Tag: Elections 2024

Elections 2024

  • ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে একশো শতাংশ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন (ECI)। অযাচিতভাবে নির্বাচনে নাক গলানোয় এবার সাসপেন্ড করা হল এক আইপিএস অফিসারকে। এই আধিকারিকের নাম ডিএস কুট্টে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কুট্টে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের স্পেশাল সেক্রেটারি। তিনি ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। অ্যাডিশনাল ডিজি পদমর্যাদার অফিসার তিনি।

    কমিশনের নির্দেশ (ECI) 

    কমিশনের (ECI) নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সচিব ডিএস কুট্টেকে নির্বাচন পরিচালনায় অযথা হস্তক্ষেপের জন্য প্রাসঙ্গিক পরিষেবা বিধির আওতায় সাসপেন্ড করা হবে। কমিশন জানিয়েছে, কুট্টের সদর দফতর ওড়িশার রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে ২৯ মে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, ওড়িশার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুট্টেকে চার্জশিটের খসড়া সরবরাহ করবেন এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ৩০ মে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা বিধি অনুসারে চার্জশিটের ব্যবস্থা করবেন।

    কুট্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, গত মাসে কুট্টের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে বিজু জনতা দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। দ্রুত তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি কল ডিটেলস রেকর্ড পুনরুদ্ধার করার দাবি জানানো হয়। এদিকে, আর এক আইপিএস অফিসার আশিস সিংহকেও মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। গত ৪ মে থেকে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন তিনি। ৩০ মে-র মধ্যে তাঁকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাজিরা দিতে হবে। ভুবনেশ্বরের এইমসে এই পরীক্ষা হবে, পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। আশিস ২০১০ ব্যাচের আইপিএস।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, গত ২৭ মে সিইওর তরফে অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে এই দুই আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, খোরধা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রার্থী প্রশান্ত জগদেবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার একটি বুথে ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে (ECI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মাস দুয়েক ধরে কার্যত চষে বেড়িয়েছেন গোটা দেশ। শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রচার। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। মাঝের এই সময়টাকেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানের জন্য বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কেন কন্যাকুমারীকে বাছলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৩০ মে থেকে তিনদিনের জন্য এখানে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতে একটি পাথর রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্য এই পাথরের ওপর এক পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তপস্যা করেছিলেন কুমারী পার্বতী। তাই এই এখানকার নাম কন্যাকুমারী। ১৮৯২ সালে এই প্রস্তরখণ্ডের ওপর বসে তিনদিন ধরে তপস্যা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে তিনি গিয়েছিলেন ওই পাথরে। পরবর্তীকালে এই প্রস্তরখণ্ডের নাম হয় বিবেকানন্দ রক। ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু এটি (PM Modi)। এবার সেই একই পাথরের ওপর বসে তিনদিন ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করেছেন আগেও

    ২০১৪ সালের প্রচার শেষেও (এই বছরই কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার) প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন শিবাজির প্রতাপগড়ে। এখানেই শিবাজির সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল আফজল খাঁর। উনিশের নির্বাচনের প্রচারের শেষে তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথের এক গুহায় ধ্যান করতে। এবার যাবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।

    আর পড়ুন: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ পাথর। পাথরটির চারদিকে খেলা করছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঊর্মিমালারা। সেখানেই রয়েছে ‘ধ্যান মণ্ডপম’। এই মণ্ডপেই ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে দিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরমাত্মা। কীভাবে সেই কাজ তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, তা তিনি জানেন না।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই পরমাত্মার সঙ্গে যোগসাধন করতেই ধ্যানমগ্ন হবেন ‘ঋষি’-প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতেই মিশেছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গায় ধ্যানমগ্ন হয়ে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তাও দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় প্রথম রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গল-সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে সূচনা হয়েছিল যে যাত্রার, সেই যাত্রাই শেষ হল আড়াই কিলোমিটার দূরে স্বামীজির বাড়ির সামনে গিয়ে, বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে এদিন রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই চলল প্রধানমন্ত্রী যান (PM Mod)

