Tag: election news

election news

  • Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেবলমাত্র ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়।” ঠিক এই ভাষায়ই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশন এও জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু এসআইআর (SIR) নিয়ে যাতে কোনও ভুল প্রচার করা না হয়, বিএলওদের কোনও হুমকি না দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধি দলকে কমিশন এও জানিয়েছে, নির্বাচন আইন মেনে পুরো প্রক্রিয়া হয়। সেই আইন মেনেই যাতে সবটা হয়, সেটা দেখতে হবে সবাইকে।

    এসআইআরের নান্দীমুখ (Election Commission)

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে এসআইআরের। কোনও গন্ডগোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রক্রিয়া। এর পর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। আর তার পরেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলায়। বাকি ১১টি রাজ্যের কোথাও কোনও উচ্চবাচ্য না থাকলেও, চিল-চিৎকার জুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় তারা এসআইআর নিয়ে হাওয়া গরম করে চলেছে এই প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার দিন থেকেই। শুধু তাই নয়, এসআইআর নিয়ে রাজনীতি করতে (নিন্দকরা বলছেন) পথে নেমে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দেশে তো নয়ই, স্বাধীন ভারতেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে তৃণমূল

    শুক্রবার, সটান নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে হাজির হন তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি (Election Commission)। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁদের কার্যত আইনের পাঠ পড়িয়ে দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিএলওদের ওপর প্রভাব খাটানো যাবে না। কোনওরকম চাপ ছাড়াই মৃত, স্থানান্তরিত এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় থাকা নাম বাদ দিতে হবে। তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৯ ডিসেম্বরের পর এসআইআর সংক্রান্ত দাবি এবং আপত্তি জমা দিতে বলা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। ততদিন পর্যন্ত বিএলও, ইআরও এবং ডিইওদের কাজে যাতে শাসক দল হস্তক্ষেপ না করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।

    বিএলওদের চাপ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে কমিশন। সেই অফিস আরও নিরাপদ জায়গায় (Election Commission) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশকে বলা (SIR) হয়েছে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএলওদের চাপ বা ভয় দেখানোর বিষয়টি দেখার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। এদিন দিল্লিতে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ১০জনের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশন তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও বক্তব্য কিংবা মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে যাতে কোনও ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, তা দেখতে হবে। সূত্রের খবর, ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে তৃণমূলকে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

    অতিরিক্ত ভাতা

    যেহেতু বিএলও এবং ইআরও বাড়তি কাজ করছেন, তাই তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়টিও স্মরণ (Election Commission) করিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। কমিশনের আধিকারিকরা জানান, অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও টাকা এই ভাতার জন্য (SIR) বরাদ্দ করা হয়নি। দেরি না করে যাতে অবিলম্বে এই ভাতার টাকা বিএলও এবং ইআরওদের দিয়ে দেওয়া হয়, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের শাসক দলের বাধার প্রাচীর ডিঙিয়েও যে এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ মসৃণ গতিতে চলছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, ৮৫ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড করে ফেলেছেন বিএলওরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ফর্ম আপলোড হয়েছে সব চেয়ে বেশি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূলকে বলে দিয়েছে যে নির্বাচনের পবিত্রতা রক্ষা করুন। তৃণমূলকে লাইনে আসতে বলেছে।”

    এদিকে, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আসছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। জেলায় জেলায় এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। অবশ্য (SIR) তিনি একা নন, আরও ১১ জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকও আসবেন তাঁর সঙ্গে। এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানো হবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে (Election Commission)।

  • Rahul Gandhi: রাহুল ও কংগ্রেসকে নিশানা করে চিঠি বিশিষ্ট নাগরিকদের

    Rahul Gandhi: রাহুল ও কংগ্রেসকে নিশানা করে চিঠি বিশিষ্ট নাগরিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (ECI) নিশানা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার রাহুল এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন দেশের ২৭২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিক, কূটনীতিক ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণ সদস্যরাও। বুধবার ওই চিঠি দেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনবিশ্বাস ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি পরিকল্পিত চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অভূতপূর্ব হস্তক্ষেপ ভারতের প্রতিষ্ঠানগত ও কৌশলগত ব্যবস্থার কিছু অংশে দেশের সংবিধানিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রতিফলিত করে।

    স্বাক্ষরকারীরা (Rahul Gandhi)

    চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ১২৩ জন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট, ১৪ জন রাষ্ট্রদূত এবং ১৩৩ জন প্রাক্তন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধিকারিক। তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে তারা পুনরাবৃত্তিমূলক, প্রমাণহীন এবং উসকানিমূলক নির্বাচনী প্রতারণার অভিযোগ করছে, যা তাঁদের মতে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে। চিঠিটিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “এই ধরনের বিবৃতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস ক্ষয় করে এবং সংবিধানিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাজকর্মকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।”

    রাহুলের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন রাহুল। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ভোট চুরি এবং হরিয়ানা ও কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। যদিও এসব দাবির পক্ষে কোনও জোরালো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি (Rahul Gandhi)। রাহুলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ECI) রাহুলকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, “তিনি যেন হলফনামা জমা দিয়ে নির্দিষ্ট করে অবৈধ ভোটারদের নাম উল্লেখ করেন, যাতে অভিযোগগুলি যাচাই করা যায়।” তবে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও হলফনামা জমা দেওয়া হয়নি কংগ্রেসের তরফে (Rahul Gandhi)।

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

  • Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন জাতপাতের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিহারের রাজনীতি (Caste Politics)। তবে সেই এঁদো গলির সেই রাজনীতিকে ছাপিয়ে গিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বুঝিয়ে দিল, রাজ্যের উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন সুশাসন (Good Governance), যে সুশাসন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এই সুশাসনের ঝড়েই কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন।

    রাহুলের অস্ত্র ভোঁতা (Caste Politics)

    তার পরেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোটের অন্দরে। হারের দায় কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) জোটের নেতারা। রাজনীতির ময়দানে রাহুলকে প্রায় দেখাই যায় না বলে বিরোধীদের দাবি। বিহারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তারপর আর তাঁর পাত্তা পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর, লাতিন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে তিনি সেই সময় ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন।

    সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি

    কংগ্রেসের এই নেতা যখন বিদেশে দেশের গায়ে কালিমা লাগাতে ব্যস্ত (Caste Politics), তখন সপ্তাহের সাতদিনই চব্বিশ ঘণ্টা করে খেটে চলেছিলেন এনডিএর নেতা-কর্মীরা। এটি যদি বিহার ভোটে এনডিএর বিপুল জয়ের রুপোর কাঠি হয়, তবে সোনার কাঠিটি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসন। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৪টি জায়গায়। তিনি তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন জননায়ক কর্পূরী ঠাকুরের পৈতৃক গ্রাম সমস্তিপুর জেলা থেকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরীকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। এই জেলা থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে এনডিএর তরফে প্রধানমন্ত্রী বিহারবাসীকে এই বার্তা দেন যে, এনডিএ একটি পরিষ্কার, সৎ এবং প্রান্তিক মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকার উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই গুণগুলি কর্পূরী ঠাকুরের সঙ্গে বেশ মেলে। তারই সুফল মিলেছে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, সমস্তিপুর-সহ প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গায় প্রচার করেছেন, সেই সব জায়গায় ভোটদানের হার ছিল চোখ ধাঁধানো।

    এক্স ফ্যাক্টর!

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর এই বিপুল জয়ে কাজ (Caste Politics) করেছে আরও একটি ফ্যাক্টর। সেটি হল, বিজেপি সঠিক নির্বাচনী ইস্যুগুলিকে চিহ্নিত করে তুলে ধরেছে জনগণের দরবারে (Good Governance)। গত দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব কল্যাণমূলক কর্মসূচি, যেগুলি নারী, প্রবীণ এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায় হয়ে উঠেছিল, সেগুলি মোদির প্রতি জনগণের ভরসা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিহারের জঙ্গলরাজের সঙ্গে সুশাসনের (এনডিএ জমানায়) তুলনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই ব্যাপক প্রভাব ফেলে ইভিএমে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জমানা দেখা ভোটাররা তো বটেই, এনডিএর সুশাসন দেখা নতুন ভোটাররাও ভরসা করেছেন মোদির ওপর। তার জেরেই বিহারে জয়জয়কার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর।

    সুশাসনের ফিরিস্তি

    বস্তুত (Caste Politics), নির্বাচনী ময়দানে বিজেপি নেতাদের এই শানিত এবং দূরদর্শী আক্রমণের সামনে বিরোধীদের কার্যত অসহায় দেখিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব জনতা জনার্দনের এই আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, জঙ্গলরাজ নয়, নয়া মহাগঠবন্ধনের সরকার রাজ্যবাসীকে উপহার দেবে সুশাসন (Good Governance)। বস্তুত, আরজেডি যে সুশাসন দিতে পারে, তা আদৌ বিশ্বাস করেননি ভোটাররা। আর তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে। বিজেপির একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন প্রচারে বেরিয়ে এনডিএ জমানার সুশাসনের ফিরিস্তি দিয়েছেন, তখন জঙ্গলরাজের স্মৃতি ফিকে করে সুশাসনের আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মহাগঠবন্ধনের নেতারা। তেজস্বী নন, বিহারবাসী আস্থা রেখেছেন মোদির সুশাসনের ওপরই (Caste Politics)।

