Tag: energy drinks

energy drinks

  • Tiredness: ‘লাঞ্চ ব্রেক’-এর পরেই কাজে অনীহা! কোন খাবারে দূর হবে দিনভর ক্লান্তি?

    Tiredness: ‘লাঞ্চ ব্রেক’-এর পরেই কাজে অনীহা! কোন খাবারে দূর হবে দিনভর ক্লান্তি?

    মাধ্যম ডেস্ক: সকাল থেকে একনাগাড়ে কাজ! এনার্জিও ভরপুর। কিন্তু দুপুরের সাময়িক বিরতি সব কিছু বিগড়ে দেয়।‌ লাঞ্চ ব্রেকের পরেই কাজের গতি কমে যায়। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ঝিমিয়ে থাকতে হয়। কথা বলা বা কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। যার ফলে তাদের কাজের জায়গায় যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হতে হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর অন্যতম কারণ ক্লান্তি! শরীরের পেশি, স্নায়ু এবং মস্তিষ্ক ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যায়। আর তার জন্যই কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। মনোযোগ নষ্ট হয় এবং কাজের গতিও শ্লথ হয়ে যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের (Food) তালিকায় সামান্য রদবদল পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।‌ দূর করতে পারে দিনভর ক্লান্তি। কিন্তু কী রদবদলের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা (Tiredness)?

    সঙ্গে থাকুক কয়েকটা খেজুর

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার মাঝে অনেকটা সময় বিরতি থাকলে শরীর বাড়তি ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যায়। সকালের জলখাবার এবং দুপুরে অফিসের লাঞ্চ ব্রেকের মাঝে অনেকটা বিরতি থাকে। এর ফলে অনেকের শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারপরে অনেকটা বেশি‌ পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেয়ে ফেললে কাজের গতি কমে যায়। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ বলেন, নিয়মিত সঙ্গে থাকুক কয়েকটা খেজুর। খেজুর সহজেই খাওয়া যায়, তাই কাজের ফাঁকে একটা খেজুর খেতে বেশি সময় নষ্ট হয় না। লাঞ্চ ব্রেকের আগেই তাই সহজেই খেজুর খাওয়া যায়। আর খেজুরে (Food) থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান রকমের খনিজ পদার্থ। এর ফলে এই খাবার মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে‌ বিশেষ সাহায্য করে। তাই ক্লান্তি বোধ দূর হয়।

    সপ্তাহে দুদিন এক চামচ ঘিয়ের তৈরি খাবার

    শরীর ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-র অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। পেশির নানান সমস্যাও বাড়ছে। আর তার ফলেই কাজের প্রতি মনোযোগ কমছে। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহ অন্তত দু’দিন এক চামচ ঘি-য়ে তৈরি সবজি লাঞ্চের মেনুতে থাকুক। তাঁরা বলেন, শরীরে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ সবচেয়ে সহজে পূরণ করে ঘি। তাই অন্তত দুদিন এক চামচ ঘি (Food) শরীরে পৌঁছলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। এর ফলে ক্লান্তি দূর হবে।

    কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের ব্যালান্স ডায়েট জরুরি

    তরুণ প্রজন্মের রোগা হওয়ার চাহিদা এবং তার জন্য অপরিকল্পিত ডায়েট ক্লান্তি বোধ (Tiredness) আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সারাদিন সম্পূর্ণ কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ হচ্ছে না। তার ফলেই ক্লান্তি বোধ বাড়ছে। মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকছে না। তাঁদের পরামর্শ, লাঞ্চে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। রুটি, ডাল, সবজি জাতীয় খাবার (Food), তার সঙ্গে সামান্য ফল থাকলে শরীর এনার্জি সহজেই পাবে। এতে ক্লান্তি বোধ কমবে।

    পর্যাপ্ত জল জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ক্লান্তি বোধ গ্রাস করে জলের ঘাটতি হলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বাইরে থাকলে খুব কম পরিমাণে জল খান (Food)। এর ফলে খাবার খাওয়ার পরেই শরীরের বিভিন্ন পেশির সক্রিয়তা আরও কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরের সমস্ত পেশি সক্রিয় থাকে। তখন ক্লান্তি (Tiredness) বোধ কম হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Coffee: মধ্যপ্রাচ্যের কফি ভারতে এল কীভাবে? জানুন সেই চমকপ্রদ ইতিহাস

    Coffee: মধ্যপ্রাচ্যের কফি ভারতে এল কীভাবে? জানুন সেই চমকপ্রদ ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফি এমন এক পানীয়, যা অবসর সময় হোক বা কর্মব্যস্ততা, সব কিছুরই সঙ্গী। মুহূর্তের মধ্যে রিফ্রেশমেন্ট নিয়ে আসার ক্ষমতা আছে এর। কফিকে সহজ ভাষায় একটি এনার্জি ড্রিংকও বলা যেতে পারে। কারণ এতে থাকে ক্যাফেনাইন নামক পদার্থ, যা আমাদের এনার্জিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাঙালির চা-এর আড্ডা কখনও কখনও কফির (Coffee) আড্ডাতেও পরিণত হয়। সেই কারণেই তো অনেকে ছুটে যান কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে।

    ভারতে কফি উৎপাদনের অবস্থান কী?