    রাজ্যের আরও আটটি আসনের সঙ্গে এই কেন্দ্রেও নির্বাচন হবে পয়লা জুন, সপ্তম তথা শেষ দফায়। রোড-শো শুরুর সময় প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান সৈনিক – রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত-ও। রোড-শো শুরু হতেই তাপসকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে চলে যান শুভেন্দু। যাত্রা পথের (PM Modi) পুরোটা জুড়েই ছিল ফুল ছড়ানো। সেই ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই ধীর লয়ে এগিয়ে চলে প্রধানমন্ত্রীর যান। প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেছিলেন লাখো জনতা। তাঁরা কেউ স্লোগান দিয়েছেন জয় শ্রীরাম, কাউকে আবার বলতে শোনা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হাতজোড় করে প্রণামও করতে দেখা গেল একজনকে।

    প্রধানমন্ত্রীর উদারতা

    রোড-শো শুরুর আগে বাগবাজারে সারদা দেবীর বাড়িতে গিয়ে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেন মহারাজদের সঙ্গে। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসাদী শাল, ধুতি, চাদর, বই, সারদা মায়ের ছবি এবং নির্মাল্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হয়ে সভা করতে আসায় যারপরনাই খুশি তাপস। বলেন, “এ হল প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এত বড় নেতা, দেশের নেতা, উনি আমার জন্য প্রচার করতে এসেছেন।” রোড-শোয়ের আগে এদিন নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সেখানে বলেন, “আগে আপনাদের বলেছিলাম না, না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। কথা রেখেছি। গত দশ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হতে দিইনি। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বলছি, যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বের করে দেব। আর যাদের থেকে খেয়েছে, তাদের সব ফিরিয়ে দেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের কাছে যে নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে, সেই সব টাকার হিসেব হবে। কীভাবে ফেরত পাবেন, তা আমি দেখছি। আইন তৈরি করে সেই টাকা ফেরত দেব (PM Modi)।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বারাণসীতে বিজেপির তারকা প্রচারকের ভিড়

    Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বারাণসীতে বিজেপির তারকা প্রচারকের ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বারাণসীর দু’বারের সাংসদ। এবারও বিশ্বনাথ ‘ধামে’ বিজেপির প্রার্থী তিনিই। সেই নরেন্দ্র মোদিকে বারাণসী কেন্দ্রে রেকর্ড ভোটে জেতাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপির তারকা প্রচারকের দল (Lok Sabha Elections 2024)। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে বারাণসীতে। সোমবার বিশ্বনাথের রাজ্য জয়ে বারাণসীতে ভিড় গেরুয়া পার্টির হেভিওয়েট নেতাদের। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন তামিল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন জয়শঙ্কর। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী বলেন (Lok Sabha Elections 2024), “বিশ্ব দেখবে, আগামী ৪ জুন ভারতে মোদি ৩.০ সরকার গঠন হবে। বারাণসী নিজেই দেশের পুরো জনগণকে একটি বার্তা দিচ্ছে যে আগামী ৪ জুন তৃতীয়বারের মতো একটি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গঠিত হবে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “আজ সারা বিশ্ব ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে আলোচনা করছে, যা দেশবাসীর জন্য গর্বের। আজ ভারতের ছবি ও সুনাম সারা বিশ্বে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, মোদির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।”

    বিদেশনীতিতে নয়া দিগন্ত

    জয়শঙ্কর বলেন, “মোদির নেতৃত্বে ভারত তার বিদেশনীতিতে নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে এবং গতিশীল হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।” জয়শঙ্কর যখন বারাণসীর তামিল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মত বিনিময় করছিলেন, তখন যাদব অধ্যুষিত সীর গোবর্ধনপুর এলাকায় জনসভা করছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক নানা কাজকর্মের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

    আর পড়ুন: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    এই সময়সীমায় দেশ কীভাবে এগিয়েছে, কীভাবেইবা বিশ্বের দরবারে ভারতের স্থান উঁচুতে হয়েছে, তা-ও জানান মোহন। এদিনই সিটি সাউথ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃতা দেন ব্রজেশ। মোদি সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কাজকর্মের ফিরিস্তিও দেন তিনি। পরে বিজেপির এই তারকা প্রচারক দল বারাণসীর বিভিন্ন অংশে গিয়ে মত বিনিময় করেন ভোটারদের সঙ্গে।

    এদিকে, রবিবারই বারাণসীতে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং জয়শঙ্কর। নাড্ডা বলেন, “বারাণসী মোদির পরিবার। বারাণসীর বাসিন্দারা দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছেন (Lok Sabha Elections 2024)।” আজ, সোমবার বারাণসীতে বিশাল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Polls 2024: রেকর্ড ভোট অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে, কত শতাংশ জানেন?

