Tag: Enforcement Directorate

Enforcement Directorate

  • SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ফের  ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। ইডি সূত্রে খবর, আজ ফের একইসঙ্গে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটাতে মঙ্গলবার তাপস মণ্ডলকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হলেন তাপস। এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢুকেছিলেন আর বেরোলেন, রাত তখন সওয়া ১১টা।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    ইডি সূত্রে খবর, এদিন কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাপসের দাবি, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। এ ছাড়া তাপসের দাবি, তাঁর পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। মঙ্গলবার সেই লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাপসকে নিজেদের দফতরে ডেকেছিল ইডি। শনিবার কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী দাবি করেছিলেন, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে, সেখানে দিনের পর দিন থাকতেন তাপস মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী তাপস মিশ্র। 

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গ্রেফতারের পরই  তাপস মণ্ডল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ধৃত যুবনেতা। জেরা পর্বে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি অফিসারদের ‘সেটিং’ করতে হবে এই মর্মে লক্ষাধিক টাকা কুন্তলের কাছে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যখন তাপসের অফিস ও বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল, ওই দিনও কুন্তলকে ফোন করে টাকা দাবি করেছিলেন তাপস। যদিও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এই কথা তাপস এড়িয়ে গিয়েছেন বলে ইডির অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের বিষয়াধীন একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কুন্তল ও তাপসের বয়ানে ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। এমনকি, তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি উত্তর। তাই ফের তলব করা হয়েছে তাপসকে। প্রয়োজনে কুন্তলকেও পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তারা হানা দিলেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে নিউটাউনে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে ইডির হানা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর এর পরেই উঠে আসে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম। তাপস মণ্ডল টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তলের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস তাঁদের জানিয়েছেন, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে পৌঁছেছে। তাপসের দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। এই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, মোট ২৬০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন! পিছিয়ে গেল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা

    আর এর পরেই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। গত বুধবার বিকেল ৩টের পর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তৃণমূলের যুবনেতা। এক ঘণ্টা থাকার পর বেরিয়ে যান। বুধবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তাপসের এক প্রতিনিধিও। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি টাকা নিতাম, সিবিআই কি এত সহজে আমাকে ছেড়ে দিত?”

    ইডির হানা কুন্তলের ফ্ল্যাটে

    নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আজ সকাল সকাল তাঁর ফ্ল্যাটে হাজির ইডির আধিকারিকরা। নিউটাউনের চিনার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল আবাসনে জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে যুবনেতার নামে। সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফলে আজ তল্লাশির পর কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা নথি পাওয়া যায় কিনা, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির একটি মামলায় (Group-D Recruitment Scam) ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মী টুঙ্গা নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় আজ ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সন্দেহ, সাদা ওএমআর শিটে মোটা টাকার বিনিময়ে বিকৃতি ঘটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর তা তদন্ত করতেই এবারে এই মামলাতেও ইডিকে যুক্ত করলেন বিচারপতি।

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তদন্তের নির্দেশ

    উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) (Group-D Recruitment Scam)। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১০০টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এসএসসিকে এই ১০০ ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীকে আদালতের নির্দেশ, ২,৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। সিবিআই এই বিকৃত ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছে।

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    আর এর পরেই গ্রুপ ডি-র প্রায় ১০০টি খাতা খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, অধিকাংশ খাতাই সাদা। কয়েকটি খাতায় পরীক্ষার্থীরা ১ – ৪ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এসএসসি-র সার্ভারে সেই নম্বরই দেখাচ্ছে ৪৩। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন, “এসএসসি-তে সেই সময় কে ছিলেন চেয়ারম্যান?” উত্তরে আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন? যাঁর নির্দেশে করেছেন, তাঁর নাম কি বলেছেন? অধিকাংশ ওএমআর শিট ফাঁকা। বিশ্বাস করি না, টাকা ছাড়া এই ম্যানুপুলেশন সম্ভব। ইডিকে সব মামলায় যুক্ত করব। কোনও ব্যক্তি যেন পালিয়ে না যায়।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এবার আরও একটি মামলায় তদন্তভার যাচ্ছে ইডি-র হাতে। গ্রুপ ডি নিয়োগেও (Group-D Recruitment Scam) টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, টাকা কার কাছে যেত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবারে তদন্ত করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা টিভির কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা ৬টি জায়গায়। আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) আরপি ইনফোসিস্টেম লিমিটেড এবং কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায় সম্পর্কিত ছয়টি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে ইডির তদন্তকারীরা কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এরপর একই মামলায় আরও ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    ইডির তল্লাশি অভিযান

