Tag: EPFO

EPFO

  • EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মচারী ভবিষ্য নিধি তথা ইপিএফও বা এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর (Employees’ Provident Fund – EPFO) নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। এবার থেকে ইপিএফের টাকা তোলার নিয়ম আরও সহজ হবে। এবার থেকে পিএফ-এ জমানো ১০০ শতাংশ টাকাই তুলতে পারবেন সদস্যরা। সোমবার অছি পরিষদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যার মাধ্যমে এবার থেকে পড়াশোনা, বিয়ে-সহ একাধিক জরুরি পরিস্থিতিতে পিএফ-র সম্পূর্ণ টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে, একই সঙ্গে নতুন কিছু শর্তও জুড়ছে, যাতে অবসরের পর হাতখালি না হয়ে যায় এবং পেনশন খাতে যথেষ্ট টাকা জমে থাকে।

    ইপিএফও-কে আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত

    সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রম, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর সভাপতিত্বে বসেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট-র ২৩৮ তম সভা। সেখানেই ইপিএফ-র ‘উদারীকরণ’-সহ টাকা তোলার প্রক্রিয়াকে সরল করা, বিশ্বাস প্রকল্পের ঘোষণা, ইপিএফ ৩.০ – কার্যকর করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, আংশিক টাকা তোলার জন্য থাকা ১৩টি পুরনো নিয়মকেও একত্র করে একটিই নিয়ম ধার্য করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দরকারে-অদরকারে ইপিএফও সদস্যরা নিজেদের টাকা তুলতে পারবেন। নতুন নিয়মে (EPFO new rules) তিনটি নতুন শ্রেণিতে টাকা তোলার সুযোগ থাকবে। আগে নানা ধরনের কারণে টাকা তোলার আলাদা আলাদা নিয়ম ছিল। এবার থেকে পুরো ব্যবস্থাকে সহজ করে তিনটি শ্রেণিতে আনা হয়েছে—এক, প্রয়োজনীয় খরচ— যেমন অসুস্থতা, পড়াশোনা বা ছেলেমেয়ের বিয়ে জন্য। দুই, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনা বা মেরামতির জন্য এবং তিন, বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না জানিয়েই টাকা তোলা যাবে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বদল

    ইপিএফও-র (EPFO) পরিষেবা আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে চালু হচ্ছে ‘ইপিএফও ৩.০’ প্রকল্প। এতে থাকবে আধুনিক ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে—অনেক দ্রুত টাকা তোলা যাবে। টাকা তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে, বেতন থেকে সরাসরি কন্ট্রিবিউশন জমা হয়ে যাবে, ডকুমেন্টেশনের ঝক্কি কমবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, পড়াশোনার জন্য ১০ বার সম্পূর্ণ টাকা তোলা যাবে। বিয়ের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার। এর আগে বিয়ে ও শিক্ষার জন্য মিলিয়ে ৩ বার পর্যন্ত টাকা তোলার নিয়ম ছিল। বাড়ি তৈরির জন্য টাকা তুলতে গেলে ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ৫ বছর থেকে ১২ মাসে। শিক্ষা ও বিয়ের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ ৭ বছর থেকে কমিয়ে ১২ মাস করা হয়েছে।

    অবসরের সময় একটি বড় অঙ্কের টাকা

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ২৫ শতাংশ ব্যালেন্স রাখা বাধ্যতামূলক। ইপিএফ (EPFO) অ্যাকাউন্টে মোট টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ সবসময় রাখতে হবে সদস্যদের। সরকার বলছে, এর ফলে সদস্যরা ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ পেতে থাকবেন এবং জমা হবে। কখনওই সুদ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের। আগে ইপিএফও-র টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব বা লকআউট ইত্যাদি কারণ জানানো বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে সেই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

    একটি বিশেষ কমিটি গঠন

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা ও বিনিয়োগে সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে ইপিএফও (EPFO)। বর্তমানে ইপিএফও-র ১৫ শতাংশ টাকা শেয়ার মার্কেটে, ৪৫–৬৫ শতাংশ সরকারি বন্ডে এবং ২০–৪৫ শতাংশ কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ হয়। আরবিআই কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তা ছাড়া নতুন ফান্ড ম্যানেজার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ঋণ পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য চারটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে— স্টেট ব্যাঙ্ক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, এইচডিএফসি, আদিত্য বিড়লা সান লাইফ ও ইউটিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। এই নতুন নিয়মে সদস্যরা সহজে ও দ্রুত তাদের ইপিএফ টাকার একটি বড় অংশ তুলতে পারবেন, আবার একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও বজায় থাকবে। সরকার বলছে, এই পরিবর্তনের ফলে কর্মজীবী মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সহজ হবে।

    বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট

    টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ (CBT)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এখন থেকে বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট হাতে পাবেন গ্রাহকরা। তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর জন্য ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবাকে আধুনিক করতে ইপিএফও ৩.০ (EPFO 3.0) চালুর অনুমোদন মিলেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলা পিএফ বকেয়া ও জরিমানা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে চালু করা হচ্ছে ‘বিশ্বাস স্কিম’।

     

     

     

     

     

     

  • India Job Market: চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার, বলছে ইপিএফও-র তথ্য

    India Job Market: চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার, বলছে ইপিএফও-র তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার (India Job Market)! ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই ইপিএফওয় (EPFO) যুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি নয়া সদস্য। একটি নির্দিষ্ট বয়সের গ্রুপের ছেলেমেয়েরাই এর একটা বড় অংশ।

    ইপিএফওয় নয়া সদস্য (India Job Market)

    জানা গিয়েছে, ইপিএফও (কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা) ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ১৯.১৪ লাখেরও বেশি সদস্য যুক্ত করেছে। এটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসের তুলনায় ৩১.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের। রবিবারই মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে এই সব তথ্য। এ মাসে ইপিএফওতে ৮.৪৯ লাখ নতুন সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন, যা চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১২.৪৯ শতাংশ বেশি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, এই নতুন সংযোজনের মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের সংখ্যাই সর্বাধিক, যা এপ্রিল মাসের মোট সংযোজনের ৫৭.৬৭ শতাংশ। ১৮-২৫ বছর বয়সী নতুন সদস্যদের সংখ্যা মার্চ ২০২৫ এর তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.০৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, ১৮-২৫ বছর বয়সী গোষ্ঠীর নিট পে-রোল (বেতনভুক কর্মচারী) সংযোজন হয়েছে প্রায় ৭.৫৮ লাখ, যা মার্চ মাসের তুলনায় ১৩.৬০ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে। ইপিএফও-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আগের প্রবণতার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা নির্দেশ করে যে সংগঠিত কর্মক্ষেত্রে যোগদানকারী অধিকাংশ ব্যক্তি যুবক, প্রধানত প্রথমবারের মতো চাকরি খুঁজছেন (India Job Market)।

    নিট পে-রোল সংযোজন

    ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় নিট পে-রোল সংযোজন ১.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং কর্মচারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে। এটি সম্ভব হয়েছে ইপিএফও-র কার্যকর প্রচারমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে। মন্ত্রকের দাবি, “নতুন সদস্য সংখ্যার এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বাড়তে থাকা চাকরির সুযোগ, কর্মচারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইপিএফও-র সফল প্রচারমূলক কর্মসূচি।” জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২.৪৫ লাখ নতুন মহিলা সদস্য ইপিএফওয়  যোগ দিয়েছেন। মার্চ মাসের তুলনায় বেড়েছে ১৭.৬৩ শতাংশ। এই এপ্রিলেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য ফের ইপিএফওয় যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রকের বক্তব্য (EPFO), “১৫.৭৭ লাখ সদস্য, যাঁরা আগে ইপিএফও থেকে সরে গিয়েছিলেন, তাঁরা এপ্রিল ২০২৫-এ ফের যুক্ত হয়েছেন (India Job Market)।”

  • EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইপিএফও (EPFO) গ্রাহকদের জন্য সুখবর। বদলে যাচ্ছে পিএফের (PF Withdrawal) গোলকধাঁধা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন আনতে চলেছে যুগান্তকারী এক নতুন সিস্টেম। এবার ইউপিআই (UPI)-র মাধ্যমেও তোলা যাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফও সদস্যরা ইউপিআই এবং এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি তুলতে পারবেন ইপিএফের টাকা। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা।

