Tag: Exercise

Exercise

  • Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার মরশুম (Exam season)! একদিকে আবহাওয়ার রকমফের, আরেকদিকে পরীক্ষা। তাই এই মরশুমে সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের একাংশ। অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগে, ভাইরাস ঘটিত অসুখে কাবু হয়ে পড়ে, আবার অনেকের ভোগান্তি বাড়ায় হজমের গোলমাল, পেটের সমস্যা। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে?

    সকাল শুরু হোক তুলসীপাতা, কাঠবাদামের সঙ্গে (Exam season)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়।‌ ঘনঘন বদলে যায় তাপমাত্রার পারদ। আর এর প্রভাবে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। গলাব্যথা, সর্দি-কাশি-জ্বরে নাজেহাল হতে হয়। তাই তাঁদের পরামর্শ, সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটা তুলসীপাতা ভেজানো এক গ্লাস জল খেয়ে নেওয়া জরুরি! তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতার একাধিক ঔষধিগুণ রয়েছে। তুলসী পাতা সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এই তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে সর্দি-কাশির মোকাবিলা সহজ হবে। যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে দেহ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে পারবে। আরেকদিকে‌ খালি পেটে জল খেলে হজম শক্তি বাড়ে, পেটের গোলমাল কমে‌। তবে তার সঙ্গে গোটা পাঁচেক কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই খাবারের পুষ্টিগুণ প্রচুর। কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খনিজ পদার্থ। তাই সকালে কাঠবাদাম খেলে সহজেই স্নায়ু সক্রিয় থাকে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

    নিয়মিত একটা লেবু

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় (Exam season) শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত একটা লেবু খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত যে কোনও একটা লেবু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়। শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষত সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমে।

    ভাতের সঙ্গে থাকুক টক দই (Exam season)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমালে ভোগেন। তাই ভাতের সঙ্গে টক দই খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজম হয়। তাই নিয়মিত টক দই খেলে একাধিক পেটের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

    পরীক্ষার দুশ্চিন্তায় (Exam season) বিশ্রামে ঘাটতি হলে চলবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোলে তবেই শরীর সুস্থ থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বজায় থাকবে। আবার দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। বিশ্রাম ঠিকমতো না হলে স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত ক্ষরণ হবে, যা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ (Exam season)

    পরীক্ষার চাপ কমাতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীরের সমস্ত পেশি ঠিকমতো কাজ করবে। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং কোষ সক্রিয় হবে। এর ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়বে। তাই সন্তান যাতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যৌথ যুদ্ধ মহড়া শেষ হল মঙ্গলবার। ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’ নামে গত আট দিন ধরে চলা যুদ্ধাভ্যাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রস্তুতি।

    কেন এই মহড়া

    ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অরুণাচল প্রদেশে ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া চালাচ্ছে। এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য হল প্রতিকূল পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার ইতিবাচক পরিণতির পরে এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই ‘পূর্বী প্রহার’ বা ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া।

    প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা 

    সেনা সূত্রের খবর, চিন সীমান্তে এই মহড়ায় যোগ দেয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ রুদ্র। আমেরিকা থেকে আনা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজারের পাশাপাশি সোয়ার্ম ড্রোন, ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি) ড্রোন, এবং লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)-সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগে সেনার তিন শাখার জওয়ান ও অফিসারেরা পরিচিত হয়েছেন। প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা, তরুণ অফিসারদের শেখানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anger: মেজাজ সব সময়েই খিটখিটে? অতিরিক্ত রাগ? কেন হচ্ছে? কীভাবে কমাবেন? 

    Anger: মেজাজ সব সময়েই খিটখিটে? অতিরিক্ত রাগ? কেন হচ্ছে? কীভাবে কমাবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আনন্দ, দুঃখের মতো রাগও মানুষের স্বাভাবিক এক অনুভূতি। কিন্তু অনেক সময়েই রাগ (Anger) সীমাহীন হয়ে যায়। এর ফলে মানুষ অনেক রকম বিপদের সম্মুখীন হন। বড় ক্ষতিও হয়ে যায়। অনেকেরই দিনের অধিকাংশ সময় মেজাজ খিটখিটে থাকে। অকারণেও রাগারাগি করেন। এতে আশপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আবার নিজের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা ক্ষতিকারক। তাই নিজের বা কাছের মানুষের অতিরিক্ত রাগ হলে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন অতিরিক্ত রাগের সমস্যা হতে পারে? (Anger)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাগ, দুঃখ, আনন্দ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় হরমোনের দ্বারা। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগ করলে কিংবা সব সময়েই খিটখিটে মেজাজ থাকলে, বুঝতে হবে দেহের হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা হচ্ছে। ঠিক তেমন, মহিলারা গর্ভবতী হলে কিংবা সদ্য মা হওয়ার পরে, অনেক সময়েই অকারণে রেগে যান। কারণ, তখন দেহের একাধিক হরমোন ঘটিত পরিবর্তন হয়। মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ কিংবা অবসাদ থেকেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাছাড়া অবসাদগ্রস্থ হলেও অতিরিক্ত রাগ হতে পারে। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগারাগি করলে এই ধরনের মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। 
    উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হলেও অতিরিক্ত রাগ (Anger) হতে পারে। কারণ এই ধরনের রোগে শরীরের একাধিক প্রতিক্রিয়া হয়।

    কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেজাজ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সুস্থ জীবনযাপন জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের অতিরিক্ত রাগের (Anger) সমস্যা রয়েছে, তাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাই শরীর ক্লান্ত থাকে। যার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই নিয়মিত অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। নিয়মিত যোগাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে‌। পাশপাশি শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    খাবারে সতর্কতা

    খাবারের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোলাপের পাপড়ি, তুলসি পাতা মেশানো ভেষজ চা দিনে অন্তত একবার খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এর জেরে রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাগ (Anger) নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকলেও রাগ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই আখরোট, সবুজ সব্জি এবং মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকের। আবার কেউ কেউ শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে (Obesity) বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের ওজনে নজরদারি জরুরি। দুশ্চিন্তা নয়, বরং সতর্কতা দরকার। তবেই বড় বিপদ এড়ানো‌ যাবে। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগ থেকে কিডনির অসুখ, একাধিক শারীরিক সমস্যায় বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে স্থূলতা। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন চারটি দিকে বাড়তি নজর দিলেই দ্রুত নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চারটি বিষয়ে বাড়তি বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই দ্রুত শরীরের ওজন কমানো যাবে। স্থূলতার সমস্যার সহজে মোকাবিলা করা যাবে।

    সকালে নিয়মিত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের একাংশ মারাত্মক স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। আর তার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন জরুরি। স্থূলতা রুখতে প্রথম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবনের অভ্যাস। তাই নিয়মিত অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে এই দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলে দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হবে। যার জেরে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে (Obesity)। পাশপাশি খোলা মাঠে দৌড়লে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের পেশি মজবুত হবে। তাই কম বয়সীদের সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো।

    অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ 

    শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের মধ্যেই এই সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই স্থূলতা থেকে হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। স্থূলতার (Obesity) দ্রুত মোকাবিলা করতে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্থূলতা রুখতে হলে পিৎজা, বার্গার, হটডগ কিংবা মটনকারির মতো পদ মেনু থেকে বাদ দিতে হবে।

    সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের অনেকেই কাজের চাপে নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে পারেন না। অফিসে ল্যাপটপের সামনে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। কিন্তু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত জরুরি। জুম্বা, অ্যারোবিক কিংবা যোগাভ্যাস, যে কোনও ধরনের শারীরিক কসরত করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্থূলতা রুখতে হলে অন্যান্য কাজের মতোই শারীরিক কসরতের জন্য সপ্তাহে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তু সেটা হতে হবে নিয়মিত। তাই রুটিন জরুরি। অন্তত তিনদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় শারীরিক কসরতের জন্য ব্যয় করতে হবে।

    দিনে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার নয়

    শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে লাগাম টানতে হবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে। ভাত, রুটি কিংবা আলুর তরকারি কতখানি পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে সেদিকে নজর জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে দিনে অন্তত একবার ভাত, আলু জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তবে ওজন‌ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।‌ তার পরিবর্তে শরীর সুস্থ রাখতে (Obesity) সব্জি, ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। শীত জাঁকিয়ে বসেছে কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র। শীতের দাপট বাড়তেই বাড়ছে স্ট্রোকের (Heart Disease) ঝুঁকি। সরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল, সর্বত্র স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়াবে।

    কেন শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম হয় না। রক্ত সঞ্চালনও তাই ধীরে হয়। পাশপাশি, ঘাম না‌ হওয়ার জেরে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে রক্ত সঞ্চালন ধীরে হওয়ার জেরে হৃদপিণ্ড থেকে দেহে রক্ত সঞ্চালনের গতিও কমে (Heart Disease)। রক্তচাপ ওঠানামা করে। আর এর জেরেই বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    শীতে কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে প্রবীণদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা প্রবীণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে, তরুণ প্রজন্মের সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাঁরা রক্তচাপ, স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, শীতে তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, রক্তচাপের ওঠানামার জেরেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্তের অধিকাংশের কোলেস্টেরল আর রক্তচাপের সমস্যা থাকে (Heart Disease)। তাই বয়স যাই হোক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এই বিপদের কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। কারণ, রক্তচাপ অতিরিক্ত ওঠানামা করলে বিপদ বাড়ে।‌ তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ পাশপাশি, শীতে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ছাড়তে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে। তাই স্ট্রোকের মতো সমস্যার বাড়তি ঝুঁকি (Heart Disease) তৈরি করে। তাই শীতে নুন খাওয়ায় রাশ‌ টানা জরুরি। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবার খেলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। যা শরীরে রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এই সময়ে সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার। যদিও শীতে অনেকেই নানান পদের মাংস খান। আবার অনেকেই শীতে নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত হন।‌ কিন্তু এই অভ্যাস বিপজ্জনক। শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক কসরত বা‌ যোগাভ্যাস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে‌। নিয়মিত হাঁটলেও শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই এগুলো নিয়মিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতার সমস্যা হোক কিংবা ডায়বেটিস, যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য ওষুধের পাশপাশি শরীরচর্চায় (Exercise) বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ মহল। এমনকি মানসিক চাপ কমাতেও প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। কিন্তু সেই শরীরচর্চাও ডেকে আনতে পারে বিপদ! শরীরচর্চার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ! এমনই কথা জানা গেল এক সাম্প্রতিক গবেষণায়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, যে কোনও কাজেই লাগাম জরুরি। তা না হলেই বিপত্তি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত শরীরচর্চা (Exercise) শরীরে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেন এবং সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী বিশ্বের পাঁচ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়েছেন। আর তার পরে তাঁরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা আসলে বিপজ্জনক। ওই গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত জিম বা শরীরচর্চার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। আর তার ফলেই যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে সাধারণ ভাইরাসঘটিত রোগ হোক কিংবা করোনার মতো মহামারি, যে কোনও ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়।

