Tag: Enforcement Directorate

Enforcement Directorate

  • Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  ফের মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি। মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর। সেই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও। এমনটাই দাবি করল ইডির আইনজীবী। এর আগে মানিকের ছেলে শৌভিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা হদিশের পর এবারে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ পেল ইডি। এই অ্যাকাউন্টেও রয়েছে কোটি কোটি টাকা। মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

    ঠিক কী তথ্য পেশ করেছে ইডি? এদিন ইডির আইনজীবী আদালতকে তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে কে এই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী? কেন তাঁর সঙ্গে মানিকের স্ত্রী-এর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট?  প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ইডি আদালতকে আরও জানিয়েছে, ৬ বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৬ সালেই মারা গিয়েছেন। অথচ এখনও অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। বরং ওই অ্যাকা‍উন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির দোসর! টেট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা ইডির, কী বললেন তিনি?

    ‌গতকাল, মঙ্গলবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ইডির দেওয়া তথ্য শোনার পর আপাতত রায় স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এর আগেই মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই ছিল। এরপর ফের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। 

    উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে (Manik Bhattacharya) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার মানিকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায়ের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই ছিলেন মানিক। এবারে ফের মানিকের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ও তদন্তের স্বার্থেই ইডি মানিককে আবারও জেল হেফাজতে রাখতে চেয়েছে।

  • Gaming-App-Scam: শহরে ফের মিলল কোটি কোটি টাকা! গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে ইডির হাতে আমির-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী

    Gaming-App-Scam: শহরে ফের মিলল কোটি কোটি টাকা! গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে ইডির হাতে আমির-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই দিওয়ালি। তার আগে আবার শহর কলকাতায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। বুধবার সারা রাত তল্লাশি চালিয়ে উল্টোডাঙার এক আবাসন থেকে অন্তত দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি উমেশ আগরওয়ালের। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। উমেশের ছেলের রমেশ আগরওয়ালের সঙ্গে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ধৃত আমির খানের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় উমেশের ছেলের রমেশ আগরওয়ালকে আটক করেছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সকালেই উল্টোডাঙার ওই বাড়িতে হাজির হয়েছিল ইডি। উমেশের ছেলে রমেশের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে ইডি। চলে জিজ্ঞাসাবাদপর্ব। তাঁর কথায় নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ইডি কর্তারা তাকে হেফাজতে নেয়। এদিকে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি গতকাল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এর থেকে তদন্তে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী অনলাইন গেমিং অ্যাপের মালিক আমির খানের বাড়ি থেকে নগদ ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি৷ পরে ২৩ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায়, নগদ প্রায় ১৮ কোটি ছাড়াও ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের বিটকয়েন, আমির ও তার সহযোগীর অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকাও ফ্রিজ করা হয়েছিল। আমির এখন কলকাতা পুলিশের হেফাজতে। তাকে  জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tapas Mondal: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    Tapas Mondal: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবারে ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডল (Tapas Mopndal)। আজ, বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল যে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) কি বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন? কিন্তু হাজিরা দেওয়ার আগেই তাপস মণ্ডল ই-মেল করে জানিয়ে দেন যে, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন বলে আজ ইডির দফতরে যেতে পারবেন না। তাই আরও দশদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।

    তাঁর বিরুদ্ধে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে। তিনি যে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রয়েছেন, এই বিষয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে ইডির হাতে। ফলে এখন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কীভাবে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে, তা জানতেই আজকে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁর ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন নজর রয়েছে ইডির। আবার এখন ইডির আতসকাচে তাপসের মিনার্ভা টিচার্স ট্রেনিং সংস্থা।

    আরও পড়ুন: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    জানা গিয়েছে, প্রায় বছর কুড়ি আগে বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের একটি টিনের চালাঘরে স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। এরপর হঠাৎ করেই ২০১১ সাল থেকে ফুলে ফেঁপে ওঠেন তিনি ও ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির লোভ দিতে থাকেন। এখন তাপস মণ্ডলের ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ৬টি বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডি’র একাধিক টিম শনিবার সকাল থেকে কলেজ স্কোয়ার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, রাজাবাজার, মহিষবাথান, বারাসত, কৈখালি-সহ আটটি জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে বারাসতের দেবীপুরে রয়েছে তাপস মণ্ডলের বাড়ি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নিউটাউনের মহিষবাথান ও কলেজ স্কোয়ারে রয়েছে দু’টি অফিস। তবে সব জায়গায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের ক্লাস নেওয়া হত বলে খবর। তাতে বিপুল টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