    Lok Sabha Polls 2024: রেকর্ড ভোট অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে, কত শতাংশ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড ভোট পড়ল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Polls 2024)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হয়েছে এই আসনে। দিনের শেষে দেখা গিয়েছে মতদান করেছেন ৫৩ শতাংশ ভোটার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল মাত্র ৯ শতাংশ। এবার ভোটদানের হার বাড়ল ৬ গুণ।

    রেকর্ড ভোট (Lok Sabha Polls 2024)

    এদিন বেলা তিনটের মধ্যেই এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে গিয়েছিল ৪৫ শতাংশ। বেলা ১টার মধ্যে ভোট পড়েছিল ৩৫ শতাংশ। রাজৌরির বুদ্ধল এলাকায় ভোট পড়েছে ৬৮ শতাংশ। কুলগাম বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৩৪ শতাংশের কিছু বেশি। সামগ্রিকভাবে অনন্তনাগ, কুলগাম, সোপিয়ান এবং পুলওয়ামার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায়। বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই দুই জেলায় ভোট পড়ে যায় (Lok Sabha Polls 2024) ৬৫ শতাংশ।

    ভোটারদের উৎসাহ 

    জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা আসনে নির্বাচন হয়েছে পাঁচ দফায়। ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রে। এর আগে বেশি ভোট পড়েছিল শ্রীনগর ও বারামুল্লায়। শতাংশের হিসেবে এই দুই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৫৯। রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় ভোটারদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। উনিশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৩.৯৩ লাখ। সেটাই এবার বেড়ে হয়েছে ১৮.৩৬ লাখ। এর মধ্যে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন ভোটারের সংখ্যা ৮১ হাজার। এই লোকসভা কেন্দ্রে কাশ্মীরি পণ্ডিত ভোটার ছিলেন প্রায় ২৫ হাজার।

    আর পড়ুন: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী হাসনেইন মাসুদি। তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৪০ হাজার ১৮০টি ভোট। যদিও ভোটারের সংখ্যা সেবার ছিল ১৩ লাখের কিছু বেশি। ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৯ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনের পরেই ভূস্বর্গে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বাড়ল ভোটদানের হার। অথচ ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ২৮ শতাংশ। এই কেন্দ্রে সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল ১৯৮৪ সালে, ৭০ শতাংশ। আর সব চেয়ে কম ভোট পড়েছিল ১৯৮৯ সালে, মাত্র ৫ শতাংশ। বর্তমানে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলা অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলেই এটা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৬৭ সাল থেকে ২০২২ সালের আগে পর্যন্ত ভূস্বর্গে হয়নি সীমানা পুনর্বিন্যাস। ৩৭০ জারি থাকায় ওই কাজ হয়নি। উনিশে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ (Lok Sabha Polls 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: “৪০০ পার নিছক স্লোগান নয়…”, সাক্ষাৎকারে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “৪০০ পার নিছক স্লোগান নয়…”, সাক্ষাৎকারে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই বলেছিলেন চলতি লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবার প্রধানমন্ত্রীর সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) মুখেও।

    ৪০০ আসন পার… (Rajnath Singh)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পাবে।” শনিবারই দেশে হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভোট হয়েছে ৫৮টি আসনে। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপির অন্য শীর্ষ নেতারাও প্রত্যয়ী, এবার ৪০০ আসন পাবে বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘অব কি বার, ৪০০ পার’। এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটা নিছকই আমাদের প্রচারের স্লোগান নয়, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। আজ, ষষ্ঠ (২৫ মে) দফার নির্বাচন শেষে আমরা খুবই কনফিডেন্ট যে ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাব আমরা।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    গত ১২ মে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Rajnath Singh) দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এবার পূর্ব ভারতেও বিজেপি দাপিয়ে বেড়াবে। যার জেরে এনডিএ অনায়াসেই ৪০০ আসনের লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে যাবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ভারতের প্রায় সব কেন্দ্রেই গিয়েছি। আমি বলতে পারি, বিজেপিতে অনেক রং যোগ করেছে বিহার। তাই এনডিএর যে ৪০০ পারের রেজ্যুলিউশন, তা অতিক্রম করবে এনডিএ। কেবল বিহার নয়, এ ছবি কমবেশি গোটা দেশের একই।”