    কেন বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর চর্চা (Exercise) প্রয়োজন অনুযায়ী করা উচিত। কিন্তু অনেকেই দিনের বেশির ভাগ সময় জিমে কাটাচ্ছেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করছেন। পেশিকে দুর্বল করে তুলছেন। আবার সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া হচ্ছে না। এর ফলে, শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পেশি ক্লান্ত থাকছে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আর এর জেরেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জিমের প্রয়োজন আছে কিনা, তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই করা উচিত। শুধুমাত্র সখের জন্য নয়। শারীরচর্চা কতখানি জরুরি, তা না জেনে করলে বিপদ বাড়বে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারি। তাই নিয়ম করে ৪০ মিনিট হাঁটলে, স্থূলতা, ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগের মতো এড়ানো যাবে একাধিক সমস্যা। পাশপাশি যোগাভ্যাসে অভ্যস্থ হলেও একাধিক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে, নিয়মিত জিম করলেও উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া জিম করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো শরীরচর্চা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, শরীরচর্চার পাশপাশি পুষ্টিকর পরিমিত খাবার নিয়ম করে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, একদিকে শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চা (Exercise) জরুরি, তেমনি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তা না হলে শরীরচর্চায় বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অকালেই ঝরে পড়ছে চুল। চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে। শুষ্ক ত্বক সমস্যা বাড়াচ্ছে! সময়ের আগেই আসছে বার্ধক্য (Ageing and Health)। এই সমস্যা এখন অনেকের। তবে চটজলদি এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বরং শরীরের তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই সময়ের আগে বার্ধক্যকে এড়ানো যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং থাইরয়েড-এই তিন সমস্যা কমাতে পারলে তবেই সময়ের আগে বাধর্ক্য (Ageing and Health) এড়ানো যেতে পারে।  
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, থাইরয়েডের মতো হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলে চুল পড়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকী চোখের নিচের চামড়াও কুঁচকে যায়। এসব সময়ের আগেই বার্ধক্যের ইঙ্গিত দেয়। তাই থাইরয়েড এবং হরমোন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। 
    পাশপাশি রক্তে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়লেও বিপদ। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে হাত-পায়ের চামড়ায় শুষ্ক ভাব চলে আসে। যার জেরে চামড়া কুঁচকে যায়। ফলে দেখা দেয় আগাম বার্ধক্য। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম বার্ধক্য এড়াতে স্থূলতার সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত ওজন শরীরের কার্যক্ষমতা কমায়। পাশপাশি অতিরিক্ত মেদের জেরে ওজন বাড়ে। আর তার জেরে আগাম বার্ধক্য দেখা দেয়।

    কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই তিন সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিনা, তা জানা জরুরি। তাই আগাম বার্ধক্য (Ageing and Health) শরীরে জানান দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা জরুরি। স্থূলতার সমস্যা শরীরে সহজেই জানান দেয়। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া সহজ বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তবে, সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। এই তিনটি বিষয়কে যে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, সেই সচেতনতার অভাব রয়েছে।

    কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই তিন সমস্যাকে দূরে রাখতে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাতে একদিকে স্থূলতার সমস্যা কমবে, আরেকদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে।ডায়াবেটিসের সমস্যাও কমবে। তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। পাশপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে। আগাম বার্ধক্য এড়াতে হলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Ageing and Health)। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চটজলদি খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ডায়াবেটিস, স্থূলতা আর থাইরয়েডের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। এড়িয়ে চলতে হবে হটডগ, পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবার। এই সব খাবারে থাকে প্রিজারভেটিভ মশলা এবং মাত্রাতিরিক্ত নুন। যা থাইরয়েড এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়। পাশপাশি দেহে অতিরিক্ত মেদ জমায় এই ধরনের খাবার। তাই এই সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

    কৃত্রিম পদ্ধতি কি ভাল?
     
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। বরং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে সহজেই অকাল বার্ধক্য (Ageing and Health) এড়ানো যাবে। তাই নিয়মিত সবুজ সব্জি, মাছ, ডিম, সয়াবিনের মতো প্রোটিন বাড়িতে রান্না করে খেলে এবং ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। পাশপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে চার লিটার জল খেতে হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় জল থাকলে বহু রোগ আটকানো সহজ হয়। তার পাশপাশি জল ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share