    ইডির তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, এই সব জায়গা থেকেই চলত চাকরি বিক্রির কারবার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ নথিও। জেলায় জেলায় বেসরকারি বিএড কলেজ থেকেই প্রার্থী বাছাই করে ছোট ছোট অফিসেই লাখ লাখ টাকার ডিল করতেন নিয়োগ চক্রের এই ‘মিডলম্যান’। আর সব কিছুতেই মানিকের হাত থাকত বলে অভিযোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাপসের বলে অভিযোগ ইডির। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জেরা করার জন্যই এদিন তলব করা হয়েছিল তাপসকে। কিন্তু তিনি উল্টে সময় চেয়েছেন ইডির কাছে। তবে এবারে ইডির তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার।

  • TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া সংযোজন তাপস মণ্ডল। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলই (Tapas Mandal) এখন ইডির (ED) প্রাইম স্লট। কিন্তু কে এই তাপস মণ্ডল? রাজ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রভাবশালী, উচ্চশিক্ষিত এই তাপসকে এতদিন খুব বেশি লোকে জানতেন না।  এখন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে বাড়ি থাকলেও, আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে, ১৯৮৫ সাল রাজ্যে তখন ক্ষমতায় সিপিএম, পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার লাগোয়া এলাকায় একটি চিটফান্ড খুলেছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই চিটফান্ড কোম্পানির নাম ছিল মিনার্ভা ফাইনান্স লিমিটেড। বাজারের চেয়ে বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল এই চিটফান্ড কোম্পানি। জাল ছড়িয়ে পড়েছিল তত্‍কালীন অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এমনকি পড়শি রাজ্যের ভুবনেশ্বরেও। এরপর চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলায় ১৯৯০ সালে ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তাপস মণ্ডল। কয়েকমাস জেলও খাটেন। তারপরই চিটফান্ডের ব্যবসা গুটিয়ে নেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সম্প্রতি তাপস একাধিক ট্রাস্ট চালাতেন। সেই ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মূল প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে মহিষবাথানে। সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। গত শনিবার সেখানে তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও,কলেজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা ও তাপসের বারাসতের বাড়ি টানা তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। রাজ্য ডিএলএড কলেজ ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তাপস। এ ছাড়া, ‘অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশন’ এরও সভাপতি ছিলেন। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অনেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েছেন তাপস। এমনকি, উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি দেবেন বলেও অনেকের কাছ থেকে ‘অগ্রিম’ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই প্যানেল তৈরি না হওয়ার কারণে চাকরি দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    ইডি সুত্রে খবর,ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে রয়েছে মোট ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৪টি এনজিও, ৮ মোবাইল ফোন ও তাপস মণ্ডলের ৬ সহকর্মী। ইডির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের এক আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার থেকে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল তাপসের। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Tet Recruitment Scam) ফের এক পর্দা ফাঁস হল মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল টেটের (TET) ‘প্রশ্নফাঁস’-এর কথা। এই দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আর গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে। আর এর মধ্যেই এবার আরও একটি তথ্য এল ইডির হাতে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র কয়েকটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে আসত বলে তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। আর এই তথ্যেই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে রাজ্যে একাধিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Centre) গজিয়ে উঠেছিল, আর পরীক্ষার আগেই টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত এই ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে। আর এতে পুরো হাত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। এমনটাই অভিযোগই উঠে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) কাছে। ফলে এমন বিস্ফোরক অভিযোগের খবর সামনে উঠে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে ইডির অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    এই প্রশ্ন ফাঁস-এর কাণ্ডে শুধুমাত্র মানিক (Manik Bhattacharya) নয়, এনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলেরও হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই তাপসের ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কি সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    সম্প্রতি তদন্ত চলাকালীন ইডি আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে, টেট পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) সম্মতিতেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই পৌঁছে যেত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র। তার আগে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তার বদলে ওএমআর শিটগুলি সঠিক উত্তর লিখে ভরাট করানোর ব‌্যবস্থা করা হত। আর এই তথ‌্যগুলিই ইডি যাচাই করছে এখন। তার জন‌্য যে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করাও শুরু করছেন ইডির গোয়েন্দারা।

  • Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় এবারে বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED)। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। পিএমএলএ বা (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) এর আওতায় এই চার্জশিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে। গাজিয়াবাদের স্পেশ্যাল কোর্টে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে টাকা সাধারণ জনগণের থেকে সংগ্রহ করেছেন, তা জানলে অবাক হবেন আপনি।

    ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধ ভাবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, চ্যারিটির নাম করে শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পথ অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। সেই অভিযোগের নিরিখেই রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে নানান তথ্য।  

