Tag: Elections 2024

Elections 2024

  • Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইরানে হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Iran Presidential Elections)। এদিন স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গ্রহণ। চলে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। গত মাসে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার জেরেই হল অকাল নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী।

    লড়াইয়ের ময়দানে কারা? (Iran Presidential Elections)

    কট্টরপন্থী রক্ষণশীল দুই প্রার্থী হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা সইদ জালিলি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাকের কোয়ালিবাফ। এঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে লড়াইয়ের ময়দানে (Iran Presidential Elections) ছিলেন ছ’জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান দুই প্রার্থী। এঁরা হলেন আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহুসেন গাজিজাদে হাসেমি। এই প্রার্থীদের মধ্যে কঠিন লড়াই দিতে পারেন কোয়ালিবাফ, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন রেভলিউশনারি গার্ডের সইদ জলিলিও। খামেইনির অফিসে টানা চার বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এঁর ঝুলিতে।

    অকাল নির্বাচন কেন?

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুনে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে প্রতি চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় এশিয়ার এই দেশটিতে। ১৯ মে চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট। শূন্য হয়ে পড়ে প্রেসিডেন্টের পদ। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নিয়োগ করতে হবে নয়া প্রেসিডেন্ট। সেই নিয়ম মানতে গিয়েই আয়োজন করতে হয়েছে অকাল ভোটের।

    আর পড়ুন: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতই মাতামাতি হোক না কেন, সে দেশের সরকারের টিকি বাঁধা থাকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কাছে। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এবার নির্বাচনে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউই হতে চলেছেন ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট। তবে আশা ছাড়ছেন না সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেকশিয়ান। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” প্রসঙ্গত, গত কয়েকবারের মতো এবারও ইরানে ভোটদানের হার খুবই কম। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণনা। গণনার কাজ শেষ হলে জানা যাবে ইরানের নয়া ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে (Iran Presidential Elections)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রযুক্তির সাহায্যে মিথ্যে রটিয়ে নির্বাচনের সঙ্গে যে আরএসএসের নাম জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।” সোমবার নাগপুরে কথাগুলি বললেন আরএসএস কর্তা মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১০ জুন, সোমবার এখানেই বসেছিল কার্যকর্তা বিকাশ বর্গের বিদায়ী অধিবেশন। প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাবরী ধামের রামগিরি মহারাজ, আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সর্দার ইকবাল সিং।

    কী বললেন রামগিরি মহারাজ? (Mohan Bhagwat)

    রামগিরি মহারাজ বলেন, “সঙ্ঘে আপনারা সংস্কার শেখেন, অনুকূল হোক কিংবা প্রতিকূল যে কোনও পরিস্থিতিতে কীভাবে মূল্যবোধ বজায় রাখা যায়, সেই শিক্ষাও দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আপনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন আপনি ডেডিকেশন শেখেন, সামাজিক ঐক্য কীভাবে বজায় রাখতে হয়, তা-ও শেখেন।” আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ পঞ্চম গুরু অর্জুন দেবজি মহারাজের বলিদান দিবস। তিনি দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন।” তিনি বলেন, “গ্বালিয়র দুর্গে গুরু অর্জুন দেবকে অনেক নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও স্রেফ ধর্মের কারণে তিনি হাসতে হাসতে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।”

    ভাগবত উবাচ…

    আগের দিন মহারাণা প্রতাপের জন্মজয়ন্তী ছিল। এই দিনটিতেই আত্ম-বলিদান করেছিলেন বিরসা মুন্ডাও। এই দুই প্রসঙ্গের অবতারণা করে ভাগবত বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আমরা জেনেছি কীভাবে একদল মানুষ দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।” লোকসভা নির্বাচনের শেষে যেভাবে আরএসএস সম্পর্কে মিথ্যে কথা রটানো হয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন সরসঙ্ঘচালক। বলেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। নয়া সরকার শপথও নিয়ে নিয়েছে। তাই আর নির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।”