    নতুন ব্যবস্থায় কী কী পরিবর্তন

    ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া সুপারিশে সম্মতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফে (EPFO) নতুন সিস্টেম বা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। কেন্দ্র ইপিএফও-৩.০ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে ইপিএফও-র নিয়মে অনেক পরিবর্তন হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, চলতি বছরের মে মাসের শেষ ভাগ বা জুন মাসের শুরু থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ইউপিআই ও এটিএম থেকে তোলা যাবে। সরাসরি ইউপিআই অ্যাপ থেকেই পিএফ অ্যাকাউন্টের (PF Withdrawal) ব্যালেন্স দেখা যাবে। তিনি আরও জানান, অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে পিএফের গ্রাহকরা তৎক্ষণাৎ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। গ্রাহকরা চাইলে অন্য ব্যাঙ্কেও পিএফের ফান্ড ট্রান্সফার করা যাবে।

    মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা

    ক্লেম প্রসেসিংয়ের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পিএফের (PF Withdrawal) টাকা তোলার আবেদন করলে, মাত্র তিনদিনের মধ্যে তা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে পিএফের টাকা তোলার ক্ষেত্রে অনলাইন বা অফলাইনে অ্যাপ্রুভালের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আবেদন করলেই দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে। এই কার্ডে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকবে। টাকা তুলতে গেলে মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিলেই টাকা তোলা যাবে। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ ক্লেমই অটোমেটেড হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে। শ্রম মন্ত্রকের সেক্রেটারি জানান, গ্রাহকদের আরও সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার থেকে পিএফ গ্রাহকরা সহজেই বাড়ি তৈরি, উচ্চশিক্ষা ও বিয়ের জন্য টাকা তুলতে পারবেন।

     

     

     

     

     

  • PF Withdrawl: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    PF Withdrawl: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার এটিএম (ATM) থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা (PF Withdrawl)। বুধবার বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক (Union Labour Ministry)। সূত্রে খবর, পিএফের টাকা তোলার পথ মসৃণ করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই এমন সিদ্ধান্ত। সরকারি এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাঁরা এমপ্লয়মেন্ট প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) আওতায় রয়েছেন, তাঁরাই আগামী বছর থেকে এটিএমের মাধ্যমে সরাসরি তুলতে পারবেন পিএফের টাকা। এতদিন পিএফের টাকা তুলতে হলে হয় পিএফ অফিসে আবেদন করতে হত নয়তো সাইবার কাফেতে গিয়ে টাকা তোলার জন্য আবেদন করতে হত। শ্রমমন্ত্রকের এহেন ঘোষণায় সেই ঝক্কি আর পোহাতে হবে না পিএফের সুবিধাভোগীদের।

    কী বলছে শ্রমমন্ত্রক (PF Withdrawl)

    শ্রমমন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, পিএফের ক্লেমগুলি দ্রুত মেটানো ও এর প্রক্রিয়া সহজ করাই লক্ষ্য। তিনি বলেন, “যিনি পিএফের টাকা তোলার যোগ্য (PF Withdrawl), তিনি যাতে সহজেই লাভবান হন, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রক্রিয়া। এটিএম (ATM) থেকে নিজেই টাকা তুলতে পারবেন।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিনিয়ত এগোচ্ছে প্রযুক্তি। আরও অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই দ্রুত এমন পরিবর্তন দেখা যাবে। আমার বিশ্বাস, ২০২৫ এর জানুয়ারির মধ্যেই এর বড় প্রভাব দেখা যাবে।”

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    টাকা তুলতে হলে কী করতে হবে

    শ্রমমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইপিএফও সিস্টেমকে এটিএমের সঙ্গে জুড়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটিএম থেকে পিএফ তোলার (PF Withdrawl) আগে আপনাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে পিএফ অ্যাকাউন্ট। লিঙ্ক হয়ে গেলেই এটিএম থেকে তোলা যাবে পিএফের টাকা। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যেতে হবে ইপিএফও-র অফিসিয়াল সাইটে। সেখানে মিলবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইপিএফও-র অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার অপশন। বর্তমানে, পিএফ অ্যাকাউন্ট (PF Withdrawl) থেকে টাকা তুলতে ইপিএফও পোর্টালে (EPFO) যেতে হয়। এরপরে, ইউএএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যাচাই করার পর অ্যাকাউন্টের পাসবুক বা চেক আপলোড করতে হয়। এই গোটা প্রক্রিয়াই এটিএম (ATM) থেকে টাকা তোলা শুরু হলে অনেকটা দ্রুত হবে বলেই অভিমত শ্রম মন্ত্রকের (Union Labour Ministry)। প্রসঙ্গত, ইপিএফও- এর আওতায় রয়েছেন অন্তত সাত কোটি চাকরিজীবী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • EPFO Update: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    EPFO Update: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। এই ব্যবস্থা চালু হলে যে কোনও ব্যাঙ্কের যে (EPS Pension) কোনও শাখা থেকে পেনশন তুলতে পারবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ইপিএফও-র (EPFO Update) গ্রাহকরা। সরকারি সূত্রে খবর, এতে উপকৃত হবেন ৭৮ লাখ গ্রাহক।