    আরও পড়ুন:ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকত না। জনসাধারণের টাকা প্রথমে রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেত, তারপর সেখান থেকে টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হত। ইডি দাবি করেছে, রানা তিনটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে মোট ২.৬৯ কোটি টাকা জনসাধারণের থেকে পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮০.৪৮ লক্ষ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় পেয়েছেন।

    ইডি আরও দাবি করেছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি (Rana Ayyub) একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

    উল্লেখ্য, এই গোটা মামলা উত্তরপ্রদেশে গত বছর দায়ের হওয়া একটি মামলা ঘিরে শুরু হয়। পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৭৭ কোটি টাকা আয়ুবের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তারপরেই এই মামলা নজরে এসেছে। এরপরেই অভিযোগ ওঠে যে, ত্রাণ বা চ্যারিটির নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতেন রানা। অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা (Rana Ayyub)। তিনি বলেন এই অভিযোগগুলো সব অযৌক্তিক।

  • Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কিংপিন’ মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের  অভিযোগ, তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। 

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর ম্যারাথন জেরা চালানোর পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি নিয়োগ হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি নিয়োগ। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পুরো কেলেঙ্কারির ‘কিংপিন’ মানিক বলেও দাবি করা হয়েছে। কি কবে, কোথায় টাকা দিতে হবে সবকিছুই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন ততকৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরর সভাপতিই।  তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।

    আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।

    তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কল এবং মেসেজ ডিটেলসও। মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) আসানসোলের সংশোধনাগারে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। কলকাতা হাইকোর্টে সে বিষয়ে আবেদনও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইডির অফিসাররা আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলের (Saigal Hossain) সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তদন্তে সহযোগীতা না করার অভিযোগে সংশোধনাগারেই সায়গলকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ইডির সায়গলকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি মঞ্জুর হলেও, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয় আসানসোলের সিজেএম আদালত। তারপর আরও কয়েক দফায় এই একই আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তদন্তের স্বার্থে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যেতে চান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    ইডির দাবি, বিপুল সম্পত্তির নথি পাওয়া গেলেও, সম্পত্তির উৎস কী তা নিয়ে মুখ খুলছেন না সায়গল। তাই নয়াদিল্লি নিয়ে গেলে বাড়তি চাপ দেওয়া যাবে। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছিল সায়গলের জন্য। টানা চার ঘণ্টা চলে জেরা। তারপর সায়গলকে হেফাজতে নেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন অফিসাররা। 

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু সঠিক উত্তর না পাওয়াতেই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xiaomi: চিনা সংস্থা ‘শাওমি’-র ৫, ৫৫১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল ‘ফেমা’

    Xiaomi: চিনা সংস্থা ‘শাওমি’-র ৫, ৫৫১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল ‘ফেমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডির (ED) নজরে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমি (Xiaomi)। গত এপ্রিল মাসেই বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ভারতে সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৫৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ গত কয়েক মাস আগে থেকেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ফলে এবারে এই সংস্থার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই পদক্ষেপকেই সম্মতি দিল ‘ফেমা’ (FEMA)।

    গত আট বছর ধরে ভারতের মোবাইল বাজারে বড় প্রভাব রয়েছে চিনা সংস্থা শাওমির (Xiaomi)। ২০১৪ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল এই চিনা সংস্থাটি। খুব কম সময়ের মধ্যেই এই সংস্থাটি ভারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে ইডি সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন বছরের তুলনায় পরের তিন বছরে ভারতের বাজারে তার ২০০ শতাংশ ব্যবসা বাড়িয়েছিল শাওমি (Xiaomi)। এরপরেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    আজ ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অথরিটি (FEMA)-র তরফে জানানো হয়েছে, শাওমির টাকা বাজেয়াপ্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। ওই সংস্থা যে সত্যিই আইনের বিরুদ্ধ চিনে টাকা পাঠিয়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম নির্দেশ করে এই ফেমা। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চিনা সংস্থা শাওমি ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। অর্থাৎ এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, আইন লঙ্ঘন করে চিনে টাকা পাঠিয়েছে এই সংস্থা। ফলে সংস্থার ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

    এছাড়াও ইডি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, রয়্যালটির নাম করে ওই টাকা বিদেশে পাঠানো হত। শুধু তাই নয়, বিদেশে টাকা পাঠানোর সময় ওই সংস্থা ব্যাংকেও ভুল তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। যে পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা দেশের মধ্যে সর্বাধিক ইডি দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল শাওমি সংস্থা। কিন্তু হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর আজ ইডির পদক্ষেপকে মান্যতাও দিল ফেমা।

LinkedIn
Share