    এদিন তল্লাশি অভিযানের সময় ইডির তদন্তকারীরা বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট জব্দ করেছে। কৌস্তুভ রায় এবং তাঁর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই দুটি এফআইআর দায়ের করার ভিত্তিতে ইডি আর্থিক তছরুপের মামলা (Money Laundering Case) নথিভুক্ত করেছে। কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি কানাড়া ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কগুলির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইডির তদন্ত চলাকালীন, ২২.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় তদন্ত এখনও করে চলেছে ইডির তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন কৌস্তুভ রায়। আর পি গ্রুপের কর্ণধার কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। কৌস্তুভের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে শিবাজি পাঁজাকেও।

    কৌস্তুভ ও শিবাজির বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করে কানাড়া ব্যাঙ্ক-সহ ১০টি ব্যাঙ্ক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। বেশ কয়েকবার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৌস্তুভ রায় ও শিবাজি পাঁজাকে তলবও করে সিবিআই। কিন্তু তাঁদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর পি কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে ঋণ শোধ করেননি আর পি গ্রুপের কর্ণধার। এরপর তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু সিবিআইয়ের পর এবারে ফের ইডির নজরে কৌস্তুভ রায় (Money Laundering Case)।

  • Anubrata Mondal: জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট! দিল্লি যাত্রা রুখতে হাসপাতালে ভর্তির নয়া কৌশল?

    Anubrata Mondal: জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট! দিল্লি যাত্রা রুখতে হাসপাতালে ভর্তির নয়া কৌশল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর কেষ্টর তৃপ্তির আহার, স্বস্তির ঘুম! কারণ বর্তমানে নিজের জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁকে রসিয়ে খেতে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আবার জানা গিয়েছে, জেল থেকে পুলিশ হেফাজতেই এসেই তিনি জ্বরে ভুগছেন। তবে কি দিল্লি যাওয়ার ভয়ে এখন হাসপাতালে যেতে চাইছেন কেষ্ট?

    কেষ্টর আপাতত ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর থানায়

    গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)। সোমবারই ওই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে ইডি। এ বিষয়ে শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি হয়েছিল। ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চাইলে আদালত থেকেও বলা হয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা।

    তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল কেষ্টর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলেই এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। ফলে পুলিশ ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও, সাত দিনের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাই তাঁকে এখন আসালসোল জেল থেকে বের করে দুবরাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    দুবরাজপুর থানার লকআপে কেমন কাটছে কেষ্টর?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের জেলার লকআপে এসে প্রথম রাত ভালোই কেটেছে তাঁর। দুবরাজপুর থানার মধ্যেই তাঁর জন্যে একটি আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই পাতা হয়েছে খাট। আরও জানা গিয়েছে, গতকাল থানায় আনার পরই খেয়েছিলেন মুড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে ভাত, মুসুরির ডাল, পোস্তর বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। রাতে তাঁর মেনুতে ছিল, তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া ও ছোলার ডাল। যদিও তিনি একটিমাত্র রুটি-ই খেয়েছেন বলে খবর। তারপর রাতে বেশ ভালোই ঘুমিয়েছেন। এদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-বিস্কুট খান অনুব্রত মণ্ডল। টিফিনে পুরি ও সবজিও খেয়েছেন বলে খবর। আবার, লকআপে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য একজন অ্যাটেড্যান্টও রাখা হয়েছে বলে খবর। ফলে সব মিলিয়ে এলাহি ব্যাপার।

    জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট

    আজ আবার জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল জেল হেফাজত থেকে পুলিশি হেফাজতে আসার পরই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পর তাঁর মেডিক্যাল চেকআপের জন্য যখন তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই জানা যায় তিনি জ্বরে আক্রান্ত। তাঁর যে জ্বর এসেছে তা তিনি নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক নার্স জানান, প্রেসার আছে ৮০/৯০। তিনি ওষুধ খেয়েছেন। প্রেসারের সমস্যা আছে। এছাড়াও শরীরে টেম্পারেচার থাকলেও তিনি ঠিক আছেন বলেই জানিয়েছেন।

  • Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আদালতে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। বুধবার দুপুরে ইডির কর্তারা একটি ট্রাঙ্কে করে চার্জশিট এবং তার সমর্থনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হন আদালতে। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় বিরুদ্ধে কবে চার্জশিট পেশ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর আজ অবশেষে ৫৭ দিনের মাথায় বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। বিচারক শুভেন্দু  সাহার কাছে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।

    চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, ৬০ পাতার চার্জশিটের সমর্থনে ওই ট্রাঙ্কে প্রায় ৬০০০ পাতার নথি রয়েছে। ওই একই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক (Manik Bhattacharya) ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ২টি সংস্থার নাম। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম আগেই উঠে এসেছিল।