    আর পড়ুন: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    এবারও উত্তরপ্রদেশের লখনউ আসনে লড়ছেন রাজনাথ। তিনি এই কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ। এক সময় এই আসনেই জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে বিজেপি। উনিশের নির্বাচনে তার চেয়ে বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে পদ্ম-পার্টি। রাজনাথকে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান মাথায় রেখে রাজনাথ ২০২০ সালেই ১০১টি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তার পরের বছরও ১০৮টি মিলিটারি অস্ত্র এবং সিস্টেম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajiv Kumar: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ”, বললেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ”, বললেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেহ সৃষ্টি করা কিছু মানুষের কাজ। তবে একথা বলতে পারি আমাদের সিস্টেম খুব স্ট্রং।” শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষে কথাগুলি বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি বলেন, “কেবল আজ বলতে আজ নয়, গত ৭০-৭২ বছর ধরেই সিস্টেম স্ট্রং রয়েছে।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জি খারিজ (Rajiv Kumar)

    গত পাঁচ দফার নির্বাচনে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয় এদিন। এরই একদিন আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  সংস্থার দাবি ছিল, প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়ছে, তা প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরের দিনই নির্বাচন কমিশনের কর্তার (Rajiv Kumar) এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটদানের হার জানাতে ডেটা ফরম্যাট করবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা থাকবে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা।

    কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। শেষমেশ শীর্ষ আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে।” এর পরেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি এ ব্যাপারে কোনও ভুল নেই। কোনও ভুল হতেও পারে না। তার পরেও কেন সন্দেহ দানা বাঁধবে? সেগুলো কীভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে? ভোট এবং ভোট-আবহের ওপর কীভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, কীভাবে আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি ডাইভার্ট হয়ে যাবে, তা সবার জানা প্রয়োজন। একদিন দেশবাসীকে আমরা এ ব্যাপারে সব বলব।”

    আর পড়ুন: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    কোনও একটি লোকসভা কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, তা শতাংশের হিসেবে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রতি দফায় প্রকৃতপক্ষে কত ভোট পড়েছে, কমিশন যাতে সেটাই জানায় সেই আবেদন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে কমিশনকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ওয়েবসাইটে ফর্ম ১৭-সি আপলোড করুন। এই ফর্ম পূরণ করলেই জানা যাবে প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়েছে (Rajiv Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।      

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক।” উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। এদিনের জনসভায় আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটকে। বলেন, “তারা (ইন্ডি) যদি ছড়িয়ে পড়ে, তবে গোটা ভারতকে ধ্বংস করে দেবে। ক্যান্সারের চেয়েও তিনটি রোগ দেশের পক্ষে মারাত্মক। এই রোগগুলি হল, এই লোকগুলো দারুণভাবে সাম্প্রদায়িক, এরা ভীষণভাবে বর্ণবাদী, এরা ভয়ঙ্করভাবে পরিবারবাদী।”

    বন্ধ করে দেবে জনধন অ্যাকাউন্ট! (Lok Sabha Elections 2024)

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হবে ২৫ মে, শনিবার। দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ৪৩০টি আসনে (Lok Sabha Elections 2024)। শ্রাবস্তীর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “শ্রাবস্তীর একটি সমৃদ্ধশালী এবং পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই জায়গা দর্শন করতে আসেন। তা সত্ত্বেও পূর্বতন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস কখনও এখানকার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়নি।” জনধন প্রকল্পে দেশে ৫০ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর। বলেন, “মোদি ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে খুলে দিয়েছে জনধন অ্যাকাউন্ট। তারা (বিরোধীরা) আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে। আপনার টাকা ছিনিয়ে নেবে।”

