Tag: electric office

electric office

  • Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখি শহরের বিদ্যুৎ বন্টন দফতরে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপরও চড়াও হয়। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। শুধু অফিসে নয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। মাঝ রাতে আচমকা এই হামলার ঘটনায় দফতরের ঠিকা কর্মীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ১৯ মে থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ২১ মে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফলে, কয়েকদিন ধরে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মানুষ তা মেনে নিতে পারেননি। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে দল বেঁধে হানা দেন সোনামুখি বিদ্যুৎ দফতরে। তখন রাত ১২ টা। সেই সময় অফিসে কোনও কর্মী ছিলেন না। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা শ্রমিকরা কাজ সেরে অফিসে ফিরে আসেন। উত্তেজিত জনতা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। ঠিকা কর্মীরা আসতেই লোডশেডিং নিয়ে বচসা বাধে। বচসার মধ্যেই বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজন উত্তেজিত জনতা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। দফতরের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অফিসের দরজার কাচ, কিছু আসবাবপত্র। খবর পেয়ে সোনামুখি থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর রবিবার ভোররাতে প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    বিদ্যুৎ দফতরের বিষ্ণুপুর ডিভিশানাল ম্যানেজার অর্ক মুসিব বলেন, ওইদিন কালবৈশাখীর ফলে বেলিয়াতোড় এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে এই বিভ্রাট হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে প্রচুর সময় লেগে যায়। অবশেষে বিদ্যুৎ কর্মীদের লাগাতার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। তার আগে কিছু লোক সোনামুখী অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি এভাবে নষ্ট করে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। খনি অঞ্চল অন্ডাল, উখড়া পাণ্ডবেশ্বরের তাপমাত্রার পারদ দিনে দিনে ৪০ পেরিয়ে আজ ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত শফিক নগর এলাকার বাসিন্দারা। পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে বুধবার উখড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে (Agitation) সামিল হন এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন উখরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    প্রতিদিন রাতের দিকে নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাত দশটা থেকে রাত আড়াইটে পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিলে লোডশেডিং হওয়ায় চরম নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শেখ শওকত আলী নামে শফিক নগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বারবার লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গরমে লোড শেডিংয়ের জেরে রাতে ঘুমোতে পারছি না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বয়স্ক লোকজনদের চরম কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত উন্নত করার জন্য আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন (Agitation) চলবে। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    উখরা বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সব সময় সমস্যা থাকে এমন নয়। আমরা যতটা পারছি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের দাবিপূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ, অকারণে কোথাও লোডশেডিং করা হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share