    সাংগঠনিক শক্তি

    সাংগঠনিক শক্তিও বিজেপির বিপুল জয়ের অন্যতম একটি স্তম্ভ। ভোটের আগে আগেও যখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা, তার ঢের আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে মহগঠবন্ধনকে মাত দিয়ে দেয় এনডিএ। ঘর গুছোতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছিলেন বিরোধীরা। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এনডিএ বিহারবাসীর মনে এই বার্তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছিল যে, ‘হামারা সব এক হ্যায়’। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ (Good Governance) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছিলেন নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড। তৃণমূলস্তরে প্রচার পরিচালনার জন্য দেশজুড়ে ৯০০ জনেরও বেশি প্রবীণ নেতাকে মোতায়েন করা হয়েছিল মাস দুয়েক ধরে। স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিটি ভোটারের  দুয়ারে। এসবের পাশাপাশি সংঘের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের ফসলও কুড়িয়েছে বিজেপি।

    নির্বাচনী ফলের বার্তা

    বিহারের এই নির্বাচনী ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে বিহারে অবসান হয়েছে জাতপাতের রাজনীতির যুগ। যার জেরে আরজেডির গড় বলে খ্যাত রাঘোপুর আসনে জিততে নাকানিচোবানি খেতে হয় যাদবকুলোদ্ভূত তেজস্বীকে (Caste Politics)। এই যাদব বংশেরই তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপও আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজে দল গড়েও ডুবেছেন স্বখাত সলিলে। এসবের একটাই অর্থ, জাতপাতের রাজনীতির পাঁকে আর না জড়িয়ে বিহারবাসী বেছে নিয়েছেন সুশাসন এবং উন্নয়নের রাজনীতি (Good Governance)।

    এই রাজনীতির জেরেই বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায়ও ফুটবে উন্নয়নের পদ্মফুল (Caste Politics)।

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহারে পড়ল ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে এনডিএ, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    Bihar Assembly Election 2025: বিহারে পড়ল ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে এনডিএ, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শেষ হল বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Bihar Assembly Election 2025) পর্ব। ২৪৩টি আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভার ১২১টিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। দুপুর ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল (First Phase) ৬০.১৩ শতাংশ।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা (Bihar Assembly Election 2025)

    এদিন মোটের ওপর শান্তিতেই নির্বাচন হলেও, তাল কাটল দুপুরের দিকে। বিহারের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লখীসরাই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিজয়কুমার সিনহার কনভয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তিনি যখন নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি বুথে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর কনভয়ে থাকা গাড়িগুলি লক্ষ্য করে পাথর, গোবর এবং হাওয়াই চপ্পল ছোড়া হয়। যদিও নিরাপদ এবং সুস্থই রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে আরজেডির দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে লালু প্রসাদ যাদবের দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা যায়, কয়েকজন উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে ঘিরে ধরে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এরা সব আরজেডির গুন্ডা। ওরা জানে এনডিএ ক্ষমতায় আসছে। তাই গুন্ডামি করছে।”

    পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ কমিশনের

    কনভয়ে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিজয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিরস্ত করে।উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার খবর পেয়েই সক্রিয় হয়ে ওঠে নির্বাচন কমিশন। দেশের (Bihar Assembly Election 2025) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বিহার পুলিশের ডিজিকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, কাউকে আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনের পর যারপরনাই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “বিহারে গণতন্ত্রের বৃহৎ উৎসবে মানুষের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ইঙ্গিত করছে যে, বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।” প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হবে দু’দফায়। এদিন হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন (First Phase)। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে আগামী মঙ্গলবার। ফল গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Election 2025)।

  • SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিরোধীদের। প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাঁদের দ্বিচারিতার রাজনীতিও। এক সময় এসআইআরের দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই তিনিই এখন এসআইআরের বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন পথে। এই দ্বিচারিতার রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেসও (Rahul Gandhi)। নির্বাচন কমিশনের দাবি, একদিকে রাহুল গান্ধী এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। অথচ এটি ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে তিনিই অতীতের ভোটার তালিকার অশুদ্ধির কথা তুলে ধরে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। কমিশনের সাফ কথা, “এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, শুরুতে তিনি বিরোধিতা করলেও, এখন তিনি এসআইআরকে সমর্থনই করছেন।”

