Tag: election news

election news

  • Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। প্রথম তিন দফার ভোটে সেরকম কোনো অশান্তির ছবি সামনে আসেনি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটকে কেন্দ্র করে কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করেছে। উল্লেখ্য এবছর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে হাইভোল্টেজ এলাকা ছিল সন্দেশখালি। বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই সন্দেশখালি তে ভোট রয়েছে সপ্তম দফায়। তাই এখন থেকেই আঁটো সাঁটো  নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় শুধুমাত্র বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক যে দ্বীপ এলাকাগুলিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে আগে থেকেই কিউআরটি মোতায়েন করা হবে।

    হাইভোল্টেজ সন্দেশখালি (Lok Sabha Election 2024)

     ১ জুন অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্রে। সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে। অন্যদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মরশুমে রবিবার সকালেও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি এলাকা। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক থেকে। এই রিপোর্ট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে পাঠাতে হবে জেলাশাসককে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান এবং এনএসজি কমান্ডোদের রোবট নামিয়ে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম থেকেই চিন্তায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। শুধুমাত্র দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীনই নয় তারপর একাধিক ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে। একদিকে যেমন অস্ত্র উদ্ধার অন্যদিকে, একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
    এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে সেটাই পাখির চোখ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সিএএ থেকে রামনবমী পালন, রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে পাঁচ গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: সিএএ থেকে রামনবমী পালন, রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে পাঁচ গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে আবারও রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এদিন একটি জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ব্যারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে সভা থেকে ৫ গ্যারান্টি দিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ভাষণের মাঝে বাংলায় বলে উঠলেন, মোদির গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণের গ্যারান্টি।” তুললেন সিএএ ইস্যুও। তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, “রাতারাতি সিএএ -কে ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ব্যারাকপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্মরণ করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও। 

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলায় এসে কী কী গ্যারান্টি দিলেন মোদি (Narendra Modi)

    ১) যতক্ষণ মোদি আছে ভাগবান রামের পুজো কেউ আটকাতে পারবে না। 
    ২) যতক্ষণ মোদি আছে রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় কেউ বদলাতে পারবে না।  
    ৩) যতক্ষণ মোদি আছে কেউ সিএএ আটকাতে পারবে না।
    ৪)যতক্ষণ মোদি আছে ততক্ষণ ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না।  
    ৫) যতক্ষণ মোদি আছে এসসি এসটি ওবিসি সংরক্ষণ কেউ বন্ধ করতে পারেব না। 

    মঞ্চ থেকে ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’

    রবিবার জনসভা থেকে প্রচারের সুর সপ্তমে চড়ালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।যার আগাগোড়া হিন্দুত্বের বার্তায় ভরা। এদিন মোদি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূল সরকার। রামনবমী উৎসব পালন করতে দেওয়া হয় না। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস আর বামফ্রন্টও রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনদের হাতে এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায় কি?” প্রশ্ন তোলেন মোদি। এরপরেই সভা মঞ্চ থেকে ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’ তোলেন তিনি।
    বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন মোদি। ব্যারাকপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাংলায় বরদাস্ত করা হবে না।’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাংলায় অবস্থান নিয়ে বড় দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, “বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এঁদের এত বড় সাহস! আদিবাসী, দলিতদের সঙ্গে অন্যায় আমরা মেনে নেব না।”

    এছাড়াও দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণের সময় মোদির মুখে উঠে আসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে, ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মুখে ফের একবার উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে। আবারও একবার সরাসরি শেখ শাহজাহানের নাম মুখে আনেন নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালিতে মা-বোনের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, সবকিছু জেনেও এখানকার সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তাঁর। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন অর্জুন সিং। জয়ীও হয়েছিলেন। যদিও পরে তৃণমূলের ফিরে যান তিনি। কিন্তু এবারের লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় ফের একবার পদ্মশিবিরে যোগ দেন অর্জুন। মোদির আশা, ২০১৯-এর চেয়েও ২০২৪ এ ভালো ফল হবে বারাকপুরে (Barrackpore)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Bribhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বোলপুরের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও পুলিশের নিরাপত্তাতেই রয়েছে দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি। কিন্তু তার মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা গেল অন্য ছবি। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেও অনুব্রতর বাড়ির ছাদে উড়ল গেরুয়া পতাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