    পেনশন তোলা যাবে যে কোনও ব্যাঙ্কে (EPFO Update)

    জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের যে কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে পেনশন তুলতে পারবেন পেনশনভোগীরা। অগ্রিম ক্লেমের জন্য অটো ক্লেম লিমিটও বাড়িয়ে দিয়েছে ইপিএফও। চলতি মাসেই সিপিপিএস চালু করার অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী পর্যায়ে লেনদেন আরও সহজ করতে আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।’ আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এটি চালু হবে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপ

    তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পেনশনভোগীদের জন্য বহু নিয়ম প্রণয়ন করেছে। তাঁদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপও করেছে। এর ফলে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্টার ও ইপিএস পেনশনভোগীদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ইপিএফও-এর (EPFO Update) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড কেন্দ্রীভূত পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তনের প্রস্তাব আনে। তাতে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই প্রস্তাবটি শ্রম মন্ত্রকের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    সিপিপিএস চালু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, “ইপিএফওর পেনশনভোগীরা অনেক সময় এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান। নতুন এলাকায় যাওয়ার পর পেনশন পেতে সমস্যা হয় তাঁদের। সিপিপিএস চালু হওয়ার পর এই সমস্যা আর থাকবে না। দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখা থেকে পেনশন তুলতে পারবেন তাঁরা।”

    প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমানো টাকার আংশিক তোলার ক্ষেত্রে অগ্রিম ক্লেম লিমিটও বাড়ানো হয়েছে। আগে এই লিমিট ছিল ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এটাই বাড়িয়ে করা হয়েছে এক লাখ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকার ৬০ শতাংশ তোলার জন্য আগে যেখানে ১০ দিন (EPS Pension) সময় লাগত, এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩-৪ দিন (EPFO Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • EPFO: পিএফে সুদ বৃদ্ধির প্রস্তাব, বাড়তি কত টাকা পাবেন জানেন?

    EPFO: পিএফে সুদ বৃদ্ধির প্রস্তাব, বাড়তি কত টাকা পাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএফে (EPFO) সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব। শনিবারই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টের তরফে ইপিএফওতে সুদের হার বাড়িয়ে করা হতে পারে ৮.২৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সুদ পাবেন ইপিএফওর সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহক। গত অর্থবর্ষে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.১৫ শতাংশ। ০.১০ শতাংশ সুদের হার বাড়িয়ে করা হল ৮.২৫ শতাংশ। গত তিন বছরে এটাই সর্বোচ্চ সুদের হার।

    ইপিএফওর আইন

    ইপিএফওর আইন অনুযায়ী, কোনও কর্মচারির মূল বেতনের ১২ শতাংশ জমা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। ওই কর্মচারি যে সংস্থায় চাকরি করেন, সেই সংস্থাও জমা দেবে সমপরিমাণ টাকা। সংস্থার (EPFO) দেওয়া টাকার ৩.৬৭ শতাংশ টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পেনশন স্কিমে জমা হয় ৮.৩৩ শতাংশ টাকা। 

    সুদের হার

    ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার পরের অর্থবর্ষেও অপরিবর্তিত ছিল সুদের হার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সুদের হার কমিয়ে করা হয় ৮.১ শতাংশ। গত চার দশকে যা ছিল সর্বনিম্ন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সুদের হার বাড়িয়ে করা হয় ৮.১৫ শতাংশ। এবার সেটাই ০.১০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হল ৮.২৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সুদের এই হার বৃদ্ধির বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠাবে অর্থমন্ত্রকে। সেখানে সবুজ সঙ্কেত মিললেই সুদ বৃদ্ধি বাবদ বাড়তি টাকা পড়তে থাকবে পিএফ অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    উল্লেখ্য যে, ফি মাসে পিএফের টাকা জমা হলেও, সুদের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয় বছরে একবারই। ধরা যাক, কোনও এক কর্মচারির পিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ লাখ টাকা। গত আর্থিক বর্ষে ৮.১৫ শতাংশ সুদের হারে তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ১৫০ টাকা। সুদের হার ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার তিনিই পাবেন ৮ হাজার ২৫০ টাকা।