    ভোট চুরির অভিযোগ রাহুলের (SIR)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফের দাবি করেন, দেশে ব্যাপকভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। এদিন তিনি তাক করেছিলেন হরিয়ানাকে, যেখান ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। দুপুরে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিরোধী দলনেতা শ্রী রাহুল গান্ধীর প্রেস কনফারেন্সের বিস্তারিত জবাব শীঘ্রই জানানো হবে।” হরিয়ানা সিইওর এক্স হ্যান্ডেলে ‘হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, পোলিং এজেন্ট, প্রাপ্ত অভিযোগ এসবেরই বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে (Rahul Gandhi)।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    সংবাদ সংস্থা এএনআই নির্বাচন কমিশনের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচনী তালিকা নিয়ে কোনও আপিল দাখিল হয়নি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হাইকোর্টে মাত্র ২২টি পিটিশন বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে (SIR)। সূত্রের প্রশ্ন, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন যে ডুপ্লিকেট ভোট হয়েছে, তবে তাঁরা ভোটকেন্দ্রেই আপত্তি জানালেন না কেন? গান্ধী কি এসআইআর প্রক্রিয়া সমর্থন করেন নাকি বিরোধিতা করেন? এই প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে ডুপ্লিকেট, মৃত এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বও। সূত্রের আরও প্রশ্ন, কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্টরা কেন তালিকা সংশোধনের সময় কোনও দাবি বা আপিল দায়ের করেননি? নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর ওই দাবিতে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে নকল বা দ্বৈত ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। আর বিজেপির দাবি ছিল, সেই ভোট পড়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, ‘হাউস নম্বর জিরো’ সেই সব এলাকাকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এখনও বাড়ির নম্বর বরাদ্দ করেনি (Rahul Gandhi)।

    রাহুলের বিস্ফোরক দাবি

    রাহুল গান্ধীর দাবি, হরিয়ানার প্রতি আটজন ভোটারের একজন নকল। তিনি বুথে পড়া ভোট ও পোস্টাল ব্যালটে পড়া ভোটের মধ্যে অকারণ ফারাক সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন। প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে হরিয়ানায় ২৫ লাখ ভোটার নকল, এরা হয় নেই, অথবা এদের নাম দ্বৈতভাবে রয়েছে, অথবা এমনভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাতে যে কেউ তাদের নামে ভোট দিতে পারে। হরিয়ানায় প্রতি ৮ জনের ১ জন ভোটার নকল, শতাংশের বিচারে তারা ১২.৫ (SIR)।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ‘এইচ’ ফাইলস নামে একটি নথি আছে এবং এটি দেখায় কীভাবে পুরো একটি রাজ্যকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছিলাম যে এটি কেবল আলাদা আলাদা আসনে হচ্ছে না, বরং রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও ঘটছে। হরিয়ানা থেকে আমাদের প্রার্থীদের কাছ থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছিলাম যে কিছু একটা ঠিকমতো কাজ করছে না। তাদের সমস্ত পূর্বাভাস উল্টে গিয়েছিল। আমরা এ ধরনের অভিজ্ঞতা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রেও পেয়েছি, কিন্তু আমরা হরিয়ানায় জুম করে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল সেটা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে।

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচন হয় ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভার। সেই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয় ৪৭টি আসনে।  কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সেই নির্বাচনের এক বছর পর এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার ঠিক আগের দিনই দিল্লিতে রাহুল অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানায় ৫.২১ শতাংশ ডুপ্লিকেট ভোটার ভোট দিয়েছিলেন (Rahul Gandhi)।  ৯৩ হাজার ১৭৪ জন অবৈধ ভোটার ভোট দেন। আর ১৯ লাখ ২৬ হাজার বাল্ক ভোটার ভোট দেন। সব মিলিয়ে চুরি হয়েছে ২৫ লাখ ভোট (SIR)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’টি দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। প্রথম দফার (First Phase) ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে। এদিন ভোটগ্রহণ চলছে রাজ্যের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। কোনও কোনও জায়গায় অবশ্য বিকেল ৫টায়ই শেষ হয়ে যাবে ভোটগ্রহণ। এদিন যে জেলাগুলিতে ভোটগ্রহণ চলছে, সেগুলি হল পাটনা, দ্বারভাঙা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এদিন ভোট চলছে ১২১টি আসনে। ইভিএমে ভাগ্য বন্দি হবে ১ হাজার ৩১৪ জন প্রার্থীর। মূল লড়াই এনডিএ এবং বিজেপি বিরোধী মহাগঠবন্ধনের মধ্যে।