    আর পড়ুন: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    তিনি বলেন, “মানুষ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার ফলও বেরিয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্ঘের কোনও যোগ নেই।” বলেন, “প্রতিটি নির্বাচনে সঙ্ঘ জনমত পরিশুদ্ধ করে, যেমন এই নির্বাচনেও করেছিল। যদিও ফলের কোনও বিশ্লেষণ সঙ্ঘ করেনি।” ভাগবত বলেন, “সঙ্ঘ সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলে। কখনও তার সীমা ছাড়িয়ে যায় না (Mohan Bhagwat)।”

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Election Result 2024) বিচারে জঙ্গিপুর বিধানসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। এই বিধানসভায় ২০২১ সালে তৃণমূলের হয়ে জয়যুক্ত হয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেই সময় ৯২৪৮০ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি। এইবার লোকসভায় তৃণমূলকে পেছনে ফেলে ‘লিড’ দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ২৯টা আসন পেয়েছে তৃণমূল, আবার এই জঙ্গিপুর লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভায় ধরাশায়ী হয়েছে ঘাস ফুল। কিন্তু এই বিপর্যয়ের কারণ কী? দলের কোন্দলে এমনটা ঘটেনি তো? প্রশ্ন অনেক উঠছে।

    কত ভোটে এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)?

    এই লোকসভা কেন্দ্রে ৮টি অঞ্চল ও জঙ্গিপুর পুরসভা মিলিয়ে ৩২৬৬ ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে মুসলিম ভোট ৫৪ শতাংশ। এমনটা অবশ্য অতীতে কখনও ঘটেনি। তৃণমূলের স্থান এখানে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী। বিজেপি এখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রায় ১৬৪০০ ভোট বেশি পেয়ে বাজিমাত করেছে। পাল্টা তৃণমূল নিজের জয়ী বিধানসভায় পিছিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, মির্জাপুরে ১৬৬০, দফরপুরে ৮০০, কানুপুরে ১৪০০ এবং রানীনগরে ২৩৭৪ ভোটে এগিয়ে থাকলেও রঘুনাথগঞ্জের জামুয়ার, জরুর, সুতির আহিরণ ও বংশবাটীতে একচেটিয়া ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি। আবার জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে রঘুনাথগঞ্জ শহরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সুতি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেরাজুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, “এই এলাকায় ৬টি অঞ্চল রয়েছে। তার দু’টি হল জঙ্গিপুর বিধানসভার অন্তর্গত। আমাকে বলা হয়েছিল এই দুই অঞ্চল বিধায়ক ও ব্লকের সভাপতিরাই দেখবেন।” আবার তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলছেন, “দলের পক্ষ থেকে এলাকার প্রাপ্ত ভোট (Election Result 2024) নিয়ে বিশ্লেষণ করব আমরা। আর তা করলেই সামনে আসবে সব তথ্য। কাদের বিরোধিতায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হয়েছে তা আমরা দেখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 18th Lok Sabha: রাত পোহালেই শপথ প্রধানমন্ত্রীর, সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে?

    18th Lok Sabha: রাত পোহালেই শপথ প্রধানমন্ত্রীর, সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্চ মাসে হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা। তার পরেই দেশজুড়ে জারি হয়ে গিয়েছিল আদর্শ আচরণ বিধি। এই বিধির গেরোয় প্রায় আড়াই মাস থমকে গিয়েছিল উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। রবিবার ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন এনডিএর সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পর দ্রুত শুরু হয়ে যাবে নয়া সংসদের অধিবেশন (18th Lok Sabha)।

    কবে শুরু অধিবেশন (18th Lok Sabha)

    জানা গিয়েছে, ১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে অষ্টাদশ লোকসভার অধিবেশন। প্রথা অনুযায়ী অধিবেশন তলব করার আগে নির্বাচন করতে হবে স্পিকার। সূত্রের খবর, এই কাজটি এনডিএ সারতে পারে সোমবারই। এদিনই লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশন ডাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন যেদিন বসবে, সেদিনই নয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে সাংসদদের পরিচয় করিয়ে দেবেন নয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ১৫ জুন শুরু হওয়া লোকসভা অধিবেশন (18th Lok Sabha) চলতে পারে ২২ জুন পর্যন্ত। যেহেতু এবার লোকসভা নির্বাচন ছিল, তাই বাজেট নয়, পেশ হয়েছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। এই অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে পারে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর।