    চলতি বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট হওয়ার কথা মাঝ-এপ্রিলে। তার আগে পিএফে সুদের (EPFO) হার বাড়ানোয় ভোটের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paytm Payments Bank: এবার পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত পিএফ অ্যাকাউন্টগুলিতেও পড়ছে কোপ!

    Paytm Payments Bank: এবার পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত পিএফ অ্যাকাউন্টগুলিতেও পড়ছে কোপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) সঙ্গে যুক্ত ইপিএফ অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন চলতি মাসেই বন্ধ হতে চলেছে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশনের (ইপিএফও) তরফে ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও টাকা জমা বা সেখান থেকে টাকা তোলা যাবে না।

    পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন বন্ধ

    জানা গিয়েছে, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেনও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছরই ইপিএফও পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক এবং এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ইপিএফের লেনদেনের ছাড়পত্র দিয়েছিল।

    ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে পারবে না পেটিএম

    প্রসঙ্গত, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। আরবিআই ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে পারবে না পেটিএম। আরবিআই আরও জানিয়েছে, কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট বা ফাসট্যাগে কোনও টাকা জমা নিতে বা ক্রেডিটে লেনদেনও করতে পারবে না তারা। আরবিআই-এর মতে, ‘ক্রমাগত নিয়ম লঙ্ঘন’ এবং তত্ত্বাবধানের অভাবেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন লেনদেন মাধ্যমটির উপরে।

    দুর্নীতি তদন্তে নামতে পারে ইডি

    সব থেকে বড় অভিযোগ হল, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে পেটিএমে (Paytm Payments Bank)। একটি প্যান নম্বরের সঙ্গে জোড়া হয়েছে হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেনও সামনে এসেছে। আরবিআই-এর আরও দাবি, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া যেসমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি পেটিএমে রয়েছে, সেগুলির কোনওটা আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে। এ ভাবে দুর্নীতির টাকা লেনদেন হতে পারে। সম্ভাব্য সেই দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামতে পারে ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চওড়া হলো বেতনভোগী চাকরিজিবীদের মুখের হাসি। সোমবার, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো মোদি সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আগের তুলনায় অতিরিক্ত ০.০৫ শতাংশ সুদ বেশি মিলবে। এই মর্মে, এদিন ইপিএফও-র সব অফিসকে নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল প্রকল্পে ১৯৬২ এর অনুচ্ছেদ ৬০(১) অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) স্কিমের প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্টে ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে।” 

    কত হলো সুদের হার?

    এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। সেখান থেকে কমিয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সেই হারই বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের পর এটাই পিএফ-এর সর্বনিম্ন সুদের হার। তবে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো পিএফ-এর সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানো হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য। আজকের সিদ্ধান্তের ফলে, এখন থেকে চাকরিজীবীদের পিএফে সুদের হার হলো ৮.১৫ শতাংশ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ছ’কোটি সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

    কেন প্রয়োজন প্রভিডেন্ট ফান্ড?

    ইপিএফ স্কিম বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই তহবিল পরিচালানা করে। অবসরকালীন সুবিধা ছাড়াও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পরে আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। এই তহবিলে (EPF Interest Hike) প্রতি মাসে একজন কর্মচারী তাদের উপার্জনের ১২ শতাংশ জমা দেন। কর্মীদের পাশাপাশি মালিকপক্ষও ১২ শতাংশ অবদান জমা করে। তার মধ্যে নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে ৩.৬৭ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় কর্মচারী পেনশন স্কিমে(EPS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    EPFO: অক্টোবরে ইপিএফও অ্যাকাউন্টের ১৩ লক্ষ নতুন সাবস্ক্রাইবার, বেশিরভাগই ১৮-২১- এর মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর অক্টোবর মাসে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) ১২.৯ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় ২১,০২৬ জন সদস্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।  