    ভাগ্য পরীক্ষায় যাঁরা (Bihar Assembly Election 2025)

    এদিন যেসব উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তিনি লড়ছেন রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ময়দানে রয়েছেন লালুপ্রসাদের ‘বিদ্রোহী’ জ্যেষ্ঠপুত্র তথা জনশক্তি জনতা দল সুপ্রিমো তেজপ্রতাপ যাদবও। তাঁর কেন্দ্র মহুয়া। বিহারের দুই বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সম্রাট চৌধুরী লড়ছেন তারাপুরে, আর বিজয়কুমার সিনহা প্রার্থী হয়েছেন লখীসরাইয়ে। ভোজপুরী গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরের ভাগ্যও নির্ধারণ হবে আজ। পদ্ম চিহ্নে তিনি প্রার্থী হয়েছেন আলিনগর কেন্দ্রে। ভোজপুরী গায়ক তথা অভিনেতা আরজেডির প্রার্থী খেসারিলাল যাদব লড়ছেন ছাপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এদিন ভাগ্যপরীক্ষা হবে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নয়া দল জন সুরাজ পার্টির কয়েকজন প্রার্থীরও (Bihar Assembly Election 2025)।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

    ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই ভোটারদের পূর্ণ উদ্যোমে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, “গণতন্ত্রের উৎসব আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিন।” ওই পোস্টেই বিহারের নয়া ভোটারদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “মনে রাখবেন, আগে ভোট, পরে আহার-বিশ্রাম।” মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও ভোটদানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আপনার ভোট বিহারের উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। আগে ভোট। অন্য কোনও কাজ কিছু সময় পরেও করা যেতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিহারে ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছে এবার। প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি। দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর (First Phase)। সেদিন ভোট হবে রাজ্যের ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Election 2025)।

  • JMM: বিহারে লড়বে না জেএমএম, কংগ্রেস-আরজেডিকে ধুনে দিয়ে জানাল হেমন্ত সোরেনের দল

    JMM: বিহারে লড়বে না জেএমএম, কংগ্রেস-আরজেডিকে ধুনে দিয়ে জানাল হেমন্ত সোরেনের দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Elections 2025) অংশ নেবে না ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) (JMM)। সোমবার এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে দলের তরফে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন এই দলটি প্রকাশ্যে তাদের জোটসঙ্গী আরজেডি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এই তিন দলের একই জোটে থাকার কথা ছিল, যার নাম ‘মহাগঠবন্ধন’। কিন্তু জেএমএমের অভিযোগ, আরজেডি এবং কংগ্রেস তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের দাবি, এই দুই দল আগে থেকেই পরিকল্পনা করে জেএমএমকে সম্পূর্ণভাবে বাইরে রেখে দিয়েছে এবং কোনও আসনেই তাদের প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ দেয়নি।

    জেএমএমের বক্তব্য (JMM)

    প্রসঙ্গত, গত শনিবারই জেএমএম ঘোষণা করেছিল তারা ছ’টি আসনে এককভাবে লড়াই করবে। এই আসনগুলি হল চাকাই, ধামদাহা, কাটোরিয়া, মনিহারী, জামুই এবং পিরপাইন্টি। সোমবারই ছিল সেই আসনগুলিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। দিনের শেষে দেখা যায়, জেএমএমের তরফে কেউই এই কেন্দ্রগুলিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। জেএমএমের প্রবীণ নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সুদিব্য কুমার বলেন, “এই পরিস্থিতির জন্য আরজেডি এবং কংগ্রেসই দায়ী। এর উপযুক্ত জবাব দেবে জেএমএম।” এই দুই দলকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে তাদের জোট সম্পর্ক পর্যালোচনা করবে।” উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম সরকারে প্রধান দল। তাদের সহযোগী দল কংগ্রেস এবং আরজেডি। জেএমএমের (JMM) তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা বিহারে কোনও দলকেই সমর্থন করবে না। তাদের উপেক্ষা করার ফল ভোগ করতে হবে মহাজোটকেই।

    ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল

    কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেএমএম – এই তিন দলই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পরেও কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। তাই প্রার্থিতালিকা প্রকাশ না করেই নিজেদের মতো করে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিতে শুরু করেছিল তেজস্বীর দল আরজেডি। সোমবার পর্যন্ত তারা ১৪৩টি আসনে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে। প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেসও। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Elections 2025) কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৬০টি কেন্দ্রে। এর মধ্যেই বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং আরজেডি – দুই দলকেই (JMM)।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নন্দীগ্রামে হার মমতার (Suvendu Adhikari)

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পদ্ম-প্রার্থী শুভেন্দু। ওই নির্বাচনে প্রায় দু’হাজার ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধরাশায়ী করেন শুভেন্দু। পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখেন মমতা। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মমতা স্বয়ং হারলেও, তাঁর দল তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রী পদে থাকতে গেলে ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হয়। সেই মতো ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করিয়ে তৃণমূল জিতিয়ে আনে মমতাকে। গদি টিকে যায় তৃণমূল নেত্রীর।

    ভবানীপুরেই প্রার্থী মমতা

    অতএব, সেই ‘নিরাপদ’ ভবানীপুরেই যে এবারও মমতা প্রার্থী হতে চলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও বিধানসভা আসনে দাঁড়িয়ে মমতা যে আর মুখ পোড়াতে চান না, তা স্পষ্ট তাঁদের দলের নেতাদের কথায়ই। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি যে ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল নেত্রীর জয়ের মার্জিনও এদিনের (Suvendu Adhikari) অনুষ্ঠানে বেঁধে দেন তৃণমূলের আর এক নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং মমতার সতীর্থ ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।” ফিরহাদ হাকিমও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ লাখ ভোটে জয়ী করব (BJP)।”

    মমতার গলায় কি আতঙ্কের সুর!

    তৃণমূল নেতারা এমনতর ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখলেও, রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু-হেতু এবার ভবানীপুরকেও আর তেমন ‘নিরাপদ’ বলে ভাবছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর অডিও বার্তা শোনানো হয়। সেটাই সকলকে শোনান ফিরহাদ। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ভবানীপুরটা বাইরে থেকে লোক এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো পরিকল্পনা করে (Suvendu Adhikari)। আমি আউটসাইডার মানে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে, টাকা খরচ করে জায়গা কিনে, বাড়ি তৈরি করে, স্থানীয় কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের কথা।” ভবানীপুর কেন্দ্রটি নিয়ে যে তৃণমূল সুপ্রিমো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। তিনি বলেন, “ওরা (তৃণমূল) মমতার জয় নিয়ে সন্দিহান। তাই প্রথমেই ভবানীপুর নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু

    এহেন প্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে এসআইআর (SIR)-এর পরে হারাব ওঁকে। ৮টা ওয়ার্ডের ৫টায় বিজেপির লিড আছে। বিজেপিই হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে-ই হারাবে। বিজেপি ওখানে ২০১৪ সালে ওদের হারিয়েছে। এসআইআর-এর পরে উনি হারবেন (BJP)।” এর পরেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনাকে হটাবই। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এর আগে অন্য একটি সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।” তার পরেই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি এবারও ভাবানীপুরে মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান দু’পক্ষের দুই দাপুটে নেতা মমতা-শুভেন্দু? সে ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে কিছুই বলেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে কে, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা ঠিক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ভবানীপুরে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথ হতে চলেছে কিনা, তা বলবে সময়। তবে ওই কেন্দ্রে যে এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী হচ্ছেন মমতা, তা ঘোষণা করে দিয়েছেন সুব্রত।

    ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ

    তবে ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে যে খোদ তৃণমূল নেত্রীই উদ্বেগে (BJP) রয়েছেন, তা ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিন অডিও বার্তায় মমতাকেও বলতে শোনা যায়, “সেই জায়গাগুলো (ভবানীপুরের) আদৌ…যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁরা না পাচ্ছেন জল, না পাচ্ছেন ড্রেনেজ সিস্টেম…না পাচ্ছেন ঠিকমতো ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমরা কেন এটা বুঝব না…সব কিছু দেখে রাখতে হবে আমাদের। কারণ দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সবই তো আমাদের। সেই জন্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সবাই ভালো থাকুন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, ভবানীপুরে মমতাকে হারাতে শুভেন্দু যেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। তাই উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে চাইছেন ভবানীপুরে। যে উন্নয়নের জন্য হা-পিত্যেশ করে (BJP) বসে রয়েছেন ভবানীপুরের বাসিন্দারা (Suvendu Adhikari)!

LinkedIn
Share