Tag: electric vehicle

electric vehicle

  • PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডে’র সূচনা।” মঙ্গলবার গুজরাটে মারুতি সুজুকির বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle) ই-ভিটারার উৎপাদনের শুভারম্ভ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি। তাদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত এসইউভি ই-ভিটারার উৎপাদন শুরু করেছে। গুজরাটের হানসালপুর প্ল্যান্ট থেকে গাড়িটির প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গাড়িটির।

    ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় নয়া অধ্যায় (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং ভারতের জাপানি রাষ্ট্রদূত কেইচি ওনো। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের এই আবহে আজ ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় একটি নয়া অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। ভারত এখন মেক ইন ইন্ডিয়া ছাড়িয়ে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে ভারতে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি রফতানি করা হবে ১০০টি দেশে। এর সঙ্গে সঙ্গে হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেক্ট্রোলাইট উৎপাদনও আজ থেকে শুরু হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থামব না এবং ভারত সেমি-কন্ডাক্টর সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আগামী সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। মারুতি দিয়ে শুরু হওয়া যাত্রা এখন বুলেট ট্রেনে পৌঁছেছে। ২০ বছর আগে গুজরাট-জাপান সম্পর্ক এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।”

    ভারত-জাপান বন্ধুত্বে নয়া মাত্রা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের আবহে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব এক নয়া মাত্রা পেয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি আছে। ভারতের জনসংখ্যার সুবিধা আছে। আমাদের দক্ষ কর্মী রয়েছে। আজ সুজুকি জাপান ভারতে উৎপাদন করছে। এখানে তৈরি গাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে জাপানে। এটি কেবল ভারত ও জাপানের সম্পর্কের শক্তির প্রতীক নয়, বরং ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থার প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “এক অর্থে, মারুতি সুজুকির মতো (Electric Vehicle) কোম্পানিগুলি মেক ইন ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছে। এখন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে যে ইভিগুলি চলবে, সেগুলির গায়ে লেখা থাকবে – মেড ইন ইন্ডিয়া। আজ, সমগ্র বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এমন সময়ে কোনও রাজ্যেরই পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত প্রতিটি রাজ্যেরই। যার ফলে ভারতে আসা বিনিয়োগকারীরা এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে ভাবতে শুরু করেন যে – আমি কি এই রাজ্যে যাব নাকি ওই রাজ্যে (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনটি ভারতের আত্মনির্ভরতার অভিযাত্রা এবং সবুজ পরিবহণের কেন্দ্র হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। হানসালপুরের অনুষ্ঠানে ই-ভিটারা উদ্বোধন করা হবে। এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকল সম্পূর্ণভাবে ভারতে নির্মিত এবং এটি একশোরও বেশি দেশে রফতানি করা হবে। আমাদের ব্যাটারি ইকোসিস্টেমকে (Electric Vehicle) আরও শক্তিশালী করতে, গুজরাটের একটি কারখানায় হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেকট্রোড উৎপাদনও শুরু হবে (PM Modi)।”

  • Hindustan motors: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা!

    Hindustan motors: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া অবতারে হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)! পেট্রোল বা ডিজেল নয়, বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নষ্টালজিক এই গাড়ি।

    এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে। 

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় মানুষের পছন্দ। অ্যাম্বাসাডরের বদলে বাজারে চলে আসে কম দামে হালকা গাড়ি। কমে যায় অ্যাম্বাসাডরের চাহিদা।  বন্ধ হয়ে যায় হুগলি নদীর পারের কারখানা। শোনা যাচ্ছে, এই কারখানাই ফের চালু হবে। এখানেই আবারও তৈরি হবে কন্টেসা। তবে পেট্রোল বা ডিজেল নয়, এবার কন্টেসা ছুটবে বিদ্যুৎ শক্তিতে। জ্বালানির দর ক্রমবর্ধমান। প্রত্যাশিতভাবেই বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির মার্কেট। এই বাজার ধরতেই বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার ভাবনা কর্তৃপক্ষের।  

    আরও পড়ুন : নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    হিন্দুস্তান মোটর্সের এক কর্তা বলেন, ইউরোপীয় একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে হিন্দুস্তান মোটর্স। প্রথমে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার আনা হবে। পরে আসবে বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ি। কন্টেসা এলেও, অ্যাম্বাসাডর ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই নামে আর গাড়ি আনতে পারবেন না হিন্দুস্তান মোটর্স কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ ফরাসি গাড়ি সংস্থা পিজোকে ২০১৭ সালে ৮০ কোটি টাকায় এই গাড়ির সত্ত্ব বেচে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। তাই অ্যাম্বাসাডরের বদলে আটের দশকের প্রিমিয়াম গাড়ি কন্টেসাকেই নবকলেবরে বাজারে এনে ছোট গাড়ির বাজার মাত করতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। তবে গাড়িটি ঠিক কবে বাজারে আসবে, সে ব্যাপারে রা কাড়েননি হিন্দুস্তান মোটর্স কিংবা ইউরোপীয় সংস্থার তরফে কেউই। অতএব, শুরু অপেক্ষার প্রহর গোণা!

     

LinkedIn
Share