Tag: ero

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন।’

    কমিশনকে তুলোধনা মমতার (Suvendu Adhikari) 

    বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এসআইআরের নামে আদতে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে।” তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। পাশাপাশি নিশানা করেন নির্বাচন কমিশনকেও। তিনি বলেন, “এখানে যিনি (মনোজ আগরওয়াল) রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে, তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর।’ তিনি বলেন, “আমি একে রাজনৈতিক ভাষা বলব না, বলব গুন্ডাদের ভাষা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে যে ভাষা মমতা প্রয়োগ করেছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই কারণেই এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কী তথ্য আছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তা জানতে চান, আমরা প্রধান বিরোধী দলও জানতে চাই। আমরা জানতে চাই কোন কোন আধিকারিককে কীভাবে তিনি ধমকেছেন, সেই আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে ওই আধিকারিককে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করুন (Mamata Banerjee)। আমরা তাঁর নাম, পদ জানতে চাই। তিনি বিএলও, নাকি বিডিও নাকি ম্যাজিস্ট্রেট নাকি এসডিও নাকি এডিএম, আমরা তা জানতে চাই।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আপনি যদি সোমবারের মধ্যে এই সব অভিযোগ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সামনে না আনেন, তাহলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছেন। সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে, আপনার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, সিএমও-র স্টাফদের সিরিজ অফ দুর্নীতির কথা আমরা বলব।” তিনি আরও বলেন, “মনোজ আগরওয়াল কী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব। কেন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি?”

    নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক

    এদিকে, বাংলায় (Suvendu Adhikari) নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক। রাজ্যের একাধিক জেলায় নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ইআরও পদে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, “রাজ্যের বহু জেলাশাসক জুনিয়র অফিসারদের ইআরও পদে নিয়োগ করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘন (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু বলেন, “এভাবে সিনিয়র ডাব্লুবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) আধিকারিকদের এড়িয়ে জুনিয়রদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, যা ইলেকশন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশের পরিপন্থী।”

    কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সব মিলিয়ে মোট ২২৬টি নিয়োগ হয়েছে কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড উপেক্ষা করে। তিনি বলেন, “এই ধরনের অনিয়ম আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এসডিও, এসডিএম বা আরডিও পদমর্যাদার আধিকারিকরাই ইআরও হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বার্তা

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, পশ্চিমবঙ্গে এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করা হোক। যেন দ্রুত সংশোধন ও পুনর্নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে উদাহরণ হিসেবে তিনি কয়েকজন ইআরও-র নাম এবং বিবরণ পাঠিয়েছেন, যাঁরা যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেন না (Mamata Banerjee)।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার প্রায় সাড়ে চারশো বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম যেমন তালিকা থেকে বাদ যাবে না, তেমনই কোনও অবৈধ ভোটারের নামও ভোটার তালিকায় রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে (Mamata Banerjee) কোনও ভুল হলে তার দায় বর্তাবে বিএলওদের ওপরই (Suvendu Adhikari)।

LinkedIn
Share