    সরকার গড়ছে এনডিএ

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হয়েছে পয়লা জুন। ফল প্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। নির্বাচন হয়েছিল লোকসভার ৫৪৩টি আসনে। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ঝুলিতে গিয়েছে ২৯৩টি আসন। সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। তার চেয়েও বেশি সাংসদের সমর্থন থাকায় সরকার গড়ছে এনডিএ। সাংসদ ভাঙানোর খেলায় ব্যর্থ হয়ে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’।

    আর পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ অনুষ্ঠান, বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে রাজধানী

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতিভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র পেশ করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে ভেঙে যায় মন্ত্রিসভা। ৫ জুন সেই মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার পর নয়া প্রধানমন্ত্রী শপথ নেবেন ৯ জুন। তার আগে শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পরেই মোদিকে শপথ গ্রহণের জন্য ডেকে পাঠান রাষ্ট্রপতি (18th Lok Sabha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prashant Kishor: “ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী আর করব না”, ঘোষণা পিকে-র

    Prashant Kishor: “ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী আর করব না”, ঘোষণা পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। বিভিন্ন দলকে নির্বাচন সংক্রান্ত পরামর্শও দেয় তাঁর সংস্থা ‘আই প্যাক’। কোন দল কত আসন পাবে তার ভবিষ্যদ্বাণীও করেন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে তিনি যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তা মেলেনি। হিসেবে যে তাঁর ভুল হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। তাই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (Prashant Kishor) ঘোষণা করলেন ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী আর করবেন না তিনি।

    কী বলেছিলেন পিকে? (Prashant Kishor)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। ২১ মে পঞ্চম দফার নির্বাচন শেষে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “বিজেপি যতই ৪০০ পার করার কথা বলুক, আমার মনে হয় না তা সম্ভব। সেটা করতে হলে বিজেপিকে ৩৭০টি আসনে জিততে হবে। সেটা ওরা পারবে না। তবে আমার মনে হয়, বিজেপি ২৭০ এর নীচেও নামবে না। আমার মতে ওরা ২০১৯ সালের ফলই বজায় রাখবে।” পিকের সেই প্রেডিকশান মেলেনি। ২৪০টি আসন পেয়েছে বিজেপি। পিকে (Prashant Kishor) বলেন, “হ্যাঁ, আমি ভুল করেছি। আমার মতো বাকি ভোটকুশলীরাও পুরোটা ভুল ভেবেছে। আমি সেই ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি।”

    বড় ঘোষণা ভোটকুশলীর

    লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর তিনদিন পরে ভোট কুশলী বলেন, “আমি আর নির্বাচনের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা নিয়ে কখনও কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করব না। আমি আমার বিশ্লেষণ জানিয়েছিলাম। আজ আমি ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করছি, আমার বিশ্লেষণে ভুল ছিল। শুধু ভুলই নয়, ২০ শতাংশ নম্বরের ফারাকও ছিল।”

    আর পড়ুন: “মৃত্যুকে সর্বদা মনে রাখা উচিত, মরবার পর কিছুই থাকবে না।”

    পিকের নিজের একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। দলের নাম ‘জন সুরাজ পার্টি’। এই দলের প্রধান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ভোটকুশলীও। পিকে বলেন, “আমার কাজ রণকৌশল ঠিক করা। ভোটের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী আমি সাধারণত করি না। এবারও করা উচিত হয়নি। গত দুবছরে এনিয়ে দুবার আমি নম্বর নিয়ে মাথা ঘামানোর ভুল করলাম। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে করেছিলাম। আর এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। তবে নম্বরটুকু বাদ দিলে দেখবেন, আমি যা বলেছিলাম, তাতে কোনও ভুল ছিল না (Prashant Kishor)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: কেন্দ্রে ফিরছে এনডিএ সরকার, ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদিই

    Lok Sabha Elections 2024: কেন্দ্রে ফিরছে এনডিএ সরকার, ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট (Lok Sabha Elections 2024)। বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’ রয়েছে ঢের দূরে। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২২৭টি আসনে। লোকসভায় নির্বাচন হয়েছে ৫৪৩টি আসনে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসনের। গেরুয়া পার্টি যা পেতে চলেছে বলে ভোটের ফল গণনার ট্রেন্ড বলছে।

