Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • Lok Sabha Election 2024: প্রথম দফায় বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে শুরু ভোটগ্রহণ

    Lok Sabha Election 2024: প্রথম দফায় বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে শুরু ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসব শুরু হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতবর্ষে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আজ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গোটা দেশে ১০২ আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গেও ভোটগ্রহণ হবে সাত দফাতেই। আজ প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তিনটিই উত্তরবঙ্গে। এই তিনটি আসন হল— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই তিন আসনের খুঁটিনাটি। তিন আসনের জন্য ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার ৩১০ জন রাজ্য পুলিশ থাকছে তিন আসনের মোট ৫ হাজার ৮১৪টি বুথের জন্য।

    কোচবিহার

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে কোচবিহারে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তরবঙ্গের কোচবিহার আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা এবং নাটাবাড়ি — কোচবিহার লোকসভা আসনের অন্তর্গত (Lok Sabha Election 2024)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৩। এর মধ্যে, ১০ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৬৪ জন পুরুষ। প্রায় ৯ লক্ষ ৫২ হাজার মহিলা। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে মোট ৩৩ জন। 

    পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৯৬। মডেল বুথের সংখ্যা ২১। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে ভোটকেন্দ্রে দুটি বুথ রয়েছে সেখানে অন্তত চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং যেখানে তিন থেকে পাঁচটি বুথ রয়েছে সেখানে আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ১১২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে কোচবিহারে। এছাড়া, আরও ৪ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। মোট ভোট-কর্মীর সংখ্যা ১২,১৮০। কোচবিহারের দিকে বিশেষ নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এই আসনে মাইক্রো অবজারভার থাকছেন ৩২৮ জন। সকাল থেকে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখবেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক।

    কোচবিহার আসনটি সংরক্ষিত আসন (Lok Sabha Election 2024)। এই আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায় এবং কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী। গত লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। 

    আলিপুরদুয়ার

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে। সেগুলি হল— কুমারগ্রাম, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট, তুফানগঞ্জ (জেলা কোচবিহার) এবং নাগরাকাটা (জেলা জলপাইগুড়ি)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫২। এর মধ্যে, ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ০১৯ জন পুরুষ। ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৭১ জন মহিলা। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে মোট ৬২ জন। 

    এই আসনে পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৭। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে আলিপুরদুয়ারে। এছাড়া, আরও ২ হাজার ৭৫৮ জন রাজ্য পুলিশ থাকবে। আলিপুরদুয়ারে ১৮০ জন মাইক্রো অবজারভার থাকছেন। 

    আলিপুরদুয়ার আসনটি সংরক্ষিত আসন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ চিক বরাইক। আরএসপির মিলি ওরাওঁ। ২০১৯ সালে লোকসভা আসন দখল করে বিজেপি। 

    জলপাইগুড়ি

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল— ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল এবং মেখলিগঞ্জ (জেলা কোচবিহার)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের (Lok Sabha Election 2024) সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৬৩। এর মধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১১ জন।মহিলা ভোটার ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৩৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৩ জন।

    পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪। স্পর্শকাতর বুথে আছে ২৯৬টি। যার মধ্যেই ১৯৮টি অতিস্পর্শকাতর বুথ আছে। মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ১৪৯টি। থিম বুথের সংখ্যা ১৩টি। ৮ হাজার ভোটকর্মী এই কেন্দ্রে থাকছেন। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ৭৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়িতে ২০২ জন মাইক্রো অবজারভার থাকছেন। 