    কে লাগাল পতাকা? (Anubrata Mondal)

    এক বছরের বেশির সময় বোলপুরের এই বাড়িতে নেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। তিহাড় জেলে বন্দি তারা। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কে লাগাল পতাকা? আগে একটা সময় ওই বাড়ির নীচে লাইন পড়ত মানুষের। এখন ফাঁকা পড়ে বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরাই পাহারা দেন। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনরা আসেন। এছাড়া বাড়ির কাজের লোকেরাও মাঝে মধ্যে এসে ঘর পরিষ্কার করেন। তা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই ওই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময়েই তালবন্ধই হয়ে পড়ে থাকে। তালে  ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা ছাদের মাথায় কে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নিরপত্তারক্ষীরাও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।    
    সম্প্রতি বীরভূমে (Bribhum) ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট (Anubrata Mondal) ও তার মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাতে সে তৃণমূল করতে না পারে…আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোটের পর ওদের ছেড়ে দেবে।”

     বিরোধীদের দাবি

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধীদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারই প্রকাশ হল ছাদের পতাকায়। বীরভূম (Bribhum) সিপিএম এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ওদের সম্মতিতে এটা ঘটেছে। আমার কাছে যা খবর আছে তাতে মনে হয় ওদের পরিবারের লোকেরা তলে তলে বিজেপি করছে। এখন তৃণমূলের যা অবস্থান তাতে রাম নবমীর পতাকা ওরাই ঝোলাবে। আগে থেকে সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বেরোনোর ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগেই বোলপুর এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের হতে গেলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

    আরও পড়ুন: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    যদিও  এপ্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। ফলে তাঁর বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা ওড়ে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়, বাড়িতে রামের পতাকা ঝুলবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সামনেই রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। আর চতুর্থ দফার ভোটে অন্যান্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভোট রয়েছে বীরভূমেও। তাই ভোটপ্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুলেছিলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। কিন্তু, থমকাতে হল মগদমনগরের রাস্তায়। বিদায়ী সাংসদ এবং লোকসভার প্রার্থী শতাব্দীকে সামনে পেয়ে একের পর এক দাবি শোনাতে থাকেন গ্রামের মহিলারা।

    শতাব্দীকে ঘিরে আবারও বিক্ষোভ (Satabdi Roy)

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী তথা তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবারের লোকসভা ভোটেও তৃণমূল তাঁকেই প্রার্থী করেছে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের ময়দানে প্রচারে নেমে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিদায়ী সাংসদকে (Satabdi Roy)। আর এবারও ঘটল সেই একই ঘটনা। প্রচারে নামতেই তাঁকে ছেঁকে ধরলেন গ্রামবাসীরা।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ 

    উল্লেখ্য চতুর্থ দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) প্রচারের আগে শনিবার প্রচারে নামেন শতাব্দী। কিন্তু মহম্মদবাজার ব্লক এলাকার মগদমনগর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে (Satabdi Roy)। পানীয় জলের সমস্যা, এলাকায় উন্নয়নে খামতি, রাস্তাঘাট খারাপ-সহ একাধিক অভিযোগ শুনতে তাঁকে। যদিও সকলেরই অভিযোগ মোটামুটি এক—পানীয় জলের সমস্যা। সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পাওয়ার অভিযোগও উঠল। কেউ কেউ অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। 
    এ প্রসঙ্গে,স্থানীয় বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পিয়া সর্দার বলেন, “সকলে টাকা পায়, আমি কেন টাকা পাই না? আমার স্কুলের সকলে টাকা পায়, অথচ আমি ক্লাস সিক্স থেকে টাকা পাই না। ওনাকে বললাম সেটাই। উনি তো কিছুই বললেন না।” অন্যদিকে এলাকার আরেক মহিলার অভিযোগ, “দিদি (Satabdi Roy)কিছু শোনেই না। কথাই বলতে পারলাম না। আমাদের কথা শুনবে না তো কার কথা শুনবে? কিছুই পাইনি আমরা।”
    যদিও এই বিক্ষোভের পরিস্থিতি এলাকার নেতারা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিক্ষোভের সময় গাড়ি থেকে নামেননি শতাব্দী (Satabdi Roy)। গাড়িতে সামনের সিটে বসে ছিলেন তিনি।  জানলা দিয়ে মুখ বার করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও কথা বলেননি শতাব্দী। তার পর গাড়ির জানলা দিয়ে সবাইকে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