    ভারতে কিন্তু এই কফির (Coffee) আগমনের এক ইতিহাস আছে, যা অনেকেরই অজানা। আসলে এই পানীয় একটি মধ্যপ্রাচ্যের আভিজাত্য পানীয় হিসাবেই পরিচিত ছিল, যা আস্তে আস্তে সমগ্র বিশ্বে ও আমদের ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে সব থেকে বেশি কফি উৎপন্ন হয় দক্ষিণ ভারতে। মূলত পৃথিবীর সব থেকে বেশি কফি উৎপাদনকারী দেশ গুলি হল ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, কলম্বো, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া। এই দেশগুলির মধ্যে বাদ যায় না ভারতও। কারণ কফি উৎপাদনের দিক থেকে ভারতও অনেক বড় স্থান দখল করেছে বিশ্ব দরবারে। ২০১৫ অর্থবর্ষতে ভারতে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন ব্যাগ কফি উৎপাদন হয়েছিল। প্রত্যেক বছর ভারত থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কফি রফতানি হয় বিদেশের মাটিতে। ভারতে এই কফির প্রচলন কীভাবে শুরু হয়?

    ভারতে কীভাবে কফি উৎপাদন শুরু হয়? কী এর ইতিহাস?

    অনেক তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রথম ভারতে কফির আগমন হয়। এর আগে কফি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের একটি পানীয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে তুরস্ক এবং আশপাশের বিভিন্ন দেশে এই কফির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। 
    ভারতে কফির আগমন হয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে, যা শুনলে অনেকেই অবাক হন। শোনা যায়,১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে বাবাবুুদান নামক এক মুসলিম হজ যাত্রী মক্কা থেকে ফেরত আসার সময় নিজের দাড়িতে লুকিয়ে মোট সাতটি কফির (Coffee) বীজ ভারতে নিয়ে আসেন। এইভাবে নিয়ে আসার কারণ ছিল তখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কাঁচা কফির বীজ আনা ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ।  তাই ওই ব্যক্তি আরব থেকে এইভাবে কফি বীজ ভারতে নিয়ে  আসেন। ভারতে আসার পর কর্নাটকের চন্দ্রগিরি পাহাড় এলাকায় এগুলি রোপন করেন।  সেই সময় থেকে শুরু হয় ভারতের মাটিতে এই কফির চাষ।

    কফির বাণিজ্যিক বিক্রি কবে ও কারা শুরু করেন?

    ভারতে এই কফি জনপ্রিয় হওয়া এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন ওলন্দাজরা। ওলন্দাজরা সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারত দখল করেছিল। সেই সময় তারাই ভারতে কমার্শিয়াল ভাবে কফি (Coffee) বীজ রফতানি ও বিক্রি শুরু করে।

    ব্রিটিশ আমলেও কফি উৎপাদন থেমে থাকেনি, বরং পায় আরও বেশি জনপ্রিয়তা

    ব্রিটিশরা ওলন্দাজদের মতো কফির জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলতে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। উনবিংশ শতাব্দীর সময় ভারতে কফি চাষ আরও বেশি করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ভারতে কফি চাষের শুরু থেকে আরবিকা কফির উৎপাদন সব থেকে বেশি ছিল। কিন্তু এই কফি (Coffee) প্রচুর ব্যয়বহুল এবং উৎপাদনে পরিশ্রম ছিল অনেক বেশি। তাই ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকল এই আরবিকা কফি।  তাই উৎপাদন হতে শুরু করল রোবাস্টা কফি। এটি খেতেও যেমন স্ট্রং তেমন জনপ্রিয়তাও অর্জন করে বেশি।

    কফি বোর্ডের ইতিহাস

    এরপর ১৯০৭ সালে তৈরি হয় ভারতীয় কফি বোর্ড।  কফি নিয়ে শুরু হয় নানান গবেষণা।  ভারতীয়দের জন্য কফি (Coffee) কিভাবে আরও সস্তায় রফতানি করা যেতে পারে, তা নিয়েও শুরু হয় অনেক গবেষণা। ১৯৯৫ সালে কফির জনপ্রিয়তা যখন শীর্ষে পৌঁছে যায় তখন এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করে ভারতীয় কফি বোর্ড।  ভারতে অনেক কফি ব্র্যান্ড জন্ম নেয় এই সময়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share