    পদ্ম-পার্টির জয়জয়কার (Lok Sabha Elections 2024)

    ৪ জুন সকালে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল গণনা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে জয়জয়কার হতে চলেছে পদ্ম-পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। প্রত্যাশিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য বসবেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। যদিও এবার সংসদে তাঁকে দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে হবে শক্তিশালী বিরোধীদের। কারণ গণনার ট্রেন্ড (Lok Sabha Elections 2024) বলছে শ’খানেক আসন পেতে পারে কংগ্রেস একাই। এদিন বেলা ১টা নাগাদ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৯৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৫২টি আসন।

    বিজেপির জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা

    এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘আব কি বার ৪০০ পার’। ৪০০ পার যে হচ্ছে না, তা জানিয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষা। তবে পদ্ম-পার্টি যে গতবারের মতো এই নির্বাচনেও তিনশোর কাছাকাছি আসন পাবে, তা বলেছিলেন ভোট কূশলী তথা জন সুরাজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। দেশের মধ্যে লোকসভার সব চেয়ে বেশি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সংসদে এ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন ৮০ জন সাংসদ। গত লোকসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। জয়ী হয়েছিল ৬২টি আসনে। এবার পদ্ম-পার্টি এগিয়ে মাত্র ৩৬টি কেন্দ্রে।

    আর পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর শক্তি বাড়িয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। তার প্রমাণ, এবার তারা এগিয়ে ৩৩টি আসনে। উনিশের ভোটে এ রাজ্যের একটি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছিল কংগ্রেসের হাতে। এবার শক্তি বেড়েছে তাদেরও। গণনার ট্রেন্ড বলছে তারা জিততে পারে ৮টি আসনে। বারাণসী কেন্দ্রে জয়ের পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ইন্ডি জোটে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এই জোটেই রয়েছে তৃণমূলও। পশ্চিমবঙ্গে এই দলটি এগিয়ে রয়েছে ২৯টি আসনে। উনিশের নির্বাচনে ঘাসফুল ফুটেছিল এ রাজ্যের ২২টি কেন্দ্রে। এবার ফুটতে পারে ২৯টি কেন্দ্রে। তবে তাতেও শেষ রক্ষে হবে না। কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরছেন মোদিই। ছুঁয়ে ফেলবেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রেকর্ড (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Polls 2024: দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে ভোট গণনা, কেমন হয় পুরো প্রক্রিয়া?

    Lok Sabha Polls 2024: দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে ভোট গণনা, কেমন হয় পুরো প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৪ জুন। দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Polls 2024) ফল গণনা। গণনা শুরু সকাল ৮টায়। গণনা হবে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের ফলও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হতে শুরু করবে, কেন্দ্রের রাশ কার হাতে যাবে। বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির তখতে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। মুম্বইয়ের সাট্টা বাজারের বুকিদের দাবিও তাই। কয়েকটি সংস্থার এক্সিট পোলের দাবি, দিল্লির রাশ থাকবে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র হাতে। তবে গণনার ফলই বলে দেবে শেষতক দিল্লি যাবে কার দখলে।

    কড়া নিরাপত্তায় স্ট্রংরুম (Lok Sabha Polls 2024)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Polls 2024) হয়েছে সাত দফায়। ভোট শুরু হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। শেষ দফার নির্বাচন হয়েছে পয়লা জুন। ভোটগ্রহণ-পর্ব শেষে স্টোররুমে রাখা হয়েছে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট। এই স্টোররুমকে বলা হয় স্ট্রংরুম। জোড়া তালার পাশাপাশি এই স্ট্রংরুমজুড়ে করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার। এবার নির্বাচন হয়েছে দেশের ৫৪৩টি আসনে। সকাল আটটায় শুরু হবে গণনা। প্রার্থী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খোলা হয় স্ট্রংরুমের সিলড তালা। তালা খোলার সময় উপস্থিত থাকেন রিটার্নিং অফিসাররা এবং নির্বাচন কমিশনের তরফে নিযুক্ত স্পেশাল পর্যবেক্ষক। পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিও করা হয়।

