Tag: entral Government

entral Government

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • Darjeeling Railway: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করায় জোর রেলের

    Darjeeling Railway: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করায় জোর রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছর আগে ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের কথা গুরুত্ব দিয়ে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার সেবক-রংপো রেল (Sevok–Rangpo Railway) প্রকল্পের কাজে দ্রুত গতি আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে। এবার সেই কাজ শেষ করতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে যাওয়ার রাস্তা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বর্ষায় এই রাস্তা অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই রেলপথ একান্ত প্রয়োজনীয়।

    দিল্লির বিশেষ নজর এই রেলে

    সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাবকে মাথায় রেখে, ২০২৪ সালে চিন সীমান্তবর্তী সিকিমকে রেলপথে জুড়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে সিকিমে তিস্তায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কাজে ব্যাপক ব্যঘাত দেখা দিয়েছিল। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রেলের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার মাত্রা স্থির করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ (Sivok–Rangpo Railway) শেষ করার সময় ঠিক করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে এই রেলপথের প্রকল্পের খরচ ছিল ১৩০০ কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়ে হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সেনাবাহিনীর কাছে এই রেলপথ হবে লাইফ লাইন। এই রেলপথ নির্মাণের উপর দিল্লির বিশেষ নজর রয়েছে।

    রেলের বক্তব্য

    উত্তরপূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, “আমারা নিয়মিত ভাবে প্রকল্পের (Sivok–Rangpo Railway) কাজের খোঁজ নিচ্ছি। দ্রুত যাতে কাজ শেষ করা যায়, সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেবক-রংপো প্রকল্পেও বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নজরদারি। নির্মাণকারী সংস্থার কাছে নিয়মিত রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে।”

    ঠিকাদার সংস্থার বাস্তুকারের বক্তব্য

    ঠিকাদার সংস্থার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার মাহিন্দার সিংহ বলেন, “রেলের (Sivok–Rangpo Railway) কাজ করতে গিয়ে একাধিকবার সুড়ঙ্গ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু, জল ঢুকে কাজ বন্ধ হওয়ার ঘটনায় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ করা যায়নি। শেষবার সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একমাস প্রায় কাজ বন্ধ ছিল। এবার এই সব কিছু পেরিয়ে কাজ শেষ হবে। তবে চলতি বছরেই ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share