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এসইও-র দফতর রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট একত্রিত করে তা সবিস্তার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এসআইআর হলে রাজ্যের সিইও-র দফতর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

    প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা

    সিইও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা হবে সম্পূর্ণ সুসংগঠিত। সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ফর্ম পূরণ করা হবে এবং তা যাচাই করা হবে। তবে ২০০২ সালের প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি, যাদের অভিভাবকদের নাম সেই তালিকায় আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। তবে, যারা নতুন ভোটার, অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম নেই, তাঁদের পৃথক ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি

    অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই থাকতে দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্তাদের উদ্দেশে মমতা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। মমতার বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (EC) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শুক্রবার বিরোধী দলের নেতার করা সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন ‘উল্টোপাল্টা’ অভিযোগ করায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেছে কমিশন।

    কমিশনের চিঠির উত্তর দেননি রাহুল! (EC)

    এও জানিয়ে দিয়েছে, বহুবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তিনি কমিশনের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে ১২ জুন ২০২৫-এ একটি ইমেল পাঠায়। তিনি আসেননি। ওই দিনই তাঁকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও তিনি তারও কোনও উত্তর দেননি। তিনি কখনও কোনও বিষয়েই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে কোনও চিঠি পাঠাননি। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে তিনি এখন বেপরোয়া সব অভিযোগ করছেন। এমনকি এখন তিনি নির্বাচন কমিশন ও তার কর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। নিন্দনীয়! কমিশন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করে। কর্মীদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    কী বলছে নির্বাচন কমিশন

    নির্বাচন কমিশন (EC) বলেছে, “প্রতিদিন যে ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করে এবং প্রতিদিন যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও সব নির্বাচন আধিকারিককে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার সময় এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”

    বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে সাহায্য করছে এবং বিজেপির পক্ষে কাজ করছে।আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত। আমি ১০০ শতাংশ প্রমাণ-সহ বলছি।” কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, “আমার দলের ছ’মাসের একটি তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই একটি “পারমাণবিক বোমা” প্রকাশ করবে। আমরা যে মুহূর্তে এটি প্রকাশ করব, পুরো দেশ জেনে যাবে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে ভোট চুরিতে সাহায্য করছে।”

    মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং লোকসভা নির্বাচনে সন্দেহজনক ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল অভিযোগ করেন, কমিশনের ভেতরে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন (EC)। তিনি বলেন, “আমরা ওঁদের ছেড়ে দেব না। কারণ ওঁরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এর চেয়ে কম কিছু নয় (Rahul Gandhi)।”

  • Election Commission: ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ফলাফলও সেই দিনই, ঘোষণা কমিশনের

    Election Commission: ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ফলাফলও সেই দিনই, ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Election Commission)। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ অগাস্ট ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)। মনোনয়নপত্র যাচাই ও পরীক্ষার শেষ তারিখ ২২ অগাস্ট (শুক্রবার)। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ অগাস্ট ২০২৫ (সোমবার)। ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা—উভয়ই হবে ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)।

    ২২ জুলাই পদত্যাগ করেন জগদীপ ধনখড়

    উল্লেখ্য, বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় গত ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁর এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। তাঁর পদত্যাগের ফলে উপরাষ্ট্রপতির পদটি শূন্য হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে নতুন উপরাষ্ট্রপতি  নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৭ অগাস্ট (বৃহস্পতিবার)।

    নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা (Election Commission)

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন সরাসরি গণভোটের মাধ্যমে নয়, বরং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার (Proportional Representation) মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা গোপন ব্যালট ভোটে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

    একজন ভারতীয় নাগরিককে (Vice Presidents Election) উপ-রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে হলে তাকে ন্যূনতম নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি পূরণ করতে হবে:

    ১। তিনি অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে।
    ২। তাঁর বয়স অন্তত ৩৫ বছর হতে হবে।
    ৩। তাঁর রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
    ৪। তিনি যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার অথবা কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অধীনে লাভজনক পদে আসীন থাকেন, তবে সেই পদ ত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হতে যাচ্ছে—এই নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চলতি অগাস্ট মাসেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘এসআইআর (Special Intensive Revision) হলে প্রায় ৯০ লাখ নাম বাদ পড়বে।’’ তাঁর মতে, ‘‘কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিহারে যদি ৩০ লাখ নাম বাদ যেতে পারে, তবে বাংলায় অন্তত ৯০ লাখ নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘নিবিড় সমীক্ষা শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ লাখ থেকে কমে ১ কোটি ৭৫ লাখে নেমে আসবে।’’

    কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না

    বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিএলও-দের ধমক দিয়েছিলেন (SIR)। আপনারা জেনে রাখুন এক্সটেনশনে থাকা স্তাবক মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ১৩ সিসি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই ৫ জুলাইয়ের পরে নিয়োগ করা একটাও বিএলও যুক্তিসঙ্গত কারণ ও সিইও অনুমোদন ছাড়া আপনি আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না। আমার বিশ্বাস সে বার্তা তিনি পেয়ে গিয়েছেন। কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না।”

    তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যে নির্বাচনের দিন যেভাবে সন্ত্রাস ও রিগিং দেখা যায়, তার মূলে রয়েছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক। অনেকের মতে, এই অবৈধ ভোটব্যাঙ্কের ওপর ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে আছে। সম্প্রতি বোলপুরে এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি কোনও নির্দেশ আসে, তবে তা সরাসরি মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে।’’ তিনি বলেন, “কোনও নির্দেশ এলে মুখ্যসচিবকে জানাবেন। আমাদের না জানিয়ে হুটপাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। কখনও এই জিনিস হয়নি। ভয় দেখালেই আপনারা ভয় পাবেন! তাহলে ঘরে বসে থাকুন।” এনিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিএলও বন্ধুদের বলব তাঁরা এ রাজ্যের সরকারের কর্মচারী। নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাঁরা কাজ করবেন। ইলেকশন কমিশন বললে আপনারা কাজ শুরু করুন। আপনারা আক্রান্ত হলে সংবিধান আক্রান্ত হবে। আমরা তো আওয়াজ তুলবই। বাকি তো ইলেকশন কমিশনকে বুঝে নিতে হবে।”

    দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন

    এরপরই এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “এসআইআর নতুন কিছু নয়। ২০০২ সালেও এই রাজ্যে হয়েছিল। ২০০৪ সালে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল, ২৬ লক্ষ নাম বাদ চলে গিয়েছিল। এবার এসআইআর হওয়ার পর আপনার ভোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৫ নেমে যাবে। কিছু করতে পারবেন না। দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন।”

    বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম সেখান থেকে বাদ যায়। মৃত বা নিখোঁজ ভোটারদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্বাচন কমিশন তারপর নতুনভাবে ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো  চিঠিতে কমিশন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—গোটা দেশেই এসআইআর হবে। তাই বিহারের মতো সব রাজ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত করা যায়।

    ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন

    জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে বিএল (BLO) নিয়োগ শুরু করারও কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি দফতরের কর্মীদেরই বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি থানায় একজন করে বিএলও নিয়োগ করা হবে। আর প্রতি ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার কথা বলা হয়েছে—বলে সূত্রের খবর।

    ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন

    প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নিবিড় সমীক্ষা হচ্ছে না এ রাজ্যে। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছিল নিবিড় সমীক্ষা। ইতিমধ্যে সেই সময় ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সেখানে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা স্বস্তি পেয়েছেন এসআইআর থেকে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া—এই জেলাগুলির নাম তালিকায় রয়েছে।

LinkedIn
Share