    কাউন্টিং টেবিলে ইভিএম

    সিসিটিভির নজরদারিতে কাউন্টিং টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয় ইভিএম। প্রতিটি কন্ট্রোল ইউনিটের একটি মৌলিক আইডি নম্বর থাকে। সিলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় সেই নম্বর। কন্ট্রোল ইউনিটে চাপ দিলেই ইভিএমে দেখা যাবে কোন প্রার্থীর পাশে কতগুলি ভোট পড়েছে। গণনার শুরুতেই হয় পোস্টাল ব্যালট কাউন্টিং। পোস্টাল ব্যালট গণনার পর শুরু হয় ইভিএমের ভোট গণনা। কোন আসনে কে এগিয়ে, পিছিয়েই বা কে তা বোঝা যেতে পারে সকাল ন’টা থেকেই।

    আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    প্রশ্ন হল, গণনাকেন্দ্রে কারা ঢুকতে পারেন? জানা গিয়েছে, প্রার্থী, তাঁদের ইলেকশন বা কাউন্টিং এজেন্ট, ভোটের ডিউটিতে থাকা পাবলিক সার্ভেন্ট অথবা নির্বাচন কমিশনের অথোরাইজড কোনও ব্যক্তি ঢুকতে পারবেন গণনা কেন্দ্রে। গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যায় না। ভোটের ফল নিয়ে কোনও প্রার্থী কিংবা তাঁর এজেন্ট সন্তুষ্ট না হলে পুনর্গণনার দাবি জানাতে পারেন। গণনা শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ডেটায় চোখ বোলান রিটার্নিং অফিসার। তার পরেই ঘোষণা করেন বিজয়ী প্রার্থীর নাম (Lok Sabha Polls 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বের হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ফল। ভোট গণনাকেন্দ্রে হিংসা রুখতে বেনজির নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে নির্দেশ, কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও নিরাপত্তা দিতে হবে। কাউন্টিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই।

    নিরাপত্তার ব্যবস্থা (Lok Sabha Elections 2024)

    সব দলের কাউন্টিং এজেন্টই যাতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পান, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। সোমবার বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের ভোটগণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়েই বসেছিল বৈঠক। কমিশনের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব লোকসভা কেন্দ্রের ডিইও, সিপি কিংবা এসপিরা (Lok Sabha Elections 2024)। সেই বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকার কথা।

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজর

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ৪ জুন ভোটগণনা মিটে গেলেও, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তার পরেও আরও দু’দিন। এদিন কমিশনের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি চায় না নির্বাচন কমিশন। গণনা চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তাই গণনাকেন্দ্রে বাড়তি জেনারেটরের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    আর পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গণনা চলাকালীন নন্দীগ্রামে আচমকাই লোডশেডিং হয়ে যায়। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। শুভেন্দুর কাছে গোহারা হারেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। যদিও প্রথমে তাঁকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে অবশ্য শুভেন্দুকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। এনিয়ে মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে পরে কলকাতার একটি কেন্দ্রে জিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা। এদিন ঘণ্টাখানেকের এই বৈঠকে উঠে আসে নন্দীগ্রামের গণনাকেন্দ্রে লোডশেডিংয়ের প্রসঙ্গও। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনারের মুখেই উঠে আসে ওই প্রসঙ্গ। তার পরেই দেওয়া হয় গণনাকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার ছবির কথা বলব। রাজনীতির কথা বলব না।” পয়লা জুন, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর কথাগুলি বললেন অভিনেতা কাম রাজনীতিক বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন,  ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই”।

    ভোটের লাইনে মিঠুন

    বেলগাছিয়ার ২৪৮ নম্বর বুথের ভোটার মিঠুন। সকালেই চলে যান বুথে। লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো। ঠায় চল্লিশ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। যদিও তাঁকে এগিয়ে গিয়ে আগে ভোট দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন লাইনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন ভোটার। তবে এই সুযোগ নিতে রাজি হননি এই অভিনেতা-রাজানীতিক। এদিকে, রূপোলি পর্দার ‘মহাগুরু’কে হাতের কাছে পেয়ে যথারীতি এল সেলফি তোলার আবেদন। মিঠুন তাতে রাজি হলে বাধ সাধেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তৃণমূলের দেবিকা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করছেন মিঠুন। ততক্ষণাৎ অভিনেতা-কাম রাজনীতিক (Mithun Chakraborty) বলেন, “আমি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আমি কাউকে চিনি না।”

    কী বললেন অভিনেতা-রাজনীতিক?