    জলপাইগুড়ি আসনটি সংরক্ষিত আসন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) জয়ন্ত রায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। সিপিএমের দেবরাজ বর্মণ। ২০১৯ সালে লোকসভা আসন দখল করে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটার স্লিপ দিয়েই ভোট দিতে পারবেন উত্তরবঙ্গের ঝড়ে বিপর্যস্তরা, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোটার স্লিপ দিয়েই ভোট দিতে পারবেন উত্তরবঙ্গের ঝড়ে বিপর্যস্তরা, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দারা ভোটার কার্ড ছাড়াই ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে পারবেন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে জলপাইগুড়িতে। ওই দিন ভোটের লাইনে শুধু ভোটার স্লিপ নিয়ে দাঁড়ালেই ভোট দিতে পারবেন ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গের কালবৈশাখী-বিধ্বস্ত জেলাগুলির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকার ভোটারদের আশ্বস্ত করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    গত রবিবার বিকেলে কয়েক মিনিটের ‘মিনি টর্নেডো-তে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙে ঘরছাড়া হয়েছে শতাধিক পরিবার। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ঘরগুলিতে থাকা বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্রও খুঁজে পাচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোন পরিচয়পত্র নিয়ে লোকসভা ভোট দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন অনেকে। তাঁদের সেই চিন্তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সোমবার এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানালেন, বিপর্যস্ত এলাকার মানুষরা শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ দেখিয়েই তাঁদের ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) প্রয়োগ করতে পারবেন।

    আরও পড়ুুন: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    কী বলল নির্বাচন কমিশন

    আগামী ১৯ এপ্রিল দেশ তথা রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। প্রথম দফায় নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, এটা একটি বিপর্যয় এবং এর ফলে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি তাঁরা প্রায় সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা হারিয়ে গেছে। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে এর জন্য চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তাঁরা শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ দেখিয়েই ভোটদান করে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম থাকবে। কমিশনের ওই আধিকারিক আরও বলেন, গত রবিবারের ঝড়ের ফলে মোট ১১টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পোলিং স্টেশনগুলি পুনরায় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরের দুই অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন (Election Commission)। যাঁদের সরানো হল তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরেই লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তখনই কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এর পাশাপাশি সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও।

    পক্ষপাতের অভিযোগ ছিল ২ অফিসারের বিরুদ্ধে

    কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই আধিকারিকের (Election Commission) বিরুদ্ধে পক্ষপাতের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। দুজনেই ছিলেন ডাব্লুবিসিএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং অবাধ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি ওই দুই অফিসারের পরিবর্তে অন্য নামও কমিশন চেয়েছে রাজ্যের কাছে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়া থেকেই সরকারি অফিসারদের বদলি করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের হাতে। সেই ক্ষমতা বলেই এই দুই আধিকারিককে (Election Commission) সরানো হল।

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    ৪ জেলাশাসককে সরানো হয় আগেই

    এর আগেও নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম-এই চার জেলার জেলাশাসককে। তখন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই চার জেলাশাসক কেউই (Election Commission) আইএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডাব্লুবিসিএস আধিকারিক। প্রসঙ্গত, যে কোনও জেলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দেখভালের সর্বোচ্চ দায়িত্ব থাকে জেলাশাসকের ওপরে। অবাধ-শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে বড় ভূমিকা থাকে জেলাশাসকদের। তাই কোনও রকম যাতে অভিযোগ না ওঠে সেদিকে তাকিয়ে আইএএস ক্যাডারের চার জেলাশাসককে নিয়োগ করে কমিশন (ECI)। প্রসঙ্গত, সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হচ্ছে বাংলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা শহরের ১০ নম্বর এলাকায় আজ রবিবার জন সংযোগ ও প্রচার সারলেন। বহরমপুরের মধুপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই প্রচার শুরু করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি মাতৃমন্দিরে পুজো দিলেন এবং প্রার্থনা করলেন তিনি। প্রচার সেরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন সাংবাদিকদের। বিরোধীদের সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য মানুষের মনে আশাতীত সাড়া পেয়েছি। মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাদের আশীর্বাদ করছেন। মোদির কাছে সকলে হারবেন।” উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান এবং কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ত্রিমুখী লড়াইতে জমে উঠেছে এই কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Murshidabad)?

    এদিন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা বলেন, “কর্মীদের মধ্যে বিরাট উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকার অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ মনে মনে স্থির করে ফেলেছেন এই কেন্দ্রে বিজেপিকে জয় করবেন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর কোনও প্রতিনিধিকে আর মানুষ নির্বাচিত করবেন না। একই ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ মমতার প্রতিনিধিকে কোনও জায়গা দেওয়া হবে না। রাজ্য জুড়ে তোলাবাজি, জুলুম, নারী নির্যাতনের মতো সামজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন মানুষ। এই লোকসভার নির্বাচন ঠিক করে দেবে মমতার সরকার হয়তো আর বেশি দিন থাকবেনা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    আর কী বলেন?