    আরও পড়ুন: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ

    এর আগেও প্রচারে নেমে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হয়েছিল শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy)। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই গেছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরেছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা,এমনও অভিযোগ রয়েছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    Election Commission: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) শেষ হয়েছে। তবে বলা ভালো নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে যে ভাবে ভোট হয়েছে, তাতে খুশি নির্বাচন কমিশন। কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও বড় ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। হয়নি কোনও মৃত্যুও। বাংলায় ভোট মানেই হিংসা—এই অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে বারবার তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা ভোট হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচন, যে কোনও ভোটেই পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ইতিহাস রয়েছে। তবে এবছর লোকসভা ভোটে তিন দফা পেড়িয়ে গেলেও সেরম উল্লেখযোগ্য কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশার আলো দেখছেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কর্তারা। 

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা

    বাংলায় যে এবার শান্তিপূর্ণ ভোট (Lok Sabha Vote 2024) হবে সেই বিষয়ে আগেই আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন (Election Commission)। আপাতত রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোট নির্বিঘ্নে সমাপ্ত হয়েছে। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, কী ভাবে ভোট পরিচালনা হচ্ছে, সেইসব নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে ভোট নিয়ে একটি বৈঠক করে। সূত্রের খবর, সেখানেই বাংলার ভোট পরিস্থিতি নিয়ে প্রশংসা করে কমিশন। সঙ্গে প্রশংসায় ভরাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিফ আফতাবকে। এদিনের বৈঠকে তিন দফা ভোটের মধ্যে বাংলাকে যে ‘শান্তিপূর্ণ’ রাখা গেছে সে বিষয়ে  আশ্বস্ত হয়েছে কমিশন। তবে বাকি চার দফার ভোটও যেন এমন শান্তিপূর্ণ হয়, সেই দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কমিশনের (Election Commission) তরফে।  

    নির্বাচন কমিশনের দাবি (Election Commission) 

    এ প্রসঙ্গে কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, “এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম তিনটি দফায় বাংলায় সে অর্থে বড়সড় কোনও গোলমালই হয়নি। কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে বুথ দখল, রিগিংয়ের বড় কোনও অভিযোগও ওঠেনি।” কমিশনের (Election Commission) দাবি, প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে কিছু বিক্ষিপ্ত গোলমাল হলেও ভোটকেন্দ্রে তার কোনও আঁচ পড়েনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফাতেও ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ।  

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে”, তোপ সুকান্তর

    যদিও তৃতীয় দফার ভোটে সবথেকে বেশি ক্রিটিক্যাল বুথ ছিল মুর্শিদাবাদে। যার মধ্যে পড়ে ডোমকল বিধানসভা। অতীতে প্রায় প্রতিটি ভোটে ডোমকলে রক্তারক্তি এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেকারনেই এই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে আশঙ্কা ছিল কমিশনের (Election Commission)। এছাড়াও ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে পরপর অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন সকাল থেকেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এই কেন্দ্রে। বাকি কেন্দ্রগুলি থেকেও অল্পবিস্তর অশান্তির খবর এসেছে ঠিকই, কিন্তু কোনওটাই বড় আকার নিতে পারেনি। ফলে এবার সেখানেও নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। 
    প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) রয়েছে বাংলায়। সেদিন বোলপুর, বীরভূম, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর এবং আসানসোলে ভোট হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তৃতীয় ধাপ। ৭ মে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ১০ রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে (third phase of Lok Sabha polls) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬১.৪৫%। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় অশান্তির অভিযোগ ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু সে রাজ্যেও নির্বিঘ্নেই মিটেছে তৃতীয় পর্ব।

    তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, ছত্তিশগড়ের ৭টি, বিহারের ৫টি, অসমের ৪টি, গোয়ার ২টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১টি এবং দমন ও দিউয়ের ১টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। 

    তৃতীয় দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট (Lok Sabha Election 2024) 

    লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিহারে ৫৬.০১%, ছত্তিশগড়ে ৬৬.৮৭%, মহারাষ্ট্রে ৫৩.৪০%, অসমে ৭৫.২৬%, গোয়ায় ৭৪.২৭%, কর্নাটকে ৬৬.০৫%, মধ্যপ্রদেশে ৫৫.১৩%, উত্তরপ্রদেশে ৬২.২৮%, পশ্চিমবঙ্গে ৭৩.৯৩% এবং গুজরাটে ৫৫.২২% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

    উল্লেখ্য বড় বড় রাজ্যগুলিতে যেখানে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার অত্যধিক পরিমাণে কম, সেখানে কার্যত উলটো পথে হাঁটছে বাংলা। প্রথম তিন দফাতেই অসম ও গোয়ার পর বাংলায় ভোটের হার অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। পাশাপাশি মহিলা ভোটারের হারও পুরুষদের তুলনায় বেশি। 

    কোন দফায় কত ভোট পড়ল? 

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী, ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে তৃতীয় পর্বে। ২০১৯ সালে যে পরিসংখ্যান ছিল ৬৭.৩৩ শতাংশ। এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হয়। ভোটের হার ছিল ৬৬.১৪%। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৬.৭১%।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ১১ কোটির বেশি ভোটার দেশের ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষে রক্ত ঝরল জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভা এলাকায়। বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুরের গণকর এলাকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ হামলাকারী তৃণমূলীদের গ্রেফতারের দাবিতে রঘুনাথগঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। সেই অবরোধে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে।

    বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায় তৃণমূল (Jangipur)

    মঙ্গলবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই ধনঞ্জয় ঘোষের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তাঁর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে একাধিক জায়গায়। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের গণকর ২৬৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয় তৃণমূলের লোকজন। চোখের সামনে দলীয় এজেন্টকে মারতে দেখেই বিজেপি কর্মী অশোক কর্মকার বুথের মধ্যেই ছুটে যান। বিজেপি কর্মী অশোকবাবু বলেন, আমার অপরাধ আমার দলের এজেন্টকে আমি বাঁচাতে গেছি। এরপরে ওরা বুথ থেকে আমাকে তাড়া করে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেঠায়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তৃণমূল বুথে ভোট লুট করেছে। আমরা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    পুলিশ বিজেপির অবরোধে লাঠিচার্জ করে

    বিজেপি প্রার্থী (Jangipur) ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, পুলিশ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। বুথের মধ্যেই আমাদের দলের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে। দলীয় কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।  পুলিশ আমাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোপীনাথপুর গ্রামের ৩৯ নম্বর বুথে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jangipur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে উত্তর গোপীনাথপুরের (Jangipur) ৩৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। এদিন দুপুরেব দিকে এই বুথের কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বুথের কংগ্রেসের এজেন্ট আবুল বাসারের বলেন, বেলা বারোটা নাগাদ আমাকে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। পরে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি প্রাণভয়ে ওই বুথ ছেড়ে বেরিয়ে আসি। তারপরই তৃণমূল দেদার ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবসার সেখ বলেন, এখানে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সমস্ত দলেরই এজেন্ট বুথের মধ্যে আছেন। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, এখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন।

    আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ায় হামলা তৃণমূলের

    সামশেরগঞ্জের (Jangipur) যোতকাশী গ্রামে ১২৫ নম্বর বুথে কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের যোতকাশী গ্রামে সোমবার রাতে তৃণমূলের লোকজন বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিয়ে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। সেই হুমকি উপেক্ষা করে মইদুল সেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ইব্রাহিম সেখ ও রেজাউল হক নামে দুই তৃণমূল কর্মী প্রথমে ভোট দিতে বাধা দেয়। কংগ্রেস কর্মী আপত্তি জানালে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলার জেরে কংগ্রেস কর্মীর পা ভেঙে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                      

  • Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও আবার বুথ থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন ভোট দিতে না পারা ভোটাররা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার নদিয়ার করিমপুর বিধানসভার থানারপাড়া থানার শুভরাজপুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার মধ্যে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা পড়ে। এই বিধানসভার শুভরাজপুর এলাকায় এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে, বুথের আগে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করে রেখেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের একটি বড় অংশ বিরোধী সমর্থক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে ভোট লুট করতে পারছে না তৃণমূল। তাই, বুথে যাওয়ার মুখে তৃণমূল জমায়েত করে রেখেছে। কেউ ভোট দিতে গেলেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছে। ফলে, আমরা কেউ ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারছি না। এক ভোটার বলেন, ৩৫ নম্বর বুথে আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল। আমি বুথে গেলে বলা হয়, ভোট হয়ে গিয়েছে চলে যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কেউ কিছু করল না। আমি ভোট না দিয়ে বুথ থেকে ফিরে এসেছি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে আমরা ভোট দিতে পারিনি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    সাগরপাড়া বুথে ভুয়ো ভোটার!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার রওশননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭২ নম্বর বুথের ভেতরেই চলল তুমুল উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এক ভুয়ো ভোটার বুথে আসেন। তাঁর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সিপিএম এজেন্ট আপত্তি জানান। এরপরই তৃণমূলের এজেন্ট সহ কর্মীরা তাঁকে বুথের ভিতরের মারধর করে বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের কারণে ভোটদান কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা (Malda) উত্তরের হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামপঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ ১২২ নম্বর বুথ। সাড়ে তেরোশো ভোটার। বুথের মধ্যে ছিল সমস্ত আয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে প্রিসাইডিং অফিসার সকলেই উপস্থিত। কিন্তু, যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই ভোটাররা কেউ বুথ মুখী হননি। তবে, বুথের কাছে পোস্টার হাতে একাধিক দাবি নিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন ভোটাররা। বিকাল ৪ পর্যন্ত ওই বুথে একটি ভোটও পড়েনি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ভোট না দিয়ে অবস্থানে ভোটাররা (Malda)

    রাজ্যে জুড়ে ভোটের আগে ভোট বয়কট করার অভিযোগ অনেক শোনা যায়। পরে, ভোটারদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, মালদা উত্তরের (Malda) হবিবপুরের মঙ্গলপুরার ১২২ নম্বর বুথের ঘটনাটি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, এই বুথের বাসিন্দারা আগাম ভোট বয়কট করার কথা ঘোষণা করেননি। তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের কাছে রেখেছিলেন। কিন্তু, সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় এদিন বুথে গিয়ে ভোট না দেওয়ার সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, কেউ বাড়ির মধ্যে ছিলেন না। বাড়ির মহিলারা সকাল থেকে বুথের বাইরে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার পোস্টার হাতে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ আধিকারিক থেকে প্রশাসনের আধিকারিক সকলেই বহু চেষ্টা করার পরও ভোটারদের ভোটদানে ব্যবস্থা করতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের (Malda) বক্তব্য, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নেই। এলাকায় নেই কোনও ব্রিজ। ফলে, বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে হয়। বহুবার প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। দিনের পর দিন ভোটের প্রচারে এসে নেতারা আশ্বাস দেন, সব উন্নয়ন হয়ে যাবে। অথচ ভোট মিটলে কারও দেখাটুকু মেলে না। কথা শোনার কেউ থাকে না আর। তাই  আমরা এদিন ভোট দেওয়ার পরিবর্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আমরা দাবি আদায়ের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। আগে আমাদের দাবি পূরণ করে দিলে আমরা এই আন্দোলন করতাম না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share