    ইপিএফও-এর (EPFO) অস্থায়ী বেতনের তথ্য অনুসারে অক্টোবর মাসে মোট ১২.৯ লক্ষ গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে, প্রায় ৭.২ লক্ষ নতুন সদস্য প্রথমবারের মতো ইপিএফও-এর সামাজিক সুরক্ষা কভারের আওতায় এসেছেন। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    নতুন সদস্যদের মধ্যে, ১৮- ২১ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি রয়েছেন। সেই সংখ্যা ২.২ লক্ষ। ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১.৯ লক্ষ সদস্য। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন সদস্যদের মধ্য ৫৭.২%-ই ১৮-২৫ বছর বয়সী।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫.৬ লক্ষ সদস্য ইপিএফও (EPFO) ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই পুনরায় যোগদান করেন। পে-রোল ডেটার একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ২০২২ সালের অক্টোবরে ২.৬ লক্ষ মহিলা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১.৯ লক্ষ মহিলা প্রথমবার ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে মাসিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও অক্টোবর মাসে ৭.৭ লক্ষের কাছাকাছি সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মৃতদেহের স্তূপ, কাজ করছেন সংক্রমিতরা, চিনের করোনা পরিস্থিতিতে তস্ত্র গোটা বিশ্ব 

    কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPFO) নামে পরিচিত। এটি একটি অবসর বেনিফিট স্কিম, যা সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ। একজন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অধীনে একটি ইপিএফ অ্যাকাউন্টে তাদের মূল বেতনের প্রায় ১২% পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন। আপনার বুনিয়াদি বেতনের পুরো ১২% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। বুনিয়াদি বেতনের ১২% এর মধ্যে ৩.৬৭% একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-তে বিনিয়োগ করা হয় এবং বাকি ৮.৩৩% আপনার ইপিএস বা কর্মচারীর পেনশন প্রকল্পে ডাইভার্ট করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Job in India: প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ চাকরির আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Job in India: প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ চাকরির আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি মাসে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ কর্মসংস্থান (job in India) সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আজমীরে সিআরপিএফ-এর আয়োজিত এক ‘রোজগার মেলা’-য় বক্তব্য রাখার সময়ে এই কথা বলেন তিনি।

    কী বললেন মন্ত্রী

    সারা বিশ্বে প্রতিদিন কাজ (job in India)  হারাচ্ছেন বহু মানুষ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংকটের সময় ভারত নয়া দিশা দেখাচ্ছে, বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ইপিএফও-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট থেকেই দেখা গিয়েছে ক্রমশ বাড়ছে ইপিএফওর গ্রাহক। ফলে কাজ পাচ্ছেন বহু মানুষ। রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের পরিস্থিতিতেও ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ভারত এক শক্তিশালী দেশ হিসাবে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছতাই মোদি সরকারের মূল ভিত্তি। কেন্দ্রের সুষ্ঠ পরিকল্পনার কারণে আজ সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর জীবন সহজতর হয়েছে। কাজ পাচ্ছেন বহু বেকার ছেলে-মেয়ে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে বেকারত্ব দূর করতে সক্রিয় সরকার। সেই লক্ষ্যেই আত্মনির্ভর ভারত গঠন করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই জোর দেওয়া হয়েছে মেক-ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যার পরে আফতাবের ফ্ল্যাটে যেতেন এক মহিলা চিকিৎসক

    সবার আগে দেশ

    যুবসমাজকে ‘সবার আগে দেশ’-এর ভাবনা গ্রহণ করার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অশ্বিনী বলেন, ‘জীবনে তাঁরাই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করেন, যাঁরা নিজের দেশকে অগ্রাধিকার দেন।’ সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় রোজগার মেলার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আগের রোজগার মেলার মতোই, দ্বিতীয় রোজগার মেলাতেও ৭১ হাজারেরও বেশি চাকরির নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হয়। মূলত বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। গত অক্টোবরে রোজগার মেলাতে ৭৫ হাজারের বেশি চাকরির  নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রোজগার মেলার সূচনা করা হয়েছে। যে সমস্ত পদে চাকুরিপ্রার্থীদের নিয়োগ বিভিন্ন কারণে আটকে রয়েছে। সেগুলির নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) সূত্রে খবর, কর্মসংস্থানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। যা আখেরে দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে।

LinkedIn
Share