    আজকের লোকসভার প্রচারে বহরমপুরে (Murshidabad) বেরিয়ে নির্মল বাবু আরও বলেন, “আমি যে কোনও প্রার্থী এবং তাঁদের প্রচার পদ্ধতি সম্বন্ধে সৌজন্যতা বজায় রেখে কথা বলব। কারণ এতে বিতর্কের সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই সৌজন্য রেখেই কথা বলছি। আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে প্রার্থী তালিকা আগেই প্রকাশ হয়েছে। একই ভাবে ভোটের দিন অনেক পরে। ফলে এই লম্বা সময়ের সবটাই জন সংযোগে ব্যবহার করবো। ১৭ লক্ষ মানুষের কাছে না পৌঁছাতে পারলেও বৃহত্তর মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব বলে আশা রাখছি। সকল কর্মীরা আমাদের পাশে রয়েছেন। রাজ্যের মানুষ বামেদের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের সব রকম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষ সুযোগ দিলে আরও কাজ করবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: লোকসভা নির্বাচনের আগে হওড়া স্টেশন থেকে ফের উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা!

    Howrah Station: লোকসভা নির্বাচনের আগে হওড়া স্টেশন থেকে ফের উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার রাজ্যে। শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হল ২৭ লাখ টাকা। এই টাকার মধ্যে সব ছিল ৫০০ টাকার নোট। লোকসভা ভোটের আগে আগে এই ভাবে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে উদ্ধার হল (Howrah Station)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস হাওড়ায় (Howrah Station) প্রবেশ করেছিল। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর চেকিং করছিলেন জিআরপি। এরপর পাঁচ জনের গতিপ্রকৃতি দেখে সন্দেহ হয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগও ছিল। এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাঁরা ভয় পেয়ে যান। সেই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়লে ব্যাগে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর বের হয় রাশি রাশি টাকার বান্ডিল।

    উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে হয় মেশিনের মাধ্যমে

    জানা গিয়েছে হাওড়ায় (Howrah Station) ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি ধানবাদে। বাকি তিন জনের বাড়ি হল উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে রীতিমতো মেশিন লাগানো হয়। মেশিনে গুনে জানা যায় মোট টাকার পরিমাণ ২৭ লাখ। তবে এই টাকা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন জিআরপি। যদিও ধৃতরা জানিয়েছেন যে তাঁরা বড়বাজারে ব্যবসার সামগ্রী কেনার জন্য এসেছেন। কিন্তু এতো বিরাট অঙ্কের টাকা কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বললেই চলে।

    আরও পড়ুনঃ মানিকচকের হাটে অভিনব প্রচারে বিজেপি প্রার্থী, সবজি বিক্রি করে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    আগেও উদ্ধার হয়েছে টাকা

    মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন আগেই এই হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) থেকে একই ভাবে দিল্লি-হাওড়া রাজধানী থেকে টাকা উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। এই বারও রাজধানী থেকে উদ্ধার হোল প্রচুর টাকা। লোকসভা ভোটে অবৈধ আর্থিক লেন-দেন এবং ভোট কেনার বিষয়ে ভীষণভাবে নজর রেখেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছেন দেবাংশু, কমিশনের দ্বারস্থ সন্দেশখালির রেখা পাত্র

    Sandeshkhali: তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছেন দেবাংশু, কমিশনের দ্বারস্থ সন্দেশখালির রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, রেখা পাত্রের (Rekha Patra) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর, স্বাস্থ্য সাথীর বিস্তারিত তথ্য তিনি সামজিক মাধ্যমে এনেছেন। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের অভিযোগ তোলেন রেখা পাত্রের আইনজীবী। এই ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী বলেছিলেন (Rekha Patra)?

    তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “রেখা পাত্রের (Rekha Patra) স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন। সরকারি সুবিধা পেতে গেলে তৃণমূল করতে হয় না।” তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়, বসিরহাটের এই বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সকল সুবিধা নিয়েছেন। এরপর রেখার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে দেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। দেবাংশুর বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “শুনেছি রেখা পাত্র বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়ে অসুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রেখা পাত্রের রয়েছে। তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sandeshkhali)

    গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “সরকারের প্রকল্পের সুবিধা কেন নেবেন না সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ। এই সুবিধা কি তৃণমূল দিচ্ছে? এটা তো সরকারের প্রকল্প। একজন লোকসভা প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য কেন প্রকাশ্যে আনা হল? বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অনুরোধ জানাবো। আবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নিজে সামজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “বিজেপি প্রার্থীর (Rekha Patra) ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে তৃণমূল। ব্যক্তিগত তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে তা নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকেই

    Lok Sabha Elections 2024: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের ভয় কাটাতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভারী বুটের শব্দে ধীরে হলেও, আস্থা ফিরছে ভোটারদের। তবে রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সব জায়গায় মার্চ করাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

    রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Lok Sabha Elections 2024)

    রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এমনতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনবে নির্বাচন কমিশন। তখনই পুরো বিষয়টি ভোটারদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে জলের মতো। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Lok Sabha Elections 2024) কোথায় মার্চ করবে, সেই রুট ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের একাংশ (যারা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত) সেই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছে না।

    ওয়েবসাইটে মিলবে তথ্য

    উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করার কথা থাকলেও, তা করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় ভোটার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলি সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন ডিইও-র কাছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কোথায় রুটমার্চ করেছে কিংবা করবে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে ceowestbengal.nic.in এই ওয়েবসাইটে। এই সাইটে ঢুকলেই রুটমার্চ নামে একটি অপশন রয়েছে। এখানে ক্লিক করলেই সবিস্তারে জেনে যাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সম্পর্কে।

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    লোকসভা কিংবা বিধানসভার নির্বাচনে রক্তাক্ত হয় বাংলা। কখনওবা খুন হন কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী। কখনও আবার ভোট দিতে গিয়ে লাশ হয়ে ভিটেয় ফেরেন কোনও ভোটার। নির্বাচন-পর্ব যাতে বিঘ্নহীন হয়, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করছে না নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ১৫০ কোম্পানি। কমিশন সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি। যাঁরা চলে এসেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ করছেন।

    এবার দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া প্রহরায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এই দফায় নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনেও। সূত্রের খবর, এই তিন আসনের জন্য মোতায়েন করা হবে ২২৫ কোম্পানিরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বিধি। এবার সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল আসানসোলের (Asansol) পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) কুলটির ডিসেরগড়ে পীরবাবার মাজারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে তিনি চাদরও চড়ান। এর পরই দেখা যায় মাজার চত্বরে থাকা দুঃস্থ মানুষদের টাকা বিলি করছেন তিনি। বিধায়কের টাকা বিলির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ( যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর বিপরীতে বিজেপি তারকা প্রার্থী পবন সিংকে টিকিট দিয়েছিল। তাঁর গানে বঙ্গ নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের জেরে লোকসভা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান পবন। যদিও পরে শোনা যায় ঘনিষ্ঠ মহলে ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ভোজপুরী গায়ক। বর্তমানে আসানসোল লোকসভা আসনে নতুন করে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। তারই মাঝে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক। যদিও টাকা বিলির বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাঁদের কাছে রেশন, চাকরি, কয়লা, জমি চুরির টাকা রয়েছে। তৃণমূল তাই টাকা দিয়ে ভোটারদের কেনার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।” কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর সাধারণ মানুষ নেই। এই ভোটে তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। সংখ্যালঘুরাও তাঁদের পাশে নেই। তাই চুরির টাকা দিয়ে ভোটার কেনার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পর থেকে কমিশনের কাছে জমা পড়ল লাখের ওপর অভিযোগ

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পর থেকে কমিশনের কাছে জমা পড়ল লাখের ওপর অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৬ মার্চ শনিবার দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ (Lok Sabha Election 2024) করেছে কমিশন। নির্বাচন ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যেই কমিশনের কাছে ভোট সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে এক লাখেরও বেশি। প্রথম দফায় রাজ্যের যে আসনগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হল কোচবিহার। দেখা যাচ্ছে, কোচবিহার লোকসভা থেকেই সব থেকেই বেশি অভিযোগ এসেছে।