    এর পরেই বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “নির্বাচনের ডিউটি ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। দলের নির্দেশ ছিল। আমি পূরণ করেছি। এবার আমার কাজ হল পেশাগত জীবনে চলে যাওয়া। শনিবার থেকে আমি আমার পেশাগত জীবনে ঢুকছি। এদিন থেকেই আমি ছবির কাজ করব।” পদ্ম শিবিরের এই তারকা রাজনীতিক বলেন, “আমি কোনও সময় দুটো কাজ এক সঙ্গে করি না। তাই এবার থেকে ছবির কথা বলব, রাজনীতির কথা নয়।”

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি আয়োজিত ব্রিগেডের জনসভায় ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মিঠুন হাতে তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তার আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। পদ্ম-পার্টিতে যোগ দিয়েই জোর কদমে জনসভা করতে শুরু করেন মিঠুন। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সময় এক এক দিনে মিঠুন সভা করেছিলেন চার-পাঁচটি করে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে সভা-সমাবেশ-মিছিল এবং রোড-শো করেছেন মিঠুন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কম। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবার তুলনামূলকভাবে কম সভা করেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেছিলেন বিরোধীরা। তবে অস্ত্র প্রয়োগের সঠিক কৌশল না জানলে যে সেটি বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে, তা বোধহয় জানা ছিল না ইন্ডি জোটের নেতাদের! বিরোধীদের সেই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু হাতিয়ারই করলেন না, বিধোধীদের অস্ত্রেই কুপোকাত করলেন তাঁদের। হেঁয়ালি ছেড়ে আসা যাক খবরে।

    ‘ইন্ডি’র হাতিয়ার (PM Modi)

    দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ-পর্ব। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই জোটের নেতারাই বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেছেন, কেন্দ্রে ফের মোদি সরকার এলে বিপন্ন হবে সংবিধান। এই সংবিধান রক্ষার্থেই ইন্ডিয়া ব্লককে ভোট দেওয়া প্রয়োজন বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডি জোটের বিভিন্ন নেতা।

    পাল্টা বাণ মোদির

    বিরোধীদের এই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সেটি পাল্টা ছুড়েছেন বিরোধীদের দিকেই। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনারা যদি প্রকৃতই সংবিধান বাঁচাতে চান, গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, চান ওবিসিদের সংরক্ষণ, তাহলে আপনাদের উচিত বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” কর্নাটকে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “কীভাবে সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হল?”

    কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বড় খোলসা

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মেলে কলকাতা হাইকোর্কের রায়েই। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই ২০১০ সালের পর পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলিকে ‘অবৈধ’ তকমা সেঁটে দিয়ে তা বাতিল করে দেয় উচ্চতর আদালত। আদালতের এই রায়কেও হাতিয়ার করে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেসের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির জানান, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় ১৭৯টি শ্রেণির নাম রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি শ্রেণিই মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত।

    আর পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    রাহুল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধানকে দুর্বল করে দেওয়ার কথা বলছেন, তখনও তাকেই ‘বাণ’ হিসেবে বিরোধীদের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা (কংগ্রেস) ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে সংবিধানকে অপমান করতে চায়। কিন্তু আমি তাদের বলতে চাই, যতদিন আমি বেঁচে থাকব, আমি তাদের দলিত, এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণের ভাগ কমিয়ে মুসলমানদের দিতে দেব না। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে দেব না।”

    উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক জনসভায়ও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিরোধীরা মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনতে সংবিধান বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অন্যত্র তিনি বলেছিলেন, “ইন্ডি জোটের নেতারা সংবিধান বদলে দেবে। তারা আবার নতুন করে সংবিধান লিখবে। ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share