    আর পড়ুন: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    দুই ছেলের জুটি

    তিনি যে সামান্য একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মোদি কোনও রাজ পরিবার থেকে আসেনি। আমি এই মায়েদের মতো এক গরিব মায়ের সন্তান। আমি কারও জন্য কিছু অর্জন করতে চাই না। তবে আমি দেশকে এমন শক্তিশালী করতে চাই যে বংশবাদী দলগুলি যেন আর দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। এজন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।” কংগ্রেস-সমাজবাদী দলের জোটকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউপিতে ফের চালু হয়েছে দুই ছেলের (রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব) জুটি। একই পুরানো ফ্লপ ছবি, একই পুরানো চরিত্র, একই পুরানো সংলাপ। পুরো নির্বাচন শেষ হতে চলেছে, কিন্তু আপনি কী এই লোকদের কাছ থেকে একটিও নতুন কথা শুনেছেন (Lok Sabha Elections 2024)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সে ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (Prashant Kishor)।

    পেট্রোল-ডিজেল আসবে জিএসটির আওতায়! (Prashant Kishor)

    এবার তিনি জানালেন, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে পেট্রোল-ডিজেল চলে আসতে পারে জিএসটির আওতায়। পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনও হাতে পারে। পিকে বলেন, “মোদি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে ক্ষমতা ও সম্পদ আরও বেশি করে কেন্দ্রের অধীনস্থ থাকবে। রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করা হতে পারে।” ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এই ভোট কুশলী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ‘কাজ করেছিলেন’ তৃণমূলের হয়ে। পিকে বলেন, “বর্তমানে দেশের প্রতিটি রাজ্য তিনভাবে আয় করতে পারে। পেট্রোলিয়াম, আবগারি ও জমি।” তিনি বলেন, “আমি অবাক হব না যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার পেট্রোলিয়ামকেও জিএসটির আওতায় নিয়ে আসে।” প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘ দিনের। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এ ব্যাপারেই পদক্ষেপ করতে পারে মোদি সরকার।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    কী বললেন পিকে?

    পিকে (Prashant Kishor) বলেন, “উনিশের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৩০৩টি আসনে। এবারও তাদের আসন সংখ্যা থাকবে এর আশপাশেই। ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে কথা আমি বলে এসেছি। এখনও তাই বলছি।” ‘জন সুরাজ পার্টি’র সুপ্রিমো পিকে বলেন, “মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্তেই শুনিনি।” তিনি বলেন, “সাধারণভাবে সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ, হতাশা, অপূর্ণ আকাঙ্খার বহিঃপ্রকাশ না থাকলে ভোটের ফল শাসকের অনুকূলেই যায়।” সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিকে দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে তাদের সংগঠন বাড়াতে যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার ফলেই এমনটা হতে পারে বলেই দাবি পিকের (Prashant Kishor)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাটে উঠেছে ব্যালট। এখন ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে। কেবল বোতাম টিপেই পছন্দের প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের পক্ষে মতদান করা যায় (Lok Sabha Elections 2024)। প্রার্থী পছন্দ না হলে নোটা বোতামে চাপ দেন অনেকেই। এবার আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করে ভোট নেওয়ার এই যন্ত্র।

    ইভিএম (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘ইভিএম’ হল ‘ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন’। এর তিনটি ইউনিট থাকে। প্রথমটি ভোটিং ইউনিট বা ব্যালট ইউনিট। দ্বিতীয় ইউনিটটি হল ভিভি প্যাট মেশিন বা ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল। আর তিন নম্বর ইউনিটটি হল কন্ট্রোল ইউনিট। এই তিনটি ইউনিটের মধ্যে ব্যালট ইউনিট ও ভিভি প্যাট বসানো থাকে ভোট কেন্দ্রের ভিতর যে অংশটি চট দিয়ে ঘেরা থাকে, সেখানে। এই ঘেরাটোপের ভিতরে ঢুকেই ভোট দেন ভোটার। কন্ট্রোল ইউনিটটি থাকে পোলিং অফিসারের কাছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    জ্বলবে আলো

    ভোটারের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার পর পোলিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসার একটি বোতাম টিপলে ব্যালট ইউনিটটি অ্যাক্টিভেট হয়। অর্থাৎ ভোট গ্রহণের জন্য মেশিন প্রস্তুত। ভোটারকে এটা জানান দিতে একটা আলো জ্বলবে। এবার ভোটার তাঁর পছন্দের প্রার্থী ও তাঁর প্রতীকের পাশের বোতাম টিপবেন। পাশের ভিভি প্যাটের ভিতরে থাকা একটি কাগজে ওই প্রতীক ও প্রার্থীর নাম ফুটে উঠবে। এটি দেখার জন্য ভোটার সময় পাবেন মাত্র সাত সেকেন্ড। তার পর ফের ভিভি প্যাট এবং ব্যালট ইউনিট অন্ধকার হয়ে যাবে। অর্থাৎ স্লিপিং মোডে চলে যাবে মেশিন। পরের ভোটার এলে এবং পোলিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসার একটি বোতাম টিপলে আবারও সক্রিয় হবে মেশিন।

    একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারেন না

    মনে রাখতে হবে, ভোটার একবার কোনও বোতামে চাপ দেওয়ার পর আর যতবারই অন্য যে কোনও বোতামই টিপুন না কেন, মেশিন আর কাজ করবে না। কারণ ব্যালট ইউনিট ও ভিভিপ্যাটের জিয়ন কাঠি রয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে থাকা কন্ট্রোল ইউনিটের একটি বোতামেই। তাই বুথে ঢোকার আগেই ভোটারকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে তিনি কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে চান, নাকি নোটার বোতাম টিপতে চান। ইভিএম চলে ব্যাটারিতে। তাই হঠাৎ করে পাওয়ার কাট কিংবা লোডশেডিং হলেও, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না। ইভিএমে যে ডেটা জমা হয়েছে, তাও নষ্ট হবে না। এই ইভিএমের সঙ্গে ব্লু-টুথ, পেন ড্রাইভ, ইউএসবি পোর্ট বা ওয়াইফাই কানেকশনও করা যাবে না ইভিএমের কোনও ইউনিটের সঙ্গেই। অর্থাৎ ভোটারের ভোট সুরক্ষিত।

    কীভাবে জানবেন কোথায় পড়ল আপনার ভোট

    মনে রাখতে হবে, ইভিএমের তিনটি ইউনিট ইন্টার-কানেক্টেড থাকে ইভিএমের নিজস্ব পোর্ট দিয়ে। ইউনিটের পিছনে থাকে অন-অফ সুইচ। পোর্টেবল মোড আর ওয়ার্কিং মোড বাটন। কন্ট্রোল ইউনিটে বোতাম টিপলে সেখানে লাল আলো জ্বলবে। ব্যালট ইউনিটে জ্বলবে সবুজ আলো। ভোট দেওয়া হয়ে গেলে একটি শব্দ শুনতে পাবেন। ভিভিপ্যাটে চোখ রাখলেই দেখবেন সেখানেও জ্বলেছে আলো। একটি এটিএম কাগজের মতো কাগজ ঝুলছে, সেখানে ছাপা হয়েছে কোথায় পড়ল আপনার ভোট। ভোটার জানতে পারলেন, যে প্রার্থীর পক্ষে মতদান করেছেন তিনি, সেখানেই ভোট পড়েছে।

    মক পোল পর্ব

    নির্বাচন শুরু হয় সকাল সাতটায়। তার আগে চলে মক ভোট পর্ব। ইভিএম যে ঠিকঠাক আছে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদেরও। সমস্ত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা অন্তত ৫০টি ভোটের একটি মক পোলিং করেন। প্রত্যেকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সংখ্যাক ভোট দেন। নির্দল প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট না থাকলেও প্রিসাইডিং অফিসার পোলিং অফিসার নির্দল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেখে নেন। সব শেষে হিসেব মিলিয়ে দেখে নেওয়া হয় মোট পোলড ভোট আর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মিলছে কিনা। ইভিএমে কোনও ত্রুটি থাকলে, বদলে ফেলা হয় মেশিন।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    প্রশ্ন হল, এই নির্বাচনী মহাযজ্ঞের খরচ কত? একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটা ব্যালট ইউনিটের দাম ৭ হাজার ৯০০ টাকা, কন্ট্রোল ইউনিটের দাম ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ভিভিপ্যাটের দাম ১৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে নির্বাচন হবে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে। ভোটার রয়েছেন ৯৭ কোটি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এবার লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে খরচ হবে ১ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি ভোটের মূল্য ১ হাজার ৩১ টাকা। বিপুল পরিমাণ এই খরচ বহন করেন দেশবাসীই, ট্যাক্সের মাধ্যমে। তাই ভোট (Lok Sabha Elections 2024) না দেওয়াটা কোনও কৃতিত্বের কথা নয়। বুথে গিয়ে ভোট দিন পছন্দের প্রার্থীকে। মজবুত করুন বিশ্বের বহত্তম গণতন্ত্রের ভিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share