    সাংবাদিক বৈঠক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে

    বুধবার, এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024) জমা পড়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচন রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। এই তিন আসনের মধ্যে কোচবিহার থেকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে মোট ৫,৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া সিইও-র দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, চার দিনে আলিপুরদুয়ার থেকে ৩,৪৫৮টি অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে ১,৯২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অতিরিক্ত সিইও আরও জানিয়েছেন, রাজ্য, কেন্দ্র এবং কমিশনের ২৪টি সংস্থা মিলে গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮১ কোটি ২১ টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।

    প্রথম দফার মনোনয়ন বুধবার থেকে শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল (cVigil) নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও ধরনের অভিযোগ জানালে ১০০ মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে কমিশন। বিগত দিনগুলিতে ওই অ্যাপে ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকেই দেশে লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। সাত দফায় সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিমবঙ্গেও সাত দফায় নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। প্রথম দফার মনোনয়ন বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Model Code of Conduct: চালু হল আদর্শ আচরণবিধি, কী কী নিয়ম মানতে হবে?

    Model Code of Conduct: চালু হল আদর্শ আচরণবিধি, কী কী নিয়ম মানতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। ৭ দফায় ভোট হবে দেশে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা। শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। কমিশনের ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct)। নির্দেশিকা জারির পর থেকে সব দলের প্রার্থী, রাজনৈতিক দলগুলিকে মানতে হবে এই বিধি। ফলঘোষণা পর্যন্ত এই বিধি জারি থাকবে। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই বিধি না মানলে পদক্ষেপ করে কমিশন। ১৯৬০ সালে কেরলে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার এই নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে লোকসভা নির্বাচন থেকে গোটা দেশে এই বিধি জারি করে নির্বাচন কমিশন।

    আদর্শ আচরণবিধিতে কী কী নিষিদ্ধ?

    সরকারের মন্ত্রীরা সরকারি খরচে কোনও নির্বাচনী সমাবেশ (Model Code of Conduct) করতে পারবেন না। এই সময়ে মন্ত্রীরা তাঁদের বাসভবন থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। সরকারি গাড়ি নির্বাচনী সমাবেশ ও সফরে ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকারি ঘোষণা, প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ইত্যাদি সব ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে হবে।

    মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার বা কোনও ধর্মীয় স্থানকে নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকার এই সময়ে কোনও কর্মীকে (Model Code of Conduct) বদলি বা পদচ্যুত করতে পারে না। বন্ধ থাকে নিয়োগও।

    সরকারি বা কারও ব্যক্তিগত জায়গায় সভা করার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করার আগে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

    নির্বাচনের দিনঘোষণা হলে প্রার্থীরা কোথাও কোনও আর্থিক অনুদান দিতে পারেন না।

    প্রচারের কাজে জন্য সরকারি পরিবহণ, যন্ত্র, নিরাপত্তারক্ষী ব্যবহার করা যাবে না।

    সকল প্রার্থী, রাজনীতিকদের জনসভার জন্য বিনামূল্যে সরকারি জায়গা ব্যবহার করতে দিতে হবে। পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না।

    ভোটের কাজে কোনও সরকারি ডাকবাংলো, বিশ্রামাগার বা অন্য সরকারি সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকারি সংবাদমাধ্যম শাসকদলের হয়ে কোনও পক্ষপাতদুষ্ট খবর পরিবেশন করতে পারবে না।

    ভোটারদের প্রভাবিত করতে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা যাবে না। কারও আবেগে আঘাত করা যাবে না।

    রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে যাতে কোনও ভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে সব দলকে।

    ভুয়ো বিজ্ঞাপন কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

    সোশ্যাল মিডিয়াতে আপত্তিকর এবং রুচিহীন, এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না।

    যে স্থানে ভোট হবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সেখানে আর কোনও প্রচার করা যাবে না।

    আচরণবিধি (Model Code of Conduct) লঙ্ঘন হলে কী হবে?

    কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তবে তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কমিশন।

    আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায়, এমনকী জেলে পাঠানোরও বিধান রয়েছে।

    মনে রাখতে হবে আচরণবিধি শুধু রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি যদি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেন, তাঁকেও এই নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share