    চার্জশিটে কী কী তথ্য উঠে এল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। ডিএলএড কোর্সে অফলাইন ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আবার মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। কিছু দিন আগে মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্যও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ফলে এবারে চার্জশিটে মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম উঠে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন মানিক (Manik Bhattacharya)।

    আদালতে জামিনের আবেদন করলেন মানিক

    এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে (Manik Bhattacharya) ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো হবে।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আর এবারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সায়গল হোসেন তিহার জেলে বন্দি।

    সায়গলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে সমস্ত গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    এরপর মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নামলে তাঁর একাধিক জমি, সম্পত্তি, বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। আর সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফলে এই সব সম্পত্তির টাকার সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রথমে সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোলের জেলে। এরপরই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সায়গলের মা-স্ত্রীকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি।

    ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)। গরু পাচারের সঙ্গে সায়গলের যোগ কতটা, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এতে এল বাধা। রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলে, তাদের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন অনুব্রত। আজ এই মামলার শুনানির কথা হলেও কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১ ডিসেম্বর। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সাতদিন পিছিয়ে গেল।

    কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে এনামুক হক, প্রত্যেকেই বর্তমানে রয়েছে তিহাড় জেলে। আর সেখানে এবারে অনুব্রতকে পাঠাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু ইডির এই উদ্যোগকে ভেস্তে দিল কেষ্ট।

    দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল কেষ্টর…

    গত ১৭ নভেম্বর, টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নেয় ইডি। এরপর অনুব্রত অ্যারেস্ট মেমোতে সই না করায় তাঁকে সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির আগেই সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। আর সেই মামলার আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের আইনজীবীর সওয়াল

    এদিন আদালতে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপরাধের অভিযোগ, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। যে সব সম্পত্তি আটক করা হয়েছে, তা-ও পশ্চিমবঙ্গে। তাই তিনি প্রশ্ন করেন, এটি রাজ্যের মামলা, আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে? ইডি প্রয়োজনে এখানেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অন্যদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে ইডির আইনজীবীও বলেন, একই মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকেও দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তবে কেষ্টর ক্ষেত্রে কেন নয়?

    ফলে এসবের মাঝেই আজ কোনও নির্দেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করলেন বিচারপতি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ইডি শেষপর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারেন কিনা।

     
  • Manik Bhattacharya: অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! ছেলেকে তলব ইডির, ডাকা হতে পারে তাঁর স্ত্রীকেও

    Manik Bhattacharya: অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! ছেলেকে তলব ইডির, ডাকা হতে পারে তাঁর স্ত্রীকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে আরও বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি বর্তমানে জেলে। তবে এবারে ইডির স্ক্যানারে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌভিক। আগামী সপ্তাহেই ইডির দফতের তলব করা হয়েছে মানিক পুত্র সৌভিককে। আর তাঁর স্ত্রীকেও ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে মানিকের আত্মীয়দেরও। ইতিমধ্যেই এক আত্মীয়কে এই সপ্তাহেই তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে মানিক পুত্রের

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে মানিক পুত্রের হাত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর এবারে তাঁকে তলবও করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সৌভিকের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সৌভিকের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। আর এই টাকা গুলোর উৎস কী, তা জানতেই তলব করা হয়েছে সৌভিককে।  ইডি-র দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ গুলির সঙ্গে বিভিন্নভাবে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে রয়েছে সৌভিক। এছাড়াও ইডি দাবি করেছে, লকডাউনের সময় ছেলেমেয়েদের অনলাইনে ক্লাস করবার জন্য টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিল সৌভিক। ফলে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করেছে ইডি। এর আগেও সৌভিককে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ ইডির।

    আরও পড়ুন: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    মানিকের স্ত্রী ও আত্মীয়দের তলব করতে পারে ইডি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিকের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও তাঁদের আত্মীয়দেরও আগামী সপ্তাহেই তলব করতে পারে ইডি। এর আগেই মানিকের স্ত্রী শতরূপার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডির আধিকারিকরা। এমনকি মৃত মানুষের সঙ্গেও তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই মৃত ব্যক্তির নাম মৃত্যুঞ্জয় আর তাঁর মৃত্যু হয়েছে ২০১৬ সালে। ফলে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কীভাবে অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    এখানেই থেমে নেই ইডি, মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ভাই, জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়দেরও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের ক্ষেত্রে অসংগতি মিলেছে বলে জানিয়েছে ইডি। তাই এদেরকেও ডাকা হতে পারে ইডির দফতরে। তবে এখন এটাই প্রশ্ন যে, মানিকের স্ত্রী, আত্মীয়দের তলব করা হলে তাঁরা আদেও কি ইডির মুখোমুখি হবেন? সৌভিককে আগে ডাকা হলে তিনি এড়িয়ে যান, ফলে সৌভিকও ইডির তলবে সাড়া দেবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

LinkedIn
Share